২০১৮ সালের বেস্ট Acer ল্যাপটপগুলো দেখে নিন!

টিউন বিভাগ ল্যাপটপ
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কম্পিউটার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। হোক সেটা অফিসের কাজে, হোক সেটা বাসার বিনোদনের জন্য; আজকাল প্রত্যেক ঘরে একটি কম্পিউটার না থাকলে সেটা ডিজিটাল ঘর হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমানে ডেক্সটপ কম্পিউটারের থেকে ল্যাপটপের দিকে আমাদের আকর্ষণ বেশি রয়েছে। কারণ ল্যাপটপের রয়েছে ডেক্সটপের থেকে বেশি মোবিলিটি, এছাড়াও বর্তমানে ডেক্সটপের মতোই পারফরমেন্সযুক্ত ও ওজনে হালকা এবং দেখতে সুন্দর ল্যাপটপ বাজারে হরহামেশা থাকায় অনেকেই ডেক্সটপের দিকে না গিয়ে নিশ্চিন্তে ল্যাপটপ নিয়ে নিচ্ছেন। আর Acer ব্রান্ডটির ল্যপটপগুলো অনান্য ব্রান্ডের মতোই বাংলাদেশের অনেকেই ব্যবহার করে থাকে। তাই আজ আমি নিয়ে এলাম ২০১৮ সালে মানে এ বছরের Acer ব্রান্ডের  বেস্ট ল্যাপটপ যেগুলো আপনি নিশ্চিন্তে কিনে নিতে পারেন। তো চলুন আর ভূমিকায় কথা না বাড়িয়ে সরাসরি টিউনে চলে যাই:

বেস্ট ওভারঅল: Acer Aspire E15

আমাদের আজকের লিস্টের প্রথম এসার ল্যাপটপটি হচ্ছে Acer Aspire E 15 E5-575G-57D4। আপনি যদি গ্রেট পারফরমেন্স এবং ভালো ব্যাটারিযুক্ত এসার ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে আপনি এই ল্যাপটপটি একবার পরখ করে দেখে নিতে পারেন। ল্যাপটপটিতে রয়েছে ৭তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৫-৭২০০ইউ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইটের সলিড স্টেট ড্রাইভ বা SSD এবং এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৪০এমএক্স গ্রাফিক্স কার্ড। এই কনফিগারেশনে আপনি দিনভর নিশ্চিন্তে মাল্টিটাস্কিং করে যেতে পারবেন। এতে রয়েছে ১৫.৬ ইঞ্চির 1080p রেজুলেশনের ডিসপ্লে যা চমৎকার কালার আউটপুট প্রদান করবে। ল্যাপটপটি দিয়ে আপনি প্রতিদিনের অফিসের কাজ, বাসার বিনোদনের কাজ, ব্যক্তিগত কাজ এবং টুকটাক গেমিংয়ের কাজ করে ফেলতে পারবেন নিশ্চিন্তে। ল্যাপটপটির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য রাখা হয়েছে ৮০০ মার্কিন ডলার বা ৬৭ হাজার ৬৭১ টাকা।

বেস্ট সেকেন্ড ওভারঅল: Acer Aspire S13

আপনার যদি আমাদের বেস্ট ওভারঅল এসার ল্যাপটপটি পছন্দ না হয় তাহলে আপনি সেকেন্ড বেস্ট ওভারঅল ল্যাপটপটি দেখতে পারেন। আমাদের আজকের ২০১৮ সালের বেস্ট এসার ল্যাপটপ লিস্টের ২য় স্থানে রয়েছে Acer Aspire S13 ল্যাপটপটি।  এতে রয়েছে রয়েছে আগেরটির থেকে ছোট স্ক্রিণ, ১৩ ইঞ্চির 1920 x 1080 এলইডি ব্যাকলিট আইপিএস ডিসপ্লে। কিন্তু এই ল্যাপটপটি আপনি টাচস্ক্রিণ এবং নন টাচস্ক্রিণ মডেলে বাজারে পাবেন যা আগের মডেলে পাবেন না। এটি একটি আল্ট্রাপোর্টেবল ল্যাপটপ। সাইজে ছোট হওয়ায় আপনি আপনার পার্স ব্যাগে কিংবা হাতে করেই ডিভাইসটি যেকোনো স্থানে বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু সাইজে ছোট হওয়ায় পারফরমেন্স কম হবে এমনটি ভাবলে চলবে না। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৭তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৭-৭৫০০ইউ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইটের SSD ড্রাইভ। এছাড়াও একবার ফুল চার্জে ডিভাইসটি আপনি টানা ১৩ ঘন্টা ব্যবহার করতে পারবেন। ওজনের মাত্র ৩ পাউন্ডের থেকেও কম এই ল্যাপটপটি আপনার ডিজিটাল লাইফের একটি পারফেক্ট পার্টনার হতে পারবে। সিকুরিটি ফিচার হিসেবে ল্যাপটপটিতে আরো পাচ্ছেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার। আন্তজার্তিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ৭৫০ মার্কিন ডলার বা ৬৩ হাজার ৫৪০ টাকা।

বেস্ট ফর গেমিং: Acer Predator 17

গেমিং ল্যাপটপগুলো বানানো হয় হেভি ডিউটি গেমস খেলার জন্য। যারা প্রফেশনাল গেমিংয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদের কাছে একটি গেমিং ল্যাপটপ না থাকলেই নয়। গেমিংয়ের জন্য কিছু বছর আগেও ডেক্সটপকেই শেষ ভরসা হিসেবে মনে করতে গেমাররা। কিন্তু বর্তমানে গেমিং এর জন্যের শক্তিশালি এবং টেকসই ল্যাপটপ বাজারে রয়েছে। আর এসারের গেমিং ল্যাপটপ Acer Predator 17 আপনার সকল গেমিং চাহিদা পূরণ করতে পারবে। ডিভাইসটিতে রয়েছে কোর আই ৭ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র‌্যাম, ২৫৬ গিগাবাইট SSD এবং এক টেরাবাইট হার্ডডিক্স এবং ৮ গিগাবাইট এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ১০৭০ গ্রাফিক্স কার্ড।  ল্যাপটপটিতে রয়েছে ১৭.৩ ইঞ্চির আইপিএস স্ক্রিণ এবং এর ওজন প্রায় ১০ পাউন্ড। এছাড়াও ম্যারাথন গেমিং পারফরমেন্সের জন্য ল্যাপটপটিতে রয়েছে Cooler Master Fan Module যার মাধ্যমে দীর্ঘক্ষণ গেমিংয়ের ফলেও ল্যাপটপটি থাকবে ঠান্ডা। এছাড়াও ডিভাইসটিতে রয়েছে কাস্টমাইজেবল গেমিং কনট্রোল প্যানেল। আন্তর্জাতিক বাজারে ডিভাসটির মূল্য রাখা হয়েছে ১৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।

বেস্ট বাজেট: Acer Chromebook 15

প্রতিনিয়তই টেকনোলজি নতুন নতুন চমৎকার ডিভাইস তৈরি করে যাচ্ছে, কিন্তু একই সাথে নতুন নতুন ডিভাইসে দামও কিন্তু সেই পরিমাণে চড়া থাকে (অ্যাপলকেই দেখুন!)। কিন্তু আপনি যদি বাজেটের মধ্যে থেকে কোনো ল্যাপটপ কিনতে চান এবং আপনার ব্রান্ড চয়েস যদি হয় এসার তাহলে আপনি ২০১৮ সালের বেস্ট বাজেট এসার ল্যাপটপ Acer Chromebook 15 কে পরখ করে দেখতে পারেন। দামে কম দেখে যে ডিজাইনটাও কম সুন্দর হবে এরকম ভাবার কোনো চান্স নেই। এসারেরর অনান্য ক্রোমবুকের মতোই এটাতেও রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং নজরকার সৌন্দর্য্য। ১৫.৬ ইঞ্চির ব্যাকলিট স্ক্রিণ, ইন্টেল সেলেরন এস৩০৬০, ২ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৪০০ কনফিগারেশনের এই ল্যাপটপটি আপনার দৈনিক ওর্য়াড প্রসেসিং এবং ব্যক্তিগত বিনোদনের কাজে যথেষ্ট ব্যাকআপ দিতে পারবে। আর এসারের অনান্য ল্যাপটপের মতো এই বাজেট ল্যাপটপেও পাবেন ১২ ঘন্টার ব্যাটারী ব্যাকআপ। যা দিয়ে আপনি একদিনের সকল কাজ ব্যাটারিতেই শেষে ফেলতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য রয়েছে ১৪৫ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১২ হাজার ২৯৫ টাকা।

বেস্ট পোর্টেবল: Acer Chromebook 11

নজর কারা ডিজাইন এবং বেস্ট পোর্টেবিলিটি নিয়ে Acer Chromebook 11 ডিভাইসটি বাজারে যে কারোই পছন্দ হতে বাধ্য। এটি প্লস্টিকের তৈরি হলেও ধরলে সেটা মনেই হবে না। ডিভাইসটিতে রয়েছে ইন্টেল সেলেরন N2840 ডুয়াল কোর প্রসেসর সাথে রয়েছে Intel Burst Technology যেটা 2.58GHz পর্যন্ত গতি আপনাকে উপহার দিতে পারবে, রয়েছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র‌্যাম এবং ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল স্টোরেজ। আর ১১.৬ ইঞ্চির 1366 x 768 রেজুলেশনের স্ক্রিণ আপনার পোর্টেবল সকল কাজের জন্য উপযুক্ত হবে। ডিভাইসটি ওয়েব ব্রাউজি, ইউটিউবারদের পারসোনাল পোর্টেবল ল্যাপটপ এবং স্টুডেন্টদের নিজস্ব ল্যাপটপ হিসেবে দারুণ এক চয়েস হবে। তবে মাল্টিটাস্কিং করতে গিয়ে ডিভাইসটি একটু স্লো হয়ে যেতে পারে। ডিভাইসটির ওজন হচ্ছে ২.৫ পাউন্ডস যাই ছোটখাট পোর্টেবল বিধায় এটিকে সহজেই আপনি যেখানে সেখানে সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য রয়েছে ২১০ মার্কিন ডলার বা ১৭ হাজার ৮০০ টাকা।

বেস্ট ২ ইন ১: Acer Chromebook R11

বাজারে হাইব্রিড ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও আপনি ভরসা রাখতে পারেন এসার ব্রান্ডের  উপর। Acer Chromebook R11 Convertible কে আপনি চারভাবে ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাপটপ হিসেবে, নোটবুক হিসেবে, টেন্ট হিসেবে এবং ট্যাবল্যাট হিসেবে। কারণ এতে রয়েছে ১১.৬ ইঞ্চির ৩৬০ ডিগ্রির Hinge। ডিভাইসটির বেসিক মডেলে আপনি পাবেন ইন্টেল এন২৮৪০ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র‌্যাম এবং ১৬ গিগবাইট স্টোরেজ স্পেস। আপনি চাইলে আরো উন্নত স্পেসিফিকেশনের মডেলে চলে যেতে পারেন কিন্তু সেটায় আপনাকে আরো বেশি বাজেট বাড়াতে হবে। তবে এই সিরিজের সকল মডেলেই আপনি পাচ্ছেন ফুল চার্জে ১০ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ।  আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ মার্কিন ডলার বা ২৫ হাজার ৪২০ টাকা।

বেস্ট ফর কর্পোরেট: Acer Spin 5

কর্পোরেট বা বিজনেস কাজে যে সকল ল্যাপটপ ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে একটু বেশি ডিউরেবল হতে হয়। কারণ অফিস আওয়ারে ম্যারাথন সময় ধরে ল্যাপটপগুলো চলতে থাকে। এক্ষেত্রেও আপনি এসার ব্রান্ডে পাবেন বেস্ট ফর কর্পোরেট Acer Spin 5 ল্যাপটপটি। ডিভাইসটিতে রয়েছে সলিড বিল্ট এবং এতে আপনি বোনাস হিসেবে পাবেন ব্যাকলিট কিবোর্ড এবং ট্রাকপ্যাক। এতে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি Hinge যা দিয়ে দরকারের সময় এটিতে আপনি টেন্ট এবং ট্যাবলেট হিসেবেও নিয়ে কাজ করতে পারবেন। একই সাথে অফিসের কাজ এবং স্টাইলিস দুটোই আপনাকে উপহার দিতে পারবে এই ল্যাপটপটি। আপনার অফিসের সকল মাল্টিটাস্কিং এর চাপ সামাল দিতে এই ডিভাইসে রয়েছে শক্তিশালি ৭তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই ৫-৭২০০ইউ ২.৫ গিগাহার্জ প্রসেসর সাথে থাকছে ৩.১ গিগাহার্জ পর্যন্ত Turbo Boost টেকনোলজি। ১৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি (1920 x 1080) ডিসপ্লে, ৮ গিগাবাইট র‌্যাম, ২৫৬ গিগাবাইট SSD এবং ইন্টেল এইচডি ৬২০ জিপিইউ। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য রাখা হয়েছে ৭৩০ মার্কিন ডলার বা ৬১ হাজার ৯২২ টাকা।

বেস্ট ডিজাইন: Acer Swift 3

লেস্টেট ডিজাইন এবং লেস্টেট পারফরমেন্স পাবার জন্য আপনি কিনে নিতে পারেন Acer Swift 3 ল্যাপটপটি। ল্যাপটপটি দেখতে প্রায় ম্যাকবুকের মতোই  কিন্তু এটি প্ল্যাস্টিকের হওয়া শুধুমাত্র দেখাতেই ম্যাকবুক লাগা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এর ১৪ ইঞ্চির 1920 x 1080 রেজুলেশনের ডিসপ্লে তে রয়েছে applaudabe viewing angels এবং আপনি ডিসপ্লেকে ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরাতে পারবেন। এতে আরো রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ব্যাকলিট ডিসপ্লে। ডিভাইসটি দুটি মডেলে রয়েছে, একটি তে আপনি পাবেন কোর আই ৩ এবং অপরটিতে আপনি পাবেন কোর আই ৫ প্রসেসর। উল্লেখ্য যে দুটি মডেলেই রয়েছে লেটেস্ট ৮তম প্রজন্মের প্রসেসর এবং ৪ / ৮ গিগাবাইট র‌্যাম ও  ১২৮ / ২৫৬ গিগাবাইটের সলিড স্ট্রেট ড্রাইভ। আন্তর্জাতিক বাজারে কোর আই ৫ মডেলের  মূল্য রাখা হয়েছে ৭৫৯ মার্কিন ডলার বা ৬৪ হাজার ২৫০ টাকা এবং কোর আই ৩ মডেলে দাম রাখা হয়েছে ৪৯৯ মার্কিন ডলার বা ৪২ হাজার ২৯৭ টাকা।

বেস্ট পাওয়ারফুল: Acer Predator 21 X

এবার এসারের যে ল্যাপটপ টির ব্যাপারে বলতে যাচ্ছি যেটা  আমাদের আজকের লিস্টের শেষে রেখেছি কারণ এটা শুধু দেখতেই ভালো লাগে, কারণ এইসকল আল্ট্রা হাইব্রিড ল্যাপটপ খুব কম মানুষই ব্যবহার করে থাকে। হ্যাঁ কথা বলছি Acer Predator 21 X এর কথা। মডেলের নামেই রয়েছে “দানব” কথাটি। কারণ এতে রয়েছে ২১ ইঞ্জির কার্ভড ডিসপ্লে এবং ল্যাপটপটির ওজন হচ্ছে ২০ পাউন্ডস বা ৯ কেজির একটু বেশি।

ল্যাপটপটি প্রথমেই দেখে আপনার মনে হবে এ আবার কি? মনে হবে যেন একটি গেমিং ডেক্সটপকে জোড় করে একটি ল্যাপটপের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে! আর তাই এই বিশালাকৃতির ল্যাপটপটি আপনি সেখানে যেখানে নিয়ে যেতে পারবেন না, একটি বড় টেবিলের উপরই ল্যাপটপটিকে সবসময় ফেলে রাখতে হবে, তাছাড়াও আপনি এটাকে কোলের উপর তুলে নিয়েও বেশিক্ষণ কাজ করতে পারবেন না। ল্যাপটপটি তাদেরই জন্য যারা ল্যাপটপে পাওয়ার বা শক্তি চান আর কিছু চান না। আর হ্যা এটা কিন্তু একটা গেমিং ল্যাপটপ!

ডিভাইসটিতে রয়েছে ২১ ইঞ্চির কার্ভড স্ক্রিণ, ইন্টেল কোর আই ৭ Skylake প্রসেসর যেটি ওভারক্লক করে ৪, ১ গিগাহার্জ গতি পর্যন্ত যেতে পারে, রয়েছে দুটি এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৮০ SLI গ্রাফিক্স কার্ড এবং ৬৪ গিগাবাইট DDR4 র‌্যাম (65536MB) এবং ২ টেরাবাইট SSD স্টোরেজ! হার্ডডিক্স নয় এটায় রয়েছে ২ টেরাবাইটের সলিড স্ট্রেট ড্রাইভ। আপনি স্লো হবেন কোন জায়গায়?  ডিভাইসটিকে ঠান্ডা রাখার জন্য ৫টি ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডিভাইসের স্ক্রিণে আপনি পাবেন ১২০ গিগাহার্জ রিফ্রেশ রেট এবং Nvidia G-Sync Technology। কিন্তু ল্যাপটপটির সবথেকে খারাপ দিকটি হলো এর ব্যাটারি ব্যাকআপ। হেভি ডিউটি হার্ডওয়্যার ব্যবহারের কারণে ল্যাপটপটিতে আপনি ১ ঘন্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন না!

আর ল্যাপটপটির প্রাইস রাখা হয়েছে কত জানেন? “মাত্র” ৯০০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৬০৭ টাকা “মাত্র”।  শিপিং খরচ আর ট্যাক্স এর কথা না হয় বাদই দিলাম।

পরিশিষ্ট:

এই ছিলো এ বছরের সেরা কয়েকটি এসার ব্রান্ডের ল্যাপটপ যা আপনি নিশ্চিন্তে কিনে নিতে পারেন, তবে শেষের টা ছাড়া! উল্লেখ্য যে এখানে সকল ল্যাপটপের দাম আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে দেওয়া রয়েছে। আমাদের দেশে ল্যাপটপগুলোর প্রাইজের সাথে বিভিন্ন খরচ এবং ট্যাক্স যুক্ত হবে। আর আরেকটি কথা প্রাইসগুলো কিন্তু পরিবর্তনশীল। তাই এই টিউনটি দেশে আমাদের দেশের কম্পিউটার শপে গিয়ে ল্যাপটপগুলো দাম আরো বেশি দেখে আমাকে দোষ দিলে কিন্তু চলবে না! তো আজ এ পর্যন্তই রইলো। আগামীতে অন্য কোনো টপিক নিয়ে আমি টিউনার গেমওয়ালা চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি সোশাল প্লাটফর্ম টেকটিউনস এ।

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস