সাইকোলজি বা মনোবিজ্ঞান আমাদের মন ও ব্রেইন সম্পর্কিত বিজ্ঞানের বিশেষ এক শাখা। মহাবিশ্বের শত শত বিস্ময়কর জিনিসগুলোর মধ্যে মানুষের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক অন্যতম। ওজনে ৬ পাউন্ডের বা আড়াই কেজির একটু বেশি হলেও এর ধারণক্ষমতা ২, ৫০০, ০০০ গিগাবাইটেরও বেশি যা সত্যিই অকল্পনীয়। এমন এক জিনিস যাকে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের থেকেও ক্ষমতাধর বলা হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে অনেক রকম গবেষণার পরেও আমরা আমাদের মন সম্পর্কে খুব কমই জানতে পেরেছি। যেরকম বিস্ময়কর ঠিক ততটাই রহস্যময়। এরপরও একে নিয়ে আমাদের কৌতূহলের কোন সীমা নেই। জানার আগ্রহের কোন কমতি নেই। কিন্তু মনের ব্যাপারে অনেক অজানা জ্ঞান ও তথ্য আজ আমাদের কাছে খোলাসা। আজ আমরা জেনে নেব সাইকোলজি নিয়ে মজার মজার কিছু ফ্যাক্টস।
১। আমাদের জামা কাপড় পরার সাথে আমাদের মুডের সম্পর্ক আছে। ভালো, সুন্দর জামা পড়লে আমাদের মুডও ভালো থাকে।
২। কোন বিষয়ে আমাদের ব্রেইনকে পরীক্ষা করলে আমাদের ব্রেইন তা আরও জোরালো ভাবে মনে রাখতে পারে ও আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৩। আমাদের প্রিয় গানের সাথে কোন বিশেষ আবেগ বা অনুভূতির যুক্ত থাকে, যার কারণে সেই জ্ঞানগুলো আমাদের প্রিয় হয়ে ওঠে।
৪। একাকীত্ব আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর যা নিয়ে আমরা খুব কমই জানি। একাকীত্বে মানুষের দেহে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয় যাতে ধীরে ধীরে রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে এবং স্ট্রোক বা হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৫। এক গবেষণায় দেখায়, ভবিষ্যতের ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা রাখলে দেহ ও মন দুটোকেই অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে রাখা যায়।
৬। দুনিয়াতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মনে করে তাদের জীবনটা যেন এক টিভি শো এর মত ক্যামেরায় ধারণ করা হচ্ছে। এই মানসিক রোগকে ট্রুম্যান সিন্ড্রোম (Truman Syndrome) বলা হয়ে থাকে।
৭। একটি নিয়ম বা আইন যতই কঠিন ও কঠোর হয়, আমাদের সেটা ভাঙ্গার ততটাই প্রলোভন জেগে ওঠে।
৮। কোন বিষয় আমাদের নিজেদের মাতৃভাষা বাদে অন্য কোন ভাষায় চিন্তায় করলে সেটা আমাদের কাছে আরও যৌক্তিক শোনায়। তাই গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তা একবার অন্য কোন ভাষায় চিন্তা করে নেয়া উচিৎ।
৯। মারা যাওয়ার ৭ মিনিট পরেও মানুষের মস্তিষ্ক সচল ও জীবন্ত থাকে।
১০। প্ল্যান বি (Plan B) থাকলে প্ল্যান এ (Plan A)কাজ করার সম্ভবনা কমে যায়। কিন্তু তাই বলে প্ল্যান বি যে করা যাবেনা তা নয়। প্ল্যান বিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে, কিন্তু তার ওপর পুরোপুরিও ভরসা করা যাবেনা, একটু হলেও অস্পষ্ট এবং আবছা রাখতে হবে।
১১। আমাদের ব্রেইন প্রাকৃতিক ভাবেই প্রতিদান দেয়াতে অভ্যস্ত। এই কারনেই আমাদের কেউ ভালো করলে বা উপকার করলে, আমরা তা প্রতিদান হিসেবে ফেরত দিতে চাই। একে রুল অব রেসিপ্রোসিটি(Rule of Reciprocity) বলে।
১২। মাল্টিটাস্কিং (Multitasking) বা একসাথে কয়েকটি কাজ একসাথে করা আমাদের ব্রেইনের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর। এতে সময় তো নষ্ট হয়ই সাথে সাথে ব্রেইনের ওপর প্রচুর অহেতুক চাপ পড়ে। এর জন্যে এক কাজে একবার মনোযোগ দিয়ে করা উচিৎ।
১৩। আমাদের ব্রেইন যা চায় তাই বিশ্বাস করে, সেটা যতই খারাপ বা অযৌক্তিক হোক না কেন। এটাকে কনফার্মেশন বায়াস (Confirmation Bias) বলে। এ জন্যই অনেক কে হাজার বোঝালেও তারা তাদের পুরনো বিশ্বাস বা আচার আচরণ থেকে বের হয়ে আসতে পারেনা।
১৪। আমাদের ব্রেইন কোন বিষয় একবারে মনে রাখার চেয়ে ছোট ছোট ক্ষুদ্র আকারে মনে রাখতে আরও বেশি সক্ষম হয়। তার জন্যে বড় কোন পড়া বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছোট ছোট আকারে ভেঙ্গে, মুখস্ত করে রাখা উচিৎ। এতে স্মৃতি শক্তি আরও তীক্ষ্ণ হয়।
১৫। সোশ্যাল মিডিয়া তৈরিই করা হয়েছে আমাদের আসক্ত করার জন্যে। ফেইসবুক, ইউটুব, ইন্সটাগ্রামের মত সোশ্যাল মাধ্যমগুলো প্রতি বছর লাখ লাখ ডলার খরচ করে যাতে আমরা আরও এসব মাধ্যমগুলোয়ে আরও আসক্ত হই, যাতে তাদের ইউজারদের আরও অ্যাড দেখাতে পারে ও তাদের ইনকাম বাড়াতে পারে।
১৬। আমাদের সঙ্গিত রুচি দুনিয়ার ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে।
১৭। আমাদের ৭০% স্বপ্নের মধ্যে লুকোনো মেসেজ বা বার্তা থাকে।
ভালো লাগলে লাইক ও টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না আর এরকম মজার মজার সব তথ্য পেতে আমাকে ফলো করুন।
আমি সাদাফ সাদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।