Symphony Xplorer ZV এর হ্যান্ডস অন রিভিউ

আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম Symphony Xplorer ZV এর একটা এসক্লুসিভ হ্যান্ডস অন রিভিউ। এই সেট ব্যবহারের পর আমার যে এক্সপেরিয়েন্স সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। মুলত খুব বিস্তারিত না, তবে এই সেটের যে সুবিধা অসুবিধা আছে সেগুলা শেয়ার করবো। আমি জানি অনেকেই এই ফোনটা কিনতে চাচ্ছেন। আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হবে। আপনারা জানেন এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাএ ১৪৯৯০ টাকা। ত আর পেচাল না পেরে আসল কথা বলি।

symphony xplorer zv

=> প্রথমেই আমি এই সেটের ভালো দিক গুলো আলোচনা করবোঃ

১) ডিসপ্লেঃ এর সবচেয়ে বড় চমক রয়েছে ডিসপ্লে তে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে Dragontail Glass Protection এবং ব্যাকে এ ব্যবহার করা হয়েছে Corning Gorilla Glass 3. IPS ডিসপ্লে হওয়ার কারনে আপনি পাবেন জীবন্ত ছবির অনুভূতি। নেগেটিভ ইফেক্ট মোটেই পাবেন না।

২) বডিঃ সিম্পনির এই ফোনটি তে ব্যবহার করা হয়েছে মেটাল ফিনিশিং যার জন্য ডিভাইসটি অনেক ইউনিক মনে হবে। অনেক স্মুথি একটা ফিল হবে। যারা গোলগাল সেট পছন্দ করেন না তাদের কাছে এটি অবশ্যই ভালো লাগবে। কিছুটা Sony Xperia টাইপ 🙂

৩) র‍্যামঃ র‍্যাম কম হওয়ার কারনে আমরা প্রায়ই খুব ঝামেলার মধ্যে পরি। কিন্তু Symphony Xplorer ZV এ দেওয়া হয়েছে ২ জিবি র‍্যাম এবং ১৬ জিবি রম যার প্রায় ১২ জিবি স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

৪) ক্যামেরাঃ চায়না ডিভাইস গুলোর ক্যামেরা কিছুটা দুর্বল হয় এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে রাতের বেলা ছবি তুলতে গেলে খুব বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু Xplorer ZV এর রাতের ছবি আমাকে মুগ্ধ করেছে। কোন অংশেই খারাপ বলা যাবে না। ফ্লাশ যথেষ্ট শক্তিশালী।

৫) বাট্যারিঃ ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে টেনশন থাকতে পারে অনেকের, তবে আমার কাছে খুব খারাপ মনে হয়নি।

৬) ইউজার ইন্টারফেসঃ ইউজার ইন্টারফেসটা খুব ভালো লেগেছে। অনেক গুছানো এবং কালারফুল।

৭) টাচঃ টাচ রেসপন্স অনেক ভালো লেগেছে। অনেক স্মুথি। স্পিডও বেশ ভালো।

৮) এক্সেসরিজঃ সাধারণত চাইনিজ ডিভাইস গুলোতে নিম্নমানের এক্সেসরিজ ব্যবহার করা হয় কিন্তু এই ডিভাইসটির এক্সেসরিজ গুলো অনেক উন্নত হয়েছে আগের থেকে। বিশেষ করে হেডফোন ও চার্জার।

=> এইবার আমি এই সেটের খারাপ দিক গুলো আলোচনা করবোঃ

১) সিম ও মেমোরি স্লটঃ এই ডিভাইসটির সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে এর সিম এবং মেমোরি স্লট। যারা ঘনঘন সিম অথবা মেমোরি চেঞ্জ করেন তাদের খুব বিরক্ত লাগবে। আলাদা পিন ইউজ করে সিম, মেমোরি স্লট খুলতে হয় যা সবসময় নিয়ে ঘুরা সম্ভব নয়। তাছাড়া সিম, মেমোরি স্লটটি পুরো আলাদা যেকোন সময় হারিয়েও যেতে পারে।

২) ব্যাটারিঃ সেটটি তে নন রিমুভেবল ব্যাটারি ইউজ করা হয়েছে যার কারনে ব্যাটারি চেঞ্জ করার কোন সুযোগ নেই।

৩) সেলফি ক্যামেরাঃ যারা সেলফি লাভার তাদের কাছে মোটেও ভালো লাগবে না এই ডিভাইসটি। ফ্রন্টে যদিও 2 mp ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু এর মান খুব একটা ভালো নাহ।

৪) ওটিজিঃ ১৫,০০০ টাকা বাজেটের একটি ফোনে OTG ফিচার নেই। অবাক করার বিষয়।

৫) ব্যাক পার্টঃ ফোনটির পেছনে Walton X3 বা X3 Mini এর মত ইউনিক না হওয়ায় এবং নিম্নমানের গরিলাগ্লাস দেওয়ায় কিছুক্ষন পর পর হাতের বা আঙুলের চাপ পড়ে যায়। যা অত্যান্ত খারাপ দেখায় এবং বিরক্তিকর। আর এটাই হল Symphony ZV এর সবচেয়ে বাজে দিক। উল্ল্যেখ্য এই সমস্যার কারনে সিম্ফনি বক্সের ভিতরে একটি বিশেষ টিস্যু দিয়ে রেখেছে যা পুরাই হাস্যকর। মোবাইলের জন্য আলাদা টিস্যু নিয়ে হাটতে হবে আপনাকে।

পরিশেষে বলা যায় যে Symphony or Walton সব সেটেই একটা না একটা ঝামেলা থাকেই। নই OTG দিবে নাহ, OTG থাকলে আবার OTA দিবে নাহ। OTG & OTA দিলেও আবার ব্যাটারিতে বাঁশ দিবে। তবে দাম হিসাবে এই সেটটা কিনে আমি খুবিই গর্বিত। আমার কথাই কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দিবেন।

 

আমার ব্লগটা ঘুরে দেখতে পারেন AmarFon

Level 0

আমি অনলাইন হেল্প জোন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমার একটা ব্লগ আছে । ঘুরে আসতে পারেন AmarFon


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

otg থাকলে ভাল হত………….

Level 3

ভাইজান OTA কি জিনিস? আর এর কাজটা কি।

Level 0

আমি একমাস যাবৎ সেটটি ব্যবহার করতেছি সবদিক দিয়েই মোটামোটি ঠিক আছে!!! কিন্তু সমস্যা হলো ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে রাতে ফুল চার্জ দিলে নরমাল ইউজে দুপুর ১২টা/১ট পর্যন্ত ৩০% আথবা ৪০% পার্সেন্ট পর্যন্ত চার্জ থাকবে আর যদি শুধু কল ডায়াল ও রিসিভ করেন তাহলে বিকাল ৫টা/মাগরিবের পরে চার্জ দিতেই হবে অন্যথায় সেট বন্ধ হয়ে যাবে। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতেছি!!!

Level 0

OTA কি:-
OTA এর
মিনিং হচ্ছে Over-
the-air
যা একধরনের
ইন্টারনেট
programming!একে
বারেই সহজ ভাষায়
বলতে গেলে OTA এর
পদ্ধতি হচ্ছে, যখন
অফিসিয়ালি ফার্মওয়্যার
আপডেট আসবে তখন
ফোনে নোটিফিকেশন
দেখাবে।
সেটাতে ক্লিক
করে ওকে করলে ইন্টারনেট
থেকে ফার্মওয়্যার
ডাউনলোড হবে।
তারপর ফোনেই
সেটা অটোম্যাটিক
ইন্সটল হবে।
OTA কেন:-
সাধারনত
আপনারা অনেকেই
জানেন Walton
এর ফোনগুলোর
ফার্মওয়্যার আপডেট
বা এন্ড্রয়েড ভার্সন
আপডেট করার জন্য
সবাইকে কাষ্টমার
কেয়ারে যেতে হয়
অথবা নিজে নিজের
কম্পিউটার
দিয়ে করতে হয়।কিন্তু
OTA থাকার ফলে এর
জন্য
কোনো কম্পিউটার
লাগবে না বা কাষ্টমার
কেয়ারে ছুটাছুটি করা লাগবেনা।
যেসব কোম্পানির
ফোনগুলো OTA
সার্পোটেড:-
দেশীও
কোম্পানি গুলোর
মধ্যে শুধুমাএ
ওয়ালটন এবং Samsung
সহ ইন্টারন্যাশনাল
বেশীরভাগ
কোম্পানির অনেক
ফোনই এই
ফিচার আছে।আর আমার
জানা মতে Samsung
সকল এন্ড্রয়েড ই এই
ফিচার আছে।
OTA
দিয়ে কিভাবে আপডেট
করবো:-
ধরুন ওয়ালটনের কোন
ফোন কিটক্যাট
থেকে ললিপপ আপডেট
পাবে এবং ওয়ালটন
ফার্মওয়ার রিলিজ
করলো আজকে সো আজকেই
আপনার
ফোনে নোটিফিকেশন
চলে আসবে এবং আপনি ডাটা (যদি থাকে)
বা ওয়াইফাই
কানেকশন
দিয়ে আপডেট
করে নিলেই হবে ।আর
যদি কারো ফোনে নোটিফিকেশন
না আসে তাহলেও কোন
সমস্য নেই!ইন্টারনেট
কানেকশন চালু
রেখে মোবাইল
রিসেট করুন,
প্রথমেই
নোটিফিকেশন
চলে আসবে।অবস্য
ওয়ালটনের এই রকম
কোন সমস্যা হওয়ার
কথা না।২০১৩ সাল
থেকেই তারা তাদের
ফোনগুলো নিয়মিত
আপডেট দিচ্ছে।
ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট
করে পড়ার জন্য।

Level 0

OTA কি:-
OTA এর
মিনিং হচ্ছে Over-
the-air
যা একধরনের
ইন্টারনেট
programming!একে
বারেই সহজ ভাষায়
বলতে গেলে OTA এর
পদ্ধতি হচ্ছে, যখন
অফিসিয়ালি ফার্মওয়্যার
আপডেট আসবে তখন
ফোনে নোটিফিকেশন
দেখাবে।
সেটাতে ক্লিক
করে ওকে করলে ইন্টারনেট
থেকে ফার্মওয়্যার
ডাউনলোড হবে।
তারপর ফোনেই
সেটা অটোম্যাটিক
ইন্সটল হবে।
OTA কেন:-
সাধারনত
আপনারা অনেকেই
জানেন Walton
এর ফোনগুলোর
ফার্মওয়্যার আপডেট
বা এন্ড্রয়েড ভার্সন
আপডেট করার জন্য
সবাইকে কাষ্টমার
কেয়ারে যেতে হয়
অথবা নিজে নিজের
কম্পিউটার
দিয়ে করতে হয়।কিন্তু
OTA থাকার ফলে এর
জন্য
কোনো কম্পিউটার
লাগবে না বা কাষ্টমার
কেয়ারে ছুটাছুটি করা লাগবেনা।
যেসব কোম্পানির
ফোনগুলো OTA
সার্পোটেড:-
দেশীও
কোম্পানি গুলোর
মধ্যে শুধুমাএ
ওয়ালটন এবং Samsung
সহ ইন্টারন্যাশনাল
বেশীরভাগ
কোম্পানির অনেক
ফোনই এই
ফিচার আছে।আর আমার
জানা মতে Samsung
সকল এন্ড্রয়েড ই এই
ফিচার আছে।
OTA
দিয়ে কিভাবে আপডেট
করবো:-
ধরুন ওয়ালটনের কোন
ফোন কিটক্যাট
থেকে ললিপপ আপডেট
পাবে এবং ওয়ালটন
ফার্মওয়ার রিলিজ
করলো আজকে সো আজকেই
আপনার
ফোনে নোটিফিকেশন
চলে আসবে এবং আপনি ডাটা (যদি থাকে)
বা ওয়াইফাই
কানেকশন
দিয়ে আপডেট
করে নিলেই হবে ।আর
যদি কারো ফোনে নোটিফিকেশন
না আসে তাহলেও কোন
সমস্য নেই!ইন্টারনেট
কানেকশন চালু
রেখে মোবাইল
রিসেট করুন,
প্রথমেই
নোটিফিকেশন
চলে আসবে।অবস্য
ওয়ালটনের এই রকম
কোন সমস্যা হওয়ার
কথা না।২০১৩ সাল
থেকেই তারা তাদের
ফোনগুলো নিয়মিত
আপডেট দিচ্ছে।
ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট
করে পড়ার জন্য।

সেটের ভাল দিক থেকে খারাপ দিক গুলো একটু বেশীই চোখে পড়ে।

Prothomei apnake thanks janate cai handset ti niye ato nice akta post korar jonno. Ami nijeo kesudiner moddhe ai set ti kinte jasse. Asha kori handset tir performence valo hobe.

Level 0

vai je sob set e OTG ache ogulay ki keyboard diye type kora jabe?