দেখলাম সেখানে আমার মত বিভিন্ন দেশের আরো অনেক হতভাগা অনেক আগেই দুঃখের কথা লিখেছেন। তাঁদের সাথে আমিও যুক্ত হলাম। প্রতিত্তোরে কোন আশার বাণী ছিল না। কয়েকবার চিন্তা করলাম ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করতে পারি কি না। কিন্তু এ দেশে নাগরিক অধিকারটাতো সেই আফ্রিকার হরিণদের মত যারা বলতে পারে না, প্রতিবাধ করতে পারে না, বিচার চাইতে পারে না। নিজের বুদ্ধি দিয়েই বরং যতক্ষণ ঠিকে থাো যায়। তাই অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। অবশেষে ৩৬ দিন পর গত সপ্তাহে মোবাইলটা পৌঁছালো সার্ভিস সেন্টারে। একদিকে সার্ভিসিং সিস্টেমের প্রতি প্রচন্ড রাগ, অন্যদিকে সেটটা হাতে পাওয়ার অধিক আগ্রহ নিয়ে গেলাম সার্ভিসিং সেন্টারে। সেটটা দেখেই মাথার উপর যেন আমার আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। মোবাইলের স্ক্রীনটা ভাঙ্গা। Service Man কে জিজ্ঞেস করলাম -আমার লাভটা কী হলো ভাই? তিনি বললেন-কোরিয়ার সার্ভিসে আনার সময় ভেঙ্গে গেছে। স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে স্ক্র দিয়ে খোলার সময় স্ক্রো’র গোঁথা খেয়ে স্ক্রীন ফেটে গেছে। তাঁকে বললামও স্ক্রীনটা স্ক্রো’র আঘাতে ফেটেছে। তারপরও ধরে নিলাম কোরিয়ার সার্ভিসে আনার সময় ভেঙ্গে গেছে। এখন বলেন- কোরিয়ার সার্ভিসের দায়ভারটা কি আমার? তিনি আর কোন উত্তর দেন না। কয়েকবার বলার পরও তিনি নির্বিকার। তাঁরও হয়তো কিছুই করার ছিল না। কারণ দায়টা তার ঘাড়ে পড়ে না। উপায় না দেখে চলে আসলাম সেটটা নিয়ে। ভাগ্য ভাল Screen Protector ছিল তাই Original Screen টা Intact ছিল। কিন্তু সেটে আঘাতটাতো হয়েছে। সেটটা নিয়ে Accessories এর দোকানে গেলাম Screen Protector লাগাবো বলে। তাদের বুঝালাম বিস্তারিত। তারা বলল- “আসলে ব্রান্ডটা তত খারাপ না। নুতন ফিচার নিয়ে কয়েকটা সেট আসায় দ্রুত মার্কেট পেয়েছে। কিন্তু তাদের সার্ভিস সিস্টেম ভাল না। ঢাকায় সম্ভবত দুটা ছাড়া নিজস্ব কোন সার্ভিস সেন্টার নেই। সবগুলো Service Partner বা চুক্তি ভিত্তিক সার্ভিস। সার্ভিস সেন্টারে অনেকগুলো সেট একসাথে হলে তারপরই সেগুলো চুক্তিতে সার্ভিসিং করিয়ে নেই। সেটগুলো জমা হতে এক সপ্তাহও লাগতে পারে, আবার একমাসও লাগতে পারে। অনেক সময় পার্টসও পরিবর্তন করে ফেলে। যত্ন নেই খুব কম। আমাদের কাছে এরকম অনেকেই অভিযোগ করে”। তাদের কথা দেখি বরাবর মিলে গেছে। আমার সেটে এখন টাচ সমস্যা দেখা দিয়েছে। টাচ ভালভাবে কাজ করছে না। ব্যাটারি বেকআপও আগের মত নাই। এ হলো Service System. ব্রান্ড হিসেবে নাম করলেও Made in China, একবার গেলে আর পায় না স্বভাবটা বদলাতে পারে নি। আসলে তারা চায় না কাস্টমাররা তাদের কাছে সার্ভিসিং এর জন্য যাক। তাদের চিন্তা হলো-কাস্টমারকে এমন সর্ভিস দেবো যে জীবনে আর কোন দিন সার্ভিসিং এর নাম ধরবে না। Huawei Mobile Page থেকে ঘুরে আসলে আমার কথাগুলো আরো বুঝতে পারবেন। প্রতিদিন এত বেশি অভিযোগ পড়ে যে গত সপ্তাহে করা আমার অভিযোগটা খুঁজেই পাই নি। এর পর থেকে এখন কাউকে আর Huawei Mobile এর পরামর্শ দিই না। গতকালও এক বন্ধু ফোন করে নিয়ে গেলো মার্কেটে। গিয়ে দেখলাম তাঁর আরেক বন্ধু সহ দুজনেই Huawei GR5 কিনার জন্য এসেছে। আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলাম। বললাম-ইলেক্ট্রনিক্স জিনীস। ডিস্টার্ব দিবে না তার কোন গ্যারান্টি নাই। তুমি যদি চাও এত টাকা দামের তোমার প্রিয় জিনীসটা সার্ভিস সেন্টারে যাওয়ার পর তার সাথে বিরোধী দলের আসামীর মত আচরণ করুক তাহলে Huawei Mobile কিনো। পরে একজনকে Sony Xperia M2 Dual এবং অন্যজন Samsung Galaxy J5 (2016) নিলো। এটা হলো আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। এরপরও কারো যদি ভাল লাগে কিনতে পারে।
আমি Kamrul Cox। , Chittagong। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 70 টি টিউন ও 645 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।
এইরকম ফট্টিবাজ কম্পানি কিভাবে বিশ্বের তৃতীয় ব্রান্ডট হয়!!!!