বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ সবকিছু কম্পিউটার এর উপর নির্ভরশীল। তবে অনেকেই জানেন না কিভাবে পরিষ্কার রাখবেন আপনার ভালোবাসার কম্পিউটার
✴️কতদিন পর পর কম্পিউটার পরিষ্কার করা উচিৎ?
🔸সাধারণত আপনি যদি বাসায় ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে ৫-৬ মাস অন্তর অন্তর পরিষ্কার করতে পারেন। আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোন ফ্যাক্টরিতে যেখানে ধুলা-বালি বেশি এবং একাধিক ব্যক্তি কম্পিউটারটি ব্যবহার করেন, সেখানে আপনি ২-৩ মাস পর পর পরিষ্কার করলে ভালো পারফরমেন্স পাবেন।
✴️কম্পিউটার পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
আপনার কম্পিউটার বা এর যন্ত্রাংশগুলো পরিষ্কার করার সাধারণ কিছু টিপস উল্লেখ করা হলো এখানে। এর পরবর্তীতে আমরা জানবো কোন নির্দিষ্ট যন্ত্র কিভাবে সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করা যায়।
🔸কম্পিউটার বা এর যন্ত্রাংশ পরিষ্কার করার আগে সেটি বন্ধ করে নিন।
🔸কম্পিউটারের কোন অংশে সরাসরি কোনকিছু স্প্রে করবেন না বা সরাসরি কোন লিকুইড ঢালবেন না। একটি কাপড়ের উপর লিকুইড বা স্প্রেটি প্রয়োগ করুন তারপর সেটি কম্পিউটারের নির্দিষ্ট অংশে ব্যবহার করুন। 🔸পরিষ্কার করার সময় সাবধান থাকুন যেন কোন নব বা কানেকশন নড়ে না যায়। বিশেষ করে যখন কম্পিউটারের পেছনের দিকটি পরিষ্কার করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন কোন প্লাগ ছুটে না যায়।
🔸যখন ফ্যান পরিষ্কার করবেন তখন ফ্যানটি ধরে রাখুন অথবা কোন কিছু দিয়ে আটকে রাখুন যেন এটি না ঘুরে। ভ্যাকুয়াম বা কম্প্রেসড এয়ার স্প্রে করার ফলে আপনার ফ্যানটি এর কার্যকারিতা হারাতে পারে। সুতরাং এটি করা থেকে বিরত থাকুন।
🔸কম্পিউটারের কাছাকাছি কোন খাবার খাবেন না বা পানীয় পান করবেন না।
🔸কম্পিউটারের কাছে বসে ধূমপান করবেন না বা করলেও কম করার চেষ্টা করুন।
✴️কম্পিউটার পরিষ্কার করার যন্ত্রপাতিঃ
🔸কাপড়ঃ কম্পিউটার বা এর যেকোন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি মোছার জন্য সবচেয়ে উত্তম জিনিস হচ্ছে কটন বা সুতি কাপড়। উল্লেখ্য, কম্পিউটারের কেইস, ড্রাইভ, মাউস এবং কিবোর্ড পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কাপড় ব্যবহার করুন। কোন সার্কিট, যেমনঃ র্যাম, মাদারবোর্ড ইত্যাদি কখনই কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করবেন না।
🔸পানি বা রাবিং অ্যালকোহলঃ সুতি কাপড়ে পানি বা রাবিং দিয়ে ভিজিয়ে ব্যবহার করা সর্বোত্তম। কারণ অন্য কোন লিকুইড কম্পিউটারের প্লাস্টিকে দাগ ফেলতে পারে।
🔸পোর্টেবল ভ্যাকুয়ামঃ ধুলা, ময়লা, সিগারেটের ছাই ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু অবশ্যই ব্যাটারিযুক্ত পোর্টেবল ভ্যাকুয়াম ব্যবহার করতে হবে। কারণ সরাসরি এসি প্লাগের ভ্যাকুয়াম প্রচুর পরিমাণ স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন করে যা আপনার কম্পিউটারকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
🔸 বাডঃ যেসব জায়গা খুব সুক্ষ এবং ছোট সেসব জায়গায় কটন বাড ব্যবহার করা খুবই সুবিধাজনক। কটন বাডটি পানি বা রাবিং অ্যালকোহলে ভিজিয়ে নিয়ে তারপর মাউস, কিবোর্ড বা অন্যান্য যন্ত্রপাতির ফাঁক-ফোকরগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।
🔸কম্প্রেসড এয়ারঃ এটি অনেক ক্ষেত্রে পোর্টেবল ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে, মাদারবোর্ড পরিষ্কার করার সময় এটি অধিক কার্যকরী।
আশা করি এ বিষয়গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে, আজ তাহলে এ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এ ধরনের আরো বিষয় জানতে হলে আমার সাইটে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে প্রবেশ করতে এইখানে ক্লিক করুন
আমি তাহমিনা আক্তার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি তাহমিনা আক্তার ঢাকার মেয়ে , আমি কাজ করছি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ৷ লিখতে অনেক ভালো লাগে তাই টেকটিউনস এ আসা আমার নিজেরও একটি ব্লগসাইট আছে মন চাইলে ঘুরে আসতে পারেন https://dsbwe.blogspot.com/?m=1
দারুন পোস্ট আপু!