হেডফোন ও ইয়ারফোন এর মধ্যে পার্থক্য এবং ব্যবহার!

আমরা অনেকেই মনে করি হেডফোন আর ইয়ারফোন এক জিনিস, কিন্ত মুল কথা হলো দুইটার কাজ একি হলেও এদের  মধ্যে অনেকটা পার্থক্য আছে।  যদিও বিভিন্ন হেডফোন/ ইয়ারফোন তৈরীকারি কোম্পানি গুলো চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজ এর ইয়ারফোন ও হেডফোন বানিয়ে থাকে।

ইয়ারফোন

ইয়ারফোন হলো মুলত যেগুলোকে কানের মধ্যে রেখে, গান শোনা বা এই ধরনের কাজ করা হয়। এই ইয়ারফোন এর সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী  বিভিন্ন মাপের তার লাগানো থাকে এবং এই তারের মাথায় ৩.৫ মিলি মিটার এর একটি অডিও জ্যাক থাকে যেটা কোনো একটা অডিও ডিভাইসে ইনপুট করা লাগে। এর দুই পাশের কানে লাগানোর জন্য দুইটা মিনি স্পিকার থাকে এবং এটির মাথায় কুশন বা রাবার লাগানো থাকে যাতে কানের জন্য আরামদায়ক হয়। কানের  মাপ অনুযায়ি এই কুশন এর সাইজ বানানো হয় যাতে সহজে ফিট হতে পারে। এই কুশন বেশ কয়েকটা জিনিস দ্বারা বানানো হয় এর মধ্যে সিলিকন, রাবার, ইত্যাদি। এছাড়া ইয়ারফোন এর মাঝ বরাবর একটা ভলিউম বাটন সহ মাউথ পিচ বা মাইক্রোফোন লাগানো থাকে যাতে মোবাইল কল ও করা যায়। এখন কতগুলো ইয়ারফোন এসেছে যেগুলো জ্যাক ছাড়াই হয়।  এদের কে ওয়ারলেস (wearless) ইয়ারফোন বলে। এগুলো সাধারনত  ব্লুটুথ ব্যবহার করে চলে। এদের কে চার্জ দেওয়ার মাধ্যমে চালানো হয়। এই ইয়ারফোন এ নিজের কানের মাপ অনুযায়ী ইয়ার বাড লাগিয়ে তা ব্যবহার করতে হয়।

হেডফোন

হেডফোন হলো যেটা কানের কোঠরে না লাগিয়ে কানের উপরে দিয়ে অডিও শোনা হয়।  হেডফোন এও ইয়ারফোন এর মতো তার লাগানো থাকে। আবার ওয়ারলেস  ও চালানো যায়। এটিতে ইয়ারফোন এর মতো কুশন ব্যবহার করা হয়না। তার বদলে এটাতে থাকে ফোম এর একটা গোলাকার গ্রিপ এবং দুইপাশের ইয়ারবাড এর মাঝে আটকে রাখার জন্য একটা হ্যান্ডেল থাকে। যাতে এটি সহজেই মাথার উপর দিয়ে কানে লাগানো যায়।

এখন আসা যাক এদের মধ্যকার পার্থক্যে

ইয়ারফোন এবং হেডফোন এর মধ্যে প্রধান তফাত টি হলো এদের চেহারা। ইয়ারফোন মুলত ইনডোর এ ব্যবহার এর জন্য ভালো হয় এবং হেডফোন ব্যবহার হয় মুলত বাহিরে জগিং বা হাটাহাটি করার সময়। কারন ইয়ারফোন এ কিছু শুনলে আশেপাশের কিছু শোনা জায়না, কারন এর বাড এর জন্য কানের মধ্যে বাইরের কোনো শব্দ আসতে পারে না। কিন্তু হেডফোন বাইরে ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা হয়না। কারন এর বাড এর মধ্যে কিছুটা ফাকা জায়গা থাকে জার মধ্যে দিয়ে বাইরের শব্দ কিছুটা ভিতরে আসতে পারে। এতে করে রাস্তার গাড়ির হর্ন সহজেই কানে শোনা যায়। এছাড়া স্মুথ অডিও কোয়ালিটি এর জন্য ইয়ারফোন সবচেয়ে ভালো। এছাড়া ইয়ারফোন এ বেজ কোয়ালিটি খুব ভাল থাকে। আবার এই সকল গুন পাবেন হেডফোনে কিন্ত সেগুলো অনেক হাই কোয়ালিটির হতে হবে। আমাদের দেশের বাজারে যার মূল্য কম করে হলেও ৬-৭ হাজার টাকা।

বাজারে এই ইয়ারফোন আর হেডফোন বিভিন্ন দামের পাওয়া যায়। তবে ইয়ারফোন কিনার সময় এর বাড দেখে কিনা উচিত। কারন এই বাড গুলো কিসের তৈরি সেটার উপর নির্ভর করে এটা কানে থাকলে কোন সমস্যা করবে কিনা।

এই রকম আরো  আশ্চর্যজনক আর্টিকেল পেতে ও জানতে   আমার ওয়েবসাইটে কানেক্টেড থাকুন।

Level 1

আমি সামিউল শুভ। President, https://www.ascorjo.com বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।

সাফল্য শান্তিতে হয় না,কষ্টে হয় । আমি সেই কষ্টের পিছনেই ছুটি । মাঝে মাঝে ভালোবাসা গুলো টেক এন্ড গ্যাজেটস এর ওপরও হয়ে থাকে ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আমার মনেহয় তথ্যটা উল্টো হয়ে গেলো,আমি pebble কোম্পানির হেডফোন ব্যবহার করি,অন্যান্য নরমাল হেডফোন ও ব্যবহার করেছি, এটা আমি আবুধাবি থেকে ক্রয় করেছি যার বাংলাদেশি মুল্য প্রায় দেড় হাজার টাকা।
আমি দেখেছি হেডফোন ব্যবহার করলে বাহিরের আওয়াজ খুব একটা শোনা যায়না,হেডফোন লাগানো অবস্থায় কেউ পাশে থেকে কথা বললে হেডফোন খুলে কথা বলতে হয়,আর ইয়ারফোন কানে থাকলে পাশের কারো সাথে কথা বলতে সমস্যা হয়না।