স্মার্টফোন এখন অনেকের হাতেই। আর স্মার্টফোন মানেই টাচস্ক্রিন।স্মার্টফোন কেনার সময় প্যাকেটে লেখা থাকে বিভিন্ন নামের টাচস্ক্রিন। কিন্তু আমরা শুধু পড়ি কিন্তু জানি না এর কাজ কি। কিন্তু স্পর্শের মাধ্যমে এ হ্যান্ডসেটগুলো ব্যবহার করতে হয় বলে স্মার্টফোনের পর্দা বা ডিসপ্লের প্রতি নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্মার্টফোনে বিভিন্ন প্রযুক্তির যেসব ডিসপ্লে ব্যবহার করে থাকে,আসুন জেনে নেই সেগুলোর কোনটি কি কাজ।
রেটিনা ডিসপ্লে
রেটিনা ডিসপ্লে স্মার্টফোনের পর্দার একটি সর্বাধুনিক সংস্করণ, যা আইপিএস এলসিডি ও ব্যাকলিট এলইডির সমন্বয়ে তৈরি। এটি মূলত আইফোন নির্মাতা অ্যাপল কম্পিউটারের উদ্ভাবন। তাই এই ডিসপ্লে শুধু আইফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন অত্যন্ত উচ্চ (৬৪০ x ৯৬০ পিক্সেল)।
এর নাম দেওয়া হয়েছে রেটিনা ডিসপ্লে। কারণ, মানুষের সাধারণ চোখ দিয়ে পিক্সেলগুলোকে আলাদা করে বোঝা সম্ভব নয়। যার ফলে এ ডিসপ্লেটি অত্যধিক তীক্ষ এবং ছবি ও ভিডিও দেখা যায় খুবই স্পষ্ট। সুত্র
ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে
আঙুলের স্পর্শের মাধ্যমে কাজ করার জন্য রেজিসটিভ টাচস্ক্রিনের চেয়ে বেশিআরামদায়ক ডিসপ্লে প্রযুক্তি হলো ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন। এর পর্দায় আঙুল দিয়ে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং দ্রুত প্রসেসরে সংকেত পৌঁছানোর মাধ্যমে এটি কাজ করে। ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন সাধারণত বেশি দামের আধুনিক স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আঙুল ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে স্পর্শ করে এটি ব্যবহার করা যায় না। সুত্র
রেজিসটিভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে
এ প্রযুক্তিতে টাচস্ক্রিনের পর্দায় দুটি স্তর থাকে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের মাঝে একটি ফাঁকা স্থান থাকে। যখন এর প্রথম স্তরে চাপ দেওয়া হয়, মাঝের ফাঁকা অংশটি বেঁকে গিয়ে দ্বিতীয় স্তরে চাপ প্রয়োগ করে এবং যন্ত্রের প্রসেসরে সংকেত পাঠায়। আর এভাবেই কাজ করে এই রেজিসটিভ টাচস্ক্রিন। আঙুল অথবা স্টাইলাস দিয়ে স্পর্শ করে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে স্টাইলাস ব্যবহারের জন্য এই পর্দা বেশিউপযোগী। সুত্র
আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে
আইপিএসের পূর্ণরূপ হলো ইন-প্লেন সুইচিং। এটি টিএফটি এলসিডির তুলনায় উন্নত ডিসপ্লে প্রযুক্তি। এর পর্দায় যেকোনো দিক দিয়ে তাকালে মোটামুটি পরিষ্কার ছবি দেখা যায় এবং ছবি ও ভিডিও দেখতে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয় না। তাই ব্যাটারি খরচও কম এতে। এটি সাধারণ এলসিডি থেকে বেশি দামের বলে বেশি দামের স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়। সুত্র
হেপটিক টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে
মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া ও ব্ল্যাকবেরি তাদের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করছে হেপটিক প্রযুক্তির টাচস্ক্রিন। এ প্রযুক্তি ডিসপ্লেতে স্পর্শ করলে তা নিখুঁতভাবে শনাক্ত করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে। মোবাইল ফোনে লেখার ক্ষেত্রে নির্ভরতা, দ্রুত, অপেক্ষাকৃত সহজ ও আরামদায়ক হওয়ায় মোবাইল ফোন বাজারে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে হেপটিক টাচস্ক্রিন। সুত্র
গরিলা গ্লাস ডিসপ্লে
গরিলা গ্লাস হলো অ্যালকালি-অ্যালোমিনোসিলিকেট যৌগের তৈরি এক ধরনের শক্ত ও মজবুত ডিসপ্লে, যা স্মার্টফোনের পর্দাকে দাগ, আঁচড়, ঘষা-মাজা এমনকি হাতুড়ির শক্ত আঘাত থেকেও রক্ষা করবে। বর্তমানে অধিকাংশ মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের বেশির ভাগ স্মার্টফোনে গরিলা গ্লাস ব্যবহার করছে।
প্রথম প্রকাশ :: ঢাকাটাইমস লেখাটি ভালো লাগলে ঘুরে আসার জন্য অনুরুদ করছি ধন্যবাদ কস্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য
আমি mehedihasan_a। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বেশির ভাগ ফোন মনে হয় ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে ইউজ করা হয়।