আমাদের সব সময়ের সাথী স্মার্টফোনের আগমন হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। কিন্তু এর মধ্যে ল্যাপটপের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। তার কারণ এটা এক ধরনের ছোট কম্পিউটার। যদি আমরা চাই তাহলে ল্যাপটপের জায়গায় স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারি। বাজারে কিছু গ্যাজেট আছে যেগুলো স্মার্টফোনের সাথে সেট করলে আপনি অনায়াসে ল্যাপটপের কাজগুলো স্মার্টফোনে করতে পারবেন। আর এর কথা মাথায় রেখেই টেক কোম্পানিগুলো স্মার্টফোনের প্রসেসর, এবং মেমোরি বাড়ানোর দিকে ধ্যান দিচ্ছে। এখন স্মার্টফোনের প্রসেসর খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আগে এতটা শক্তিশালী ছিল না।
শুধু এটাই না, ক্যামেরার পিক্সেল কোয়ালিটি বেড়ে যাচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতে দেখবেন মানুষ ডিএসএলআর ক্যামেরার কথা ভুলে গেছে। যদি স্মার্টফোন দিয়ে ক্যামেরার কাজ হয়ে যায় তাহলে ক্ষতি কি! আপনি হয়তো ভাবছেন এটা হতে পারেনা। কিন্তু ভবিষ্য়ত আমাদের কাছে অজানা। কি ঘটবে ভবিষ্যতে সেটা কেও বলতে পারবে না। আর রয়েছে স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ্লিকেশন দিন পরের দিন যত বেরোচ্ছে, তা কল্পনা করা যায় না! অ্যাপ্লিকেশনের একটা বিশাল বাজার তৈরী হয়েছে যা আগে ছিল না। সব মিলিয়ে একটা কথাই বলতে চাই, ভবিষ্যতে স্মার্টফোন দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হবে। আগের পুরানো স্মার্টফোনের কথা ভুলে গিয়ে, নুতুন কিছু স্মার্টফোন এসেছে যেগুলো নিজের হাতে না ব্যবহার না করলে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। এবং এগুলোর শুরু গত বছরের শেষের দিকে হয়েছে। চলুন, দেখা যাক স্মার্টফোনগুলো যেগুলো আপনি ব্যবহার করবেন।
নিচে উল্লেখ করা হয়েছে সেরা স্মার্টফোনগুলো
যদি আপনি নোকিয়াকে ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে এই খবর আপনাকে খুশি দেবে। বাজারে এমন অনেক হাই -টেক স্মার্টফোন আছে যেগুলি আপনারা সাধারণত ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু কখন না কখনো আমরা নোকিয়া ১১০০ কে মনে করি। তো সেই কারণ থেকে নোকিয়া বাজারে এনেছে ফ্লিপ ফোন। এটি খুব জনপ্রিয় হচ্ছে ধীরে ধীরে কারণ এটি কিপ্যাড থাকা ৪ জি সক্ষম স্মার্টফোন। আপনি অন্য স্মার্টফোনে যেই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখেছেন এটাতেও সব বৈশিষ্ট্য আছে। আর সাথে হোয়াটসআপ এবং ফেসবুক করতে পারবেন। এটার ব্যাটারী ব্যাক আপ থাকে বহুত সময়ের জন্য। ভ্রমণ করতে হলে এই ছোট্ট ফোনটি সাথে নিয়ে যেতে পারেন।
কিছুদিন আগে এম আই টুইট করেছে এমআই মিক্স আলফার যেটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগছে। এতো দিন ধরে আপনি দেখেছেন স্ক্রিন সব সময় মোবাইলের আগে থাকে কিন্তু এই মোবাইলের পুরোটাই স্ক্রিনের মতো কাজ করবে। এই ধারণাটা প্রথমে এপ্পল র মাথায় এসেছিলো তো তারা এটার পেটেণ্ট করে রেখেছিলো। কিন্তু এমআই প্রথম এই ধারণার উপর কাজ করেছে। তাছাড়া এটাতে আছে ১০৮ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা যেটা আপনি অন্য কোনো মোবাইলে পাবেন না। আর এটা তে নেই কোনো সেলফি ক্যামেরা তার কারণ গোটা মোবাইলটি একটি স্ক্রিন, আপনি আগে অথবা পেছনে থেকে ফটো নিতে পারেন।
কিছুদিন আগে হুয়াআই বিশ্বব্যাপী ঘোষণা করেছিল মেট ৩০ এবং মেট ৩০ প্রো বাজারে আনার কথা। এর গুণগুলো যদি দেখতে চান তাহলে এটাকে আপনি আইফোন ১১ এবং আইফোন ১১ প্রোর প্রতিযোগী মনে করতে পারেন। কোম্পানি বেশিরভাগ ধ্যান এর কর্মক্ষমতা এবং ক্যামেরার উপর রেখেছে। এর ডিসপ্লেটি বাঁকা এবং সুন্দর, ৩ টি ক্যামেরা আছে, ওয়ারলেস চার্জিং হয় এবং সাথে রিভার্স চার্জিং হয়, এর মানে হলো আপনি এক মোবাইল দিয়ে আরেকটি মোবাইলকে চার্জ করতে পারেন।
আজকাল যত ফোন আছে আঙ্গুলের স্পর্শে চলে কিন্তু এই ফোনটি আপনার চোখ দিয়ে চলবে। বুঝতে পারলেন না, ঠিক আছে বলছি যখন আপনি চোখ এদিক ওদিক ঘোরাবেন তখন আপনার ফোনের স্ক্রিন পরিবর্তন হবে। তার মানে, যখন আপনি চোখ উপরের দিকে করবেন তখন স্ক্রিন উপরের দিকে যাবে আর যখন নিচের দিকে ঘোরাবেন তখন নিচের স্ক্রিন দিকে যাবে। আপনাকে আঙুলের স্পর্শ করার দরকার নেই সব কাজ আপনার চোখ করে দেবে। তাহলে বুঝতে পারলেন এখানে গেম খেলতে কত ভালো লাগবে।
আপনি অনেক ফোন দেখেছেন হয়তো কিন্তু এমন ফোন আপনি কখনো দেখেননি। এই ফোনটি আপনি যেকোনো জায়গার থেকে যত ইচ্ছা বাঁকা করেন কিন্তু এটা ভাঙবেনা। এই ফোনটি হচ্ছে নমনীয়। এর একটি বিশেষত হচ্ছে এটাকে আপনি ঘড়ির মতো কব্জিতে বাঁধতে পারেন। আর হাতে বেঁধে সব কাজ করতে পারবেন।
আপনারা বিভিন্ন ধরনের ব্রেসলেট পরে থাকেন। কিন্তু কোনোদিন ভেবেছেন যদি ব্রেসলেট আপনার স্মার্টফোন হয়ে যায় তাহলে কেমন হয়?তাহলে স্মার্টফোন কেনার আর দরকার নেই ব্রেসলেট দিয়ে আপনার সব কাজ হয়ে যাবে। আপনি কোথাও গেলে আপনাকে আর ফোন নিয়ে যেতে হবেনা। এই ব্রেসলেটটিকে ব্লুটুথ র সাহায্যে আপনি ফোনের সাথে যুক্ত করতে পারেন। এটা আপনার ফোনকে আয়নার মতো নকল করতে পারে এবং হাতে ফোনের প্রতিচ্ছবি দেখাতে পারে। এটা কিভাবে হয় বলছি, ফোনের মধ্যে আছে পিকো প্রজেক্টর এবং আটটি সেন্সর। আটটি সেন্সরের দ্বারা ফোনের প্রতিচ্ছবির উপরে একটি সংবেদনশীল স্তর তৈরি হয়, আর এই স্তরে আপনার আঙুলের স্পর্শে স্ক্রিনের মধ্যে পরিবর্তন হয় এবং পিকো প্রজেক্টর ফোনের প্রতিচ্ছবি হাতে নিক্ষেপ করে।
আপাতত, এই স্মার্টফোনগুলো বাজার কাঁপিয়ে বেড়াবে, পরে আরো আসবে। এগুলো গত বছরের সেরা স্মার্টফোন, এই বছর তো সবে শুরু হয়েছে! দেখতে থাকুন, অত্যাধুনিক স্মার্টফোন আর কয়েকদিন পর আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে। মোবাইল কোম্পানিগুলো স্মার্টফোনকে আরো আকর্ষণীয় বানানোর জন্য ধ্যান দিচ্ছে। এবং যত ছোট্ট করা সম্ভব সেদিকে ধ্যান দিচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি স্মার্টফোনের জগতে পরিবর্তন আস্তে চলেছে। আর দেরি না করে কিনে ফেলুন সেরা স্মার্টফোন এবং সেরা প্রযুক্তির স্বাদ নিয়ে নিন, যেটা আগে আপনি পাননি।
আপনার পছন্দের স্মার্টফোন কোনটি?
আমি অভিজিত চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 30 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 9 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 6 টিউনারকে ফলো করি।
লিখতে চাই ,নিজেকে প্রকাশ করতে চাই।লেখার মাধ্যমে অন্যকে জানাতে চাই।