২০১৮ সালের সেরা বাজেট ল্যাপটপগুলো

টিউন বিভাগ ল্যাপটপ
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

বাজেট ল্যাপটপ! কথাটা শুনতেই প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে উঠে এমন একটি ল্যাপটপ যেখানে ব্যাটারি লাইফ থাকবে মোটামুটি মানের, প্রসেসর হবে বেশি ফার্স্টও না আবার বেশি স্লোও না এবং ল্যাপটপটি মোটামুটি ধরনের টেকসই হবে। ২০১৮ সালে এই রকমই কিছু “বাজেট” ল্যাপটপগুলো নিয়ে আমার আজকের এই টিউন। এ বছরের বাজেট ল্যাপটপগুলোর সবগুলোই ৫০ হাজার টাকার ভিতর আপনি কিনে নিতে পারবেন। যারা বাজেটের ভিতর সুন্দর, টেকসই এবং মিডিয়াম রেঞ্জের মানানসাই ল্যাপটপ খুঁজছেন তাদের জন্যেই আমার আজকের এই টিউন। বাজেট ল্যাপটপগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রসেসর। কারণ প্রসেসরটি কম পাওয়ারফুল হলে আপনি ল্যাপটপটি দিয়ে তেমন কোনো কাজই করতে পারবেন না। তবে আমাদের আজকের লিস্টের সকল ল্যাপটপগুলো দিয়ে আপনি প্রতিদিনের নেট ব্রাউজিং, ওয়ার্ড এডিটিং, ব্যক্তিগত বিনোদন যেমন হাই ডেভিনেশন মুভি দেখা, গান শোনা এবং টুকটুক গেমিংও সেরে নিতে পারবেন। তো চলুন ভূমিকায় আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেই কি কি ল্যাপটপ রয়েছে আমাদের আজকের বাজেট লিস্টে:

বেস্ট অভারঅল: 2018 Lenovo Ideapad 320 15.6"

Levono ব্রান্ডের কয়েকটি জোস ল্যাপটপ রয়েছে যেগুলো আমাদের প্রতিদিনের সকল কাজকেই সামলে নিতে পারবে এবং আমাদের বাজেটের মধ্যেই রয়েছে। এদের মধ্যে একটি হলো 2018 Lenovo Ideapad 320। ল্যাপটপটিতে রয়েছে লেটেস্ট প্রজন্মের ইন্টেল প্রসেসর এবং হাই ডেফিনেশন ১৫.৬ ইঞ্চির স্ক্রিণ। ডিভাইসটিতে আপনি পাবেন ইন্টেল সেলেরন ডুয়াল কোর প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১ টেরাবাইটের হার্ডডিক্স ড্রাইভ। এছাড়াও ল্যাপটপটিতে রয়েছে ডিভিডি ড্রাইভ, ৪-ইন-১ মেমোরি কার্ড রিডার, ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই সিস্টেম। ল্যাপটপটি দিয়ে আপনি আপনার ব্যক্তিগত লাইফের সকল কাজ সহ অফিস এবং স্টুডেন্ট লাইফের সকল চাহিদা মেটাতে পারবেন। এতে রয়েছে এন্টি গ্লেয়ার স্ক্রিণ যার মাধ্যমে যেকোনো এঙ্গেল থেকেই ল্যাপটপটিতে মুভি দেখে মজা পাবেন আপনি।  আর্ন্তজাতিক বাজারে ল্যাপটপটির দাম রাখা হয়েছে ২৬০ মার্কিন ডলার বা ২১, ৮৫০ টাকা।

বেস্ট মজবুত: ASUS Chromebook C202SA-YS02 11.6"

বাজেটের ভেতর শক্তপোক্ত ল্যাপটপ খুঁজছেন যেগুলো কয়েকবার হাত থেকে পড়ে গেলেও সেটা সহন করতে পারবে? তাহলে আপনি এ বছর নিশ্চিন্তে নিয়ে নিতে পারেন ASUS Chromebook C202SA-YS02 কে। ডিভাইসটি অনেক শক্তপোক্ত ম্যাটারিয়াল দিয়ে ভালো রকম ভাবে মজবুত ভাবে তৈরি করা যা হাত থেকে পড়ে গেলেও সেটা ড্যামেজ রিকোভার করতে পারবে। আপনি যদি প্রচুর মুভিং করেন বা রানিং অবস্থায় ল্যাপটপ চালান তাহলে আপনার অবশ্যই চাই এমন একটি ল্যাপটপ যেটি কোনো দুর্ঘটনায় হাত থেকে ফসকে পড়ে গেলে সেটার ড্যামেজ সহ্য করতে পারে। ASUS Chromebook C202SA-YS02 ল্যাপটপটিতে রয়েছে ইন্টেল সেলেরন এন৩০৬০ প্রসেসর সাথে 2M Cache, যেটা আপনানে ২.৪৮ গিগাহার্জ পর্যন্ত গতি দিতে পারবেন। আরো রয়েছে ১৬ গিগাবাইটের ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ড্রাইভ এবং ৪ গিগাবাইট র‌্যাম। এতে আরো পাবেন ১১.৬ ইঞ্চির 1366 x 768 রেজুলেশনের এন্টি গ্লেয়ার ডিসপ্লে যেটা ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত পেছনের দিকে যেতে পারে। এছাড়াও এর মজবুতের জন্য এতে কর্নারগুলোতে আপনি পাবেন ৩ মিলিমিটারের রিইনফোর্সড রাবার ডিজাইন। আর্ন্তজাতিক বাজারে ল্যাপটপটির মূল্য রাখা হয়েছে ২২৫ মার্কিন ডলার বা ১৮, ৮২৭ টাকা।

বেস্ট ডিজাইন: Samsung Chromebook Plus Convertible Touch

সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তৈরির জন্য স্যামসংয়ের আলাদা একটি সুনাম রয়েছে। কোম্পানি সুন্দর সুন্দর হাইএন্ড ল্যাপটপ, টিভি এবং স্মার্টফোন তৈরি করে প্রতিনিয়তই আমাদের মন জয় করে নিচ্ছে। কিন্তু কখনো ভেবেছেন বাজেটের মধ্যে সুন্দর ডিজাইনের স্যামসং ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন? তাহলে হ্যালো বলুন Samsung Chromebook Plus ডিভাইসকে। এটি একটি হাইব্রিড ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট। মাত্র ২.৪ পাউন্ড ওজনের এই ডিভাইসে রয়েছে ১২.৩ ইঞ্চির এলইডি স্ক্রিণ যেটি ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে যেতে পারে এবং একই সাথে এখানে রয়েছে গরিলা গ্লাস ৩ যেটা ডিভাইসের স্ক্রিণের মজবুত নিশ্চিত করে। ডিভাইসটিতে আপনি পাবেন OP1 ARM CPU, ৪ গিগাবাইট র‌্যাম, ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ, ডুয়েল মাইক, ৭২০পি ওয়েবক্যাপ সহ আরো অনেক কিছুই। এগুলোর সাহায্যে আপনি ডিভাইসে আপনার অ্যাপস এবং ব্রাউজারগুলোকে স্মুথলি ইউজ করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য রয়েছৈ ৪১২ মার্কিন ডলার বা ৩৪, ৬৩৪ টাকা।

বেস্ট ফর ক্রিয়েটিভিটি: Acer Aspire E 15 E5-575G-57D4

বাজেটের ভিতর ল্যাপটপে ক্রিয়েটিভি কাজ করতে হলে আপনাকে চলে আসতে হবে এসার ব্রান্ডের দিকে। Acer Aspire E 15 E5-575G-57D4 ল্যাপটপটি দিয়ে আপনি সকল ক্রিয়েটিভিটির কাজ নিশ্চিন্তে সেরে নিতে পারবেন। Acer Aspire E15 ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৭তম প্রজন্মের  ইন্টেল কোর আই ৫ ৩.১ গিগাহার্জ প্রসেস, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইট সলিড স্টেট ড্রাইভ। এই ল্যাপটপটি দিয়ে আপনি ফটোশপের কাজ এবং ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ সহজেই সেরে নিতে পারবেন। এছাড়াও বিনোদনের জন্য ল্যাপটপটিতে আপনি পাবেন এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৪০এমএক্স গ্রাফিক্স কার্ড যেটায় রয়েছে ২ গিগাবাইট মেমোরি যার মাধ্যমে প্রায় সকল প্রকার গেমিং আপনি ল্যাপটপটিতে চালিয়ে দিতে পারবেন।

ডিভাইসটিতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডি ডিসপ্লে যেখানে আপনি পাবেন ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলের রেজুলেশন। ডিভিডি ড্রাইভ এবং ওজনদার ব্যাটারির জন্য ডিভাইসটির ওজন রয়েছে ৫.৩ পাউন্ডস। তবে ডিভাইসে আপনি পাবেন পাক্কা ১২ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ; যেটি দিয়ে সারাদিনের প্রডাক্টিভিটি কাজকর্ম আপনি নিশ্চিন্তে সেরে নিতে পারবেন। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং সঠিক ভাবে করার জন্য ডিভাইসটিতে আপনি পাবে Acer TrueHarmony Speakers যেটি আপনাকে উন্নতমানে অডিও সাউন্ড উপহার দিবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ল্যাপটপটির মূল্য রাখা হয়েছে ৮০০ মার্কিন ডলার বা ৬৭, ৩৮৫ টাকা।

বেস্ট ২ ইন ১: Asus Transformer Book T300CHI

২ ইন ১ ল্যাপটপের বাজারে প্রতিযোগীতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু আপনি যদি বাজেটের মধ্যেই সুন্দর একটি ২ ইন ১ ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে চলে আসুন আসুস ব্রান্ডের দিকে। Asus Transformer Book T300CHI ২ ইন ১ ল্যাপটপটি আপনার প্রতিদিনের সকল কাজগুলোকে “স্টাইলিশ” ভাবে সেরে ফেলতে পটু। এতে রয়েছে “ফ্যানবিহীন” ইন্টেল কোর এম প্রসেসর, ফুল সাইজ কিবোর্ড কভার এবং ১২.৫ ইঞ্চির ১০৮০পি রেজুলেশনের টচস্ক্রিণ ডিসপ্লে। এছাড়াও এতে আপনি পাবেন ৪ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১২৮ গিগবাইটের সলিড স্টেট ড্রাইভ। নামের সাথেই বুঝতে পারছেন যে এখানে আপনি কির্বোডকে ডিসপ্লে থেকে আলাদা করে নিয়েও টচস্ক্রিণ ট্যাবলেট হিসেবে একে ব্যবহার করতে পারবেন। ট্যাবলেট আকারে এর ওজন হচ্ছে মাত্র ১.৫৯ পাউন্ড এবং কিবোর্ডকে ডিসপ্লে লাগানোর পর এর ওজন হবে মাত্র ৩.২ পাউন্ডস।  ডিভাইসটির একটি ব্যাকল্যাগ হচ্ছে এখানে মাত্র ৬ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ পাবেন, তাই লং জার্নি করার সময় সাথে চার্জার রাখা জরুরী। আন্তজার্তিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ৬২৪ মার্কিন ডলার বা ৫২, ৫৬৩ টাকা।

বেস্ট টাচস্ক্রিণ: HP - 15.6" Touch-Screen Laptop

আপনি যদি বাজেটের ভেতর সেরা টাচস্ক্রিণ ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে আপনাকে চলে আসতে হবে এইচপি ব্রান্ডের ল্যাপটপগুলোতে। HP - 15.6" Touch-Screen Laptop টি দিয়ে আপনি টাচস্ক্রিণের সকল মজাই উপভোগ করতে পারবেন, এবং এটি একটি বাজেট ল্যাপটপও বটে। ডিভাইসটিতে আপনি পাবেন ইন্টেল কোর আই ৫ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১ টেরাবাইট হার্ডডিক্স। এই কনফিগারেশন দিয়ে আপনি আপনার ব্যক্তিগত বিনোদনের কাজ সহ, টুকিটাকি গেমিং, অফিসের কাজ সহ ব্যবসায়িক সকল কাজই সেরে নিতে পারবেন টাচস্ক্রিণেই। এছাড়াও এতে রয়েছে দ্যা ব্রাইটভিউ গ্লসি ১৫.৬ ইঞ্চির WLED স্ক্রিণ। আর ফটো এডিটিং ও হালকাপাতলা গেমিংয়ের জন্য ডিভাইসটিতে পাবেন ইন্টেল এইচডি ৬২০ গ্রাফিক্স কার্ড। আন্তজার্তিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ৫২৯ মার্কিন ডলার বা ৪৪, ৪৬৭ টাকা।

বেস্ট বাজেট: Acer 15.6" Chromebook Celeron N3060

আমাদের আজকের লিস্টের সেরা বাজেট ল্যাপটপটি হচ্ছে এই এসার ক্রোমবুকটি। আপনি যদি চরম বাজেটের মধ্যে প্রতিদিনে কাজ করার জন্য একটি ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন তাহলে এসার ব্রান্ডের দিকে চলে আসুন। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই ডিভাইসটি আর নতুন মডেল আপনি বাজারে পাবেন না, তবে এসার ব্রান্ডের রিফাব্রিশকৃত নতুনের মতোই দেখতে এই ল্যাপটপটি আপনি আন্তজার্তিক বাজারে পাবেন মাত্র ১৩৪ মার্কিন ডলাবে বা বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১১ হাজার ২৬৫ টাকায়। ডিভাইসটি আপনি পাবেন ১৫.৬ ইঞ্চির ক্রোমবুক মডেলগুলোর মধ্যে সবথেকে বড় স্ক্রিণ যেটায় রয়েছে 1920  x 1080 রেজুলেশনের ডিসপ্লে। আরো রয়েছে ইন্টেল ডুয়েল কোর প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১৬ গিগাবাইটের ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। এছাড়াও এতে রয়েছে চমৎকার স্পিকার যেটি মাধ্যমে আপনি ডিভাইসটি দিয়ে প্রতিদিনের নেট ব্রাউজিং, ইউটিউব ভিডিও, মিউজিক এবং মুভির উপভোগ করার কাজগুলো সেরে নিতে পারবেন। স্টোরেজ সল্পতা পূরণের জন্য আপনি ডিভাইসে একটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ লাগিয়ে নিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বেস্ট ফর ব্লগিং: HP Notebook 15

আমার মতো যারা ব্লগিং করেন বা অনলাইনে কাজ করেন তাদের জন্য একটি ল্যাপটপ থাকাটা কতটা জরুরী সেটা আর নতুন করে বলার মতো না। মূলত ওর্য়াড প্রসেসিং পাওয়ার, ভালো ব্যাটারি লাইফ এবং ল্যাপটপের কিবোর্ড কোয়ালিটি ভালোর জন্যেই আমার মতো ব্লগাররা ল্যাপটপের দিকে ঝুঁকে থাকেন। এছাড়াও ল্যাপটপের পোর্টেবিলিটিও  একটি বিষয়। ২০১৮ সালের সেরা বাজেটের মধ্যে ব্লগিং ল্যাপটপ হচ্ছে এইচডি নোটবুক ১৫। মাত্র ৩০০ ডলারের মধ্যেই এই ল্যাপটপে রয়েছে অনেক কিছুই যা একজন অনলাইন ফ্রিল্যান্সার বা ব্লগারের সকল চাহিদা মেটাতে সক্ষম।  এতে রয়েছে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম, ১৫.৬ ইঞ্চির স্ক্রিণ, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিক্স, ৪ গিগাবাইট র‌্যাম, ডিভিডি/সিডি বার্নার, অনলাইনে ভিডিও চ্যাটের জন্য রয়েছে ভিজিএ ওয়েবক্যাম সাথে পাবেন ডিজিটাল মাইক্রোফোন। বাজারে ডিভাইসটির ২ গিগাবাইট র‌্যামের মডেলও রয়েছে তবে সেটা না নেওয়াটাই উত্তম বলে আমি মনে করি। এছাড়াও এতে আপনি পাবেন ৫.৫ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ যা একবার লোডশেডিংয়ের চাপ সামলানোর জন্য যথেষ্ট। আন্তজার্তিক বাজারে ডিভাইসটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৯৮ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২৫, ০৩১ টাকা।

বেস্ট ফ্লিপবুক: Asus VivoBook Flip 14

মুভি দেখা, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন এবং ড্রয়িংয়ের জন্য ফ্লিপবুকগুলো বেশ কাজের। আর আপনি যদি বাজেটের ভেতর কোনো ফ্লিপবুক কিনতে চান তাহলে চলে আসুন আসুস ব্রান্ডে। Asus VivoBook Flip 14 ডিভাইসটি আপনার ফ্লিপবুকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এতে রয়েছে পাতলা এবং চিকন ১৫.৪ মিলিমিটারের ডিজাইন এবং ১৪ ইঞ্চির স্ক্রিণ। এটিতে আপনি একই সাথে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কিংবা টেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। ডিভাইসে আপনি পাবেন কোয়ার কোর প্রসেসর এবং ৪ গিগাবাইট র‌্যাম। আর্ন্তজাতিক বাজারে ডিভাইসটির মূল্য রাখা হয়েছে ৩৫০ মার্কিন ডলার বা ২৯, ৩৭৩ টাকা।

বি:দ্র: Asus VivoBook Flip 14 এর বাজারে কয়েকটি মডেল রয়েছে। এখানে কোয়ার কোর প্রসেসরযুক্ত মডেলটি দেখানো হয়েছে। অনান্য মডেলে উচ্চমানে প্রসেসর থাকায় সেগুলো দাম বেশি হবে কিন্তু একই নাম বলে বিভ্রান্ত হতে পারেন আপনি।

বেস্ট পোর্টেবল: Microsoft Surface 3

বাজেটের মধ্যে সেরা পোর্টেবল ল্যাপটপ নিতে চাইলে এ বছর আপনি নিশ্চিন্তে কিনে কিনে পারেন মাইক্রোসফটের Surface 3 ডিভাইসটি। ডিভাইসটির ম্যাগনেসিয়াম-অ্যালয় বডিতে আপনি পাবেন ১০.৪ ইঞ্চির 1920 x 1280 ডিসপ্লে, ইন্টেল এটম জেড৮৭০০ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ৬৪ গিগাবাইটের ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ডিভাইস। ডিভাইসে আপনি পাবেন মাইক্রোসফটের লেটেস্ট উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম। প্রতিদিন ট্রেনে বা বাসে জার্নি করে অফিসে যাওয়ার পথে বসেই ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি অফিসের যাবতীয় কাজ সেরে নিতে পারবেন। চরম পোর্টেবল এই ডিভাইসটির কিবোর্ড বিহীন ওজন হচ্ছে মাত্র ১.৩৭ পাউন্ডস। এছাড়াও ডিভাইসের পেছনে আপনি পাবেন একটি কিকস্ট্যান্ড যেটি তিনটি এঙ্গেলে কাজ করবে। ডিভাইসটিতে আপনি আরো পাবে ১০ ঘন্টার ব্যাটারি লাইফ, যা দিয়ে একদিনে সকল কাজ সহজেই সেরে নেওয়া যাবে। আর্ন্তজাতিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ৫৪৫ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৪৫, ৮১৬ টাকা।

পরিশিষ্ট:

এই ছিলো আমাদের আজকের বাজেট লিস্টের ল্যাপটপগুলো। এখানে একটি কথা না বললেই নয় যে, টিউনে যে প্রাইস দেওয়া রয়েছে সেটা আমি আন্তজার্তিক বাজার মূল্য হিসেবে ডলারে কাউন্ট করে বসিয়েছি। আমাদের দেশে এই সকল ল্যাপটপগুলো মূল্য একটু বেশি হতে পারে। কারণ এই মুল্যের সাথে ট্যাক্স, টান্সপোর্টেশন ফি এবং ডিলারের অনান্য ফি যুক্ত হবে। আজ এ পর্যন্তই রইলো। টিউনটি ভালো লাগলে উপরের জোস বাটনে ক্লিক করতে ভুলবেন না যেন। সবাইকে অগ্রিম ঈদের সুভেচ্ছা জানিয়ে আমি টিউনার বিধায় নিচ্ছি।

টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইলো।

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাইজান আমাদের দেশে আসলে পরে এগুলো আর বাজেট ল্যাপটপ থাকবে না।

    হ্যাঁ ভাই এগুলো দেশে এসে ট্যাক্স আর অনান্য খরচ যুক্ত হয়ে দাম বেড়ে যায়।