মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার ২০২২

টিউন বিভাগ মোবাইলীয়
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

বর্তমানে আমাদের অধিকাংশ সময় কাটে মোবাইল ফোনের সাথে। আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়াও  বিনোদনসহ অনেক ক্ষেত্রেই নিত্যসঙ্গী এই শক্তিশালী প্রযুক্তি। মোবাইল ফোনকে ঘিরে রয়েছে অনেক দানবীয় পুঁজিভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকে নিজস্ব লাভ অর্থাৎ আপনার লাভ নিয়ে তারা ভাবে না। উল্টো নানা বৈশিষ্ট্যের ফোন এনে আপনাকে গোলকধাঁধায় ফেলে দেয়। এই শক্তিশালী গোলকধাঁধা হতে বের হওয়া কঠিন, তবুও চেষ্টা করতে তো অন্তত ক্ষতি নেই। ২০২২ সালে যারা স্মার্টফোন কিনবেন ভেবেছেন তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি। নিচের বৈশিষ্ট্যের সাথে স্মার্টফোন কেনার চেষ্টা করবেন।

১। র‍্যামঃ
র‍্যাম এর ক্ষেত্রে দুইটা বৈশিষ্ট্য দেখবেন।

 

  • র‍্যামের পরিমাণঃ কমপক্ষে ৮জিবি।
  • র‍্যামের টাইপঃ LPDDR5, বাজেট একটু কম হলে LPDDR4X  নেওয়া যেতে পারে।

 

২। স্টোরেজঃ
স্টোরেজেও দুইটি বৈশিষ্ট্য।

 

  • স্টোরেজের পরিমাণঃ কমপক্ষে ১২৮ জিবি।
  • স্টোরেজ টাইপঃ EMMC টাইপের স্টোরেজ বাদ দিবেন। UFS টাইপের স্টোরেজ নিবেন। UFS 3.1, 3.0 নিতে পারেন। বাজেট একটু কম হলে UFS2.2 বা UFS2.1 নিতে পারেন।

 

৩।  প্রসেসরঃ
প্রসেসর নেওয়ার ক্ষেত্রে ৩টি বিষয় খেয়াল রাখবেন।

 

  •   কোরসংখ্যাঃকমপক্ষে OCTA CORE বা ৮ টি।
  •   ক্লকস্পিড ঃ কমপক্ষে ২.00 GHZ। বাড়িয়ে নিলে আরও ভাল হয়।
  •   ন্যনোমিটারঃ কমপক্ষে ৮ ন্যনোমিটার। ন্যনোমিটার যত কম, ততই ভাল।

 

৪। ডিসপ্লেঃ
ডিসপ্লের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবেন।

 

  • ডিসপ্লের প্রটেকশনঃ কমপক্ষে CORNING GORILLA GLASS 5

 

  • ডিসপ্লের টাইপঃ কমপক্ষে AMOLED DISPLAY। SUPER AMOLED হলে আরও ভাল।
  • ডিসপ্লের রেজুলেশনঃ কমপক্ষে FHD+ ডিসপ্লে বা (1080 x 2400)

 

  •  ব্রাইটনেসঃ কমপক্ষে 1200 Nits(peak)

 

  • রিফ্রেশ রেটঃ কমপক্ষে ১২০ হার্জ (গেইমার না হলে রিফ্রেশ রেট তেমন প্রয়োজনীয় না)
  • টাচ স্যাম্পলিং রেটঃ কমপক্ষে ১৮০ হার্জ।

 

৫। ক্যামেরাঃ

 মেগাপিক্সেল তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। প্রথমে সেনসর দেখে নিবেন।

 

  • সেনসরঃ SONY IMX SENSOR। তাছাড়া SAMSUNG HM SERIES,  GN SERIES এর কিছু সেনসর ভাল। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ইউটিউব থেকে স্মার্টফোন মডেল এর  ইমেজ স্যাম্পল দেখলে।
  •   ক্যামেরার অ্যাপারচারঃকমপক্ষে ১.৮ প্রায়ই।

ক্যমেরার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয় অনলাইন থেকে রিভিউ ও অনলাইনে  স্যাম্পল ইমেজ দেখলে। ৬। ব্যাটারীঃ
কমপক্ষে

5000 MAH হতে হবে।

৭। WI-FI:

দুইটা বিষয় দেখবেন।

  •   Band: dual(2.4GHz/5GHz)
  •   Generation: কমপক্ষে Wi‑Fi 6 (802.11ax) বাজেট একটু কম হলে Wi‑Fi 5 (802.11ac)

 

৮। BLUTOOH:

কমপক্ষে

5.1

৯। নেটওয়ার্কঃ

 

4G প্রসেসর নিলে অবশ্যই দেখে নিবেন Carrier aggregation (4g+) আছে কিনা। কেননা এই ফিচারটি 4G নেটওয়ার্ক এর চেয়ে দ্বিগুণ ইন্টারনেট স্পীড দিবে।

১০। ফার্স্ট চার্জিংঃ
কমপক্ষে ৫০ ওয়াট,  বাজেট কম হলে কমপক্ষে ৩০ ওয়াট। ১১। অন্যান্য ফিচারগুলোঃ

  •   USB TYPE C কিনা দেখে নিবেন।
  •   ডুয়াল  স্পিকার কিনা দেখবেন। পাশাপাশি স্পিকার  কোয়ালিটি ভাল কিনা ইউটিউব থেকে স্যাম্পল  দেখবেন।
  •   মডেল নাম্বার দিয়ে অনলাইনে  সার্চ করে WIDEVINE L1 সাপোর্ট করে কিনা দেখে নিবেন, সাপোর্টেড থাকলে আপনি 1080P রেজুলেশনে নেটফ্লিক্স ও ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারবেন।
  •   GOOGLE CAMERA সাপোর্ট করে কিনা অনলাইনে সার্চ করে নিবেন।
  •   GYROSCOPE SENSOR সাপোর্ট করে কিনা অনলাইনে সার্চ করে নিবেন।

শেষ কথা,  বেশি দামী স্মার্টফোন নেওয়ার পক্ষপাতী আমি নই। উপরের সব বৈশিষ্ট্যই ২০-৩০ হাজার  টাকার স্মার্টফোনে পাওয়া যায়। ২০- ৩০ হাজার টাকার স্মার্টফোনে প্রয়োজনীয় সব বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেলে, বেশি দামি মোবাইল ফোন নেওয়ার পক্ষপাতীও আমি নয়। কম দামে ভাল ফোন অর্থাৎ  মোবাইলের দাম কম হতে হবে, স্পেসিপিকেশন ও ফিচার বেশি থাকতে হবে, এই হল টিউনের সারকথা।

Level 0

আমি রাফিউল হক। , dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুব বেশি ভালো লাগলো উপকারী আর্টিকেলটি। ধন্যবাদ ভাই।