পাচ ছয় বছর আগের পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরার দিন শেষ।বর্তমানে ফটোগ্রাফীর এক শীর্ষ ভাগ জুড়ে রয়েছে স্মার্টফোন ফটোগ্রাফী। এডভান্স হার্ডওয়্যার,মাল্টি ফাংশনাল ডিভাইস হওয়ার কারনে স্মার্টফোনকে মানুষ আগের তুলনায় বেশী ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করছে। সাধারন ছবি, ভিডিও রেকর্ডিং এর জন্য মানুষ আর ক্যামেরা বহন করে না। প্রোফেশনালদের কথা আলাদা।
যাইহোক,স্মার্টফোন কেনার আগে আমরা জানি আমাদেরকে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়। র্যাম,প্রোসেসর,পাওয়ার কনজিউমিং,মাল্টি টাস্কিং,ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ইত্যাদি ইত্যাদি! এই তালিকায় আমরা আলাদাভাবে যে জিনিসটি দেখি তা হল ক্যামেরার কোয়ালিটি।
ভালো ক্যামেরাওয়ালা ফোন বরাবরই আমাদের একটি অাকর্ষনের বস্তু,সেটা আগের নকিয়া জাভা ফোনই হোক অথবা বর্তমানের স্মার্টফোন। আমাদলর স্মার্টফোন কেনার সময় অনেকেরই মূল ইচ্ছা থাকে কোন স্মার্টফোন এর ক্যামেরা সবচেয়ে ভালো সেটি বেছে নিয়ে কিনে ফেলা।
তাই আজকের টিউনে আমরা আলোচনা করব এই সময়ে বাজারে কোনন কোন স্মার্টফোন বিশেষ করে ক্যামেরার দিক দিয়ে এগিয়ে। আশা করি টিউনটি ভালোই লাগবে।
মেগাপিক্সেল সাইজ এর জন্য ছবির জুমিং এবং ক্রপিং নির্ভর করে। আর সেন্সর সাইজ এর ওপর নির্ভর করে লাইট,ফোকাস ইত্যাদি বিষয়।
আপনি ক্যামেরা ব্যবহার করতেন নিশ্চয়ই ক্যামেরার গুণ বিচার করতেন এটি কত মেগাপিক্সেল সেই হিসেবে,তাই নয় কি? স্মার্টফোন ক্যামেরাতেও তার বিকল্প নয়। এখন যে স্মার্টফোন ক্যামেরায় মেগা পিক্সেল যত বেশি তার ইমেজ ডিটেইলস, পিকচার ক্ল্যারিটি ইত্যাদি তত ভালো। ছবি তোলার পর জুম করলেও অথবা ক্রপ করলেও ছবির ডিটেইলস সুন্দর থাকে ভালো মেগাপিক্সেল বা বেশি মেগাপিক্সেল এর জন্য।
তবে এখনকার স্মার্টফোনে মেগা পিক্সেলে যেমন গুরুত্ব দেয়া হয়; ঠিক তেমনই গুরুত্ব দেয়া হয় ক্যামেরার সেন্সর সাইজকে।ক্যামেরার সেন্সর সাইজ যত বড় ছবির মানও হয় সেরকম প্রোফেশনাল লেভেলের।CMOS হল একপ্রকার সেন্সর যা ক্যামেরায় পরা আলোকে ইলেকট্রনে রূপান্তরিত করে ফেলে। সোনি ক্যামেরায় এটি বেশি পরিমানে দেখা যায়,এটি ছবির রিফ্লেক্টিভিটি ও লো লাইট পারফর্মেন্স বাড়িয়ে তোলে। তাই একটি স্মার্টফোন যাকে আমরা ক্যামেরার হিসেবে সেরা বিবেচনা করে থাকি বা এখন করব, তাতে এ বিষয়গুলি বেশি রয়েছে।
আপনাকে অবশ্যই এপার্চার (Aperture) এর দিকে নজর দিতে হবে।আমরা সাধারনত স্পেসিফিকেশন সেকশনে ক্যামেরায় ওখানে f/ যা দেখি মূলত তাই হল এপার্চার। এটি অগভীর,গভীরতা এাব বিষয় নিয়ন্ত্রন করে। ছবির সার্পনেস এবং ব্লুরিনেস এর জন্য এই এপার্চার দায়ী।
চলুন তাহলে ক্যামেরার জন্য কোন ফোনগুলি সেরা সে বিষয়ে জানি,
কমের ভেতর ভালো ক্যামেরা চাইলে এই হুয়াওয়ে অনার ৬এক্স পছন্দ করতে পারেন। স্মার্টফোন টিতে একটি সেকেন্ডারি Bokeh লেন্স পাচ্ছেন। এটি ১২ মেগাপিক্সেল একটি শুটার ও ২ মেগাপিক্সেল সেন্সর এর সাথে একটি ডুয়াল ক্যামেরা ওয়ালা স্মার্টফোন।
সেকেন্ডারি সেন্সরে Bokeh লেন্স চালু করার মাধ্যমে এর Wide Aperture মোড চালু হয়। এই মোডে স্মার্টফোনটি দিয়ে অসাধারন পর্যায়ের ছবি তোলা সম্ভব।
এখানে ওপো আর১১ একটি আইফোনের নান্দনিকতা দেয়ার চেষ্টা করেছে। ৫.৫ ইঞ্চি এর এই ফোন খেলা করে একটি রিয়াল ডুয়াল ক্যামেরার সাথে। ফোনের ব্যাকে আপনি দেখতে পারবেন একটি ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ১৬ মেগাপিক্সেল শুটার।তাছাড়াও ফ্রন্টে ২০ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা তো থাকছেই।
একারনে ক্যামেরার জন্য এই সময়ে ওপো আর১১ কেনা খারাপ হবে না। রিয়ার প্যানেলে ডুয়াল ক্যামেরার দুটিই ২X অপটিকাল জুম সম্পন্ন ক্যামেরা। কুয়ালকম স্পকট্রা আইএসপি(ইমেজ সিংনাল সেন্সর) এই কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রন করে।
ওপোর মতই এই ওয়ানপ্লাস ৫ ফোনের ব্যাকে আপনি দেখতে পারবেন একটি ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ১৬ মেগাপিক্সেল শুটার।ফ্রন্টে ১৬ মেগা পিক্সেল সেলফি ক্যামেরা তো থাকবেই। আপনি ফোনটির ডুয়াল ক্যামেরার একটিতে ব্রাইট ছবির জন্য f/1.7 এপার্চার পাবেন আর আরেকটিতে টেলিফোটো লেন্সে f/2.6 এপার্চার পাবেন। দুটিই কালার সেন্সর, তাই বেশি জুমিং করতে পারবেন না।
আমরা জানি ক্যানোন,নিকন,কোডাক,পেনটাক্স এগুলো সেরা ক্যামেরা ম্যানুফ্যাকচারার।তবে হ্যা সনিও অনেক ডিএসএলআর তৈরি করছে,সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। একই ভাবে সনি এক নতুন ফটোগ্রাফী এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে তাদের নতুন এক্সপেরিয়া XZ স্মার্টফোন নিয়ে হাজির হয়েছে।
এতে আপনি ডুয়াল ক্যামেরা না পেলেও একটি ১৯ মেগাপিক্সেল এইচডিআর খুবই উন্নত একটি রিয়ার ক্যামেরা পাচ্ছেন। যেখানে অনেক বড় বড় কোম্পানি সনির ক্যামেরা তাদের স্মার্টফোনে লাগায়, সেখানে সনির স্মার্টফোন।এখানে পাবেন Exmor RX এবং হাইব্রিড অটোফোকাস।এই ফোনটি দিয়ে ৫ সেকেন্ডের সর্ট ক্লিপ ৯৬০ এফপিএস এ রেকর্ড করা সম্ভব।
আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।