আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আজকে আবার হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। আজকের এই টিউনটি মূলত ল্যাপটপ নিয়ে। আজকে আলোচনা করব বাজারের সেরা ল্যাপটপ গুলো নিয়ে যেগুলো ২০২০ সালে আপনি কিনতে পারেন।
ল্যাপটপ কেনার উপযুক্ত সময় হচ্ছে এখন। Ryzen 4000 এবং Intel এর 10th-gen চিপ একই সাথে নিয়ে এসেছে দারুণ সব ল্যাপটপ, দিচ্ছে অবিশ্বাস্য সব ফিচার। অন্য দিকে Apple ও নিয়ে এসেছে ARM ভিত্তিক ম্যাক-বুক। চলুন দেখা নেয়া সেরা সেই ল্যাপটপ গুলো।
জেনে নিন: 'এই মুহূর্তে বাজারের' সেরা চেইন টিউনের লিস্টের প্রতিটি প্রোডাক্ট ইন্টারন্যাশনাল ও গ্লোবাল মার্কেটের উপর বেসিস করে করা। যেহেতু টেকটিউনস একটি গ্লোবাল Tech Social Network. বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় ২৩০টি দেশে ও টেরেটরিতে টেকটিউনস কমিউনিটি বিদ্যমান। তাই আপনার পছন্দের প্রোডাক্টির Availability চেক করতে আপনার নিজ দেশের লোকাল কম্পিউটার শপ ও লোকাল কম্পিউটার শপের ওয়েবসাইট চেক করুন।
এই মুহূর্তে বাজারের সেরা আলট্রা পোর্টেবল ল্যাপটপ হিসেবে বিবেচনা করা যায় Dell XPS 13 কে। Dell XPS 13 এর ২০২০ সালের ভার্সনটিতে দেয়া হয়েছে দুর্দান্ত আপডেট! যা যেকোনো ল্যাপটপের পক্ষে বিট করা বেশ কঠিন। Dell XPS 13 এর ওজন HP Spectre x360 এর মতই মাত্র ২.৮ পাউন্ড। edge-to-edge কিবোর্ড এবং 1920 x 1200 টাচ ডিসপ্লে মিলিয়ে দারুণ এক কম্বিনেশন হচ্ছে Dell XPS 13।
Dell XPS 13 ভার্সনটি এসেছে একদম পাতলা ব্যাজেল এর সাথে এর Screen-to-Body Ratio, 91.5 % এবং সাথে আছে 16:10 Infinity Edge ডিসপ্লে। এর ব্রাইটনেস ও দারুণ যা 500 nits এবং আপনাকে 4K এর দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
Dell XPS 13 এর ব্যাটারি ব্যাকআপ ও আপনাকে খুশি করবে। মডারেট ইউজ এবং ওয়েব ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে একে একবার চার্জ দিলে ব্যবহার করা যাবে প্রায় ১২ ঘণ্টা। এতে আরও যুক্ত করা হয়েছে Windows Hello কম্পিটিবল ওয়েবক্যাম, ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার এবং WIFI 6।
ল্যাটেস্ট XPS 13 এই মেশিনে দেয়া হয়েছে Intel এর 10th-gen প্রসেসর। এর Core i3-1005G1 এর দাম শুরু হবে ৯৯৯ ডলার (প্রায় ৮৪, ৭০০ টাকা) থেকে এবং Core i7-1065G7 এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২১৯৯ ডলার (প্রায় ১৮৬৪০০ টাকা), একই সাথে ডিভাইসটিতে পাওয়া যাবে, 32GB RAM, একটি 1TB PCIe NVMe SSD, দুইটি Thunderbolt 3 USB-C পোর্ট, একটি microSD slot, এবং একটি 3.5mm audio jack। ল্যাপটপটিতে USB Type-A পোর্ট না থাকলেও বক্সে পেয়ে যাবেন একটি Type-A to Type-C এডেপ্টার।
তবে এর কিছু নেগেটিভ দিকও রয়েছে যেমন, এ ল্যাপটপটিতে পোর্ট সংখ্যা সীমিত এবং কিবোর্ডটি এত বেশি স্থায়ী হবে না বলে মনে হয়েছে।
সাধারণ ভাবেই যারা গেমিং পছন্দ করে তারা আলট্রা থিন ল্যাপটপ চান না বা গেমিং ল্যাপটপ গুলো এতটা পোর্টেবলও হয় না। কিন্তু আপনি যদি গেমিং এবং পোর্টেবল দুইটাই চান তাহলে আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে Razer Blade Stealth ল্যাপটপটি।
এতেও দেয়া হয়েছে 10th-gen Core i7 1065G7 প্রসেসর এবং সাথে পাবেন, GTX 1650 Ti Max-Q, 16GB RAM, একটি 512 GB NVMe SSD, Wi-Fi 6, এবং 120Hz ডিসপ্লে। যদি আপনি তাদের 4K ভার্সন পছন্দ করেন তাহলে পাবেন 60Hz এর একটি টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে।
এটি একটি Aluminum Chassis ল্যাপটপ এবং একই সাথে এতে আছে RGB লাইটিং। কানেক্টিভিটি হিসেবে এতে আছে, দুটি USB Type-A 3.1 পোর্ট, একটি USB-C Thunderbolt পোর্ট, একটি USB-C 3.1 Gen 2 এবং একটি 3.5-inch jack। এর ওজন 3.11lbs এবং এর সাথে দেয়া হয়েছে একটি 100W চার্জার।
এই 13.3-inch স্ক্রিনের ল্যাপটপটি GTX 1650 Ti এর সাথে আপনি পেয়ে যাবেন ১৭৯৯ ডলারে (প্রায় ১৫২৫১১ টাকা)।
আমার সব চেয়ে পছন্দে আলট্রা বুক হচ্ছে Spectre X360 13, যাতে দেয়া হয়েছে বাজারের সেরা 4K AMOLED টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে এবং একই সাথে এই ল্যাপটপটির 360-degree Hinge ব্যবহার করে এটিকে ল্যাপটপ থেকে ট্যাবলেটে কনভার্ট করা যাবে। সব মিলিয়ে ল্যাপটপটির ওজন মাত্র 2.8 পাউন্ড।
১৩৯৯ ডলারের (প্রায়১১৮৬০১ টাকা) এই মডেলটিতে দেয়া হয়েছে Intel এর 10th-gen Core i7-1065G7 প্রসেসর সাথে Iris Plus ইন্টিগ্রেডেট গাফিক্স। এতে আরও আছে 16GB RAM (DDR4-3200), 512GB SSD, এবং Intel এর 32GB Optane স্টোরেজ।
আগের ভার্সন থেকে এর ট্রাক-প্যাডকেও আপডেট করা হয়েছে। এটিতে উইন্ডোজ এর Single-finger Tracking, Two-finger Scrolling, এবং Multi-digit মত ফিচার গুলো আরও ভাল কাজ করবে আশা করা যায়। এর ট্র্যাক প্যাড কোয়ালিটি প্রায় MacBook Pro এর কাছাকাছি।
এতে আপনি পাবেন Windows Hello সাপোর্টেড ওয়েব-ক্যাম, ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর, Wi-Fi 6, দুটি Thunderbolt 3 USB-C পোর্ট, একটি microSD স্লট, একটি 3.5mm Audio jack, এবং একটি USB-A 3.1 পোর্ট।
এর একটি নেগেটিভ দিক হচ্ছে এর 16:9 ডিসপ্লে, যেখানে Dell এবং Microsoft এর ল্যাপটপ গুলোতে দেয়া হয়েছে 16:10 স্ক্রিন।
প্রতিবছরই বিজনেস ইউজের জন্য সেরা ল্যাপটপ হিসেবে বিবেচিত হয় Lenovo এর ThinkPad X1 Carbon ল্যাপটপটি। এর বেস মডেল ThinkPad X1 এ দেয়া হয়েছে Intel এর 10th-gen Core i5-10210U যা ১৩০০ ডলারে (প্রায় ১১০২০৮ টাকা) দিয়ে শুরু হবে। সাথে আরও আছে, Fingerprint reader, 8GB RAM, একটি 256GB PCIe SSD, Wi-Fi 6, Thunderbolt 3 এর সাথে দুটি Type-C ports, দুটি USB 3.1 Type-A পোর্ট, এবং HDMI 4.1।
এর আগের জেনারেশনের ল্যাপটপটি আরও কম দামের মধ্যে প্রায় ৯৯৯ ডলারে (প্রায় ৮৪৬৯০ টাকা) পাওয়া যাবে।
যারা বেশিভাগ সময় ট্রাভেল করেন এবং 2-in-1 পোর্টেবল ল্যাপটপ চান তাদের সেরা পছন্দ হতে পারে HP Elite Dragonfly ল্যাপটপটি। বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপটিতে পাওয়া যাবে LTE কভারেজ। ল্যাপটপটি বাছাই করা যাবে 400 nit Full-HD, 1, 000 nit Full-HD, 400 nit HDR এবং ফুল টাচ ডিসপ্লের সাথে। দারুণ এই ল্যাপটপটিতে একই সাথে ব্যবহার করা যাবে, Tablet, Laptop, Tent, অথবা Media মুড।
ল্যাপটপের কিবোর্ডটিও হাইলাইট করার মত সাথে আছে, দুটি USB-C (Thunderbolt 3) পোর্ট, একটি USB 3.1 Type-A, একটি HDMI, 3.5mm jack, External nano SIM, Fingerprint reader, Optional SureView Reflect স্ক্রিন যা Lenovo এর PrivacyGuard এর মত কাজ করবে, চারটি স্পিকার এবং Wi-Fi 6, । আর সব কিছু মিলিয়ে এর ওজন হবে মাত্র ২.২ পাউন্ড।
ল্যাপটপটির একটি ঘাটতি হিসেবে ধরা এতে ব্যবহার করা হয়েছে 8th-gen Whiskey Lake প্রসেসর (Core i5-8265U) এবং মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০৪ ডলার (প্রায় ১৪৪৭৯৬ টাকা)।
সব সময়ের মত Apple এর স্লিম এবং লাইট-ওয়েট ডিজাইনের জন্য সেরা ছিল MacBook Air। কিন্তু ২০১৮ সালে পুনরায় ডিজাইনের আগে এর আবেদন কিছুটা হারিয়ে যাচ্ছিল। তখন কিবোর্ড সহ আরও কিছু বিষয়ে পরবর্তীতে ইম্প্রুভমেন্ট আনা হয়।
MacBook Air এর ডিসপ্লে সব সময় দিয়েছে দারুণ ফিচার যেমন, ১৩, ৩-ইঞ্চি (২২7 পিপিআই) এর মধ্যে ২, ৫60০ x ১, 6০০ পিক্সেল রেটিনা ডিসপ্লেটি চমৎকার দেখায় এবং পাতলা ব্যাজেল দ্বারা এটিকে আরও উন্নত করা হয়েছে। একই সাথে এর কালার এডজাস্টমেন্ট এক কথায় অসাধারণ।
বেশির ভাগ Apple ম্যাক-বুকের মধ্যে MacBook Air এর ডিজাইন ছিল ব্যতিক্রম এবং তারা MacBook Pro এর মত এই ম্যাক-বুক থেকেও Butterfly কিবোর্ড বাদ দিয়েছে।
ম্যাক-বুক আরও দেয়া হয়েছে Touch ID সেন্সর। আপনি, 256GB স্টোরেজ, 10th-gen Intel [email protected], 8GB এর MacBook Air পেয়ে যাবেন ৮৯৯ ডলারে (প্রায় ৭৬২১৩ টাকা)।
পোর্ট হিসেবে এখানে পাবেন দুটি USB-C Thunderbolt 3 পোর্ট এবং হ্যাড-ফোন জেক, এর ওয়েব ক্যাম তেমন উন্নত করা হয় নি এবং রাখা হয় নি Wi-Fi 6। তারপরেও আপনি ম্যাকবুক ফ্যান হলে আপনার জন্য সেরা হতে পারে এই এন্ট্রি লেভেলের ম্যাক-বুকটি।
যেখানে বর্তমান গেমারদের জন্য 120Hz Refresh Rate যথেষ্ট নয় সেখানে Razer Blade 15 নিয়ে এসেছে 300Hz, Refresh Rate এর স্ক্রিন। দারুণ এক গেমিং ল্যাপটপ হিসেবে ৫ পাউন্ডের এই Razer Blade 15 ল্যাপটপটি এক কথায় অসাধারণ। এটি একটি Aluminum Chassis ল্যাপটপ যাতে আছে RGB লাইটিং।
বেস মডেল থেকে Advanced Edition মডেল বাছাই করার অর্থ এখানে পাবেন 300Hz 1080p IPS স্ক্রিন এবং RTX 2080 Super Max-Q, GPU। এটি প্যাক করা হয়েছে, Eight-core i7-10875H CPU (turbo speed: 5.1GHz), 64GB RAM, এবং একটি 1 TB M.2 NVMe SSD দিয়ে।
কানেক্টিভিটি ফিচার হিসেবে এতে আছে, তিনটি USB 3.2 Gen 2 Type-A পোর্ট, একটি USB-C 3.2 Gen 2 পোর্ট, HDMI 2.0b, একটি 3.5mm jack, এবং একটি Thunderbolt 3 USB-C পোর্ট। আপনি আরও পাবেন Wi-Fi 6, Vapor Chamber কুলিং, এবং একটি SD card reader। একই সাথে এর কিবোর্ড এবং ট্র্যাক-প্যাড উভয় দারুণ।
Blade Advanced এসেছে আরেকটি 60Hz 4K OLED স্ক্রিন অপশনের সাথে কিন্তু অধিকাংশ গেমাররা 300Hz মডেলকেই বেশি পছন্দ করে।
এর একটি অসুবিধা যদি বলি তাহলে বলতে হবে এর ক্যামেরা হচ্ছে 720p এবং RTX 2080 Super মডেলটির দাম ২৯৯৯ ডলার (প্রায় ২৫৪২২৪ টাকা)।
আসছে দিন গুলোতে হাই-এন্ড টিভি এবং ফোন গুলোর ভবিষ্যৎ হতে যাচ্ছে OLED। কিন্তু আপনি হয়তো সব সময় ল্যাপটপে এই প্রযুক্তি দেখেন না। যখন ল্যাপটপে OLED ব্যবহৃত হবে তখন বিষয়টি আসলেই অন্যরকম হয়।
Gigabyte Aero OLED 15 4K AMOLED ল্যাপটপটি জন্য এক কথায় দুর্দান্ত। এটি পেয়েছে VESA DisplayHDR 400 True Black সার্টিফিকেশন, তার মানে হচ্ছে এই স্ক্রিনে পাবেন, True HDR Performance, 100 percent DCI-P3 কভারেজ, 99.8 percent sRGB কভারেজ এবং 93.5 percent Adobe RGB কভারেজ। আর এই সব কিছু ক্রিয়েটরদের কাছে ল্যাপটপটিকে এক কথায় অসাধারণ করে তুলেছে।
OLED স্ক্রিনের সাথে ডিভাইসটিতে যুক্ত করা হয়েছে দারুণ কিছু হার্ডওয়্যারও যেমন, RTX 2070 Super Max-Q যা 2080 S Max-Q পর্যন্ত আপগ্রেড করা যাবে এছাড়াও আপনি প্রসেসির হিসাবে পিক করতে পারবেন Core i7-10750H, Core i7-10875H, এবং i9-10980HK, ৬৪ জিবি পর্যন্ত RAM দুটি 512GB SSD। আর সব কিছু কুল রাখতে এতে দেয়া হয়েছে 71-blade ফ্যান এবং পাঁচটি হিট পাইপ।
ক্রিয়েটর এবং গেমারদের জন্য রাখা হয়েছে, তিনটি USB 3.2 Gen1 (Type-A) পোর্ট, একটি 1x Thunderbolt 3 (Type-C), একটি HDMI 2.0, একটি মিনি DP 1.4, 3.5 mm jack, একটি Card reader, এবং RJ-45। আরও আছে Wi-Fi 6, Bluetooth 5, এবং Ethernet E2600।
তবে ডিসপ্লে দারুণ হলেও এটি টাচ সাপোর্টে-ড নয় এবং এখানে OLED পুড়ে যাওয়ার ভয় কাজ করে। ল্যাপটপটির RTX 2070 মডেলের দাম শুরু হবে ২৫০০ ডলার (প্রায় ২১১৯৩৯ টাকা) থেকে।
সব সময় যে গেমিং ল্যাপটপ গুলো ভারী এবং মোটা হবে এটা ভুল বলে প্রমাণ করেছে Asus ROG Zephyrus G14।
গতানুগতিক গেমিং ল্যাপটপে বাইরে Asus ROG Zephyrus G14 প্রায় আলট্রা মেডেল গুলোর মতই। একই সাথে এই ল্যাপটপটি, ৩.৫ পাউন্ড ওজন, দাম, পারফ্রমেন্স ডিসপ্লে, ব্যাটারি সব মিলিয়ে দারুণ এক কম্বিনেশন।
এই ল্যাপটপের কিবোর্ডে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন AniMe Matrix লাইটিং ইফেক্ট।
এটি গেমার এবং প্রযুক্তি প্রেমি সবারই দারুণ পছন্দ হবে। এটি প্রথম ল্যাপটপ যেখানে দেয়া হয়েছে Ryzen 4000 চিপ। সুতরাং এতে আছে 8-core/16-thread Ryzen 9 4900HS। আমরা এর 7nm প্রসেসরের পারফরমেন্স দেখে আসলেই মুগ্ধ হয়েছি।
Ryzen 9 4900HS এর পরিপূরক হিসেবে ল্যাপটপটিতে দেয়া হয়েছে, RTX 2060 Max-Q GPU, 16GB 3200MHz SD RAM, এবং একটি 512GB/1TB M.2 NVMe PCIe SSD। এখানে আরও আছে একটি 120Hz FHD ডিসপ্লে যা ১০০ % sRGB color gamut কাভার করতে পারে এখানে AMD এর FreeSync টেকনোলজিও সাপোর্ট করে।
কানেক্টিভিটি হিসেবে এতে আছে, দুটি USB-C, দুটি USB-A, HDMI 2.0, একটি 3.5mm audio jack, Wi-Fi 6, এবং Bluetooth 5। এটি USB-C দিয়েও চার্জ হতে পারে, তবে 108W এর একটি এডেপ্টার জেক ও রাখা হয়েছে।
Asus ROG Zephyrus G14 এর ব্যাটারি ব্যাকআপও অসাধারণ। আমাদের ভিডিও টেস্টে এর চার্জ ছিল প্রায় ১৩ ঘণ্টার মত। তবে এতে নেই Thunderbolt 3 এবং ওয়েবক্যাম। এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৪৯ ডলার (প্রায় ১২২৮৩৯ টাকা)।
১০০০ ডলার (প্রায় ৮৪৭৭৫ টাকা) বাজেট গেমিং ল্যাপটপের জন্য সেরা হতে পারে Dell G5 15৷ মাত্র ৭০০ ডলার (প্রায় ৫৯৩৪২ টাকা) দিয়েই আপনি নিতে পারেন গেমিং এর জন্য Dell G5 15 ল্যাপটপটি। এতে আছে স্টাইলিশ ডিজাইন, চমৎকার গ্রাফিক্স পাওয়ার, 4-zone RBG কিবোর্ড, Nahimic 3D audio এর সাথে ডুয়েল স্পিকার। তবে ল্যাপটপটি কিছুটা ভারী এবং বড়।
আপনি এই দামের মধ্যে গেমিংকে ভাল ভাবেই হ্যান্ডেল করতে পারবেন এই Dell G5 ল্যাপটপটি দিয়ে।
এই ল্যাপটপের বেস মডেলটিতে দেয়া হয়েছে, 10th-gen Core i5-10300H, 8GB DDR4-2933MHz RAM, এবং একটি 256GB M.2 PCIe NVMe SSD। গেমিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ কোম্পোনেন্ট হিসেবে দেয়া হয়েছে GTX 1650 Ti (4GB GDDR6)। আপনি চাইলে অতিরিক্ত ৮০ ডলার যোগ করে GTX 1660 Ti দিয়ে এর গেমিং পারফরমেন্স আরও বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
তাছাড়া কিছু কিছু দেশে এর G3 SE ভার্সনও পাওয়া যায় যাতে আছে, Ryzen 4800H CPU এবং Radeon RX 5600M।
কানেক্টিভিটির জন্য এতে দেয়া হয়েছে, 2 x USB 2.0, 1 x USB 3.2 Gen 1, USB-C, এবং HDMI 2.0, এর GTX 1660 Ti মডেলে পাবেন, একটি Thunderbolt 3 পোর্ট, একটি mini-Display পোর্ট, এবং একটি Killer E2500 v2 2x2 Gigabit Ethernet পোর্টের এর মত সুবিধা।
ব্যাটারি ব্যাকআপ খারাপ না ল্যাপটপটিতে মডারেট ইউজ এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে এটা ব্যবহার করা যাবে প্রায় ৮ ঘণ্টার মত।
Envy x360 সিরিজটি নিয়ে HP কয়েক বছর ধরে মোমেন্টাম তৈরি করেছে। এর প্রথম Envy x360 এর দাম, দুর্দান্ত ডিজাইন এবং গুণগত মানের জন্য একটি চিত্তাকর্ষক ডিভাইস ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের সর্বশেষ সংস্করণ গুলো আরও উন্নত করা হয়েছে, এর ১৩ ইঞ্চি (3 পাউন্ড) এবং 15 ইঞ্চি (4.5 পাউন্ড) মডেলগুলিতে পাওয়া যায় যাতে আছে Ryzen 4000 সিরিজের CPU, এবং দাম শুরু হয় ৫৯৯ ডলার (প্রায় ৫০৭৮০ ডলার) থেকে।
এর বেস ভার্সন এসেছে Ryzen 3 4300U এর সাথে তবে আপনি আরও ১০০ থেকে ১৫০ ডলার (প্রায় ১২৭১৬ টাকা) যোগ করে পেয়ে যাবেন, Six-core Ryzen 5 CPU, 8GB RAM এবং একটি 256GB SSD এর মত কনফিগারেশন। যা নিতে পারবে এভারেজ ওয়ার্কলোড এবং আপনাকে দিতে পারবে মাল্টিটাস্কিং সুবিধা।
কানেক্টিভিটি হিসেবে ডিভাইসটিতে আছে, USB Type-A পোর্ট একটি USB-C পোর্ট, DisplayPort 1.4 এবং HDMI output (Thunderbolt 3 নয়), একটি microSD slot, Standard headphone/mic input, এবং একটি 720p ওয়েবক্যাম।
এতে Wi-Fi 5 থাকবে আপনি চাইলে ৫০ ডলার (প্রায় ৪২৩৮ টাকা) বাড়িয়ে এটিকে Wi-Fi 6 এ আপগ্রেড করে নিতে পারবেন। একই সাথে এর 300-nit ডিসপ্লে কেও আপগ্রেড করা সম্ভব।
এটি একটি Metal Chassis ল্যাপটপ সাথে আছে 360-degree Hinge, এবং 1080p টাচ ডিসপ্লে।
এবং সব মিলিয়ে ৭০০ ডলার (প্রায় ৫৯৩৪২ টাকা) বা তারও কম খরচ করে পেয়ে যাবেন এই দারুণ HP Envy x360 13 ল্যাপটপটি।
এই মহামারীতে অনলাইন পড়াশুনার জন্য বিভিন্ন ডিভাইসের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর বিশেষ করে ডিভাইস গুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে Zoom সহ বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম। আর এই কাজ গুলো করতে আপনার জন্য উপযুক্ত Chromebook নিয়ে এসেছে Lenovo।
সাধারণ ভাবে কম দামী Chromebook গুলো কেনার পরামর্শ না থাকলেও Lenovo তাদের ল্যাপটপ গুলোকে কার্যকরী এবং সঠিক কম্পোনেন্ট দিয়ে প্যাক করেছে। ল্যাপটপ গুলোর দামও শুরু হবে ২৭৯ ডলার (প্রায় ২৩৬৫২ টাকা) থেকে।
Lenovo Chromebook Duet এর বেস মডেলে থাকবে 4GB RAM এবং 64GB স্টোরেজ এবং octa-core 2.0GHz MediaTek Helio P60T প্রসেসর। আরও পাবেন একটি 10.1-inch WUXGA (1900x1200) ডিসপ্লে। আপনি এটি দিয়ে সাধারণভাবেই প্রফেশনাল লেভেলের কোন কাজ করতে পারবেন না, তবে লাইট ইউজ, ভিডিও স্ট্রিমিং, ভিডিও কলের মত কাজ গুলো ভাল ভাবেই করা যাবে Lenovo Chromebook Duet দিয়ে।
এই দামের ভেতরে দুটি ক্যামেরা কিন্তু দারুণ একটি বিষয়। এতে আছে একটি 2MP ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং একটি 8MP প্রাইমারি ক্যামেরা।
এর ব্যাটারি ব্যাকআপ এই দামে দারুণ, এটি একবার চার্জ দিলে চলে যাবে প্রায় ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা।
এটি Chromebook হওয়াতে এতে পাবেন Chrome OS এর বিভিন্ন ফিচার গুলো। যেমন এতে থাকবে ফাস্ট বুট প্রতি ছয় স্পতাহ পর পর অটোমেটিক ব্যাকগ্রান্ড আপডেট, এবং Google Assistant সহ আরও অনেক সুবিধা।
আগে থেকেই Dell এর XPS 15 সিরিজটি ছিল ম্যাকবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী, এবং তারই ধারাবাহিকতায় এর সর্বশেষ ভার্সনটিকে বিবেচনা করা যায় পারফেক্ট প্রোডাক্টিভিটি মেশিন হিসেবে। আপনি যদি আগে Dell XPS ব্যবহার করে থাকেন তাহলে জানার কথা একটি ল্যাপটপে যত সুবিধা দেয়ার কথা সবই পেয়ে যাবেন ল্যাপটপে।
আগের থেকে এ বছর Dell তাদের XPS কে আরও চিকন করেছে বর্তমানে এর ওজন আনা হয়েছে ৪.৫ পাউন্ডে এতে দেয়া হয়েছে Aluminum Chassis। এতে আরও দেয়া হয়েছে Quad-speaker এরেঞ্জমেন্ট যা আপনাকে দেবে সেরা অডিও অভিজ্ঞতা।
একই সাথে Microsoft Surface Book এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে Dell প্রোডাক্টিভিটির দিকে আরও নজর দিয়ে যুক্ত করেছে, non-touch FHD+ (1, 920 x 1, 200) অথবা Touch UHD+ (3, 840 x 2, 400), 16:10 ডিসপ্লে। যার ব্রাইটনেস 500 nits, যা 100% Adobe RGB spectrum এবং 94% DCI-P3 color Gmut কাভার করবে।
সর্বশেষ মডেলকে তারা করে তুলেছে সম্পূর্ণ ম্যাক-বুক। XPS 15 এ দেয়া হয়েছে তিনটি USB Type-C পোর্ট যার দুটিতে Thunderbolt 3 সাপোর্ট করে। তাদের XPS 17 এ দেয়া হয়েছে চারটি USB Type-C পোর্ট যার সব গুলোই Thunderbolt 3 সাপোর্ট করে। এতে আরও আছে HDMI 2.0 Dongle, SD card reader, Wi-Fi 6, Bluetooth 5.1, এবং 2x2 MIMO এন্টেনা।
হার্ডওয়্যারের কথা বলতে গেলে আপনি 15" মডেলে পাবেন Core i7-10875H, GTX 1650 Ti, 16GB RAM, এবং একটি 512GB M.2 PCIe NVMe SSD। তাছাড়া এর ট্র্যাকপ্যাডটি বেশ বড়। সব মিলিয়ে বেশ ভাল ভাবেই করা যাবে বিভিন্ন প্রো লেভেলের কাজ।
ল্যাপটপটির নেগেটিভ দিক বলতে গেলে এর GPU কিছুটা দুর্বল আবার শুধু মাত্র USB-C পোর্ট অনেকের কাছেই ভাল লাগে নি।
Dell XPS এর 15-inch মডেল গুলোর দাম শুরু হবে ১২৯৯ ডলার (প্রায় ১১০১২৩ টাকা) থেকে এবং 17-inch এর দাম শুরু হবে ১৩৯৯ ডলার (প্রায় ১১৮৬০১ টাকা) থেকে।
আপনি যদি বিশাল স্ক্রিনের বড় ল্যাপটপ চান তাহলে আপনার জন্য সেরা হতে পারে LG Gram 17 ল্যাপটপটি।
এর আছে একটি 15-inch এবং 17-inch মডেল। ডিসপ্লে হিসেবে ল্যাপটপটিতে পাচ্ছেন 2, 560 x 1, 600, 16:10 ratio এর একটি IPS ডিসপ্লে, যার আছে 95% sRGB কভারেজ। এতে ব্যবহার করা হয়েছে 10-Gen i7-1065G7 প্রসেসর, 16GB RAM, এবং একটি 1 TB SSD। গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে আছে Iris Plus Graphics।
LG Gram 17 এর ব্যাটারি ব্যাকআপও দারুণ, LG এর দাবী এই ল্যাপটপটি ব্যাটারি ব্যাক-আপ দেবে প্রায় ১৭ ঘণ্টার মত। কানেক্টিভিটির কথা বলতে গেলে এখানে দেয়া হয়েছে, HDMI, তিনটি USB 3.1 Type-A, USB Type-C (Thunderbolt 3), UFS/Micro-SD, ethernet, Wi-Fi 6, এবং Bluetooth 5।
তবে LG Gram 17 এর দাম পড়বে ১৬৯৯ ডলার (প্রায় ১৪৪০৩৩ টাকা)।
আমাদের সবারই জানা Apple প্রোডাক্ট গুলোতে কোন ভাবেই দড়াদড়ি করার এর সুযোগ নাই, যাই হোক আপনি যদি সেরা প্রোডাক্টিভিটি MacBook চান তাহলে আপনার জন্য ভাল হবে MacBook Pro 16।
এতে প্রফেশনালি দেয়া হয়েছে, 9th-gen, 8-core Core i9 CPU (up to 5 GHz), up to 64GB RAM, up to Radeon Pro 5600M, এবং up to 8 TB of SSD এর মত কনফিগারেশন। এর দাম শুরু হবে ২৪৯৯ ডলার (প্রায় ২১১৮৫৪ টাকা) থেকে ৬৬৯৯ ডলার (প্রায় ৫৬৭৯১২ টাকা) পর্যন্ত।
MacBook Air এর মত এই মডেল থেকেও Butterfly Keyboard সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ইনপুট মেথড গুলো আরও উন্নত করা হয়েছে।
MacBook Pro 16 মডেলটি সবচেয়ে বেশি আবেদনীয় এর ডিসপ্লের জন্য, এতে আছে এর মত সুবিধা। নতুন এই মডেলের স্ক্রিন সাইজ বাড়ানো হয়েছে ১৬ ইঞ্চি পর্যন্ত। 16:10 aspect ratio এর ডিসপ্লে 4K এর জন্য ভাল না হলেও এটি দেবে 3, 072 x 1, 920 পিকচার অভিজ্ঞতা। ডিসপ্লের ব্রাইটনেস 500 nits পর্যন্ত, এটি 100% sRGB এবং 84% Adobe RGB কভারেজের জন্যও বেশ প্রশংসিত।
XPS 17 এর মতই এতে আছে লিমিটেড USB Type-C (সব গুলো Thunderbolt 3) পোর্ট, যা অধিকাংশ ইউজারদের কাছেই ভাল লাগে নি।
তবে দুয়েকটা অসুবিধা থাকলেও প্রোডাক্টিভিটি এবং জন্য MacBook Pro 16 কে চ্যালেঞ্জ করার মত ল্যাপটপ বাজারে নেই।
তৃতীয় প্রজন্মের Surface Book এ উল্ল্যেখযোগ্য কোন পরিবর্তন না আনা হলেও এটি রুপান্ত্রযোগ্য ল্যাপটপ হিসেবে এখনো দারুণ।
এর 2-in-1 ডিজাইনটি এখনো বেশ আকর্ষনীয় যা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে ভিডিও ওয়াচিং এবং প্রজেন্টেশনের জন্য দুর্দান্ত।
Surface Book এর PixelSense টাচস্ক্রিনটি এককথায় অসাধারণ, আপনি চাইলে এর 3, 000 x 2, 000 13.5-inch মডেল অথবা 3, 240 x 2, 160 15-inch ভার্সন সিলেক্ট করতে পারেন উভয় আপনাকে দেবে 3:2 Aspect Ratio যা যেকোনো প্রডাক্টিভ কাজে আপনাকে দারুণ সাহায্য করবে।
এতে আরও যুক্ত করা হয়েছে, 10th-gen Intel CPUs (Core i7-1065G7), গ্রাফিক্সের জন্য বাছাই করতে পারবেন একধিক অপশন যেমন, GTX 1650, 1660 Ti Max-Q অথবা Quadro RTX 3000 Max-Q। একই সাথে আছে আপ টু 32GB of RAM, 2TB PCIe SSD স্টোরেজ। সাথে সাথে মাইক্রোসফট ডিভাইসটির ক্যামেরা, মাইক্রোফোন এবং ব্যাটারি লাইফকেও আরও উন্নত করেছে।
কানেক্টিভিটি অপশন হিসেবে Surface Book এর সর্বশেষ ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছে, দুটি USB-A 3.1 Gen 2 পোর্ট, একটি USB Type-C, একটি হ্যাডফোন জ্যাক, SDXC Card Reader। ডিভাইসটিতে একই সাথে সাপোর্ট করবে, Windows Hello, ফ্রন্ট ফেসিং স্পিকারে সাপোর্ট করবে Dolby Atmos, এতে আরও আছে Bluetooth 5, যা দিয়ে সহজেই Xbox One controller এ কানেক্ট হওয়া যাবে।
Surface Book এর নেগেটিভ দিক বলতে এটি এখনো বেশ ভারী বিশেষ করে ১৫ ইঞ্চি মডেলটি এবং এতে দেয়া হয় নি Thunderbolt 3। অন্যদিকে এটি বেশ ব্যয় বহুলও বলা চলে যেমন এটি সবচেয়ে ছোট সাইজের দাম ১৪০০ ডলার (প্রায় ১১৮৬৮৫ টাকা) এবং বড়টির দাম ২২৪২ ডলার (প্রায় ১৯০০৬৭ টাকা) পর্যন্ত।
যাক আলোচনা করে ফেললাম এই মুহূর্তে বাজারের সেরা ল্যাপটপ গুলো নিয়ে। এই টিউনে আমি মোটামুটি প্রভাবশালী সকল ব্র্যান্ড গুলোর ল্যাপটপ নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছি। এবার আপনার বাজেট এবং কাজ অনুযায়ী সেরা ল্যাপটপটি বেছে নিন।
টিউনে বাজেট ল্যাপটপ থেকে শুরু করে হাই প্রোডাক্টিভিটি ল্যাপটপ গুলোও নিয়ে আসার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যাতে সকল গ্রাহকরা এই টিউন থেকে উপকৃত হতে পারে এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তো কেমন হল এই টিউনটি জানাতে ভুলবেন না, টিউমেন্ট করুন আপনার জন্য কোন ল্যাপটপটি বাছাই করলেন।
আজকে এই পর্যন্তই, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে সে পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।