কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। সামনের মাসে ওয়ালটন বাজারে লঞ্চ করাতে যাচ্ছে তাদের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস ওয়ালটন প্রিমো V2।ওয়ালটন বরাবরই আমাদের সাধ্যের মধ্যে ভাল ভাল ফোন উপহার দিয়ে যাচ্ছে। তেমনি বাজারের আরও একটি জনপ্রিয় ব্রান্ড সিম্ফনি। সিম্ফনিও নাম পরিবর্তন করে বাজারে তাদের নতুন একটা ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস লঞ্চ করিয়েছে যেটা “হেলিও S1” নামে পরিচিত।
দেশের বাজারে যেহুতু এদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়, তাই আজ আমি এ দুটি ডিভাইস এর মধ্যে মিল অমিল গুলো তুলে ধরবো।
ডিসপ্লেঃ স্মার্ট ফোনের ডিসপ্লে খুব গুরুত্ত পূর্ণ একটি বিষয়।ওয়ালটন প্রিমো - V2 তে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ ইঞ্চি পিওর ব্ল্যাক আইপিএস ওজিএস ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ১৯২০*১০৮০ এবং প্রোটেকশন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস ৩ আর সিম্ফনি হেলিও S1 এর ডিসপ্লে ৫ ইঞ্চি এবং সুপার অ্যামলয়েড ডিসপ্লে যার রেজুলেশন ১২৮০*৭২০ এবং প্রোটেকশন হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস ৩।
ডিসপ্লে এর দিক থেকে “হেলিও S1” অনেক এগিয়ে। কারন সব ভাল ব্রান্ড তাদের ফ্লাগশিপ ডিভাইস গুলোতে সুপার অ্যামলয়েড ডিসপ্লে ব্যবহার করে। যেমনঃ Samsung Galaxy J7, Motorola Moto G (3rd gen), LG Nexus 5X
কামেরাঃ এর পরেই আসে ক্যামেরার বিষয়টা। ওয়ালটন প্রিমো - V2 তে ব্যবহার করা হয়েছে বিএসআই সেন্সর এবং অটোফোকাস যুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেল এর মেইন ক্যামেরা এবং বিএসআই সেন্সর যুক্ত ৮ মেগাপিক্সেল এর ফোন্ট ক্যামেরা। মেইন ক্যামেরা দ্বারা ১০৮০পি ভিডিও রেকর্ড করা যাবে আর “হেলিও S1” এ ব্যবহার সনি আইএমএক্স ২১৪ সেন্সর যুক্ত ১৩মেগাপিক্সেল এর অটোফোকাস যুক্ত মেইন ক্যামেরা এবং বিএসআই সেন্সর যুক্ত ৮ মেগাপিক্সেল এর ফোন্ট ক্যামেরা।মেইন ক্যামেরা দ্বারা ১০৮০পি ভিডিও রেকর্ড করা যাবে।
ক্যামেরা ফিচার মুটামুটি দুটো ফোনে একই। তেমন কোন পার্থক্য নাই।
মেমোরিঃ এর পরেই আছে র্যা ম রোম এবং এক্সটারনাল মেমোরির কথা। এ ক্ষেত্রে দুটো ফোন একই। তাদের ২ জিবি র্যা ম ১৬ জিবি রোম এবং ৩২ জিবি পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমোরি বৃদ্ধি করা যাবে।
চিপসেট সিপিইউ এবং অন্যঅন্যঃ ওয়ালটন প্রিমো - V2 তে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm Snapdragon 615 (64 bit) সিপিইউ আর “হেলিও S1” এ ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক সিপিইউ।এদিকে ওয়ালটন প্রিমো - V2 তে ব্যবহার করা হয়েছে 1.5 GHz octa-core processor আর “হেলিও S1” এ ব্যবহার করা হয়েছে হেলিও এক্স১০ 1.3 GHz octa-core processor প্রসেসর।আর অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে উভয় ডিভাইসে ললিপপ।
এ দিক থেকে ওয়ালটন প্রিমো - V2 একটু এগিয়ে।
সেন্সরঃ সেন্সর স্মার্ট ফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়ালটন প্রিমো - V2 এবং “হেলিও S1” এ ব্যবহার করা হয়েছে ৬টা সেন্সর। সে গুল হল G-Sensor, Proximity Sensor, Light Sensor, Accelerometer Sensor, Magnetic Sensor, Gyroscope Sensor
ব্যাটারি: ওয়ালটন প্রিমো - V2 তে ব্যবহার করা হয়েছে লাই-প্র ৩০০০ mAh ব্যাটারি আর “হেলিও S1” ব্যবহার করা হয়েছে ২৪০০ mAh লাই-পলিমার ব্যাটারি।
এ দিক থেকে ওয়ালটন প্রিমো - V2 একটু এগিয়ে।
কিন্তু “হেলিও S1” এর পিছনেও ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস ৩ যেটা ওয়ালটন প্রিমো - V2 তে ব্যবহার করা হয় নাই। এছাড়াও ওয়ালটন প্রিমো - V2 তে জাভা প্লাটফরমটা ব্যবহার করা হয়নি যেটা “হেলিও S1” এ করা হয়েছে।
আর বাদ বাকি সব ফিচার গুলা একই রকম তাই আর তুলে ধরলাম না। “হেলিও S1” এর দাম রাখা হয়েছে ১৭৯৯৯ সাথে আছে জিপি এর অফার।
আশা করা হচ্ছে ওয়ালটন প্রিমো - V2 এর দাম এ রকম বা এর চেয়ে কিছু কম রাখা হবে।ওয়ালটন বাজার গবেষণা করে হয়তো মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধি করার জন্য “হেলিও S1” এর চেয়ে কিছুটা কম রাখবে।
আমার নিজের মত সব মিলিয়ে ১৭০০০ হাজারে মধ্যে হলে ব্যবসা সফল হবে না হলে “হেলিও S1” মত খুব বেশি বিক্রি হবে না কারন প্রায় এই বাজেটের মধ্যে সামসাং এর J5 রয়ে গেছে। যেটা দারুন একটা ফোন। আপনার কি মনে হয়?
আমি A.S.M.MONWAR HOSSAIN। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I am a simple boy.
সময় এখন হুয়াওয়েই এর