একটি অ্যানড্রয়েড ফোন বা মোবাইল স্লো হলে কি করব এমন টেনশনে অনেকেই আছেন নিশ্চয়? স্মার্ট ফোন কেনার পর পরেই শুরু হয়ে যায় স্মার্ট ফোনটির উপর চরম নির্যাতন। ফলে মাস ছয়েক যেতে না যেতেই সবার একটা কমন নালিশ যে, কিভাবে মোবাইল ফাস্ট করা যায়? বা মোবাইল স্লো হলে ফাস্ট করার উপায়।
অনেক সময় সামান্য কাজ করতে না করতেই হঠাৎ হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। এমন দুঃখ জনক সমস্যা গুলো শান্তিতে আপনার স্লো অ্যান্ড্রয়েড উপভোগ করতে দিচ্ছে না। ফলে অনেকেই ফোন রিস্টার্ট দেন বার বার কিংবা রিস্টোর করেন। কিন্তু আপনি যদি একটু বুদ্ধি করে কাজ করেন তাহলে আপনার এই সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান হবে। আজ আমি আপনাদের ৭ টি উপায় জানাব যেগুলো করলে আপনি আপনার স্লো অ্যান্ড্রয়েডকে আগের মতই ফাস্ট পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নিই;
এটা খুব প্রাথমিক আর সহজ উপায় আপনার অ্যান্ড্রয়েডকে ফাস্ট করে তোলার। আমরা অনেক সময় এমন অনেক অ্যাপ অযথা ইন্সটল করে রাখি বা কিছু কিছু রয়েছে অল্প সময়ের কাজের জন্য ইন্সটল করে থাকি যা পরে আর প্রয়োজন থাকে না। যেসব অ্যাপ আপনার কোন কাজে আসে না বা ভবিষ্যতেও কাজে আসবে না সেগুলো আনইন্সটল করে দিন। আপনি আপনার অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস এর আইকনটি চেপে ধরে রাখলেই উপরে দেখতে পাবেন আনইন্সটল অপশন। এছাড়াও আপনি চাইলে সেটিংস>অ্যাপস এ গিয়ে আন ইন্সটল করতে পারেন। কিংবা ডিজেবল করে রাখতে পারেন ভারী কিন্তু তাৎক্ষণিক প্রয়োজন নেই এমন অ্যাপ। মোবাইল স্লো হলে কি করব? এখন নিশ্চয় একটা উত্তর পেয়েছেন?
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিতে প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে প্রচুর অ্যাপস, ভিডিও, অডিও, ফাইল রাখেন। আপনার যেগুলোর প্রয়োজন নেই সেগুলো ডিলিট করে কিংবা ক্লিয়ার ক্যাশ করে মেমোরি ফাঁকা করতে পারেন এতে আপনার ফোনে স্পিড পাবেন। আপনি দেখে নিতে পারেন কোন গুলো বেশি মেমোরি দখল করে রেখেছে। এই জন্য আপনি প্রথমে সেটিংস>স্টোরেজে যান। এখন দেখুন কোন গুলো বেশি মেমোরি দখল করে রেখেছে। মোবাইল স্লো হলে কি করবেন? এখন নিশ্চয় আরো একটা উত্তর পেয়েছেন?
আমরা স্মার্ট ফোনটিকে সাজাতে বিভিন্ন গেজেট ব্যবহার করে থাকি। মাত্রারিক্ত গেজেট আপনার অ্যান্ড্রয়েডকে স্লো করে দেয়। তাই প্রয়োজনের বেশি গেজেট যেমন ডাবল ক্লক, টেম্পারেচার মিটার, ওয়েদার বক্স, গেম বক্স ইত্যাদি আপনার ফ্রন্ট প্যানেল থেকে রিমুভ করে ফেলুন। মোবাইল স্লো হলে যা করতে হবে, এখন নিশ্চয় আরো একটা উত্তর পেয়েছেন?
অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো প্রচুর ব্যাটারি পাওয়ার ব্যবহার করে। আর ব্যাটারি পাওয়ার বাড়ানো একটি কারণ ফোনের স্পিড আপের। তাই আপনি সেটিংসে গিয়ে ব্যাটারিতে যান। এখন দেখুন কোন গুলো বেশি ব্যাটারি পাওয়ার ব্যবহার করছে। যেগুলো অপ্রয়োজনীয় সেগুলো ডিজেবল করে দিন। এটা মোবাইল ফাস্ট রাখার কার্যকরী উপায়।
এটা বেশ কাজে দেয় আপনার অ্যান্ড্রয়েডকে ফাস্ট করেত। এই জন্য আপনাকে সেটিংসে যেতে হবে। তারপর about phone এ যান। এখন বিল্ড নাম্বারে ৭ বার প্রেস করুন। আপনি দেখতে পাবেন আপনাকে একজন ডেভলপার বলে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এখন আপনি আবার মেইন সেটিংসে ফিরে আসুন আর ডেভলপার অপশনে প্রেস করে ভেতরে প্রবেশ করুন এবং সেই সাথে খুঁজে বের করুন animation scale অপশন। ৩টি অপশন পাবেন এই ক্ষেত্রে। সব গুলো অফ করে দিন। এখন দেখবেন আপনার ফোনটি আগের চেয়ে বেশ স্মুথ হয়েছে। তবে আপনার ফোনটি যদি সুপার স্লো না হয়ে থাকে তাহলে এটি অফ করার দরকার নেই।
আপনার অ্যান্ড্রয়েডে গুগল ক্রোম থাকলে আপনি ব্রাউজারের সেটিংসে যান। এখন দেখুন ডাটা সেভার নামের একটি অপশন রয়েছে। আপনি এই অপশনটিতে প্রবেশ করে চালু করে দিন। আপনি তাৎক্ষণিক দেখতে পারবেন আপনার ফোনের কি পরিমান ডাটা সেভ হচ্ছে। এতে আপনার অনলাইনে পেজ লোড করার স্পিড বাড়বে। এটা মোবাইল স্লো হলে ফাস্ট করার দারুন উপায়।
আপনি আপনার অপ্রয়োজনীয় অনলাইন অ্যাকাউন্ট গুলোর সিঙ্ক বন্ধ করে নিতে পারেন। এই জন্য আপনাকে সেটিংসে গিয়ে অ্যাকাউন্টে যেতে হবে। তারপর দেখুন যে কোন কোন অ্যাকাউন্ট গুলো আপনার কোন প্রয়োজন নেই। তারপর সেই অ্যাকাউন্টটিতে প্রেস করে সিঙ্ক বন্ধ করে দিন।
এই উপায় গুলো ব্যবহার করেও যদি আপনার ফোন ফাস্ট না হয় তাহলে রিস্টার্ট দিন। এরপরেও ফাস্ট না হলে ফ্যাক্টরি রিসেট করুন। আর অবশ্যই এই কাজটি করার সময় ব্যাকআপ রাখুন আপনার মেমোরির সকল ডাটার। তারপরেও ফাস্ট না হলে ফোনকে আইসিইউতে ভর্তি করুন (হাহাহা মজা করলাম)।
ভালো লাগলে অবস্যই আমার ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসবেন। টেক বিডি ট্রিক্স আমার ওবেসাইট। ভিসিট করতে ক্লিক করুন।
আমি মোঃ রাব্বী হাসান বাপ্পী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।