হার্ট ফেলিউর কী? হার্ট ফেলিউরের কারণ ও তার প্রতিকারের উপায় কী?

টিউন বিভাগ চিকিৎসা বিজ্ঞান
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

হার্ট ফেলিউর কী ?

দেহের চাহিদা অনুযায়ী হৃদপিণ্ড যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্তের যোগান দিতে পারে না তখন সেই অবস্থাকে হার্ট ফেলিউর বলে। অনেকেই মনে করে হার্ট ফেলিউর মানে হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়া বা থেমে যাওয়া। কিন্তু এই ধারনাটি সঠিক নয়। তবে হার্ট ফেলিউরকে হৃদপিণ্ডের একটি মারাত্মক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে।

কী কারণে হার্ট ফেলিউর হয় ?

বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। উচ্চরক্তচাপ বেশি দিন স্থায়ী হলে ধমনির অন্তঃস্থ প্রাচীরে কোলেস্টেরল জমার সম্ভাবনা থাকে। ফলে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এবং হৃদপিণ্ড দূর্বল হয়ে হার্ট ফেলিউরের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। আবার ডায়াবেটিকস এর ফলে দেহ পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন বা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। এই কারণে ধীরে ধীরে হৃদপেশি ও হৃদপিন্ডের বাহিকাগুলি দূর্বল হয়ে যায় ফলে, হার্ট ফেলিউর ঘটে। এমনকি জন্মগত বা সংক্রামন জনিত কারণেও হার্ট ফেলিউর ঘটতে পারে।

হার্ট ফেলিউর বোঝার লক্ষণগুলি কি কি ?

  • ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টে ভোগা, ঘুমের সময় মাথার নিচে দুটি বালিশ না দিলে শ্বাসকষ্ট বেরে যাওয়া।
  • সাদা ও গোলাপি রঙের রক্তমাখনো মিউকাসসহ স্থায়ী কাশি বা ফোঁস ফোঁস করে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া।
  • শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তরল জমে ফুলে ওঠা।
  • সব সময় পেট ভরা এবং বমি ভাব থাকে।
  • কাজ কর্মে, চলনে অসমাঞ্জস এবং স্মৃতিহীনতা প্রকাশ।
  • হৃদপিণ্ড এত দ্রুত স্পন্দন করে মনে হয় প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
  • জুতা পরার সময় হঠাৎ আঁটসাঁট মনে হয়।
  • প্রতিদিন সব কাজে সবসময় ক্লান্তিভাব থাকা।
  • পা, গোরালি, পায়ের পাতা, উদর ও যকৃত স্ফীত হয়ে যায়।

হার্ট ফেলিউর থেকে প্রতিকারের উপায় কি ?

হার্ট ফেলিউর নিশ্চিত হলে, প্রতিকার সম্বন্ধে সতর্ক রোগীদের তেমন কোন সমস্যা হয় না, সক্রিয় জীবন যাপনেও কোন বাধা হয় না। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ৩ ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য রাখার চেষ্টা করা হয়।

  • জীবন যাপন পদ্ধতির পরিবর্তনঃ অবশ্যয়ই রোগীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকা তৈরি করতে হবে।
  • ঔষধ গ্রহনঃ হাইট ফেলিউরের রোগের ধরন দেখে চিকিৎসক যেই ঔষধ নির্বাচন করবেন তা সেবন করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু রাখতে হবে।
  • অন্যান্য চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়াঃ শরীরের ওজন বাড়ার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ওজন বাড়ার অর্থ হচ্ছে টিস্যুতে পানি জমে যাওয়া। চিকিৎসককে বলতে হবে কখন ওজন পরীক্ষা করাতে হবে এবং ওজন পরিবর্তনের বিষয়ে কখন তাকে জানাতে হবে।

হার্ট ফেলিউর প্রতিরোধের উপায় ?

  • উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণ করন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • ফল এবং শাকসবজি, পুরো শস্য এবং চর্বিযুক্ত প্রোটিন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • মানসিক চাপ কমান।
  • সব রকমের মাদকদ্রব্যপান করা থেকে বিরত থাকুন
  • যথেষ্ঠ পরিমাণে ঘুমান।
  • চর্বিযুক্ত, চিনিযুক্ত খবার এবং লবনকে সীমাবদ্ধ করুন।

Level 2

আমি মোঃশামীম হোসাইন। , dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস