নকিয়ার অতিতের দিন গুলো ফিরে দেখি।

নোকিয়া ৬১১০: নোকিয়া ৬১১০ মোবাইল ফোনটি বাজারে এসেছিল ১৯৯৭ সালে। মূলত কর্পোরেটজগতের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছিল এটি। আর মনোক্রোম-স্ক্রিনের মোবাইলটিতে প্রিলোডেড গেইম হিসেবে ছিল ‘স্নেক’। মোবাইল ফোনে এই গেইমটির জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই যে একেবারেই নেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

নোকিয়া ৫১১০: নোকিয়া ৫১১০-কে বলা হয়ে থাকে ৬১১০-এর ‘কনজিউমার ভার্সন’। ৬১১০-র সঙ্গে এই সেটটির মূল পার্থক্য– বিভিন্ন রংয়ের ফেইস প্লেট পাওয়া যেত ৫১১০-এর জন্য। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে রঙিন ফেইস প্লেটের ৫১১০ আর স্নেকে হাই স্কোর যেন ছিল ‘কুলনেস’-এর পরিচয়।

নোকিয়া ৮৮১০: ১৯৯৮ সালে বাজারে এসেছিল নোকিয়া ৮৮১০। অভিনব স্লাইড ফিচারের জন্য ‘জিপ্পো’ ডাক নাম পেয়েছিল মোবাইলটি। এক কথায় এটি ছিল বিত্তশালীদের মোবাইল ফোন। বাজারের অন্য যে কোনো প্লাস্টিক কেসিংয়ের মোবাইলের থেকে দামটা বেশি হওয়ার কারণও ছিল। রুপায় মোড়ানো ছিল যে মোবাইলটি!

নোকিয়া ৮২১০: মোবাইল ফোনের বাজারে নোকিয়া ৮২১০-র অভিষেক ১৯৯৯ সালে। সে সময়ের সবচেয়ে ছোট আর হালকা সেট ছিল এটি।

নোকিয়া ৩৩১০: পুরনো নোকিয়া মোবাইল ফোনগুলোর মধ্যে আইকনে পরিণত হয়েছে ২০০০ সালে বাজারে আসা ৩৩১০ মোবাইল ফোনটি। ‘মোবাইল ছুড়ে গাছের আম পাড়া বা ইটের থেকেও শক্ত’; ৩৩১০ নিয়ে এমন গল্প এখনও শোনা যায় অনেকের মুখে। ৮২১০-এর সঙ্গে অনেক দিক দিয়েই মিল ছিল ৩৩১০-র। আগের সবগুলো সেটের মতোই এতেও ছিল মনোক্রোম ডিসপ্লে, আর প্রিলোডেড গেইম হিসেবে ছিল ‘স্নেক টু’।

নোকিয়া ৬১০০: বাজারে নোকিয়া ৬১০০-র অভিষেক ২০০২ সালে। ফুল ১২-কি কিবোর্ডসহ এটিই ছিল নোকিয়ার সবচেয়ে হালকা ফোন। মাঝারি দামের হওয়া কেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল এটি।

নোকিয়া ৩৬৫০: নোকিয়া ৩৬৫০-কে বলা হয়ে থাকে প্রথম সিম্বিয়ান সিরিজ ৬০ স্মার্টফোন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি হওয়া প্রথম দিককার ক্যামেরা ফোনগুলোর একটি এটি। ডিজাইনেও ছিল নতুনত্ব।

নোকিয়া ৩৬৫০: নোকিয়া ৩৬৫০-কে বলা হয়ে থাকে প্রথম সিম্বিয়ান সিরিজ ৬০ স্মার্টফোন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি হওয়া প্রথম দিককার ক্যামেরা ফোনগুলোর একটি এটি। ডিজাইনেও ছিল নতুনত্ব।

ই৭১: ব্ল্যাকবেরির পথেও হেঁটেছিল নোকিয়া। কোয়ার্টি কিপ্যাডের ই৭১ স্মার্টফোনটি বাজারে এসেছিল ২০০৬ সালেই। ছিল ২.৩৬ ইঞ্চির স্ক্রিন আর ৩.১৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।

লুমিয়া ৯০০: আইওএস আর অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ভিড়ে ক্রমশ বাজার হারাতে শুরু করায় ২০১১ সালে সিম্বিয়ান ওএস বাদ দিয়ে উইন্ডোজ ফোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে স্মার্টফোন বানানোর স্বিদ্ধান্ত নেয় নোকিয়া। লুমিয়া ৯০০ ছিল সে সময়ে নোকিয়া ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোর একটি।

নতুন প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগ,লিখুন,পড়ুন জানুন প্রযুক্তিকে জানিয়ে দিন প্রযুক্তিকে।

লিখুন আইটি বন্ধু ডটনেট ব্লগে জানিয়ে দিন সবাইকে প্রযুক্তি সম্পর্কে বাংলা ভাষায়।এখানে আপনি টিউন করলে সরাসরি পাবলিশ হয়ে যাবে।সকল প্রযুক্তি প্রেমিদের কাছে অনুরোধ প্লিজ  আইটি বন্ধু ডটনেট এর এই পথচলাকে আরও সচল করুন।

ব্লগটি ভিসিট করতে এখানে ক্লিক করুন

নিবন্ধন করতে ——- এখানে  ক্লিক করুন

ফেসবুকে আপডেট পেতে এখানে  ক্লিক করুন

প্রথম প্রকাশ এখানে  ক্লিক করুন

Level 0

আমি সোহাগ অাহেমদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 38 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

সেটা স্বপ্ন নয়,যা মানুষ ঘুমিয়ে দেখে । স্ব্প্ন সেটা যার জন্য মানুষ ঘুমাতে পারে না ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাল লাগল