বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে উন্নত জীবন যাপনের সুযোগ। পৃথিবীতে কোন স্থান নেই যেখানে বিজ্ঞানের ছোয়া পৌছায় নি।
1950 সালে পৃথিবীর মানুষের গড় আয়ু ছিল 50 বছরের কাছাকাছি, 60 বছরে সে আয়ু 20 বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।
পৃথিবীর মানুষের জীবনধারণের মান উন্নত হওয়া, রোগ প্রতিষেধক ব্যবহার, স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া।
চিকিৎসার মান উন্নয়নের জন্য সারা পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞান জীবনযাত্রাকে করেছে
বেগবান।
বিজ্ঞানের ছোয়ায় মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে সাগরের অতল গহ্বরে, মহাকাশে, চাঁদে, মঙ্গল গ্রহে।
বিজ্ঞানের অবদানে পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলেএসেছে।
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ গ্লোবাল ভিলেজে বসবাস করছে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আজ পুরো পৃথিবী আজ আশীর্বাদপ্রাপ্ত
বিজ্ঞান আমাদের জ্ঞানের মহাসমুদ্রে বসবসা করতে সাহায্য করে।
নিত্য নতুন জ্ঞান আহরনে আমরা বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হই।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির পেছনে রয়েছে আধুনিক কিছু যন্ত্রপাতি। যেগুলো দিয়ে রোগ নির্নয় করা সম্ভব হয়েছে।
বিজ্ঞান চিকিৎসা ক্ষেত্রে এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। বিজ্ঞানের অবদানে মানুষ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে আসছে।
তেমনই এক যন্ত্র এমআরাই।
আজ আমরা এটা সম্পর্কে জানবো।
এমআরাই কি?
মানুষের শরীরে প্রায় সত্তর ভাগ পানি যার অর্থ মানুষের শরীরের প্রায় সব অঙ্গপ্রতঙ্গ পানি থেকে (পানির প্রতিটি অনুতে থাকে হাইড্রোজেন এবং হাইড্রোজেনের নিউক্লিয়াস হচ্ছে প্রোটন। শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র প্রয়োগ করলে প্রোটনগুলো চৌম্বকক্ষেত্রের দিকে সারিবদ্ধ হয়ে যায়। তখন নির্দিষ্ট একটি কম্পনের বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ পাঠানো হলে এই প্রোটনগুলো সেই তরঙ্গ থেকে শক্তি গ্রহন করে তাদের দিক পরিবর্তন করে এবং এই প্রক্রিয়াটিকে বলে নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স(অনুনাদ)।
পদার্থবিজ্ঞানের এই চমকপ্রদ ঘটনাটির ওপর ভিত্তি করে ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং বা এমআরআই তৈরী করা হয়েছে।
এমআরআই যন্ত্রটি দেখতে সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মতো। কিন্তু এর কার্যপ্রণালী সম্পূর্ণ ভিন্ন। সিটি স্ক্যান যন্ত্রে এক্স রে পাঠিয়ে প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়। এমআরআই যন্ত্রে একজন রোগীকে অনেক শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রে রেখে তার শরীরে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ দেওয়া হয়।
শরীরের পানির অনুর ভেতরকার হাইড্রোজেন প্রোটন থেকে ফিরে আসা সংকেতকে কম্পিউটার দিয়ে বিশ্লেষণ করে শরীরের ভেতরকার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রতিবিম্ব তৈরী করা হয়।
সিটিস্ক্যান দিয়ে যা কিছু করা সম্ভব এমআরআই দিয়েও সেগুলো করা যায়। তবে এমআরআই দিয়ে শরীরের ভেতরকার কোমল টিস্যুর ভেতরকার পার্থক্য গুলো ভালো করে বোঝা সম্ভব।
সিটি স্ক্যান করতে পাচ থেকে দশ মিনিটের বেশি সময়ের দরকার হয় না সেই তুলনায় এমআরআই করতে একটু বেশি সময় নেয়। সিটি স্ক্যানে এক্স রের ব্যবহার করা হয় বলে যত কমই হোক তেজস্ক্রিয়তার একটু ঝুঁকি থাকে এমআরআইয়ে সেই ঝুঁকি নেই।
শরীরের ভেতরে কোন ধাতব কিছু থাকলে (যেমন পেসমেকার) এমআরআই করা যায় না।
কারন আরএফ তরঙ্গ ধাতুকে উত্তপ্ত করে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে।
আমি লুবনা পারভীন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।