আইফন আর আন্ড্রইড ডিভাইসের যুগে ব্লাকবেরি কি এখন শুধুই স্মৃতি? একদমই না। এখন অনেক ব্যবসায়ি ব্লাকবেরি নামে অন্ধ। কেন, জানতে হলে পড়ুন। ব্লাকবেরি নামের ফোন টি যখন বাজারে এল, তখন সকল মোবাইল প্রেমিদের সামনে যেন এক জাদুর জগতের দরজা খুলে গেল।পশ্চিমাদের অফিস আদালতের কাজ মানেই ব্লাকবেরির নিত্য ব্যবহার।কিন্তু স্টিভ জবস এসে সেই ধারাবাহিকতায় নিয়ে এলেন আইফন সিরিজ। দৃশ্যত মার খেয়ে গেল ব্লাকবেরির বাজার।স্টক মার্কেট এ দরপতন শুরু হল। নতুন কিছু নেই-এই হাহাকার তুলে অনেকেই মুখ ফেরালেন কালো ধাতব সেই অপ্স্রৃয়মান আভিজাত্যর দিক থেকে। আইফনের জয়জয়কারের এই যুগে তাই অনেকেই মনে করছেন যে ব্লাকবেরি এখন ইতিহাস। কিন্তু ভিসাজ নাম এ একটি আনালাইসিস ফার্মের মোবাইল কেনার জরিপ থেকে সম্প্রতি যে তথ্য আমরা পাই তা কিন্তু বলে অন্য কথা। এখনো, আমেরিকার ২০০ টির বেশি কম্পানিতে ৬৩% মানুষ ব্লাকবেরি ব্যবহার করে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এর পেছনে যে কারন আছে, সেগুলো কিন্তু বেশ সাধারন কিন্তু গুরুত্তপুর্ন। দ্রত ইমেইল আক্সেসঃ ব্লাকবেরি মানেই মুহুর্তের মধ্যে ইমেইল চলে আসবে আপনার ইনবক্স এ। পুশ ইমেইল সার্ভিস এর কারনেই এই দ্রুত গতির ইমেইল সেবাটি দিতে পেরেছে মোবাইল টি। অনেক সময় আইফন বা আন্ড্রইড ডিভাইসের চেয়েও দ্রুত ইমেইল পৌছে যায় এই ফোন এ। সিম্পলিসিটিঃ অনেকে মজা করে ব্লাকবেরিকে বোকাফোন ও ডেকে থাকেন। কিন্তু এর সারল্যই এর সৌ্ন্দর্য। খুব সহজেই মেসেজে কিংবা ইমেইল বা ওয়েব ব্রাউজার এ ঢুকে পড়া যায়।সুলভে পাওয়া গাড়ি কিংবা সব অনুষ্ঠান এ পরা যায় এমন শার্ট এর মত, ব্লাকবেরি মানেই যখন খুশি যেমন খুশি লেখা, ইমেইল করে কিংবা গান শোনা কিংবা চ্যাটিং করা। নিরাপত্তাঃ অনেক ধরনের ব্লাকবেরিতেই হ্যাকিইং প্রতিরোধে ব্যবহারকারিকে কঠিন পাস ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়।সামসাং এস থ্রি এর মধ্যেয় ফেস রেকগ্নিশন ব্যবস্থাটি সহজেই বাইপাস করা যায় যদি ব্যবহারকারি এবং যে হ্যাক করতে চায়, তাদের দুজনের এ মাথার শেপ একিরকম হয়। এই ক্ষেত্রে ব্লাকবেরি অনেক নিরাপদ। দ্রুত টাইপিং এর সুবিধাঃ স্মার্ট ফোন যারা ব্যাবহার করেন তাদের অনেকেই টাচ ফোনের ব্যাপারে আগ্রহী হলেও অনেকের কাছেই টাচবাটন ঠিক মত কাজ না করলে মেজাজ খারাপ লাগে। সেই বিবেচনায় ব্লাকবেরির তুলনা হয়না।দুই হাতের তালুতে নিয়ে দুই বুড়ো আঙ্গুলের খেয়ালি চালনে খুব দ্রুত টাইপ করে ফেলা যায় খুব গুরুত্বপুর্ন কোন বার্তা। মুঠোবার্তা প্রেরনের সহজতাঃ ব্লাকবেরির মেসেঞ্জার টি খুব এ সহজ এবং এর মাধ্যমে চ্যাটিং করার সময় মনে হয় যেন SMS এর মাধ্যমে বার্তা প্রেরিত হচ্ছে। যেহেতু সহজে ব্যবহার করা যায়, তাই অনেকেই ব্লাকবেরিকেই তাদের পছন্দের ফোন বলে মনে করেন। অল্পেই খুশিঃ আইফোন কিংবা সামসাং এর স্মার্ট ফোনেগুলর মধ্যে অনেক ধরনের App থাকলেও, অনেকের মতে, এইসব App এর অনেকগুলই অদরকারী আর তাই তারা ব্লাকবেরির কেই আজীবন ভালবেসে জেতে চান। তাহলে বন্ধুরা, আপনাদের কি মতামত। ব্লাকবেরি না আইফোন? জানান আমাকে www.muthofon.com তে।
আমি যুবায়ের। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি নতুন আইডিয়া নিয়ে ভাবতে ভালবাসি, আমার সব থেকে ভাল লাগে প্রডাক্ট অথবা ব্র্যান্ড মার্কেটিং। কেমন যেন একটা চ্যালেঞ্জ খুজে পাই এর মাঝে।
”আইফোন ফাইভ ভুলে যান”….
হা হা হা।চরম একটা টিউন।এইরকম হাস্যকর টিউন মাঝে মাঝে হওয়া দরকার। 😀