এবার উইন্ডোজ, লিনাক্স বা ম্যাক কম্পিউটারের মাঝেই ইচ্ছামত ব্যাবহার করুন অন্য যেকোন ভার্সনের উইন্ডোজ, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাক বা আইবিএম অপারেটিং সিস্টেম

শিরোনাম দেখে যারা পোস্টটা দেখতে এসেছেন তারা কী ভাবছেন যে এটা কীভাবে সম্ভব? কেউ কেউ হয়ত জানেন ব্যাপারটা, তারাও হয়ত অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছেন। সবাইকে অগ্রিম ধন্যবাদ। আজ আপনাদের উইন্ডোজ, লিনাক্স বা ম্যাক কম্পিউটারের মাঝেই  অন্য যেকোন ভার্সনের উইন্ডোজ, লিনাক্স, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাক বা আইবিএম অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করার উপায় দেখাব। এটাকে বলা হয় Virtualization Technology. এই সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি আপনার চলতি অপারেটিং সিস্টেমের মাঝেই "Virtually" অন্য কোন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে পারেন, বানাতে পারেন নিজের আলাদা একটা Workspace, সেখানে আপনি ইচ্ছামত হার্ডওয়্যার যোগ করতে পারবেন, নেটওয়ার্কিং করতে পারবেন। এই পদ্ধতির সুবিধাটা কী জানেন? ধরুন আপনি কোন সফটওয়্যার উইন্ডোজ সেভেন থেকে চালাতে পারছেন না, আপনি কী বোকার মত উইন্ডোজ এক্সপি ইন্সটল করবেন? অথবা কোন প্রোগ্রাম লিখেছেন, সেটা আপনার সিস্টেমে চালালে সিস্টেম ক্র্যাশ করতে পারে। বা কার্নেলের ক্ষতি হতে পারে। সেটা ওই ভার্চুয়াল সিস্টেম এ চালিয়ে দেখুন, আপনার সিস্টেম অক্ষত থাকবে। তারপর সেই ভার্চুয়াল সিস্টেম এ আপনার পিসি এর ইন্টারনেট কানেকশান শেয়ার করা যায়, ফলে ওখান থেকেই আপনি নানারকম টেস্ট করতে পারবেন। তারপর ধরুন এর ওর কাছে উবুন্টু লিনাক্স মিন্টের নাম শুনে খুবই ইচ্ছা করছে জিনিষটা কী দেখতে। কোনো সমস্যা নাই। ভার্চুয়াল সিস্টেমে আপনি শুধু লিনাক্স না, অ্যান্ড্রয়েড বা ম্যাক ও চালিয়ে দেখতে পারবেন। যাই হোক, অনেক বকবক করলাম। এবার কাজের কথায় আসি।

প্রথমেই আপনার যা লাগবে তা হল Virtulization Technology সাপোর্ট করে এরকম পিসি। আজকাল সব মাদারবোর্ড আর ল্যাপটপে এটা থাকে। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। তারপর লাগবে VirtualBox নামের একটা সফটওয়্যার। নিচের লিঙ্কটিতে যান।।

  • উইন্ডোজ ব্যাবহারকারীরা "VirtualBox for Windows hosts" এর পাশের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করুন।
  • লিনাক্স ব্যাবহারকারীরা এই লিঙ্কটিতে যান। এখানে আপনার ডিস্ট্রো দেখে প্যাকেজ ডাউনলোড করে নিন।
  • ম্যাক ব্যাবহারকারীরা "VirtualBox for OS X hosts" এবং সোলারিস ব্যাবহারকারীরা "VirtualBox for Solaris hosts" দেখে ডাউনলোড করে নিন।

Download Latest VirtualBox

ডাউনলোড করলেন? এবার ঝটপট ইন্সটল করে নিন। লিনাক্স এ যেহেতু ডেবিয়ান প্যাকেজ আকারে দেওয়া থাকে তাই সমস্যা হওয়ার কথা না। শর্টকাট থেকে চালু করুন VirtualBox. উইন্ডোজ সেভেন বা ভিস্তায় চালু না হলে আগে এই ফাইলটায় (C:\Program Files\Oracle\VirtualBox\VBoxSVC.exe) ডাবল ক্লিক করে তারপর VirtualBox চালু করুন। নিচের মত ইন্টারফেস আসবে।

কাজ শুরু করে দিন। নতুন সিস্টেম বানাতে New বাটনে ক্লিক করুন।

নতুন যে উইন্ডো আসবে, তাতে আপনার সিস্টেমের নাম দিন (1). নিচে সেটা কোন টাইপ OS তা সিলেক্ট করুন (2) আর তার নিচে কোন ভার্সন তা ঠিক করে দিন (3).

পরের উইন্ডোতে নতুন সিস্টেমের জন্য মেমোরি বা র‍্যাম কত হবে তা ঠিক করে দিন। আপনার পিসির র‍্যাম যদি ২জিবি হয় আর আপনার দৈনন্দিন কাজ করতে ১জিবির বেশি না লাগে, তাহলে ভার্চুয়াল মেশিনের জন্য বাকি ১জিবি র‍্যাম বরাদ্দ দিতে পারেন। যাদের ৩/৪জিবি বা তার বেশি তাদের তো চিন্তার কোনো কারণ নাই। 😀

এবার ভার্চুয়াল হার্ডডিস্ক বানানোর পালা। এখানে ২টা অপশন আছে। যদি আপনি নতুন ইউজার হন, তাহলে Create new hard disk দিন (4). আর যারা আগে থেকে VDI (Virtual Disk Image) বানিয়ে রেখেছেন বা জানেন, তারা Use existing hard disk অপশনে যেয়ে সেই ফাইলটার লোকেশান দেখিয়ে দিন (5).

যারা Create new hard disk অপশন টি সিলেক্ট করেছিলেন, তারা এরকম উইন্ডো দেখতে পাবেন। অর্থাৎ ভার্চুয়াল ডিস্ক দুইভাবে বানান যাবে। একধরণের আছে যেটা আপনার দরকার মত বৃদ্ধি পাবে বা জায়গা নিবে। তারা Dynamically expanding storage (7)
সিলেক্ট করুন। আর অন্য ধরণের আছে যেটা ফিক্সড সাইজের হয়, যেমন ২০জিবি বা ৩০জিবি। এই ডিস্ক এর ফাইল আপনার হার্ডডিস্কে সেভ থাকবে। এরকম চাইলে Fixed-size storage (8) সিলেক্ট করুন।

এবার ডিস্কটা কথায় সেভ করবেন তা দেখানোর পালা। ছবিতে দেখুন, Location বক্সে ক্লিক করে ঠিক করে দিন ডিস্ক ফাইল টা কথায় সেভ হবে (9). আর নিচের স্কেল থেকে ডিস্ক সাইজ মেপে দিন (10). মনে রাখবেন আপনি যত জিবি সাইজ ঠিক করছেন, যেই ড্রাইভে সেভ করবেন তাতে যেন তত জিবি ফাকা জায়গা থাকে।

ডিস্ক সেটিং দেওয়া হয়ে ফেলে Finish দিন। ডিস্ক ফাইল তৈরী হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে। কাজ হয়ে গেলে VirtualBox এর বামে দেখবেন আপনার সদ্য বানানো সিস্টেম দেখাচ্ছে। এবার কিছু এক্সট্রা সেটিংস বাকী আছে যেগুলা আপনাদের দেখাব।

গোল চাকার ছবিটায় ক্লিক করেন। সেটিংস উইন্ডো আসবে। ওখানে দেখবেন বামে অনেক ক্যাটাগরির লিস্ট আছে। প্রথমটার নাম General. এটা নিউ মেশিন বানানোর সময় যা যা তথ্য দিতে হয় তা দেখায়, চাইলে কিছু ঠিক করে দিতে পারেন।

তার নিচেরটার নাম System. এটা বেশ গুরুত্তপূর্ণ। এখানে ৩টা ট্যাব আছে। Motherboard ট্যাবে মেমোরি চেঞ্জ করতে পারবেন। তার নিচে আছে বুটেবল ডিভাইস এর লিস্ট। এখানথেকে তাদের ক্রম চেঞ্জ করতে পারবেন (11) তবে একেবারেই নতুন মেশিন বানাতে গেলে CD/DVD-ROM আগে দেওয়াই ভালো। নাহলে আপনাকে স্টার্ট হউয়ার সময় F12 চেপে বুট ডিভাইস হিসেবে সিডি বা ডিভিডি রম সিলেক্ট করে সেটআপ দিতে হবে। তার নিচে Chipset আছে। এখানে ইচ্ছামত চিপ মডেল সিলেক্ট করে নিন (12) তার নিচে আছে ৪টা অপশন। Enable IO APIC বিশেষ প্রসেসর ও ডিভাইস এর ক্ষেত্রে লাগে। EFI অ্যাক্টিভ করতে হয় বিশেষ OS যেমন Mac ইন্সটল করতে। Hardware clock in UTC time সেট করলে ভার্চুয়াল মেশিনের ক্লক আপনার কম্পিউটারের সাথে মিলিয়ে নিবে। আর absolute pointing device এনাবল করলে আপনাকে ভার্চুয়াল মেশিন আর মেইন উইন্ডোজে ফিরে আসতে কোন কী চাপতে হবেনা। মাউস দিয়ে উইন্ডো অ্যাক্টিভেট করলেই হবে।

পাশেই আছে Processor ট্যাব। এখানে ভার্চুয়াল মেশিনের জন্য প্রসেসর বরাদ্দ দেন। যারা Core 2 Duo/Dual Core ব্যাবহার করেন তারা সর্বোচ্চ ২টা, Core 2 Quad/Core i3/i5 ব্যাবহারকারীরা ৪টা ও Core i7-ওয়ালারা ৬/৮ টা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে PAE/NX এনাবল করতে হবে।

পাশেই আছে Acceleration ট্যাব। ওখানে VT-x/AMD-v অপশন টি ভার্চুয়াল মেশিনে আপনার প্রসেসরকে এক্সিলারেট কবে।   Nested Paging দিলে আপনার হার্ডডিস্কের পেজফাইল ওই ভার্চুয়াল মেশিন ব্যাবহার করতে পারবে।

এবার বামে নিচের ট্যাব দেখুন, Display লেখা। এখানে ভার্চুয়াল মেশিনে কতটুকু ভিডিও মেমোরি দিবেন তা ঠিক করে দিন (13) আপনার এক্সটার্নাল ভিডিও কার্ড থাকলে ভালো হয়, সেক্ষেত্রে বেশি মেমোরি শেয়ার করতে পারবেন। আর উইন্ডোজ মেশিনের জন্য 2D ও 3D এক্সিলারেশান অন করে দিতে পারেন (14). ভার্চুয়ালবক্সের একটা সমস্যা হল এটা দিয়ে আপনি গেম খেলা বা বড় কোনো ভিডিও প্রসেসিংয়ের কাজ করতে পারবেন না, কারণ হোস্ট থেকে ভার্চুয়াল মেশিনে অতটা ভিডিও মেমোরি শেয়ার করা সম্ভব হয়না।

এবার আসি Storage এ। এখানে ভালোমতো খেয়াল করুন। SSCI, SATA, IDE Controller তো সবাই কম-বেশি বোঝেন। এখানে ইচ্ছামত কন্ট্রোলারে ডিস্ক, সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ অ্যাড করা যায় (15). ডিস্ক হিসেবে আগে বানানো VDI ফাইল, সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ এ কোনো ISO ইমেজ মাউন্ট করে দিতে পারেন। ডানে কন্ট্রোলার টাইপ চেঞ্জ করতে পারেন (16). AHCI ই ভালো কাজ করবে। আর নিচে দেখেন প্লাস মাইনাস কিছু আইকন আছে (17). ওখান থেকে আপনি নতুন SSCI, SATA বা IDE কন্ট্রোলার অ্যাড বা রিমোভ করতে পারবেন।

এরপর আসি Audio তে। এখানে কী অডিও ডিভাইস লাগাবেন আর তার কন্ট্রোলার  সেট করে দিন।

নিচে আছে Network. এটাও বেশ গুরুত্তপূর্ণ। এটার মাধ্যমে আপনি হোস্ট সিস্টেম থেকে নেটওয়ার্ক বানাতে পারবেন, ইন্টারনেট কানেকশান শেয়ার করতে পারবেন। Attached to তে কানেকশান টাইপ ঠিক করেন। NAT, নাকি Bridge ইত্যাদি অপশন আছে (18). তার নিচে আছে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার। ইচ্ছামত বেছে নিন, আর চাইলে ম্যাক অ্যাড্রেস চেঞ্জ করে নিন (19). আপনার নেটওয়ার্ক সাপোর্ট না লাগলে VirtualBox ইন্সটল করার সময়ই নেটওয়ার্ক অফ করে ইন্সটল করবেন। আর এখানে নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করলে আপনার উইন্ডোজ নেটওয়ার্ক ডিভাইসে VirtualBox Host-Only Network নামে একটা ডিভাইস অ্যাড হবে যেটা ভার্চুয়াল মেশিন আর আপনার মেইন উইন্ডোজ (হোস্ট) এর মাঝে নেটওয়ার্ক সাপোর্ট দিয়ে থাকে।

Network এর নিচে আছে Serial Ports ট্যাব। এখানে যদি কোনো সিরিয়াল পোর্ট অ্যাড করতে চান তাহলে সেটিংস দিন।

এরপর USB ট্যাব। আপনি ভার্চুয়াল মেশিনে আপনার ইউএসবি ডিভাইস যেমন ফ্ল্যাশ স্টোরেজ বা ইউএসবি মাউস  কানেক্ট করতে পারবেন। এর জন্য Enable USB Controller অ্যাক্টিভেট করে ছবিতে দেখানো স্থান থেকে ডিভাইস অ্যাড করতে পারেন (20).

সেটিংস চেঞ্জ করা হয়েগেলে ওকে চেপে চলে যান VirtualBox এর মেইন ইন্টারফেসে। এবার নতুন বানানো মেশিন সিলেক্ট করে Start এ ক্লিক করুন। VirtualBox এ আপনার বানানো সিস্টেম চালু হবে। প্রথমবার সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ এ ডিস্ক রেখে বা কোনো OS এর ISO থাকলে তা থেকে বুট করে সেটআপ দিন। তারপর উপভোগ করুন নিজের বানানো আরেকটা Virtual অপারেটিং সিস্টেম যেটায় আপনি যা খুশি তাই করুন, ক্র্যাশ করলেও সমস্যা নাই। নতুন কোনো OS এর ডিস্ক এনে এটার মাধ্যমে চেক করে নিতে পারেন। আরও ফিচার আছে, ব্যাবহার করলেই বুঝবেন।

VirtualBox নিয়ে আরো কিছু কথা। ভার্চুয়াল মেশিন আর হোস্ট অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে "switch" করতে একটা "Host" কী ব্যাবহার করা হয়। ডিফল্ট হিসেবে এটা হল "Right Control" বাটন। অর্থাৎ উইন্ডোজ এ থেকে Right Ctrl চাপলে ভার্চুয়ালবক্স উইন্ডো এনাবল হবে। এটা চেঞ্জ করা যায় অবশ্য। এই বাটনকে ব্যাবহার করে আরো কাজ করা যায়, যেমন Host+F চাপলে ফুল স্ক্রীনে মেশিন দেখতে পারবেন। এরকম আরও শর্টকাট আছে, যা Machine এ ক্লিক করেই দেখতে পাবেন। এখান থেকে মেশিন পজ, বা রিসেট করারও উপায় আছে।

যারা সবকিছু ঠিকভাবে করলেন, তাদের জন্য নিচের ছবিটা সহায়ক হতে পারে। ভার্চুয়াল সিস্টেম আসলে এভাবে আলাদা উইন্ডোতে কাজ করে। ছবিটা অনেক বড় বলে এখানে দিলাম না। দেখতে  হলে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।

ভার্চুয়াল অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ

সব তো শেষ। যারা মনোযোগ দিয়ে পড়লেন, তাদের অনেক ধন্যবাদ। আর কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকলে তা ধরিয়ে দিবেন। কোনো সমস্যা হলে মন্তব্যের ঘরে জানাবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আর বেশি বেশি টেকটিউনসে ভিজিট করবেন।

আমার পূর্ববর্তী পোস্ট: My Computer থেকে Nokia Phone Browser মুছে দিন

আমার পরবর্তী পোস্ট: আসুন জেনে নিই বিভিন্ন সফটওয়্যারের চোরাই কপি ব্যাবহার করে আমরা বছরে কত টাকা বাচাচ্ছি


Level 0

আমি মো মিনহাজুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 2958 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খু-উ-ব ভালো টিউন। এবার বোধহয় লিনাক্স-টা শেখার সময় এসে গেল!
অনেক ধন্যবাদ শাওন ভাই।

    অ-নে-ক ধন্যবাদ অক্ষর ভাই… চমৎকার এবং প্রথম মন্তব্যের জন্য 🙂

    ভাই লিনাক্স এমনিতেই উইন্ডোজের ভেতরে অথবা সেটাপ না দিয়েও চালান যায়।

    সোহেল ভাই, আপনি ঠিক বলেছেন। তবে উইন্ডোজের সাথে লিনাক্স ইন্সটল দিলে কিছু সমস্যা হয়, কারণ NTFS এর উপর নির্ভর করতে হয়। আর সেটআপ না দিয়ে না চালানোর কথা বলছেন, ওটা Live CD আকারে কাজ করে, আপনি পিসি রি-স্টার্ট দিলে ডাটা কিন্তু র‍্যাম থেকে মুছে যাবে। স্থায়ী উপায় হিসেবে ভার্চুয়াল লিনাক্স এ ইন্সটল করা সহজ বলে আমার মনে হয়। ধন্যবাদ 🙂

    লিনাক্স সেটাপ দিলে চালালেই হয় !! ডুয়েল বুট করে ফেলুন তখন আর সমস্যা হবে না !! আর শাওন ভাই আপনি যে বলছেন যে কিছু সমস্যা হয় NTFS নিয়ে তা মোটেও ঠিক না !! হ্যা live cd এর কথা আপনার ঠিক আছে কিন্তু উইন্ডোজ এর পাশাপাশি লিনাক্স চালায় এমন অনেক মানুষ আজ বাংলাদেশে আছে !! হ্যা যাই হোক আপনার টিউনটি অনেক ভাল হয়েছে !! হয়তোবা কোনদিন কাজে দিতেও পারে .. বলে নেই আমি শুধু লিনাক্স ইউজ করি !! বেশী কিছু বলে ফেললে কিছু মনে নিয়েন না !! ভাল থাকুন !!

    তানিম ভাই ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলে সবাই ভাবতে পারে যে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল দিলে রিবুট করে ডিভিডি থেকে বুট করে কাজ করতে হবে। এভাবে করলে তো Wubi পাবেনা। সবাই ISO এক্সট্রাক্ট করে WUBI চালুও করতে পারবেনা। আমি যতদুর জানি WUBI দিয়ে একটা ডিস্ক ইমেজ তৈরী হয় যেটা থেকে লিনাক্স রান করে। এর চেয়ে আলাদা পার্টিশন করাই বোধহয় ভালো।

    আমিও ডুয়াল বুট লিনাক্স মিন্ট এর সাথে। গ্রাব এর ভিসুয়াল বুট মেনু আমার অনেক ভালো লাগে, তাই WUBI এর দিকে যাইনি। কিছু মনে নিইনি, আপনিও নিয়েন না 🙂 ধন্যবাদ

Level 0

vai jan tune ta anek valo hoise mane upsthapon ta valo silo hodio ai bishoi nea anek tune hoise er age.are ami ai virtual pc anek age thekei use kortam networking practice er jonno

    ভাই তাহলে দুঃখিত। টিউন করে ফেলেছি, ডিলিট তো করা যায়না। আর আশা করি এটা কারো না কারো কাজে লাগবেই। ধন্যবাদ 🙂

আরেকটা কথা। নতুন ভার্চুয়াল সিস্টেমের জন্যে আবার আরেকটা এন্টিভাইরাস লাগবে, নাকি সেটা ভাইরাসকে ফাঁকি দিতে পারবে (যদি XP ইনস্টল করি)

    আপনার হোস্ট পিসি তে ভাইরাস কেন থাকবে ভাই? 😉 যেহেতু এখানে দুইটা সিস্টেমে নেটওয়ার্ক কাজ করে, তাহলে হোস্ট পিসি তে ফায়ারওয়াল থাকলেই চলবে বলে আমার মনে হয়।

আমি সেটাই জানতে চাচ্ছিলাম হোস্ট পিসির এন্টিভাইরাসই ভার্চুয়াল সিস্টেমকে প্রটেকশান দেবে কিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে। আর আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর।
@little_raj, একই জিনিস একাধিক বার হলে ক্ষতি কি যদি কপি-পেস্ট না হয়? যেমন আগের পোস্টগেুলো আমি পড়িনি, কিন্তু এই টিউন থেকে জানলাম।

    চমৎকার মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ 🙂

Level 0

দারুন টিউন। এইবার লিনাক্সকে শুরু করব win 7 এ
যদি ভাল পারি তবে fully লিনাক্স এ shift করব্ ৷
লিনাক্স এর কোন বাংলা বই পেলে উপকৃত হতাম ৷
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ শাওন ভাই।

জটিল একটা জিনিস শেয়ার করলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    নাইম ভাই জটিল একখান ধন্যবাদ আপনাকে 🙂

Level 0

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে লিখবেন plzzzzzzzzzzzzzz
application development নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করার ইচ্ছা আছে তো তাই…..

    দেখি চেষ্টা করে… আপনি গুগল খুজে অ্যান্ড্রয়েডের ISO ডাউনলোড করে টেস্ট করতে পারেন 😛

akai bola great tune 😀 thanku thanku so so much……………..

    আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাই আসুন বাংলায় মন্তব্য লিখি 🙂

অনেকদিন পরে আজকে এখানে আসলাম এবং এই টিউনটি দেখলাম। অনেক উপকারী একটি পোষ্ট। দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো। এধরণের আরো অনেক পোষ্ট চাই। আচ্ছা, আপনি জানেন কি যে কিভাবে সাধারণ মেশিনে ম্যাক ইনষ্টল করা যায়? আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু একটা যায়গায় শেষ পর্যায়ে গিয়ে একদম ব্যর্থ হয়েছি। জানলে আমাকে জানান।

    এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেওয়া হয়েছিল। এটা দেখতে পারেন https://www.techtunes.io/tutorial/tune-id/59082/

    শাওন ভাইয়া,
    ধন্যবাদ আপনাকে। দেখি, চেষ্টা করে হয় কি না!

    আর প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ 🙂

যদি একটু দেখাতেন, লোকার ড্রাইভ গুলোকে কিভাবে VMWare এ access করা যায় । ধন্যবাদ ভালো টিউনের জন্য।

    VM Ware তো অনেক জটিল আর বড় সফটওয়্যার। যাই হক, আপনি যেটা করতে পারেন তা হল উইন্ডোজ শেয়ারিং অন করুন। তারপর হোস্ট পিসি এর ড্রাইভ গুলা শেয়ার এ দিন। ভার্চুয়াল পিসি তেও শেয়ারিং এনাবল করুন। তাহলে হয়ত পারবেন। তবে ভার্চুয়াল মেশিনে ফাইল পাঠানোর সবচেয়ে সহজ উপায় বলে মনে করি এটা – নিরো বা অন্য কোন সফট দিয়ে ডাটা ইমেজ (ISO) হিসেবে বার্ন করে নিন। তারপর ওইটা ভার্চুয়াল মেশিনে CD/DVD ROM হিসেবে মাউন্ট করে দিন। ব্যাস! 🙂

জটিল একটা টিউন! আসলেই অসাধারন হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শাওন ভাই।

    এহেন প্রশংসা দেখে পুলকিত হলাম 😀 আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

অনেক ভালো হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ । আর এরই সাথে টিউন চলে গেল সোজা প্রিয়তে। 😛

    ভাইজান থ্যাঙ্কাও 😀

এক কথায় দারুন টিউন । :d

    চার কথায় ধন্যবাদ দিলাম 🙂

Level 0

আমার ও অনকে ভাল লাগল অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ শেয়ারর করা জন্য।

Level 0

…..ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

    আমার ও অনকে ভাল লাগল আপনাদের জানাতে পেরে 🙂

অসাধারণ টিউন করেছেন, জানা বিষয়, তবুও অনেকের কাছেই বিষয়টা অজানা থাকতে পারে, তাই অনেকের কাজে লাগবে… 😀

    ডিজে ভাই, ঠিক বলেছেন, অনেক বিষয়ে আগেও টিউন হয়েছে। পুরানো টিউন খুজে পাওয়া কঠিন। আর বানানে সমস্যা থাকার কারণে অনেক কিছু সার্চ করেও পাওয়া যায়না। টেকটিউনসে "Related Tunes" ধরণের অপশন থাকলে ভালো হত। আপনারে ধন্যবাদ 🙂

অ অ অসাধারণ ভাবে বর্ণনা করার জন্য ধন্য বাদ…৪ বছর ধরে এটা ব্যবহার করি…কঠিন জিনিস…সবচেয়ে যেটা ভাল সেটা হল P4 ও কম র‍্যামে ভাল সাপোর্ট দেয় VBOX…

    মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ… আমি বাকী ২টার নাম জানতাম না, দেখব ট্রাই করে 🙂

Level 0

Download Koresi, Asha kori khub taratari Babohar Korboo.Valo Thakun

    আপনিও ভালো থাকবেন 🙂

    আপনাকেও ধন্যবাদ

Level 0

vaia download kora install korchi, jotil 1 ta tune, akhon takha 3 ta os use korbo.

    করেন, তবে পিসি কে বেশি স্লো করে ফেলেননা যেন! 🙂

আমি একটু সাহায্য চাচ্ছি। আমার অফিস এর hp pc চলতে চলতে হটাৎ করে windows serial key চায়। আমার কাছে orginal cd key আছে ওটা দিলে নিচ্ছিলো না . নতুন করে windows xp দিলে serial key নিচ্ছে না। এখন কিভাবে এই serial key use করে widows setup দিবো? প্লিজ একটু help করবেন।

খুব সুন্দর টিউন।এ বিষয় এ ধারনা পরিস্কার ছিল না।এবার ইচ্ছামত OS চালাব

Level 0

bro can i talk with u? my mail id [email protected]

Level 0

@মিনহাজুল হক bro gtalk এ invite পাঠাইছি। অথবা আপনার নাম্বারটা দেন প্লিজ।

Level 0

@মিনহাজুল হক bro ekta mail sent korsi plz cheek it…………………………….

Level 0

@মিনহাজুল হক : সরি ভাই আমি তো পাইনি। inbox ভাল করে খুজে দেখলাম।

    @mustafa: ভাইরে মেইল কবে পাঠায়া দিয়েছি। এদিকে আমার ট্র্যাশও খালি।

    আচ্ছা মেইলের মূল কথা হল ভার্চুয়ালবক্স বিশেষ কোন জিনিস না যে টিউটোরিয়াল লাগবে বা কোর্স করে শিখতে হবে। আপনি শুধু ডাউনলোড করে সেটআপ দিন। যদি আপনি একটা অপারেটিং সিস্টেম চালাতে পারেন, তবে ভার্চুয়ালবক্সে সেটার ISO ফাইল দিয়ে ওখানেই ইন্সটল করে চালাতে পারেন। পুরো কাজ আলাদা উইন্ডোর মাঝে হবে।

    আপনি সেটআপ করে কোন সমস্যায় পড়লে মেইল করুন, আশা করি সমাধান দেব। 🙂

Level 0

thank u very much……… 🙂

Level 0

ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আসলে খুব আশয্য হই মানুষ যখন একজন অপরিচিতকে এত সাহায্য / সময় দেয়। আমি শেষ পর্যন্ত্য set up দিসি। সমস্যা হচ্ছে vbox এ
১. internet explorer browsing করতে পারছি কিন্তু chrome install হচ্ছে না,
২. ms word r ms excel টা কিভাবে চালাবো।
৩. roboform & easy hide ip soft ২টা চালাবো।

এ ব্যাপারে আপনার সাহয্য প্রয়োজন।

( যদি বিরক্ত হন তাহলে দোয়া করবেন …… মাঝে মাঝে disturb করবেন lol !!) 🙂
ধন্যবাদ।

    @mustafa: জনাব মুস্তাফা,
    ১। আপনি vbox এ কোন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল দিয়েছেন সেটা বলেন নি। যাহোক, ডিফল্ট ভিবক্স ১টি সিপিইউ গেস্ট ওএস-এ শেয়ার করে। আপনি মেশিনের সেটিংস এ যেয়ে র‍্যাম আরেকটু বাড়িয়ে দিন এবং সিপিইউ-তে সবগুলা শেয়ার করে দিন। তাহলে ক্রোম চালানোর মত দ্রুত হবে।
    ২ ও ৩। উপরের পদ্ধতিতে মেশিনের মেমরি ও প্রসেসর সেটিংস বাড়িয়ে দিলে আপনি যেকোন অ্যাপলিকেশন চালাতে পারবেন।

    🙂

Many many thanks

২ বছর আগের টিউন অথচ আজও কত জীবন্ত !
সোজা প্রিয়তে। পড়তে পড়তে ঘুম চলে আসসে ঘুম থেকে জেগে আবার revise করতে হবে( অমনযোগী ছাত্র তো…তাই)। আর নিজেকে খুব back-dated মনে হচ্ছে…… টিউনার ভাইকে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা নাই।