অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে এখন অনেক সিকিউরিটি দরকার। কারন হ্যাকাররা আজকাল অনেক ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম ছড়াচ্ছে। তারা বেশিরভাগ গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে টার্গেট করেই এই প্রোগ্রামগুলো ছড়াচ্ছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সাধারনত গুগল প্লে স্টোর থেকেই সব অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার কথা বলে। গুগল প্লে স্টোর সবার জন্য একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। গুগল কোনো স্ক্যান ছাড়াই খুব অল্প সময়ে অ্যাপ্লিকেশন মুক্ত করে দেয়। তাই মাঝে মাঝে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করলে এই ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম আসতে পারে।
এপিকে-ডেভোলপার নামের আইডিধারী কিছু ডেভেলপার পাওয়া গেছে যারা গুগল প্লে স্টোর থেকে অনেক জনপ্রিয় কিছু অ্যাপ্লিকেশন ও গেমস ডাউনলোড করে এবং তারপর নিজস্ব কিছু কোড দিয়ে সেটিকে এপিকে ফাইলে রূপান্তর করে। এরপর নিজের আইডি থেকে গুগল প্লে স্টোরে এই এপিকে ফাইল আবার আপলোড করে দেয়। এসব এপিকে ফাইলের অ্যাপ্লিকেশনে ভাইরাস জাতীয় কোনো কোড থাকে না।
এসব এপিকে ফাইলের অ্যাপ্লিকেশন বা গেমস ডাউনলোড করার পর স্বাভাবিকভাবে খেলা যায়। কিন্তু খেলতে খেলতে হঠাৎ স্ক্রিনে একের পর এক বিজ্ঞাপন আসতে থাকে। নোটিফিকেশন বারে অথবা হোমস্ক্রিনেও এই বিজ্ঞাপন আসতে পারে।
যে কোনো গেমস বা অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় অ্যাপ্লিকেশনটি ডিভাইসের কিছু পারমিশন চায়। সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডই দেখায় সেই অ্যাপ্লিকেশনটি ডিভাইসের কী কী পারমিশন চাচ্ছে। মূল গেমস বেশিরভাগ সময় নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস ও মেমোরি কার্ডে রিড ও রাইটের পারমিশন চায়। কিন্তু এপিকে-ডেভোলপার -এর আপলোড করা অ্যাপ্লিকেশনটি চাবে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের তথ্য, ফোনের লোকেশন, ফোন-কল ও স্ট্যাটাস সংক্রান্ত তথ্য ও মেমোরি কার্ড রিড-রাইটের পাশাপাশি সব মুছে দেয়ার পারমিশন।
এপিকে-ডেভোলপার এর অ্যাপ্লিকেশন চেনা খুব সহজ। গুগল প্লে স্টোরে সব অ্যাপ্লিকেশনের নিচেই লেখা থাকে অ্যাপ্লিকেশনের ডেভেলপারের নাম। সেই নামের জায়গায় যদি এপিকে-ডেভোলজদি-এর নাম থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে এটাই সেই অ্যাপ্লিকেশন। এছাড়াও রেসিং মটো কিংবা টেম্পল রান-এর মতো অনেক জনপ্রিয় কিছু গেমস আপলোড করার সময় চোখে পড়বে সুপার শব্দটি, যেমন- টেম্পল রান সুপার কিংবা রেসিং মটো সুপার। এই নামগুলো দেখে একে নতুন সংস্করণ ভাবা যাবে না।
এখানে কিছু কমন সেন্স কাজে লাগাতে হবে। যেমনঃ রেসিং মটো সুপার-এর মত গেমসগুলোতে ফোনের জিপিএস -এর তথ্যের কোনো প্রয়োজন নেই। তাই যদি এটি জিপিএস তথ্য চায় তাহলে বুঝে নিতে হবে এতে কোন সমস্যা আছে। আবার অন্যদিকে ফেসবুক, ফোরস্কয়ার-এর মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে জিপিএস তথ্যের পারমিশন চাইতেই পারে।
সবশেষে বলা যায়, প্লে স্টোর থেকে অথবা অন্য কোন জায়গা থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে প্লে স্টোরের কিছু অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশনই নিরাপদ থাকে।
পোস্ট টি আগে প্রকাশিত হয়েছে-- বিডি ড্রয়েড এ
আমি শিশির বিন্দু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
গুগল কোন স্ক্যান ছাড়া app উন্মুক্ত করে দেয় এই আজগুবি তথ্য কোথায় পেলেন? নীতিমালার বাইরে বা pirated app আপ করার চেষ্টা করে দেখেন। জীবনেও পারবেন না। আপনি যেই virus এর কথা বললেন সেটা কোন ভাইরাস না্ এটা Airpush নামে একটা সার্ভিস । free app থেকে add এর মা্ধ্যমে টাকা আয় করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়।