হ্যালো টিউডার বন্ধুরা, কেমন যাচ্ছে আপনাদের দিন গুলো? আশাকরি ভালোই যাচ্ছে বা আগামী দিনগুলো ভালো যাবে ইনশাআল্লাহ।
চলুন মুল কথাতে যাই।
আপনারা কি জানেন ক্রায়োসার্জারি কি বা এটি কিভাবে করা হয়?
না জানলেও অসুবিধা নেই। কারণ আমি খুব সহজ ও সাবলিল ভাষায় আপনাকে বোঝানোর জন্যই নিয়ে এসেছি আজকের এই টিউন।
দেহের অসুস্থ এবং রোগাক্রান্ত টিস্যুকে খুব বেশি পরিমাণে শীতল করে ধ্বংস করার চিকিৎসা পদ্ধতির নাম ক্রায়োসার্জারি।
এই পদ্ধতির আবিষ্কার হয়তো মিশরীয়দের কাছ থেকে এসেছে। কারণ তারা খ্রীস্টপূর্ব ২৫০০ সালের দিকে বিভিন্ন ক্ষতের চিকিৎসার জন্য শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করতেন।
১৯৮৯ সালে ত্বক শীতল করতে বিভিন্ন ধরনের তরল গ্যাস ব্যাবহৃত হতো। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ক্রায়োসার্জারিতে কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হতো। ১৯২০ সালের দিকে ক্রায়োসার্জারিতে তরল অক্সিজেন ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৫০ সালে ক্রায়োসার্জারিতে তরল নাইট্রোজেন প্রয়োগ হয়।
ক্রায়োসার্জারির কৌশল প্রয়োগে চিকিৎসা করাকে ক্রায়োথেরাপি বলে। ক্রায়োথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিত্রে কমিয়ে -১৩০° থেকে -১৬৫° সে. তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়।
এই সময় একটি সুচের মাধ্যমে টিউমার টিস্যুর অভ্যন্তরে তরল আর্গন গ্যাস খুব দ্রুত স্থানান্তর করা হয়। তাপমাত্রা অধিক কমার ফলে ঐ কোষের পানি জমে যায় এবং টিস্যুটি একটি বরফপিন্ডে পরে যায়।
বরফপিন্ডের ভিতরে টিস্যুটি আটকা পড়ে গেলে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এর ফলে টিস্যুর ক্ষয় সাধিত হয়। আবার ক্রায়োপ্রোব বা সুচের প্রান্ত দিয়ে টিউমারটির ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমের টিস্যুটির তাপমাত্রা ১০° সেলসিয়াস থেকে ৪০° সেলসিয়াসে এ উঠানো হয়।
তখন জমাটবদ্ধ টিস্যুটি গলে যায় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।
১. মানুষের ত্বকের ছোট ছোট টিউমার, তিল, আঁচিল, ত্বকের ছোট ছোট ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে করা হয়।
২.এছাড়াও ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ কিছু রোগ যেমন- যকৃত ক্যান্সার, বৃক্ক ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা যায়।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই যে, দিন যত বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ এর আবিষ্কার হচ্ছে আবার সাথে সাথে আবিষ্কার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় পদ্ধতি। এসব বিষয় সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরী।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আজকের ছোট্ট একটি টিউন। যদি আপনার সামান্য ভালো লাগার কারণ এই টিউনটি হয়ে থাকে তবে একটি জোসস দিতে ভুলবেন না। আর টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট করতে দ্বিধা করবেন না। এতক্ষন পর্যন্ত আমার টিউনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।