“সফটওয়্যার মুক্তি দিবস – ২০১৫” — বাংলাদেশ আয়োজন

মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন একটি সামাজিক আন্দোলন যার উদ্দেশ্য কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অধিকার সংরক্ষণ করা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন, মুক্ত সফটওয়্যার তৈরি করতে, ব্যবহার করতে এবং মানোন্নয়ন করতে উৎসাহ প্রদান করে। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন একদিনে রিচার্ড স্টলম্যান নামের সফটওয়্যারের যাদুকর এক বদ্ধ উন্মাদ নিজের মোটা মাইনের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে শুরু করেছিলেন মানবতার জন্য সফটওয়্যার উন্মুক্ত করার কাজ - “প্রজেক্ট গ্নু (GNU)”। সেই ব্যক্তিগত পাগলামো মার্কা উদ্যোগটাই আজ পৌঁছে গেছে সামগ্রিক ''সফটওয়্যার মুক্তি''র আন্দোলনে। প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ''মুক্ত সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন'' (Free Software Foundation বা FSF)। বিশ্বের বাঘা বাঘা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান যোগ দিয়েছে এই সংগঠনের সহযোগী হিসেবে। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় - ক্যানোনিক্যাল, গুগল, লিনাক্স ফাউন্ডেশনের নাম। ২০০৪ সাল থেকে এই আন্দোলনের শুরুর দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় শনিবারে।

আরো বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুন – http://wiki.softwarefreedomday.org থেকে। সারা পৃথিবীতে কারা কারা এই দিনটি উদযাপন করছে তা দেখতে হলে এখানে ঘুরে আসুন http://wiki.softwarefreedomday.org/CategoryTeam2015 থেকে।

বাংলাদেশে এই আন্দোলনের কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্ব আর প্রযুক্তিখাতে এই আন্দোলনের অবদান সবার সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্সী ইউনিভার্সিটি'র কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'র সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগ এবং এফওএসএস বাংলাদেশ (FOSS Bangladesh) যৌথভাবে আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশের উন্মুক্ত সফটওয়্যারপ্রেমী সকলকে সাথে নিয়ে ঢাকার দুইটি অবস্থানে ”সফটওয়্যার মুক্তি দিবস - ২০১৫” পালন করার পরিকল্পনা করেছে।

আয়োজন স্থল-১: প্রেসিডেন্সী ইউনিভার্সিটি, গুলশান, ঢাকা [১৯শে সেপ্টেম্বর, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা]
আয়োজন স্থল-২: প্রেসিডেন্সী ইউনিভার্সিটি, গুলশান-২, ঢাকা [বিশ্ববিদ্যালয়টি নির্ধারিত সময়ের আগেই ঈদের ছুটি ঘোষনা করায় আয়োজনটি আগামী মাসে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।]

আয়োজনের বিস্তারিত সূচী:

১। আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ঘোষনা করা হবে এবং সাথে কিছু স্বাগত বক্তব্য দেবেন আয়োজক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
২। আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের মুক্ত সফটওয়্যার ও লিনাক্স ডিস্ট্রোর ইতিহাস আর চিত্রসহ ডঙ্গল, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে প্রদর্শনী চলবে।
৩। আরো থাকছে ”সফটওয়্যার মুক্তি আন্দোলন” নিয়ে তথ্যভিত্তিক ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী।
৪। থাকছে "জিএনইউ/লিনাক্স ইন্সটলেশন ও ব্যবহারিক সহায়তা সেবা" বুথ। যেখানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকগণ আয়োজনে অংশগ্রহনকারীর পছন্দ অনুসারে তাঁদের ল্যাপটপ কিংবা নেটবুকে লিনাক্স ভিত্তিক বিভিন্ন ডিস্ট্রো ইন্সটল এবং ইন্সটল পরবর্তী নিত্য প্রয়োজনীয় সেটিংসগুলো করে দেবেন। (অনলাইনে ফর্মপূরনকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।)
৫। এছাড়াও আয়োজনস্থলে থাকবে বিভিন্ন জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রোগুলোর পেনড্রাইভে/পছন্দের মিডিয়াতে সংগ্রহের ব্যবস্থা।

জিএনইউ/লিনাক্স বিষয়ক ব্যবহারিক সাপোর্ট/সহায়তা সেবাটুকু নিশ্চিত করতে অগ্রীম রেজিষ্ট্রেশন করুন

আয়োজনের বিস্তারিত ও বিশ্ব মানচিত্রে আমাদের আয়োজনের অবস্থান দেখে/খুঁজে নিতে পারেন।

 

 

আপডেট: ১৯শে সেপ্টেম্বর, সন্ধ্যা ৭টা ২৫মিনিট

 

আয়োজনের কিছু ছবি।

“সফটওয়্যার মুক্তি দিবস – ২০১৫” বাংলাদেশ উদযাপন পরিষদ

Level New

আমি sagir42। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 48 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এই দেশ এমনিতে পাইরেটি যুক্ত দেশ এখানে মুক্ত আন্দেল দরকার নাই। কে কার কথা শুনে। বাজার হতে ৩০/৫০ উন্ডোস সিডি কিনে সেটাপ মারে। বিল গেইটস মনে হয় তার জন্য বানাইয়া দোকানে সাজাইয়া রাখছে। ৩০ টাকা যেখানে এক কেজি গরু মাংস পাওয়া যায় না। সেখানে বিল গেইট হাজার খানেক ইঞ্জিনয়ার বসাইয়া তার জন্য সিডি রেডি করে রাখছে। আমরা এমনতি মুক্ত বলা চলে । এই রকম চললে বাঙ্গালী একদিন ভুলের মাসুল দিতে হবে। যে খানে ডাক্তার প্রতি ভিসিটে চড়া টাকা নেয়। সে খানে সফট ইঞ্জিনায়ার মুক্ত সফট দিয়ে দেব। আপনাদের এই রকম পোষ্ট পড়ে অনেক মজা পাই। পন্ডিত পোষ্ট। আবার কি যানি আয়োজন করছেন , বাংলাদেশের যে ব্যান্ড উথ বাচে তা সরকার কে বলূন তরুন উদ্যাক্তদের কমশিন উপর ব্যবসা দিতে যা কিনা বাংলাদেশ থেকে সম্ভব । বিদেশ হতে অনেক টাকা আসবে। এই রকম পোষ্ট করুন ।

    Level New

    প্রিয় tareq hasan ভাই!
    প্রথমত লিখাটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
    দ্বিতীয়ত আমি খুব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আপনি “মুক্ত সফটওয়্যার” বলতে বিনামূল্যের বা মাগনা সফটওয়্যার বুঝেছেন যেটা পুরোটাই ভুল বুঝেছেন। অথচ আমার পোস্টের কোথাও এই ধরনের কোন কথা লিখা নেই। বরং আমার পোস্টের প্রথম লাইন, “মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন একটি সামাজিক আন্দোলন যার উদ্দেশ্য কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অধিকার সংরক্ষণ করা।” যদি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়তেন তাহলে বুঝতে পারতেন আমরা মুক্ত সফটওয়্যার বলতে এমন সফটওয়্যার বুঝাচ্ছি যেগুলো ব্যবহারকারীর অধিকার সংরক্ষণ করে।
    মুক্ত সফটওয়্যারকে ইংরেজিতে “Free Softwre” নামে অবিহিত করা হয়। শব্দটি সচেতন ভাবে এড়িয়ে যাওয়ার পরও আপনি এত বড় ভুল বুঝলেন দেখে বিস্মিত না হয়ে পারছি না।
    কোন সফটওয়্যারগুলো Free Software বা মুক্ত সফটওয়্যার হিসেবে অবহিত করা হয় তা বুঝতে নিচের লিংক থেকে একটু পড়াশোনা করে আসুন।
    https://www.gnu.org/philosophy/free-sw.html
    আশা করি জ্ঞানের বদ্ধ দরজা খুলে যাবে।
    যদি আরেকটু ভাল করে বুঝতে চান তাহলে কষ্ট করে নিচের লিংকটি থেকে পড়তে পারেন। বিশেষ করে এখানে রিচার্ড স্টলম্যানের যে ভিডিওটি আছে তা দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
    https://www.fsf.org/about/what-is-free-software

    আপনার বোঝার সুবিধার জন্য আবারও বলছি “Free Software” বা “মুক্ত সফটওয়্যার’ মানে বিনামূল্যের সফটওয়্যার বা মাগনা সফটওয়্যার না। Free শব্দটি এখানে Freedom বা মুক্ত বা স্বাধীনতাকে নির্দেশ করছে। যে সফটওয়্যারগুলোকে আমরা Free Software বা মুক্ত সফটওয়্যার বলছি সেগুলোর মাঝে অনেকগুলো সফটওয়্যারই রয়েছে যেগুলো আমাদের কিনে ব্যবহার করতে হয়। যেমন ওয়েব হোস্টিং এর জন্য আমরা যে সি প্যানেল সফটওয়্যারটি ব্যবহার করি সেটি কিন্তু একটি Free Software বা মুক্ত সফটওয়্যার কিন্তু আপনার ধারণা অনুযায়ী মাগনা বা বিনামূল্যের না। এটি ব্যবহার করার জন্য আমাদের অর্থ ব্যয় করতে হয়।

    যদি এর পরও বুঝতে না পারেন কিংবা কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কষ্ট করে আমাদের দুটো আয়োজনের যে কোন একটিতে চলে আসবেন। আয়োজনের সাথে প্রাসঙ্গিক আপনার যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং আপনাকে বুঝতে সহযোগীতা করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।

      mairalaise :p

        Level New

        প্রিয় আবদুর রহমান ভাই!
        লিখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
        তবে আপনার মন্তব্যটি পড়ে বুঝতে পারলাম না আপনি কি জন্য এমন কথা বললেন। একটু বিস্তারিত বললে খুশী হতাম।

Level New

আগামীকাল আমাদের প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনটি হচ্ছে না। প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগপূর্তির আয়োজন শেষে ক্যাম্পাস আজ শুক্রবার থেকে অলিখিত ঈদের বন্ধে চলে যাওয়ায় আয়োজনে অংশগ্রহণকারী বা শিক্ষার্থীদের পাওয়া যাবে না। যেহেতু আগামী দিনের ঐ সকল নাগরিকদের জন্যেই মূলত আমাদের আয়োজন তাই আমরা আয়োজনটি পিছিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।
আশা করি সবাইকে একসাথে পাচ্ছি, বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা ব্যাপী, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এবি বিল্ডিংয়ের লাউঞ্জে, সফটওয়্যার মুক্তি দিবস – ২০১৫’র বাংলাদেশ আয়োজনে। 🙂