আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে আপনি কি কখনো চিন্তাও করে দেখেছেন যে, আপনার কাছে বর্তমানের মতো একটি স্মার্টফোন থাকবে এবং যেটির মাধ্যমে আপনি নিমিষেই যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এছাড়া আপনি এটিও কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন যে, এসময় আপনি হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জার এর মত অ্যাপগুলোকে ব্যবহার করে কারো কাছে খুব সহজেই ফটো এবং ভিডিও আদান-প্রদান করতে পারবেন?
সেসময়কার কল্পনাতে হয়তো বা এরকম কোন চিন্তা আসেনি। কিন্তু বর্তমানে কারো কাছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ছবি পাঠানো একটি সাধারণ ব্যাপার। আপনার হয়তোবা সে সময় চিন্তাতেও ছিল না যে, আপনি ভবিষ্যতের মোবাইল ফোন কে ব্যবহার করে সরাসরি কারো সাথে লিখে লিখে চ্যাটিং করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রীতে। বর্তমানে এসব মাধ্যমগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে সেই ব্যক্তির যেখানেই থাকুক না কেন, তার ডিভাইসে যদি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে, তবে একটি ক্লিকের মাধ্যমে আপনি তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন। বর্তমানে এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনি কি কখনো ভেবেছিলেন? না তো কোন মানুষ এ সম্পর্কে ভেবেছিল?
আপনার হয়তোবা সে সময়ে কোনো ধারণাই ছিল না যে, আপনি ফোনের মধ্যে শুধু আঙ্গুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারবেন, কোন একটি ভিডিওকে দেখতে পারবেন। ৩০ বছর আগে এসব কথাগুলো কিন্তু একটি রূপকথার কাহিনীর মতো মনে হতো। কিন্তু বর্তমানে এসব কিছু কিন্তু আমাদের চোখের সামনেই আস্তে আস্তে সম্ভব হয়ে গিয়েছে। এমনকি প্রতিদিন আমাদের সামনে পৃথিবীতে নতুন নতুন টেকনোলোজির আবিষ্কার হচ্ছে।
বর্তমানে আমরা যেভাবে করে নিজেদেরকে পরিবর্তন করছি, তার চাইতেও দ্রুতগতিতে টেকনোলজি ডেভেলপ হয়ে যাচ্ছে। তবে এবার আপনার সবকিছু দেখে কি মনে হয় যে, স্মার্ট-ফোনের প্রযুক্তি বর্তমানে একেবারে চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে?
এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলতে পারি যে, এটা কিন্তু মোটেও নয়। কয়েক বছর আগেও আমরা যেসব মোবাইল ফোন গুলো ব্যবহার করতাম, সেগুলোর তুলনায় বর্তমানের স্মার্টফোন গুলো অনেক বেশি ফিচার সমৃদ্ধ। বলতে গেলে তখনকার মোবাইল আর বর্তমান যুগের স্মার্ট ফোন এর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। যদিও শুরুর মোবাইল এবং বর্তমান মোবাইল দিয়ে কথা বলার মত একটি ফিচার সবসময় রয়েছে, কিন্তু কথা বলার ক্ষেত্রে তখনকার মোবাইল ফোন এবং বর্তমানের মোবাইল ফোনের মধ্যে রয়েছে এক বিশাল বৈচিত্র্যতা।
যাইহোক, বর্তমানের স্মার্টফোন এবং পূর্বের স্মার্টফোনের পার্থক্যের উদাহরণ আপনাদের নিজেদের অভিজ্ঞতাই বলে দিবে।
আপনি কি এটি জানতে চান যে, আজ থেকে প্রায় ৩৫-৪০ বছর পর মোবাইল ফোনের টেকনোলজি কেমন হতে পারে? আর এর উত্তর যদি হ্যাঁ, তবে এই টিউনটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকুন। আর সেই সাথে আপনি যদি আমাকে এখনও ফলো না করে থাকেন, তবে অবশ্যই আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য উপরের ফলো বাটনে ক্লিক করে ফলো করে রাখবেন। আর যদি ইতিমধ্যেই আপনি আমাকে ফলো করে রেখে থাকেন, তবে আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের এই টিউন টি তে আমি আপনাদেরকে জানাতে চলেছি যে, আজ থেকে ৩৫-৪০ বছর পর আমরা যেসব স্মার্টফোন গুলো ব্যবহার করব সেগুলো কেমন হতে পারে।
আমরা যতই দামি স্মার্টফোন কিংবা কম দামি স্মার্টফোন ই ব্যবহার করি না কেন, আমাদের মোবাইলের স্ক্রিন অবশ্যই ভেঙ্গে যাওয়ার একটি আশঙ্কা থাকে। আর এই ভয় থেকেই আমরা মোবাইল ফোন নিয়ে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করি। কিন্তু কি হবে, যদি আপনার এই ভয় ভবিষ্যতে আর না থাকে এবং আপনার এই ভয়টিই শেষ হয়ে যায়? নিশ্চয় এক্ষেত্রে বিষয়টি আপনার কাছে অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং হবে।
ভবিষ্যতে আপনার মোবাইলের স্ক্রিনটি হয়ে যাবে Flexible। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের স্ক্রিন টি ভাঁজ করা পর্যন্ত যাবে। আপনি এই সুবিধাটি নিকট ভবিষ্যতের অনেক স্মার্টফোন গুলোতেই পাবেন। আর আপনি ভবিষ্যতে পাবেন কি, বর্তমানে এরকম অনেক স্মার্টফোন বাজারে এসেছে, যেগুলোকে কয়েক ভাগে ভাঁজ করা যায়। বর্তমানে অনেক স্মার্ট ফোন প্রস্তুতকারক এই টেকনোলজি কে ব্যবহার ও করছে, আর ভবিষ্যতে আপনি এই ফোনগুলোকে কাগজের মত ভাঁজ করে ফেলতে পারবেন।
এতে ব্যবহার করা হবে ন্যানো মেমব্রেন। আর এদেরকে সাধারণত Morph phone বলে থাকে। এগুলো কে আপনি আপনার হাতের মধ্যে ব্রেসলেট এর মতো করে পড়তে ও পারবেন, এবং সোজা করে কথাও বলতে পারবেন।
আপনি হলিউডের সব মুভিতে হয়তোবা 3D ভিডিও অবশ্যই দেখেছেন। যেখানে Holographic 3D ডিভাইসের মাধ্যমে হলোগ্রাফিক তৈরি করা হয়। টেকনোলজি আমাদেরকে হলোগ্রাফিক এর মাধ্যমে উপভোগ করায়, যার সঙ্গে আমি কথা বলছি সে আমার সামনেই আছে। আর বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ডিভাইস তৈরি করার জন্য বহু বছর ধরেই প্রয়াস করে আসছে।
হলোগ্রাফিক ডিভাইস তৈরি করার ক্ষেত্রে সমস্যা হল, কোন বড় একটি ডিভাইস দিয়ে হলোগ্রাফিক তৈরি করা যায়, কিন্তু বর্তমানের ফোনের দ্বারা হলোগ্রাফিক তৈরি করা খুবই চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কেননা বর্তমানে স্মার্টফোন গুলো আকারে অনেক ছোট এবং অনেকটা সুপার স্লিম। কিন্তু কিছু সময় আগে আর আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি একটি সুপার স্লিম স্মার্টফোন হলোগ্রাফিক ডিভাইস তৈরি করে। আর এটি হলোগ্রাফিক টেকনোলজির কাছে একটি বড় আবিষ্কার ছিল।
তবে বর্তমানে এর ওপর আরও অধিক পরিমাণে গবেষণা হচ্ছে। হয়তোবা নিকট ভবিষ্যতে এটি সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে চলেও আসতে পারে। আর এটির সাহায্যে আপনি কোন বস্তুর থ্রিডি মডেল আপনার ফোনের সাহায্যে লাইফ প্রজেক্ট করতে পারবেন। যার অনুভূতি আপনার কাছে সত্যিই অনেক অসাধারণ মনে হবে।
আমরা বর্তমানে এটিও দেখছি যে, বর্তমান টেকনোলজি যেভাবে দিনদিন ডেভেলপ হয়ে যাচ্ছে, তাতে করে আমাদের আশেপাশের বন্ধুরা আমাদের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে এবং আমরা ও আমাদের বন্ধুদের সাথে তেমন সময় দিতে পারছি না। বর্তমান টেকনোলজি উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ অনেকটা একা হয়ে যাচ্ছে। যদিও টেকনোলজির সাহায্যে একে অন্যের সঙ্গে লাইভে কথা বলা যায়, কিন্তু তবুও কেন জানি আমরা একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। যাই হোক, এটি টেকনোলজির একটি কুফল বা সুফল আপনি বলতে পারেন। কিন্তু কি হবে, যদি টেকনোলজি আপনার বন্ধু হয়ে যায়?
বর্তমানে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে, যারা তাদের বেশিরভাগ সময় ফোনেতেই কাটিয়ে দেয়। কিন্তু আমি এখানে ফোনের ওপর নির্ভরশীল হবার কথা বলছি না। কিন্তু আমি আপনাকে এমন একটি ফোনের কথা বলছি, যে ফোনটি আপনাকে বুঝতে পারবে। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
নিকট ভবিষ্যতে এমন একটি ফোনের আবিষ্কার হতে পারে, যেটি একটি এআই দিয়ে চলা রোবটিক ফোন হবে। তার মানে, এই ফোনকে আপনি যখনই কিনে ব্যবহার করা শুরু করে দিবেন, তখন এটি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সকল কিছু করতে থাকবে। এক্ষেত্রে এই ফোনটি আপনার পছন্দ এবং অপছন্দ অনুযায়ী ব্যবহারের প্যাটার্নকে কাজে লাগিয়ে, আপনি কি ধরনের মানুষ এবং আপনি কি পছন্দ বা কি অপছন্দ করেন, সেগুলোকে বোঝার চেষ্টা করবে। এমনকি আপনি সেই স্মার্ট ফোনটি ব্যবহার করতে করতে এটি এমন বেশি স্মার্ট হয়ে যাবে যে, এই ফোনটি আপনাকে আপনার কোন কাজের ক্ষেত্রে নির্ণয় নেবার জন্য ও সাহায্য করতে পারে।
আপনাকে কোন সময় দুঃখিত দেখে এটি হয়তোবা আপনাকে বিনোদনের ব্যবস্থা ও করে দিতে পারে। তার মানে হল যে, এই ফোনটি আপনাকে আপনার একটি বন্ধু হিসেবে অনুভূতি দেবে। আপনি হয়তোবা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন যে, এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার মাধ্যমে সম্ভব। বিজ্ঞানীরা ফোনের Personalize ব্যাপারটির উপর প্রায় এক দশক ধরে কাজ করে চলেছে। আর এই ফিচারটি যখন আপনার ফোনে আসা শুরু করবে, তখন আপনার সেই ফোনটি আপনাকে একটি বন্ধুর মতো করে অনুভূতি করতে শেখাবে।
কিন্তু এটিও আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস আপনার সত্যি কারের কোন বন্ধু হতে পারেনা। কেননা সেই ডিভাইস টি আপনাকে একটি মেশিনের মতো করে ভাববে। আপনার সত্যি কারের বন্ধুর মতো ইমোশনাল হয়ে সে ভাববে না, বা বলতে পারেন সে ভাবতে পারবে না।
যদিও বর্তমানে স্মার্টফোন গুলোতে আমরা গুগল এসিস্টেন্ট কে ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছামত ভয়েস কমান্ড দিয়ে অনেক কিছুই চালাতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা পূর্বে থেকেই আমাদের পছন্দের গান কে সেট করে দিলে, পরবর্তীতে ভয়েস কমান্ডে শুধুমাত্র Play my favourite song বললেই গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট আমাদের পছন্দের গান প্লে করে। কিন্তু ভবিষ্যতে এমনও টেকনোলজি আসতে পারে যে, আমাদের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে মোবাইলে থাকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের পছন্দের অডিও চালিয়ে দিবে।
এই টেকনোলজি টি একেবারেই বাস্তব এবং সামনে কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের মাঝে এই টেকনোলজি টি আরো নতুন ভাবে আসতে পারে। আপনি একটি কথা চিন্তা করে দেখুন, আপনি বর্তমানে যে স্মার্ট ফোনটি ব্যবহার করেন সেটি চার্জ করতে কতটা সময় লাগে। এক্ষেত্রে আপনার উত্তর হতে পারে, ১ ঘন্টা অথবা আপনার ফোনে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকলে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময়। আপনার স্মার্টফোনে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকলেও কিন্তু এই সময়টি কিন্তু লেগেই যায়।
এসব ফোনগুলোতে কিন্তু একটি ব্যাটারি থাকে না, বরং এগুলোতে একাধিক ব্যাটারি থাকে। যেখানেই একটি চার্জার কে ব্যবহার করে একসাথে চার্জ হয়। আর যে কারণে খুব তাড়াতাড়ি ফুল চার্জ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এত দ্রুত চার্জ হওয়া সত্বেও আধাঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট সময় তো লেগেই যায়। আর এই চার্জ দেবার পর আপনার ফোনটি একদিন অথবা দেড় দিন খুব ভালোভাবেই চলে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো, পূর্বে এরকম ছিল কিনা?
পূর্বে যেসব সাধারণ ফোনগুলো ছিল, সেগুলোতে সাধারণভাবে চার্জ দিতে তিন ঘণ্টার মত সময় লেগে যেত। এর থেকে আপনি একটি জিনিস তো নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ব্যাটারি টেকনোলজিতে আমরা পূর্বের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে এসেছি। কিন্তু ভবিষ্যতে এরকম টেকনোলজি আসতে চলেছে, যা আপনার স্মার্টফোনকে ৫ মিনিটে চার্জ করে দিতে পারে। আর যেসব ব্যাটারিগুলো বর্তমানের ব্যাটারির চাইতে ও বেশি সময় চলবে। আর এর সবকিছু ভবিষ্যতে আমাদের মোবাইলে হতে চলেছে ন্যানো ব্যাটারি টেকনোলজি কে ব্যবহার করার মাধ্যমে।
যেহেতু এই প্রজেক্টটি সবচাইতে অ্যাডভান্স, তাই এটিকে আজকের তালিকার সবচাইতে শেষের দিকে রেখেছি। প্রথম দিকের কথা যদি আমরা বলি, তবে সে সময় ফোন কল করতে গেলে আমাদেরকে ফোনের কাছে যেতে হতো। অর্থাৎ, প্রথমদিকে টেলিফোনে কথা বলার জন্য আমাদেরকে টেলিফোনের কাছে গিয়ে তার সংযুক্ত টেলিফোনটি নিয়ে কথা বলতে হতো। পরবর্তী সময়ে টেকনোলজি উন্নত হবার সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোনের রিসিভারটি নিয়ে বাড়ির আশেপাশে থেকে কথা বলা যেত। কিন্তু বর্তমানে আপনি আপনার ফোনটিকে নিয়ে পৃথিবীর যে কোন জায়গাতে গিয়ে কথা বলতে পারেন।
বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, আপনার ইচ্ছায় আপনি আপনার হাতকে ব্যবহার করে ফোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি আপনি আপনার কথার দ্বারাও আপনার ফোনটি কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার মোবাইলে থাকা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে ব্যবহার করে ভয়েস কমান্ড এর মাধ্যমে আপনার ফোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। মোবাইলে Google assistant দিয়ে ভয়েস কমান্ডে ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করা বর্তমানে আমাদের কাছে একটি সাধারণ ব্যাপার মনে হয়। কিন্তু আপনি একবার ভাবুন যে, আপনাকে যদি আপনার ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন কিছু বলতে বা করতে না হয়, তবে ব্যাপারটি আপনার কাছে কেমন হবে?
কেমন হবে যদি আপনার ফোনটি আপনার ইচ্ছার সঙ্গে কানেক্ট হতে পারে? প্রথমে শুনতে আপনার কাছে এই বিষয়টি অনেক বেশি অসম্ভব মনে হচ্ছে। কিন্তু এই অসম্ভব ব্যাপারটি নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করছে, এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টি নিয়ে সফলতাও পেয়েছেন। আপনি ভবিষ্যতের স্মার্টফোন গুলোতে এরকমই সকল ফিচার দেখতে পারেন, যেখানে আপনার মাইন্ড যা বলবে, আপনার ফোনটি ও সে অনুযায়ী কাজ করবে।
এই ধরনের ডিভাইস গুলোর সাইলেন্ট স্পিচ এর মাধ্যমে কাজ করে। আর এই ধরনের ডিভাইসটিকে আপনার মাইন্ড এর সঙ্গে কানেক্ট করা সম্ভব। বর্তমানে দুর্দান্ত গতিতে এটির ওপর রিসার্চ চলছে।
তো বন্ধুরা, আজকের এই টিউন টি এ পর্যন্তই ছিল। যদি আজকের এই টিউনটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে, তবে অবশ্যই টিউনটিতে একটি জোসস করবেন এবং সেই-সঙ্গে আপনার বন্ধুদের মাঝে ও শেয়ার করে দিবেন। আর আমার এই টিউনে আপনি নতুন হয়ে থাকলে এখনি আমাকে ফলো করে রাখবেন।
আর এখানে আপনাকে আরও একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলোতে যে উপরের আলোচনা করা এসব ফিচারগুলো আসবে, বিষয়টি তা নয়। বরং, ভবিষ্যতের স্মার্টফোন গুলোতে এর চাইতে আরো অনেক বেশি ফিচার অথবা এগুলোর মধ্যে থেকে যেকোন একটি সে সময় নাও আসতে পারে। যেটি নির্ভর করছে বৈজ্ঞানিকদের গবেষণার উপর। তাই আজকের এই টিউন টিকে আপনি ১০০% গ্যারান্টি যুক্ত কথা হিসেবে নিবেন না। আমার বলার মাঝে তবে ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
কিছুদিন আগেও আমরা যে মোবাইল গুলো ব্যবহার করেছি, তখন আমাদের ধারণাও ছিল না যে, বর্তমানে এরকম আমরা স্মার্টফোন পাবো। যেখানে মাত্র দুই দশকের মধ্যেই মোবাইল ফোন এর ফিচারের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। আর সে সব দিক থেকে বিবেচনা করলে ভবিষ্যতে আমরা এমন সব প্রযুক্তি-সম্পন্ন মোবাইল পেতে চলেছি, যেগুলো আমাদের বর্তমানের মোবাইলের চাইতে হবে আরও অনেক বেশি উন্নত।
তো বন্ধুরা, আপনার কি মনে হয়? টিউন সম্পর্কিত আপনার মতামত জানাতে অবশ্যই টিউনমেন্ট করবেন। সেই-সঙ্গে টিউন ভালো লাগলে তো জোসস অবশ্যই করবেন। আসসালামু আলাইকুম। ধন্যবাদ।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)