আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? যারা ভালো আছেন তারা আলহামদুলিল্লাহ বলে নিন। আর যারা ভালো নেই তারাও আলহামদুলিল্লাহ বলে নিন যাতে করে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সুস্থ করেন বা ভালো রাখেন। চলুন মূল কথায় যাই।
হ্যালো টিউডার বন্ধুরা, গুগলের সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী বিং, এমএসডিএন, কিংবা হলোলেন্স এর মালিক কে বলতে পারেন?
অথবা বিশ্ববিখ্যাত গেমিং কম্পানি এক্স-বক্স, স্কাইপ, লিংকডইন এর মালিক কে আপনার জানা আছে?
অথবা বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজ মূল্যে ভাল মানের কম্পিউটার দেয়ার সবচেয়ে সহজ পথ যে বেছে নিয়েছিলেন তিনি কে এইটা কি জানা আছে?
জানা না থাকলেও বেশি টেনশন নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কারন সব প্রশ্নের উত্তর একটাই আর সেটা হলো মাইক্রোসফটের বিল গেটস।
টিউনটি তৈরি করতে গিয়ে আমিও অনেক কিছুই জেনেছি এবং মনোযোগ নিয়ে পরলে আপনারাও এই বিষয়ে জানতে পারবেন অবশ্যই।
তো বন্ধুরা মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ টিউনটি পড়ুন এবং জেনে নিন মাইক্রোসফট সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১৯৫৫ সালের ২৮ শে অক্টোবর জন্ম হয়েছিল উইলিয়াম হেনরি গেটস বা বর্তমান বিল গেটস। তার জন্মস্থান ওয়াশিংটনের সিয়াটলে। সেই সাথে জন্ম হয়েছিল তার পরবর্তী এক পৃথিবী বদলে দেয়া ব্যক্তির নাম।
ছোট বেলায় বিল গেমস খেলতে পছন্দ করতেন। সেই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম রিস্ক খেলতে খুব ভালো লাগত তার।
১৯৬০ সালে তিনি প্রথমবারের মতো স্কুল যাওয়া শুরু করেন। এই সময়ে মাইক্রো কম্পিউটার এর আবিষ্কার হয় সারা পৃথিবীতে। তখনকার সময়ে মাইক্রো কম্পিউটার ছাড়া অন্য কম্পিউটারের দাম ছিল আকাশচুম্বি।
এখানে পিডিপি-৮ কম্পিউটারের কথাই বলা যাক। তখনকার সময়ে এই কম্পিউটারের দাম বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের কাছাকাছি। যার ব্যবহার হয়তো বড় বড় কোম্পানি কিংবা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠানগুলোতে হতো।
সে সময়ে মাইক্রোকম্পিউটারের ছিল সবার জন্য সহজলভ্য। ছোটবেলা থেকেই বিলগেটস কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার টাইপ এর বিভিন্ন ডিভাইস এর প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন।
বিল গেটস এবং তার বন্ধুরা সেই সময়েই মাইক্রোকম্পিউটার সম্পর্কে জানার জন্য উৎসাহী হয়ে পড়লেন এবং এক সময় তারা নিজেরাই মাইক্রো কম্পিউটারের জন্য কোড শেখা শুরু করলেন। বিল গেটস এর খুব কাছের বন্ধু ছিলেন পল অ্যালেন।
মাইক্রোসফট এর মূল গল্পটা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। সে সময় বিলগেটস চলে যান হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করার জন্য এবং পল অ্যালেন চলে যান ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করার জন্য। কিন্তু পরবর্তীতে পল অ্যালেন হানিওয়েল কোম্পানিতে জব করতে চলে যান।
সে সময় বাজারে চলে আসে আল্টিয়ার-৮৮০০ মাইক্রো কম্পিউটার। যেটি তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে ভালো মানের স্ট্যান্ডার্ড মেনে তৈরি করা হয়েছিল এবং ছিলো সবচেয়ে ভালো মানের মাইক্রো কম্পিউটার।
কোনো কারনবশত পল অ্যালেন একদিন এই কম্পিউটারটি নিয়ে চলে যান বিল গেট্স এর কাছে।
বিল গেটস কম্পিউটারটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলেন এবং তিনি ভাবলেন তারা এই কম্পিউটারের জন্য একটি ভালো মানের সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন।
যেই ভাবা সেই কাজ পল অ্যালেন চলে গেলেন আল্টিয়ার কোম্পানির কাছে। গিয়ে তিনি তাদের বললেন এই কম্পিউটারের জন্য একটি ভালো মানের সফটওয়্যার আছে আমদের কাছে। অথচ তাদের কাছে সফটওয়্যার এর ডিজাইনও ছিল না। তখন কোম্পানিটি পল অ্যালেন কে চমকে দিয়ে তার কাছে সফটওয়ারটিতে চেয়ে বসলেন।
তখন বিলগেটস এবং পল অ্যালেন মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার তৈরি করলেন এবং কোম্পানির কাছে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে গেলেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই সময় সফটওয়ারটি কম্পিউটারের জন্য সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং পৃথিবী দেখল প্রথমবারের মতো কোনো থার্ডপার্টি সফটওয়্যার।
সফটওয়ারটির অবিশ্বাস্য সফলতার পর পল অ্যালেন এবং বিলগেটস মিলে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই কোম্পানিটির নাম দেন মাইক্রোসফট। যার উদ্দেশ্য ছিল সফটওয়্যার ফর মাইক্রোকম্পিউটার।
প্রথমবার এই সফলতার পর বিল গেটস এবং পল অ্যালেন তাদের অফিস স্থানান্তর করেন ওয়াশিংটনের বেলভিউতে।
তখন ১৯৭৯ সাল ছিল। মাইক্রোসফট ভেবেছিল তারা তাদের একটি অপারেটিং সিস্টেম বাজারে নিয়ে আসবে। একই সময়ে আইবিএম (IBM-International Business Machines) ও বাজারে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অপারেটিং সিস্টেম চেয়েছে।
তখনকার প্রসিদ্ধ কোম্পানিগুলো আইবিএম এর কাছে অপারেটিং সিস্টেমের জন্য চড়া দাম চেয়েছিল। কিন্তু বিল গেটস ভিন্ন কিছু ভেবে বসেছেন।
তিনি আইবিএম কোম্পানির কাছে তার অপারেটিং সিস্টেম বিক্রি করছেন এককালীন ৫০ হাজার ডলার এর বিনিময়ে।
যাতে অপারেটিং সিস্টেমের স্বত্বাধিকার থাকবে মাইক্রোসফট এর নামে এবং সাইনিং রেজিস্ট্রেশন হবে আইবিএম এর নামে এবং বাজারে বিক্রি হওয়া প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তাকে শুধুমাত্র এক ডলার করে দিতে হবে।
বিল গেটসের এমন চুক্তিতে আইবিএমও রাজি হয়ে যায়। এমন অসাধারণ চিন্তাভাবনা করে তৈরি করা চুক্তিকে ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে অনেকবার।
ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে কম্পিউটারের নাম হয়ে যায় মাইক্রোসফট। সে সময় প্রায় ৯০℅ মার্কেট দখল করে নেয় উইন্ডোজ পিসিতে এবং রাতারাতি বিলিয়নিয়ার হয়ে যান বিল গেটস এবং পৃথিবীতে সবচেয়ে পরিচিতদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন বিল গেটস।
ফলে শীঘ্রই একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে পরিণত হয় মাইক্রোসফট।
সে সময় ম্যাক বেশ জনপ্রিয় ছিল আমেরিকার বাজারে। কিন্তু দাম ছিল মাইক্রোসফট থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে অ্যাপল থেকে মাইক্রোসফট এর ম্যান পাওয়ার ছিলো এবং ভালো পর্যায়েরও ছিলো।
ফলে অ্যাপল বেশ কিছু সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট এর কাজ দেন মাইক্রোসফটকে। মাইক্রোসফট সেগুলো করেছিলো বটে। যা ছিলো ১৯৮৪ সালে বাজারে অ্যাভলঅ্যাবল থাকা ম্যাকিন্টশ কম্পিউটারের জন্য।
ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার হল পৃথিবীর প্রথম কোন কম্পিউটার যাতে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়েছে এবং যার ডেভলপমেন্ট করেছে মাইক্রোসফট।
এখান থেকেই মাইক্রোসফট এবং অ্যাপেল এর মাঝখানে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। কারণ মাইক্রোসফট ঘোষণা দেয় পরবর্তী বছরে উইন্ডোজ পিসিতে তারা একই ধরনের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করতে যাচ্ছেন। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি স্টিভ জবস।
যৌক্তিক অর্থে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের মালিক ছিল স্টিভ জবস বা অ্যাপল। যার ফলে অ্যাপল এবং মাইক্রোসফট এর সম্পর্ক খুব কমপ্লিকেটেড হয়ে যায়।
এই সময়ে স্টিভ জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক এর মধ্যে ওন্দোরকোন্দল চরমে পৌঁছায়। ফলে স্টিভ জবস অ্যাপেল ছেড়ে নেক্সট এ চলে যায়।
একদিকে অ্যাপেল মার্কেট হারাচ্ছে অন্যদিকে মাইক্রোসফট দ্রুত ওপর দিকে উঠছে।
মাইক্রোসফট একসময় চরম উন্নতি করে এবং ১৯৯০ সালে বাজারে নিয়ে আসে মাইক্রোসফট অফিস সুইট। যাতে ইনক্লুড ছিল মাইক্রোসফট এক্সেল এবং মাইক্রোসফট অফিস।
যার ফলে বাজারে পুরো পৃথিবী জুড়ে উইন্ডোজ এর চাহিদা আরো বেড়ে যায় এবং মাইক্রোসফটে সারা বিশ্বের কম্পিউটার মার্কেট ডমিনেট করতে শুরু করে।
১৯৯৪ ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস এর একটি মামলায় পড়ে বিল গেটসকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
অল্পদিন পর দেখার মত একটা দৃশ্যপট চলে আসে। ১৯৯৭ সালে অ্যাপল ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেউলিয়া হতে চলেছিল। সেই মহাবিপদের সময় একজন এগিয়ে আসে আর তিনি হলেন বিল গেটস।
অ্যাপেলের ব্যাংক ঋণের ১৫০ মিলিয়ন পরিশোধ করে অ্যাপেলকে পথ হারা কোম্পানি থেকে পথে নিয়ে আসেন তিনি।
এই অবস্থায় তারা একটা চুক্তিতে যান এবং সেটা হল পরবর্তীতে আপেলের যতগুলো কম্পিউটার বাজারে আসবে তার সাথে মাইক্রোসফট অফিস এবং ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারের সুযোগ থাকবে যা এখনো বলবৎ আছে।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে যতগুলো পিসি ব্যবহৃত হয়েছে তার ৭০-৭৫% পিসিতে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত।
বিগত বছরে বিশ্বসেরা ম্যাগাজিন সোর্সের ১০০ কোম্পানির তালিকার মধ্যে মাইক্রোসফট এর অবস্থান ১৬ তে রয়েছে।
বর্তমানে মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন রয়েছে অসংখ্য কম্পানি। যার মধ্যে রয়েছে ইয়াহু, এমএসডিএন, নোকিয়া, হলোলেন্স, এক্সবক্স, হটমেইল, লিংকডইন, স্কাইপ, বিং, গিটহাব সহ আরো অনেক কোম্পানি।
এরকম ২২৬ টি কোম্পানিকে মাইক্রোসফট নিজের অধীনে করে নেয়। যা কোন না কোনভাবে মাইক্রোসফট এর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার মতো সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল।
মাইক্রোসফট এগুলোকে নিজেদের করে নেয়। এখানেই শেষ নয় বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে এমন আরো ১০০ টিরও বেশি কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে সরাসরি মাইক্রোসফটের সাথে শেয়ার রয়েছে।
উদাহরণ স্বরুপ আমেরিকার বিখ্যাত বেস্টবাই এবং অ্যামাজনের মালিকানাধীন অডিওঅ্যাবল ডটকমের কথাই বলা যায়।
মাইক্রোসফটের শেয়ার রয়েছে ফেসবুকের সাথেও।
বর্তমানে আমেরিকার বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে। যা ট্রিলিয়ন ডলার উপার্জন করার গৌরব অর্জন করেছে। এর আগে এ রেকর্ড ছিলো শুধু মাত্র অ্যাপেল ও অ্যামাজনের।
বিল গেটস এর পরে মাইক্রোসফট কে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে তুলে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম যিনি করেছেন তিনি হচ্ছেন
সত্য নাদেলা।
ইনিই বর্তমানে মাইক্রোসফট কোম্পানির সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি মাইক্রোসফট এর সাথে অ্যাপেলের সব ধরনের বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বিশাল এক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন পরবর্তী বছরগুলোতে আইফোনের পরবর্তী ভার্সন গুলোতে মাইক্রোসফট অফিস কিট ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
২০১৮ সালে পশ্চিম গ্লোবাল ৫০০ কোম্পানির তালিকায় মাইক্রোসফট এর অবস্থান ৩০ তম।
২০১৫ সালে মাইক্রোসফট বাজারে রিলিজ দেন উইন্ডোজ -১০। এট এতটাই জনপ্রিয় হয় যে বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় ৪৫% পিসিতে এ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার হয়।
বর্তমানে সারাবিশ্বে মাইক্রোসফট এর রয়েছে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ১৬৩ জন কর্মী। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মাইক্রোসফট আয় করেছে ১২৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যেখানে মাইক্রোসফট এর নিট ইনকাম ছিলো ৩৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মাইক্রোসফট নিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট সারফেস যার ফলে তারা সফটওয়্যার থেকে হার্ডওয়ারএ ও মার্কেটে নিজেদের অবস্থান করে নিতে শুরু করেছে।
প্রথমদিকে মাইক্রোসফট শুধুমাত্র উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যবসা করে আসলেও বর্তমানে উন্নত ও উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত প্রায় সব দেশেই তাদের ব্যবসার সমান তালে পরিচালিত করে আসছে।
২০০৬ সালে মাইক্রোসফট ইউটিউবকে কিনে নেবার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে।
ছয় মাস পরে গুগল ইউটিউব কিনে নেয় বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠার আগে বিল গেটস এবং পল অ্যালেন আরো একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার নাম ছিল ট্রাফ-ও-ডেটা যা মুলত ট্রাফিক ডাটা নিয়ে কাজ করতো।
বিল গেটস জীবনে অনেক সম্মান কামিয়েছেন। কিন্তু মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করার আগে বিনা লাইসেন্স ড্রাইভিং করার অপরাধে দুবার পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
নিচে উইন্ডোজ এর সবচেয়ে ব্যাবহৃত ছবিটি দেওয়া হলো।
এটি নিয়ে আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
বর্তমানে মাইক্রোসফট বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন। তার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, কনসুমার ইলেকট্রনিক্স, সৌশাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস, ক্লাউড কম্পিউটিং, ভিডিও গেমস, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
মাইক্রোসফট এর রয়েছে অসংখ্য প্রডাক্ট যার মধ্যে রয়েছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম, মাইক্রোসফট অফিস সুইট, সার্ভার, ভিজুয়াল স্টুডিও, সারফেস, এক্সবক্স, স্কাইপ, ডায়নাকিমস, মোবাইল সহ আরো অনেক কিছু নিয়ে কাজ করে মাইক্রোসফট।
রয়েছে আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সার্ভিস যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিং, লিংকডইন, এমএসডিএন, অন ড্রাইভ, অফিস -৩৬৫, আউটলুক, উইন্ডোজ আপডেট সহ যতগুলো আমরা ব্যবহার করি তার সবি।
বিল গেটস পৃথিবীর অনেকের কাছে হতে পারে ঘৃণার পাত্র আবার অনেকের কাছে হতে পারেন সম্মানের পাত্র। তিনি একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টা করেন এবং সেখানে বলেন তিনি যত টাকা আয় করেছেন তাঁর ৯৫% তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে দান করে দেবেন।
তো বন্ধুরা চলে এসেছি টিউনের একদম শেষ পর্যায়ে।
তো বন্ধুরা মাইক্রোসফটের রয়েছে মাইক্রোসফট অ্যায্যার যা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর ক্লাউড সার্ভিসিং কোম্পানি।
টিউন টিউনটি ভালো লাগলে জোসস দিবেন। আর আপনি মাইক্রোসফট এর কোন কোন সুবিধা যেমন- হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, সার্ভিস ব্যবহার করেন তা আমাকে টিউমেন্টে জানাতে পারেন। তো বন্ধুর এতক্ষন টিউনটি কষ্টকরে মনোযোগী হয়ে পরার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
টিউনে লো-রেজুলেশনের ইমেইজের ডাইমেনশন রিসাইজ করে বা লো-রেজুলেশনের ইমেইজের পিছনে অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড যোগ করে ইমেজকে বড় ডাইমেনশনের বানিয়ে টিউনে যোগ করা হয়েছে। টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন অনুযায়ী টিউনে লো-রেজুলেশনের ইমেইজের ডাইমেনশন রিসাইজ করে বা লো-রেজুলেশনের ইমেইজের পিছনে অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড যোগ করে ইমেজকে বড় ডাইমেনশনের বানিয়ে টিউনে যোগ করা যায় না।
করনীয়:
‘টেকটিউনস কপিরাইট ম্যাটেরিয়াল গাইডলাইন’ অনুযায়ী টিউনে হাই-রেজুলেশনের ইমেইজ যোগ করুন। সেই সাথে হাই-কোয়ালিটি, টিউনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক, Copyright Free ও Royalty-Free ইমেইজ Full Size এ যোগ করুন।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।