[উবুন্টু টিউটরিয়াল] দেখে নিন উবুন্টুর কোথায় কী আছে . . .

উবুন্টু ইন্সটল তো হয়ে গেল ... উবুন্টু ইন্সটল করার পর বেশীরভাগ ব্যবহারকারী যে ঝামলায় পড়েন তা হল এর ইন্টারফেস নিয়ে । কোথায় স্টার্ট মেন্যু , কোথায় মাই কম্পিউটার আর কোথায় কন্ট্রোল প্যানেল ! একটা বারের যায়গায় দুই-দুইটা বার - কী আজিব ! আসলে উবুন্টুর জিনোম ডেস্কটপের ইন্টারফেস অনেক অনেক ব্যবহারবান্ধব - বিশেষ করে দুইটা বারের ( যদিএ এদের বলে প্যানেল 🙂 ) ব্যাপারটা । তবে চলুন চিনে নেই উবুন্টুকে - একবার চিনে নিলে দেখবেন উইন্ডোসের চেহারা ফালতু মনে হবে ।
ubuntu desktop

 

প্যানেলঃ প্রথমেই শুরু করি প্যানেল দিয়ে । উইন্ডোসে সাধারনত নীচে একটা মাত্র বার থাকে যার একপাশে থাকে Start মেন্যু আর আরেকপাশে সিস্টেম ট্রে । উবুন্টুতে এই বারকে বলা হয় প্যানেল আর প্যানেলও একটার বদলে থাকে ২ টা - উপরের টাকে আপার প্যানেল নীচেরটাকে লয়ার প্যানেল বলে । এই প্যানেলে ইচ্ছামত আপনি নানা উইজেট বসাতে পারেন ।

মেইনমেন্যু

এখানেই উবুন্টুর সব কন্ট্রোল এবং ডাইরেক্টরির পথ । এখানে তিনটা অংশ আছে - Application , Places , System । এই তিনটা অংশে কী কী থাকে আলাদা আলাদা বলছি -
Application : এপ্লিকেশন মেন্যু হল আপনার সকল ইন্সটল করা সফটওয়্যারের সাজানো একটা মেন্যু । ক্লিক করলেই দেখবেন গেমস , অফিস , গ্রফিক্স এমন করে আলাদা আলাদা মেন্যু করে সফটওয়্যারগুলো সাজানো আছে । নতুন কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করলে তাও তার নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি অনুযায়ী যুক্ত হয়ে যাবে । আপনাকে আর কষ্ট করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে না । নীচের Software Center টা ভালো করে দেখে রাখুন - সব সফটওয়্যার এখানেই পাবেন 🙂
Application Menu

 

Places : একটা জিনিস খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই উবুন্টুর ডেস্কটপে কোন মাই কম্পিউটার আইকন নাই ! তাহলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল পাবেন কোথায় ? এসবই আছে Places এ । এখানে আপনার সকল ড্রাইভ , হোম ফোল্ডার , ট্রাশ পাবেন । এমনকি নেটওয়ার্ক ড্রাইভের লিন্কও পাবেন এখান থেকেই । সাথে আছে রিসেন্ট ফাইল লিস্ট আর ফাইল সার্চ করার সুবিধা ।
Places Menu

 

System : এটা একটা গুরুত্বপূর্ন মেন্যু । এখানে দুইটা সাবমেন্যু আছে Preference আর Administration । Preference থেকে আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন সেটিংস - ডিসপ্লে , সাউন্ড , কী-বোর্ড ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন । Administration সাবমেন্যু থেকে করতে পারবেন প্যাকেজ মেনেজমেন্ট , সফটওয়্যার ইন্সটল , সফটওয়্যার সোর্স , ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট এর মত কাজ ।

নোটিফিকেশন এরিয়া

নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এর কী কাজ । এখানে সব সাউন্ড , নেটওয়ার্ক , কী-বোর্ড লে-আউট , চ্যাট , ম্যাসেন্জার সব কিছুর নোটিফিকেশন পাবেন । সাথে সময় আর তারিখ তো আছেই ।

সোশ্যাল মেন্যু

এইটা আবার কী ? উবুন্টু আরো অনেক বেশী সামাজিক বিল গেটস সাহেবের উইন্ডোজ থেকে 🙂 এখানে থেকে আপনি সরাসরি অনলাইন-অফলাইনে যেতে পারবেন । আপনার বন্ধুদের সাথে চ্যাট করতে পারবেন - আপডেট করতে পারবেন আপনার টুইটার কিংবা ফেসবুক স্ট্যাটাস !
চ্যাটের জন্য Chat Accounts এ যান আর ফেসবুক , টুইটার স্ট্যাটাস আপডেটের জন্য যান Broadcast Account এ ।

সেশন মেন্যু

এটা একটা মাত্র বাটন । এখান থেকে আপনি কম্পিউটার সাটডাউন করতে পারবেন , হাইবারনেট করতে পারবেন । আপনার একাউন্ট সচল রেখেই আরেক একাউন্টে লগইন করতে পারেন । আপনি ডাউনলোডে রেখেছেন এবং চাইছেন যেনো স্ক্রীন লক করা থাকে তাইলে আপনার জন্য Lock Screen সুবিধাও আছে সেখানে 🙂

ওয়ার্কস্পেস সুইচার

এই জিনিসটা আপনাদের কাছে নতুন । উইন্ডোসে একটা মাত্র ডেস্কটপে কাজ করা হয় । যখন অনেক গুলো প্রোগ্রাম একসাথে খোলা হয় তখন নিষ্চয়ই নীচের উইন্ডো লিস্টে একদম বাজার বসে যায় ? উবুন্টুতে আপনি অনেকগুলো ডেস্কটপ পাবেন - ইচ্ছামত উইন্ডো খুলতে পারেন যেকোন ডেস্কটপে । যেকোন সময় ডেস্কটপ পরিবর্তন করার জন্যই ওয়ার্কস্পেস সুইচার । উবুন্টুতে ডিফাল্টভাবে ৪ টা ওয়ার্কস্পেস থাকলেও আপনি ইচ্ছা করলে আরো বাড়িয়ে নিতে পারেন ।

এইতো পরিচয় হয়ে গেলো উবুন্টুর সাথে । আগামী পর্বে থাকছে সবচেয়ে গুরুতাবপূর্ন বিষয় " ইন্টারনেট কনফিগার " । ভালো থাকবেন সবাই ।

পুনঃ আমি আগেই বলেছিলাম লিনাক্স মিন্টের চেহারা প্রায় উইন্ডোসের মত কারণ এতে একটা মাত্র প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে আর স্টার্ট মেন্যুর মতই একটা মেন্যু আছে । স্ক্রীনশট দেখুন এখানে
উবুন্টুর ডেস্কটপ নিয়ে অভ্রনীল ভাইয়ের একটি অসাধারণ লেখা পড়ুন এখানে ( লিপটন ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ ) ।

Level New

আমি জামাল উদ্দিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 194 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সেই রকম !!!

    উবুন্টু আসলেই সেইরকম ! তবে টিউনটা আরো ভালো হতে পারত বিশেষ করে স্ক্রীনশটটা ।

Level 0

ভাল লাগল ধন্যবাদ

জামাল উদ্দিন ভাই আপনার টিউন গুলু খুবই মান সম্মত এবং শিক্ষনীয়,উবুন্টু নিয়ে এগিয়ে যান কথা দিলাম জীবনে একবার হলেও উবুন্টু ট্রাই করব এবং আপনার টিউন গুলুই অনুস্বরন করে,ধন্যবাদ।

    ধন্যবাদ , ট্রাই করে দেখুন । ভালো লাগবে আশা করি ।
    ভাল থাকবেন ।

জামাল ভাই আপনি তো দেখা যায় উবুন্তু মাস্টার।
আপনার কাছ থেকে অনেককিছুই শিখার বাকি আছে।
আশা করি সামনে এমন সুন্দর এবং শিক্ষনীয় টিউন আরো পাব।
সেই প্রত্যাশায়……….
ধন্যবাদ।

    ভাই , আমিও আপনাদের মতই শিখতেছি … আমার কাছ থেকে না শিখে আমার সাথে শিখেন 🙂
    ভালো থাকবেন , ধন্যবাদ ।

জামাল ভাই, আপনিই কি অভ্রনীল নামে লেখেন? আপনি যদি অভ্রনীল হয়ে থাকেন তাহলে ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, অসাধারণ সব লেখালেখি করার জন্য।

আসলে, নীচের লেখাটা দেখেই মনে প্রশ্ন আসলো যে আপনিই অভ্রনীল কিনা?

http://ovroniil.wordpress.com/2010/06/05/%E0%A6%89%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87/

ভাই আপনি যদি অভ্রনীল হয়ে থঅকেন তাহলে বলে ফেলেন ভাই, এই ব্যক্তিটি যে আসলে কে কিংবা উনি দেখতে যে কেমন কিছু ই জানিনা, কেউ জানে বলে মনে হয়না। কেন যে উনি নিজেকে আড়াল করে এত সুন্দর সুন্দর লেখালেখি করেন, তাই উনাকে জানার খুব ইচ্ছা। জামাল ভাই উত্তর কিন্তু দিতেই হবে।

    না রে ভাই , আমি জামাল উদ্দিন নামেই সব যায়গায় লিখি , ওয়ার্ডপ্রেসে লিখি আমার যেমন ইচ্ছা লেখার খাতায় । নীল ভাইয়ার লেখা এককথায় অসাধারণ , আমিও আপনার মতই উনার লেখার একজন ফ্যান ।

    লেখাটা আসলেই চমতকার , এই টিউটরিয়ালটার চেয়ে অনেক অনেক সুন্দর । এটার প্রকাশের সময়টাতে আমার পিসি ছিল না বলে নেটেও আসেত পারিনি – তাই চোখে পড়েনি । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে – দাড়ান এই লেখাটার লিন্কটা যোগ করে দিচ্ছি ।

জামাল ভাই খুব ভাল লাগল অপনার টিউনটা। উপরের যে প্যানেল বারটা রয়েছে, ভুলে একবার ডিলিট করা হয়েছিল। এখন আমার প্রশ্ন হলো কি ভাবে আগের মত করে বারটা ফিরিয়ে আনতে পারি? ধন্যবাদ আপনাকে।

    অবশ্যই আনতে পারেন । আপনি নীচের প্যানেলে রাইট ক্লিক করে New Panel এ দিন । উপরে নতুন একটা প্যানেল যোগ হয়ে যাবে ।
    প্যানেলের বাকি উপাদানের জন্য উপরের সদ্য যোগ করা প্যানেলে রাইট ক্লিক করে Add To Panel এ যান । Menu Bar , Shut Down , User Switcher , Notification Area যোগ করে সাজিয়ে নিন ।

    সমস্যা হলে জানাবেন ।

    ধন্যবাদ আপনাকে।আগের মত যেমন ছিল তেমন করে ফিরিয়ে আনা যাবে না।

    অবশ্যই যাবে ! আপনি আগের মত করে যোগ করে নিন তাহলেই তো হল 🙂

ভাই উবুন্তুতে K-lite-codec-pack সফটটা চালাব কি করে? এর কোন অফলাইন ভার্সন আছে কি?

    ভাই , উবুন্টুতে কে-লাইট এর কোন দরকার নেই – আর কেলাইটের কোন উবুন্টু বা লিনাক্স এডিশন ও নাই !

    উবুন্টুতে সকল প্রকার মিডিয়া ফাইল চানানোর জন্য সফটওয়্যার সেন্টার থেকে ubuntu-restricted-extras ইন্সটল করে নিন । ব্যস আপনার এককাজে তিন কাজ হয়ে যাবে – সকল মিডিয়া কোডেক ইন্সটল হয়ে যাবে , জাভা ইন্সটল হয়ে যাবে , উইনরার ফাইল খোলার সুবিধা যুক্ত হয়ে যাবে 🙂
    আর কিছু কি লাগে নাকি ? 🙂

ভাই কালকে নেট চিলনা বলে ফোরামে আসতে পারি নাই। তাই আপনার টিউনটা আজকে দেখলাম, পূর্বের মত আজকে ও খুবেই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

    আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।