অ্যাপল ব্রান্ডের ম্যাকবুক সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। অনেকেই ম্যাকবুক চালান, আবার অনেকেই শখ রাখেন একদিন ম্যাকবুক চালাবেন। ম্যাকবুকের মূলত তিনটি মডেল বাজারে রয়েছে, এগুলো হলো ম্যাকবুক, ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার। এই তিনটির ডিজাইনই একই ধাঁচের হলেও এদের মধ্যে পারফরমেন্স, পাওয়ার এবং দামের দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। কম্পিউটার শপে গিয়ে যদি বলেন ম্যাকবুক দিতে তখন আপনাকে এই মডেলগুলোর নাম উল্লেখ করে বলা হবে কোনটি নেবেন। এখন আপনার এই মডেলগুলোর সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলে তখন আপনি পড়তে পারেন বিপদে। আর আপনাকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে আমি আজ নিয়ে এলাম আপনার জন্য কোন ম্যাকবুক মডেলটি কেনা উচিত সেটা বলতে। সরাসরি মডেলগুলোতে যাবার আগে চলুন আসে দেখে নেই এই ম্যাকবুক, ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ারের মধ্যে পাথর্ক্যগুলো কোথায়:
একটি সাধারণ ল্যাপটপ আর ম্যাকবুকের মধ্যে দেখার দিক থেকে আপনি তেমন কোনো পার্থক্য পাবেন না। সাধারণ ল্যাপটপে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ কিংবা অনান্য অপারেটিং সিস্টেম আপনি পাবেন আর অন্যদিকে সকল ম্যাকবুক মডেলেই অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যাপলের ম্যাকওএস পাবেন আর ম্যাকবুক বা অ্যাপলের ল্যাপটপগুলো ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া অন্য কোনো OS য়ে আপনি পাবেন না। এটাই হলো এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য। এছাড়াও ডিজাইন এবং টেকসই ও পারফরমেন্সের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য রয়েছে কিন্তু সেটা নিয়ে আজ আমি কথা বলতে আসিনি।
অ্যাপল তাদের ব্রান্ডের ল্যাপটপ “ম্যাকবুক” প্রথম ২০০৬ সালে বাজারে ছাড়ে। তখন সেটায় ছিলো ইন্টোর কোর ডুয়ো প্রসেসর এবং ১ গিগাবাইট র্যাম। হ্যাঁ কথা বলছি প্রথম প্রজন্মের ম্যাকবুকের কথা। তখন থেকে বর্তমানে ম্যাকবুকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। প্রথম কথা হলো তখন ম্যাকবুকের মতো অতো প্রিমিয়াম উইন্ডোজ ল্যাপটপ বাজারে ছিলো না, কিন্তু এখন বাজারে আপনি বিভিন্ন দামে বিভিন্ন আকৃতির বিভিন্ন ক্ষমতার উইন্ডোজ ল্যাপটপ পাবেন। কিন্তু ম্যাক চালানোর মজা কেউ একবার পেয়ে গেলে সে আর অন্য কোনো কিছুতে মন বসাতে পারবে না।
প্রথম প্রজন্মের ম্যাকবুক বাজারজাতকরণ করার পর অ্যাপল মাঝের কয়েকটি বছর ম্যাকবুকের উৎপাদন বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে পুনরায় ম্যাকবুককে নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে বর্তমানের মডেলগুলো উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ করা শুরু করে। বর্তমানে বাজারে ম্যাকবুক আপনি পাবেন ১২৫৯ মার্কিন ডলার থেকে বা বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ছয় হাজার টাকা থেকে।
ম্যাকবুককে দেখলে প্রথমেই আপনি লক্ষ্য করবেন যে এটি সাইজে অনেক ছোট। হ্যাঁ এটি অ্যাপলের সবথেকে ছোট ল্যাপটপ। এতে রয়েছে ১২ ইঞ্চির ডিসপ্লে। বর্তমান যুগের আল্ট্রাপোর্টেবল ল্যাপটপ ও নোটবুকগুলোতে সাধারণত ১৩.৩ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকে, কিন্তু অ্যাপলের ম্যাকবুক তার থেকেও সাইজে ছোট। একই সাথে এর চেসিস এর ডিজাইনও বেশ চিকনচাকন মাত্র o.52 x 11.04 x 7.74 ইঞ্চির মাপ রয়েছে এতে। আপনি যদি আল্ট্রাপোর্টেবল ল্যাপটপ ব্যবহার করে অভ্যস্থ হন তাহলে আপনার প্রতিদিনের সকল চাহিদাই এই আল্ট্রাপোর্টেবল ম্যাকবুক পূরণ করতে পারবে।
সাইজে ছোট বলে ম্যাকবুকের স্ক্রিণ কোয়ালিটিতে নিম্নমানের মনে করলে কিন্তু আপনার ভুল হবে। কারণ এতে রয়েছে LED প্যানেল যেখানে আপনি পাবেন উন্নতমানের ব্রাইটনেস এবং Clarity। একই সাথে এতে আপনি পাবেন 16:10 Aspect Ratio যুক্ত 2304 x 1440 রেজুলেশন যা আপনাকে উন্নত মানে পিকচার কোয়ালিটি উপহার দিবে। তবে এটা ম্যাকবুকের প্রো এর চাইতে উজ্জল এবং চমৎকার ছবি আপনাকে দিতে পারবেন না। কারণ ম্যাকবুকে রয়েছে ৩৪০ নিটস এর IPS টেকনোলজি অন্যদিকে ১৩ ইঞ্চির বা ১৫ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো মডেলগুলোতে রয়েছে ৫০০ নিটস এর IPS (In-Plane Switching) টেকনোলজি। একই সাথে ম্যাকবুকে আপনি P3 Color Gamut পাবেন না যেগুলো আপনি ম্যাকবুক প্রোতে পাবেন।
অ্যাপল ম্যাকবুকের একটি অসুবিধা হলো এতে রয়েছে মাত্র একটি ইউএসবি-সি পোর্ট। মানে একটি মাত্র ইউএসবি পোর্ট দেয় আপনাকে ডিভাইসটিতে চার্জ দিতে হবে, কোনো পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে চাইলে এটাতেই করতে হবে এবং কোনো অতিরিক্ত হার্ডডিক্স লাগাতে হলেও এই একটি ইউএসবি পোর্ট আপনার সার্ভিসের জন্য রেডি থাকবে। এজন্য ম্যাকবুক ব্যবহারকারীদের একটি আলাদা ইউএসবি এক্সপেনশন ডক কিনে নিতে হয়।
অন্যদিকে বেইস ম্যাকবুক মডেলগুলোতেও অ্যাপল ইন্টেল কোর এম৩ প্রসেসরগুলোতে লিমিট হিসেবে দিয়ে রেখেছে। এই পাওয়ার দিয়ে আপনি ম্যাকবুকের বেইস মডেলগুলোতে ওয়েব ব্রাউজিং, অডিও ভিডিও গান শোনা, ওর্য়াড প্রসেসিং সহ আপনার ব্যক্তিগত সকল কাজই করে নিতে পারবেন, তবে হেভি কোনো কাজ আপনি বেইস ম্যাকবুক মডেলগুলোতে করতে পারবেন না। যেমন এডভান্স এডোবি ফটোশপের কাজ, ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ কিংবা হেভি গেমিং। তবে আপনার যদি অ্যাপালের ম্যাকবুকের আল্ট্রাপোর্টেবল সাইজের প্রেমে পড়ে যান তাহলে কিছু বেশি বাজেট নিয়ে ম্যাকবুকের এডভান্স মডেলগুলো কিনে নিতে পারেন যেখানে পাবেন ইন্টেল কোর আই ৭ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট র্যাম এবং ৫১২ গিগাবাইটের সলিড স্টেট ড্রাইভ।
অ্যাপলের ম্যাকবুকের অল্টারনেটিভ মডেল হলো ম্যাকবুক প্রো। ১৩ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রোয়ের এন্ট্রি লেভেলের মডেলগুলোর দাম ম্যাকবুকের এন্ট্রি লেভেলের মতোই ১২৯৯ মার্কিন ডলার থেকে শুরু যা বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ নয় হাজার টাকা। মাত্র ৩ হাজার টাকার ব্যবধানে আপনি ম্যাকবুকের থেকে ম্যাকবুক প্রো এর এন্ট্রি মডেলগুলোতে পাবেন পাওয়ারফুল কোর আই ৫ প্রসেসর। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে সকল ম্যাকবুকের থেকে সকল ম্যাকবুক প্রো মডেলগুলোর প্রসেসরগুলো একটু পাওয়ারফুল থাকবে। কিন্তু ম্যাকবুক প্রোতে আপনি “আল্ট্রাপোর্টেবল” ফিচারটিকে হারিয়ে ফেলবেন। একই সাথে ম্যাকবুকে নিম্ন মানের প্রসেসর ক্লক স্পিড থাকায় সেটায় কম বিদ্যুৎ খায় এবং হিট ও কম হয় কিন্তু ম্যাকবুক প্রোতে এর উল্টোটা হওয়ায় ম্যাকবুক প্রোতে স্পিড আপনি ঠিকই পাবেন কিন্তু একই সাথে ম্যাকবুক প্রোমের গরম বা হিটকেও আপনি একই সাথে বুঝতে পারবেন।
ম্যাকবুক প্রো হচ্ছে অ্যাপলের পোর্টেবল ল্যাপটপ মডেল। এখানে রয়েছে ১৩ ইঞ্চির ডিসপ্লে স্ক্রিণ যা মডেল ভেদে আপনি ১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে পর্যন্ত পাবেন। একই সাথে ম্যাকবুক প্রোতে পাবেন অতিরিক্ত একটি ইএসবি পোর্ট এবং এটি ওজন এবং সাইজের দিক থেকে ম্যাকবুকের থেকে বড় এবং এটি আমাদের প্রতিদিনের টেকনোলজি লাইফের সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
শুধুমাত্র নামের সাথে "Pro"কথাটিই এক্সট্রা হিসেবে নয় বরং ম্যাকবুকের থেকে ম্যাকবুক প্রোতে রয়েছে বেশ এক্সট্রা অনেকগুলো ফিচার। এদের মধ্যে রয়েছে টচ বার, OLED স্ক্রিণ এবং হেভি হেভি ভিডিও এডিটিং ও গেমিং এর কাজের জন্য এতে রয়েছে হাই এন্ড প্রসেসর এবং র্যাম।
এবার আসি মডেলে। অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো বাজারে দুটি সাইজে পাওয়া যায়। একটি হলো ১৩ ইঞ্চির, এবং অন্যটি হলো ১৫ ইঞ্চির। এখানে পার্থক্য শুধু ২ ইঞ্চির ডিসপ্লেতেই নয়। ১৩ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো এর ওজন হচ্ছে ৩.০২ পাউন্ডস এবং অন্যদিকে ১৫ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো এর ওজন বেড়ে গিয়ে হবে ৪.০২ পাউন্ডস। এছাড়াও আপনি যদি এক্সট্রা গ্রাফিক্স হর্সপাওয়ার চান তাহলে নিশ্চিন্তে নিয়ে নিতে পারেন ১৫ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো মডেলটি। কারণ ১৫ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো মডেলে আপনি পাবেন এএমডি প্রো ৫৫৫ বা প্রো ৫৬০ গ্রাফিক্স কার্ড যেটা দিয়ে আপনি ভিডিও এডিটিং, মাল্টিটাস্কিং এবং মোটামুটি প্রফেশনাল গেমিংয়ের কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। অন্য দিকে ১৩ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো মডেলগুলোতে থাকবে ইন্টেলের ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স।
আশা করবো উপরের আলোচনায় অ্যাপলের ম্যাকবুক এবং ম্যাকবুক প্রো এর মধ্যে বেসিক পার্থক্যগুলো বুঝতে পেরেছেন। উপরের পার্থক্যগুলো ছাড়া অ্যাপলের ল্যাপটপগুলোতে তেমন আর কোনো পার্থক্য আপনি দেখতে পারবেন না। সকল মডেলগুলোতেই রয়েছে এক্সিলেন্ট, ওভারসাইজ গ্লাস টাচপ্যাডস যেখানে আপনি পাবেন ভার্চুয়াল হ্যাপটিক ফিডব্যাক ফিচার, যেটা কোনো উইন্ডোজ ল্যাপটপ মডেলের টচপ্যাডে আপনি পাবেন না।
এছাড়াও প্রত্যেকটি অ্যাপল ল্যাপটপগুলো একই টাইপের কিবোর্ড দিয়ে বাজারে আসে। অ্যাপল ল্যাপটপগুলোতে রয়েছে ultra-low-profile কী সুইচ যেগুলো চাপলে আপনার মনে হবে আপনি প্রজাপতির ডানায় স্পর্শ করছেন। মানে হলো আপনি অ্যাপল ল্যাপটপগুলোতে টাইপ করে যে মজাটা পাবেন সেটা অন্য কোনো ল্যাপটপে পাবেন না।
আর ব্যাটারী লাইফের জন্যেও আপনি নিয়ে নিতে পারেন একটি ম্যাকবুক। কারণ প্রতিটি অ্যাপল ল্যাপটপগুলো ১২ ঘন্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ আপনাকে দিতে পারবে। ম্যাকবুক এবং ১৫ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো ডিভাইসগুলো ফুল চার্জে ১৫ ঘন্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দিবে আপনাকে। অন্যদিকে ১৩ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো তে আপনি পাবেন ১৬ ঘন্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ, যা আপনার সারাদিনের সকল কাজ সামলানোর জন্য যথেষ্ট।
পকেটে বাজেট থাকলে আপনি যে অ্যাপল ল্যাপটপটিকে এড়িয়ে যাবেন তা হলো ম্যাকবুক এয়ার। কারণ অ্যাপলের এই ম্যাকবুক মডেলটি ২০০৮ সালে বাজারে আসার পর কোনো আপগ্রেড পায় নি। ২০০৮ সালের দিকে এটিই ছিলো বাজারের অন্যতম চিকন এবং হালকা ল্যাপটপগুলো মধ্যে অন্যতম। কিন্তু বর্তমানে ম্যাকবুক এবং ১৩ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো এই ম্যাকবুক এয়ারের থেকে সাইজে চিকন এবং ওজনে হালকা এবং পারফরমেন্সেও পাওয়ারফুল। কারণ ম্যাকবুক এয়ারে আপনি পাবেন ৫ম প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসর যা বেশ পুরোনো।
অ্যাপলের এই ম্যাকবুক এয়ার মডেলকে শীঘ্রেই Discontinue করে দেওয়া উচিত বা দ্রুত একে রিডিজাইন করা উচিত। আপনার যদি বাজেটে স্বল্পতা থাকে তাহলে এটির দিকে আপনি আসতে পারেন। ম্যাকবুক এয়ার এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৯৩৭ মার্কিন ডলারে বা বাংলাদেশি ৭৯ হাজার টাকায়।
উইন্ডোজ ভিক্তিক ল্যাপটপগুলো বা ডেক্সটপগুলোতে আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে সেখানে আপনি ম্যাক ওএস ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু সকল ম্যাক ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপ কিন্তু উইন্ডোজ একই সাথে চালাতে পারবে! তা জানেন কি? হ্যাঁ আপনি আপনার ম্যাকবুক বা ম্যাক ডেক্সটপগুলোতে হার্ডডিক্সের আলাদা পার্টিশন করে সেখানে অফিসিয়াল ভাবে উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে একই সাথে ম্যাক ও উইন্ডোজ একই ডিভাইসে চালাতে পারবেন।
এবার আমি নিচে আজকের আলোচনায় আলোচিত সকল ম্যাক ল্যাপটপের মডেলগুলো কনফিগারেশন এবং মূল্যতালিক নিচে একে একে দিয়ে দিচ্ছি। মনে রাখবেন এখানে মুল্যতালিকগুলো সবই আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে দিয়ে দেওয়া রয়েছে। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশে মডেলগুলোর দামের সাথে ট্যাক্স এবং অনান্য খরচ যুক্ত হবে যা টোটাল প্রাইসকে বৃদ্ধি করবে।
মূল্য: ৯৩৭ মার্কিন ডলার (৭৯, ০৭১ টাকা)
ধরন: আল্ট্রাপোর্টেবল
প্ল্যাটফর্ম: ম্যাকওএস
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই ৫-৫২৫০ইউ
প্রসেসর স্পিড: ১.৮ গিগাহার্জ
র্যাম: ৪ গিগাবাইট
স্টোরেজ: ১২৮ গিগাবাইট
স্ক্রিণ সাইজ: ১৩.৩ ইঞ্চি
রেজুলেশন: 1440 x 900
ওজন: ২.৯৬ পাউন্ডস
ব্যাটারি ব্যাকআপ: ১৬ ঘন্টা ২৮ মিনিট
মূল্য: ১২৫৯ মার্কিন ডলার (১, ০৬, ০০০ টাকা)
ধরন: আল্ট্রাপোর্টেবল
প্লাটফর্ম: ম্যাকওএস
প্রসেসর: ইন্টেল কোর এম৩ (৭তম প্রজন্ম)
প্রসেসর স্পিড: ১.২ গিগাহার্জ
র্যাম: ৮ গিগাবাইট
স্টোরেজ: ২৫৬ গিগাাবাইট
স্ক্রিণ সাইজ: ১২ ইঞ্চি
রেজুলেশন: 2304 x 1440
ওজন: ২.০৩ পাউন্ডস
ব্যাটারী ব্যাকআপ: ১৫ ঘন্টা ৩৬ মিনিট
মূল্য: ১২৯৯ মার্কিন ডলার (১, ০৯, ৬৭১ টাকা)
টাইপ: আল্ট্রাপোর্টেবল
প্লাটফর্ম: ম্যাকওএস
প্রসেসর: ইন্টেল কোরআই ৫ (৭তম প্রজন্ম)
প্রসেরস স্পিড: ২.৩ গিগাহার্জ
র্যাম: ৮ গিগাবাইট
স্টোরেজ: ১২৮ গিগাবাইট
স্ক্রিণ সাইজ: ১৩.৩ ইঞ্চি
রেজুলেশন: 2560 x 1600
ওজন: ৩.০২ পাউন্ডস
ব্যাটারী ব্যাকআপ: ১৬ ঘন্টা ২৬ মিনিট
মূল্য: ১৭৬৯ মার্কিন ডলার (১, ৪৯, ৩০৯ টাকা)
টাইপ: আল্ট্রাপোর্টেবল
প্লাটফর্ম: ম্যাকওএস
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই ৫ (৭তম প্রজন্ম)
প্রসেসর স্পিড: ২.৩ গিগাহার্জ
র্যাম: ৮ গিগাবাইট
স্টোরেজ: ৫১২ গিগাবাইট
স্ক্রিণ সাইজ: ১৩.৩ ইঞ্চি
রেজুলেশন: 2560 x 1600
ওজন: ৩.০২ পাউন্ডস
ব্যাটারী ব্যাকআপ: ১৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট
মূল্য: ২৩৯৯ মার্কিন ডলার (২, ০২, ২৪৬ টাকা)
টাইপ: ডেক্সটপ রিপ্লেসমেন্ট
প্লাটফর্ম: ম্যাকওএস
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই ৭ - 7820HQ (৭তম প্রজন্ম)
প্রসেসর স্পিড: ২.৯ গিগাহার্জ
র্যাম: ১৬ গিগাবাইট
স্টোরেজ: ৫১২ গিগাবাইট
স্ক্রিণ সাইজ: ১৫, ৪ ইঞ্চি
রেজুলেশন: 2880 x 1800
ওজন: ৪.০২ পাউন্ডস
ব্যাটারি লাইফ: ১৫ ঘন্টা ৯ মিনিট।
দাম, পারফরমেন্স, পোর্টেবিলিটির দিক দিয়ে আমি টিউনটি শেষে এসে বলতে পারি যে আপনার জন্য ১৩ ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রো ডিভাইসটি কেনাই সর্বউত্তম। কেননা এটি সবদিক থেকে পারফেক্ট। শুধু ম্যাকবুকে আপনি পোর্টেবিলিটি পাবেন কিন্তু পারফরমেন্স পাওয়ার তেমন একটা পাবেন না, অন্যদিকে ১৫ ইঞ্চির ম্যাকবুক প্রো বেশ দামি এবং ওজনে ভারী একটি ডিভাইস। আর ম্যাকবুক এয়ার তো আউটডেটেড ডিভাইস। টিউনটি শেষ করার আগে আরো একবার বলে নিতে চাই যে আজকের টিউনের ডিভাইসগুলোর মূল্য ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস অনুযায়ী বসানো হয়েছে। এই দামে আমাদের দেশে এই ডিভাইসগুলো পাবেন না। টিউনটি ভালো লাগলে উপরের জোস বাটনে ক্লিক করতে ভূলবেন না যেন। আর টিউনটি সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে সেটা নিচের টিউমেন্ট বক্সে চট করে লিখে ফেলুন। আজ এ পর্যন্তই। আগামীতে অন্য কোনো টপিক নিয়ে আমি টিউনার গেমওয়ালা চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি সোশাল নেটওর্য়াক টেকটিউনস এ। টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!
অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ