উবুন্টু লিনাক্সের ব্যাপ্তি এসময়ে ছড়িয়ে পড়ছে নানা দিকে। আজ হোক কাল হোক, একসময় সবাই আশা করছি একবার হলেও উবুন্টুতে একবার এসে ঘুরে যাবেন। এর মধ্যে যারা উবুন্টুকে বুঝতে পারবেন, এর সামর্থ্য, ব্যাপ্তি, সম্ভাবনা সম্পর্কে বুঝে উবুন্টুকে নিয়েই থেকে যাবেন, তাদের জন্য রইল শুভকামনা। আর যারা এখনো রত্ন চিনতে ভুল করছেন, তাদের জন্য করুনা।
আমার আজকের এই লেখা হল উবুন্টুকে কিভাবে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলবেন তা নিয়ে। এজন্য আপনার ন্যুনতম যে জ্ঞান থাকা উচিত তা হলঃ
১. উবুন্টু কি? উবুন্তুর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানা।
২. উবুন্টু ব্যবহার করা, একবার হলেও।
৩. উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইন্সটল করা সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান রাখা।
৪. উবুন্টুর সাথে অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের(বিশেষ করে উইন্ডোজ) পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সম্পর্কে জানা থাকা।
৫. উবুন্টুকে ভালবেসে এর প্রচার করা।
উবুন্টুর প্রচার কেন করবেন?
- -প্রথমত দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। উবুন্টু ব্যবহার করতে গেলে নানা সময়ে নানান সমস্যায় পড়বেন। সেগুলো সমাধানের জন্য বার বার ক্যানোনিক্যালকে চিঠি পাঠিয়ে কাজ নেই। বরং চেয়ে দেখুন আপনার চারপাশেই কত মানুষ লিনাক্স ব্যবহার করছে। তারা কোন না কোন সময় একই অসুবিধায় পড়তে পারে। সেই সমস্যা কি করে সে কাটিয়ে উঠেছে তাই জেনে নিলে এক তুড়িতে সমস্যার সমাধান। এর মানে যত ব্যবহারকারী বাড়বে ততই লিনাক্স সহজ হয়ে যাবে আমাদের সামনে।
- -দ্বিতীয়ত, উবুন্টুর মটো জানেন? “Humanity to others”. উবুন্টু শুধু একটি অপারেটিং সিস্টেমই নয়, একটি প্যাশন। একটি আদর্শ। সারা দুনিয়ার মানুষ, বিভিন্ন দেশ, ধনী-গরীব, টেকি-নন টেকি সব ধরনের মানুষ একই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছে, তাও যা নাকি ফ্রি অর্থাৎ যাতে সবার প্রবেশাধিকার আছে। গরীব বলে কেউ অপারেটিং সিস্টেম কিনে ব্যবহার করতে পারবে না এমন হবে না। সবারই সমান সুযোগ। সবাই সবাইকে হেল্প করতে পারে, সবাই পারে প্রোগ্রাম করতে অন্যকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে। বিশ্বভাতৃত্বের এমন দৃষ্টান্ত আর কয়টা সেক্টরে হয়?
কিভাবে উবুন্টুর দিকে ডাকবেন?
- -কাউকে চেপে ধরে লিনাক্সে আনবেন না। দরকার নেই। আপনি আমি না থাকলেও লিনাক্সের অগ্রযাত্রা থেমে থাকবে না।
- -লিনাক্সের শুধু সৌন্দর্য নয়, কদর্য কিছু থাকলে তাও তুলে ধরুন। যে লিনাক্সে আসবে, আসব জেনেই আসতে দিন। নইলে শেষে বদনাম ছড়াবে।
- -জানিয়ে দিন লিনাক্সে উইন্ডোজের অনেক সফটওয়্যার চালানো যাবে না। তার পর যখন প্রশ্ন করবে, “কিছুই চালানো যাবে না?” তখন বলুনঃ
- স্কাইপ, ফায়ারফক্স, ক্রোম, অপেরা, ভিএলসি প্লেয়ার, জে-ডাউনলোডার, লাস্টপাস, পিকাসা, ড্রপবক্স, কোড-ব্লকস, অভ্র, ফাইল জিলা, টরেন্ট, গুগল আর্থ, টিম ভিউয়ার, অ্যাডোব রিডার, 7 জিপ সহ সব ক্রস প্ল্যাটফর্ম সফটওয়্যার চলবে।
- জানিয়ে দিন বর্তমানে উইন্ডোজের প্রায় সব সফটওয়ারের লিনাক্স ভার্সন আছে।
- -জানিয়ে দিতে ভুলবেন না যে লিনাক্স ব্যবহার করলে কোনোদিন ক্র্যাক-কিজেন-সিরিয়াল খুঁজে জান কাবার করা লাগবে না। লিনাক্সের সবকিছুই ঝামেলামুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেয় আপনাকে। ফলে কিজেন খুঁজতে গিয়ে আপনাকে পড়তে হবে না ভাইরাসের পাল্লায়। এছাড়া উইন্ডোজের কোনো ভাইরাসই লিনাক্সে প্রভাব ফেলে না। ভাইরাসযুক্ত একটি পেন ড্রাইভ দিয়ে অবলীলায় কাজ করে যেতে পারবেন কোন সমস্যা ছাড়াই। বরং দেখবেন অন্য উইন্ডোজ ব্যবহারকারি তার পেন ড্রাইভ ফরম্যাট করে দেবার জন্য আপনাকে ডাকছে।
- -লিনাক্সে আছে সফটওয়ারের এক বিশাল ভান্ডার। এগুলো এক এক করে নানান ওয়েব সাইট থেকে খুঁজে বের করতে হবে না। সফটওয়্যার সেন্টারে গিয়ে কি টাইপের সফটওয়্যার চান লিখে সার্চ দিলেই সফট হাজির হয়ে যাবে। তবে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
- -কিছু আগ্রহোদ্দীপক কথা হচ্ছেঃ লিনাক্সে কোন মাদারবোর্ড ড্রাইভার, সাউন্ড ড্রাইভার ইন্সটল দেয়া লাগে না। বিল্ট ইন এজিপি হলে এজিপি ড্রাইভারও লাগে না। এছাড়া লিনাক্স ইন্সটল করতে মাত্র ১০ মিনিটের মত লাগে। সাথে সাথেই এটি দরকারি কাজের জন্য তৈরি। বসে বসে পিডিএফ রিডার, অফিস ইন্সটল করা লাগবেনা। মিডিয়া প্লেয়ার দেয়াই আছে(ভিএলসি+মিডিয়া রেস্ট্রিক্টেড কোডেক-লিনাক্স মিন্ট ডিভিডি) আপনি প্লে দিলেই বাজা শুরু হবে। ক্লিক করলেই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন খুলবে, পিডিএফ পড়তে পারবেন বসে বসে।
- -আর এই সবকিছুই করতে পারবেন লিনাক্স পিসির হার্ডডিস্কে ইন্সটল না করেই লাইভ সিডি(লিনাক্সের সব সিডিই লাইভ), লাইভ পেন্ড্রাইভ ব্যবহার করে
---Happy linuxing
02-Jul-11
সেই কারনেই উবুন্টু যেতে যেতে থেমে যাচ্ছি কারন আমি অনেক কিছু বুঝতে পারছি না। তবে আমার পিসিতে সবগুলোই সেটআপ দেয়া আছে [জানালা এক্সপি+সেভেন+উবুন্টু]