গুগল অ্যানড্রয়েড (Android) ওপেন সোর্স লড়াইয়ে আরেক নতুন মুকুট। বর্তমানে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম উইনডোজ মোবাইল, আইফোন ওএস, সিম্বিয়ান কে তিব্র চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছে অ্যানড্রয়েড (Android)। অ্যানড্রয়েড (Android) একাধারে ওপনে সোর্স, ফ্রি, স্ট্যাবল এবং ডেভেলপার ফ্রন্ডলি। গুগল এবং ওপনে হ্যান্ডসেট এলায়েন্স (Open Handset Allience) অ্যানড্রয়েড (Android) প্রজেক্ট শুরু করে ২০০৫ সালে। এবং প্রথম অ্যান্ড্রয়েড হ্যানডসেট টি-মোবাইল জি-ওয়ান রিলিজ হয় ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
অ্যানড্রয়েড (Android) এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটা ডেভেলপার ফ্রন্ডলি। জাভা দিয়ে খুব সহজেই অ্যান্ড্রয়েডের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করা যায়। অ্যানড্রয়েড (Android) এর SDK ইন্সটল করা এবং ব্যবহার করা খুবই সোজা। ইকলিপ (Eclipse) দিয়ে খুব সহজেই অ্যানড্রয়েডের অ্যাপলিকেশন তৈরি ও টেস্ট করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডের ইমুউলেটর এবং অ্যান্ড্রয়েডের ডকুমেন্টেশন হচ্ছে এই পর্যন্ত যতগুলো মোবাইল ওএস আছে তার মধ্যে সব চেয়ে সেরা।অ্যানড্রয়েড (Android) খুবই ফেক্সিবল। আপনি এর সব কিছু কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পাবেন। আপনি চাচ্ছেন আপনরা ডিফল্ট ফোন ডায়েলার পরিবর্ন করতে চাচ্ছেন? কোন সমস্যা নয়, নিজেই একটি তৈরি করে ফেলতে পারেন ( যদি ডেভেলপার হন) বা অন্য করো তৈরি করাটা ব্যবহার করত পারেন। অ্যানড্রয়েড (Android) এর ফাইল ব্রাউজার, হোম স্ক্রিন, ম্যাসেজ অ্যাপলিকেশন, ম্যাপ অ্যাপলিকেশন সব কিছু কাস্টমাইজকরতে পাবেন আপনার মনের মাধুরী মিশিয়ে।
অ্যানড্রয়েড (Android) এর আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে অ্যান্ডয়েড মার্কেট (Android Market). যেকোন ডেভেলপার তার তৈরি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপলিকেশন পৃথিবী ব্যাপি ছড়িয়ে ধিতে পারবে অ্যান্ডয়েড মার্কেট (Android Market) এর মাধ্যমে। যেখানে অ্যাপেল আইফনো এর জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে ব্যয়বহুল ম্যাক কম্পিউটর, অ্যাপেল থেকে পারমিশন, ডেভেলপার কী, কিনতে হয়। তাও সেই সফটওয়্যরা পাবলিশ হবে কিনা সেটা অ্যাপল নির্ধারণ করবে, সেখানে অ্যান্ড্রয়েড এর সফটওয়্যরা তৈরি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং খুবই সহজ। অ্যানড্রয়েড (Android) এর জন্য সফটওয়্যার JAVA SE দিয়ে লেখা যায়। অ্যানড্রয়েড (Android) এর ইউজার ইন্টারফেস XML দিয়ে লেখা যায়।
<Button>
android : id = "@id + Button1
android : text = "click me"
android : layout-hieght = "40px"
android : layout-width = "120px"
android : layout-X = "10px"
android : layout-Y = "20px"
</Button>
ব্যস, এতুটুকু লিখলেই একটি বাটন তৈরি হয়ে যাবে। অ্যানড্রয়েড (Android) এ আছে এক্সিলেরোমিটার। যেটা দিয়ে মোবাইল স্ক্রিন অটো রোটেড change থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গেইম তৈরি করা যাবে। যেমন ধরুন এটি রেসিং গেইম যেখানে আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলটি ব্যবহৃত হবে কন্ট্রোলার হিসেবে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ডানে নিলে গাড়ি ডানে যাবে। বামে নিলে বামে। মোবাইল সামনের দিকে ঝুকালে গাড়ি সামনে যাবে।
অ্যানড্রয়েড (Android) এ আছে লোকেশন বেইজড সফটওয়্যরা তৈরি করার সহজ সাপোর্ট। এই জিপিএস এর উপর ভিত্তি করে একটি সফটওয়্যরা হচ্ছে Sync Spot. ধরুন আপনি ভুলে যান আপনার কখন কী করতে হবে। আপনি SyncSpot সফটওয়্যর টি ওপেন করে ম্যাপ এ বলে দিলনে এই মার্কেটে আসলে আমাকে বাজার করার কথা মনে করে দিও। ব্যস যখন আপনি ঐ মার্কেটের সামনে দিয়ে যাবেন অ্যান্ড্রয়েড জিপিএস ট্যাকরা আপনরা পজিশন নিয়ে আপনাকে মনে করিয়ে দিবে।
আমি অভিষেক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এন্ড্রয়েড একদম ডেভেলপারদের বন্ধু এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি তো বটেই। কিন্তু গুগল যে জি ওয়ান (G1) ফোন ছেড়েছে সেটার টাচ ডিটেক্টশন আইফোনের তুলনায় খুব একটা ভাল না। তবে নতুন ফোন বাজারে আসছে সেখানে হয়ত ট্চ ডিটেক্টশন আর উন্নত হবে। তবে এ কথা নিঃসন্দহে বলা যায় যে এন্ড্রয়েড অচিরেই মোবাইল ওএসকে রুল করবে।
ঝাক্কাস লেখা। পোলাটার মাথায় ………..আছে।