ব্যাটারী কি ও কিভাবে?
সহজ কথায় ব্যাটারী হলো জমাকৃত বৈদ্যুতিক শক্তির আধার। যেটা দিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনে ব্যাটারি ক্ষমতা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক শক্তি পেতে পারেন। যে ডিভাইস গুলো ভ্রাম্যমান হয় তাতে ব্যাটারির ব্যবহার করা হয় সবচেয়ে বেশি।
ব্যাটারি গুলো প্রধানত দুই প্রকারঃ প্রাইমারী সেল ও সেকেন্ডারী সেল।
প্রাইমারী ব্যাটারি গুলো একবার মাত্র ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ এর শক্তি শেষ হলে পুনরায় রিচার্জ করা যায় না, যেমন- মার্কারি/সিলভার-অক্সাইড/জিংক-কার্বন দিয়ে বানানো ব্যাটারী। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এই ব্যাটারী গুলো ব্যবহার করা হয়। রেডিও, রিমোট, ঘড়ি, ফ্লাশ লাইট, খেলনা, ক্যামেরাতে ব্যবহৃত হয়।
সেকেন্ডারী ব্যটারি গুলো ব্যবহারের পর পুনরায় চার্জ করে ব্যবহার করা যায়, এর জন্য ব্যাটারি সবচেয়ে জনপ্রিয়, যেমন- লিড-এসিড/লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি গুলো। এগুলো শক্তিশালী মোটর চালানো/ কম্পিউটার/ মোবাইল ফোন/ পোর্টেবল যন্ত্রপাতিতে ব্যবহার হয়। বর্তমানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী গুলোর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
লিড-এসিড/নিকেল/লিথিয়াম-আয়ন-পলিমারের মৌলিকত্ব।
লিড-এসিড | নিকেল বেইজড(old) | লিথিয়াম-আয়ন/পলিমার | |
চার্জের জন্য পদ্ধতি- | সঠিক ভোল্টেজে চার্জ করা। | চার্জিং এর সময় গরম হয়ে গেলে চার্জিং অফ রাখা, একটানা অনেকদিন ফেলে রাখা যাবেনা। | র্যান্ডম চার্জ দেয়া বা ফুল চার্জ না দিয়েই কাজ করতে পারেন। অতিরিক্ত ভোল্টেজে চার্জ না করা। |
চার্জিং এর সময়- | দ্রুত চার্জ হবে না। ১৪/১৬ ঘন্টা চার্জ হতে লাগে। | স্লো চার্জিং-১৪ ঘন্টা।দ্রুত চার্জিং-৩ ঘন্টা।অতিঃদ্রুত চার্জিং-১ঘন্টা। | দ্রুত চার্জিং-৩ ঘন্টা।অতিঃদ্রুত চার্জিং-১ঘন্টা।ট্রিকেল চার্জিং-৩ ঘন্টা। |
ডিসচার্জিং- | পুরোপুরিভাবে ডিসচার্জ করা যাবেনা। টানা ব্যবহার ব্যাটারী লাইফ কমায়। | পুরোপুরিভাবে ডিসচার্জিং করা যাবেনা। প্রতি ৩/৪ মাসে পুরো ডিসচার্জিং করা উচিত। | সাইকেল পুর্ন হওয়া পর্যন্ত চার্জিং/ডিসচার্জিং করা যাবে। ২০%-৮০% চার্জ দিয়ে ব্যবহার উচিত। হাই-লোড দেয়া উচিত না। |
নষ্ট হলে- | ফেলে দেয়া উচিত না, রিসাইকেল করা যায়। | রিসাইকেল করা ঠিক না। কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। | নিরাপদ যায়গায় নষ্ট করে ফেলতে পারেন, রিসাইকেল করতে পারেন। |
সতর্কতা- | ব্যাটারী কখনোওই শর্ট সার্কিট করা, আগুনে পোড়ানো, খালি হাতে ব্যাটারীর ভেতরের অংশ ধরা, শরীরে লাগানো যাবে না। |
IPS/UPS ব্যাটারী সিস্টেম যখন আপনার ডেক্সটপ পিসির সাথে।
আপনার নিশ্চয়ই UPS বা IPS সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা আছে? লোডশেডিং এর ফলে যখন আপনার কম্পিউটারের A/C পাওয়ার হঠাত করেই চলে যায় ঠিক তখনই ইউপিএস চালু হয়ে আপনার পিসিতে ব্যাকআপ দেয়া শুরু করে ও আপনার পিসি সেইফলি বন্ধ করা পর্যন্ত ব্যাকআপ দেয়। আচ্ছা...আপনি কি ইউপিএস ফুল চার্জের পর এসি লাইন থেকে খুলে আলাদা রাখেন? এরপরে যখন লোডশেডিং হয় তখন ইউপিএস হাতে চালু করে দেন? অথবা ইউপিএস ফুল চার্জ করে শুধু ইউপিএস দিয়েই কম্পিউটার চালান ঠিক আপনার হাতের মোবাইলটার মত?
অবশ্যই ইউপিএস এভাবে ইউজ করেন না। কারন এডভান্সড টেকনোলজি আপনাকে সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছে আপনার চাওয়ার মত করেই। কষ্ট করে আপনাকে ম্যানুয়ালি চালু/বন্ধ করতে হয় না। ইউপিএস চার্জ ফুল হলেই চার্জ নেয়া অফ করে দিবে, ও আপনার ব্যাকআপ পাওয়ার হিসেবে ইমার্জেন্সিতে পাওয়ার সাপ্লাই দিবে এবং এটা সার্বক্ষনিক A/C লাইনের সাথেই যুক্ত থাকবে। এটাই তো হওয়া উচিত তাইনা? আর এখন হচ্ছেও তাই।
ল্যাপটপ ব্যাটারী কি ইউপিএস এর মত কাজ করে?
কখনো কি আপনার ল্যাপটপ চার্জে লাগানো অবস্থায় ব্যাটারী খুলে ফেলেছেন? বা ব্যাটারী ছাড়াই শুধু এডাপ্টার দিয়ে চালিয়েছেন?
হ্যাঁ-এডভান্সড ল্যাপটপ গুলো চার্জে লাগানো অবস্থায় ব্যাটারী খুলে ফেললেও বন্ধ হয় না বা শুধু এডাপ্টার দিয়েও চালানো যায়। মডার্ন চার্জারের সেন্সর ও কন্ট্রোলার ব্যাটারীকে আলাদাভাবে চার্জ করে ও আলাদাভাবে আপনার ল্যাপটপে পাওয়ার সাপ্লাই দেয়। তবে চার্জিং প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর গতিতে হবে, কারন আগে ল্যাপটপে পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে তবেই ব্যাটারিতে পাওয়ার সাপ্লাই হবে। এখন ল্যাপটপের চালানোর ক্ষেত্রে ব্যাটারীটাই মুখ্য বিষয় নয়, ল্যাপটপের সাথে ব্যাটারী লাগানো আছে বা নাই তাতে ল্যাপটপের কিছুই আসে যায় না। বরং বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যাটারী ছাড়াই ল্যাপটপ ভালো যেমন- ব্যাটারী নষ্ট হয়ে গেলে বা ল্যাপটপের ওজন আরো হালকা করার জন্য। চাইলে কোন সমস্যা ছাড়াই ডেস্কটপ হিসেবে একটানা চার্জার প্লাগ-ইন করে ল্যাপটপ চালাতে পারবেন যদিও ব্যাটারী ফুল চার্জড অবস্থায় থাকে। চার্জারটি অবশ্যই ল্যাপটপ কোম্পানীর তৈরি বা রেফারেন্স কোম্পানীর হতে হবে। ল্যাপটপ ব্যাটারী Like ইউপিএস।
HP ইউজার গাইড থেকে বিশেষ কিছু অংশ কপি করে দিলাম ( ই-বুক থেকে সরাসরি বাংলায় ট্রান্সলেট করা)।
কখন ব্যাটারীর শক্তি থেকে চলবে-
যখন চার্জকৃত ব্যাটারী ল্যাপিতে সংযুক্ত থাকবে ও ল্যাপিতে কোন বাইরের পাওয়ার(এডাপ্টার) সংযুক্ত থাকবে না তখন ব্যাটারী থেকে পাওয়ার সাপ্লাই হবে। যখন ল্যাপি অফ ও কোন বাইরের পাওয়ার(এডাপ্টার) সংযুক্ত থাকবে না তখনও ধীর গতিতে ব্যাটারী শক্তির ক্ষয় হতে থাকবে। যখন ব্যাটারী লো বা চার্জ সম্পুর্ন শেষ হবে তখন ল্যাপি ম্যাসেজ দিবে।
ল্যাপির ব্যাটারী শক্তি বিভিন্ন অবস্থানের উপরে নির্ভর করে, ল্যাপির পাওয়ার ব্যবস্থাপনা, কি পরিমান প্রোগ্রাম চালু আছে, পর্দায় আলোর উজ্জলতার পরিমান, ও কি পরিমান অতিরিক্ত হার্ডওয়ার সংযুক্ত আছে তার উপরে।
কিভাবে ব্যাটারী শক্তি কম খরচ করবেন?
১. পর্দার আলোর উজ্জলতা কম রাখুন।
২. পাওয়ার সেটিং থেকে পাওয়ার সেভার চালু রাখুন।
৩. যদি দুই সপ্তাহের অধিক না ব্যবহার করেন ও বাইরের পাওয়ার সংযোগ না থাকে। ব্যাটারী খুলে ঠান্ডা ও শুকনা স্থানে নিরাপদে রাখুন, এটা ব্যাটারীকে দীর্ঘায়ু করতে সাহায্য করবে।
৪. অব্যহৃত রেখে দেয়া ব্যাটারী প্রতি ৬ মাসে একবার চেক করুন, চার্জ ৫০% নিচে চলে গেলে পুনরায় চার্জ করে আবারো রেখে দিতে পারেন।
৫. ওয়ারলেস ডিভাইস(ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই) গুলো বন্ধ রাখুন যদি প্রয়োজন না থাকে।
৬. যেগুলো বাইরের শক্তি ছাড়া শুধু ইউএসবি থেকে চলে সেগুলো প্রয়োজন না থাকলে ডিজেবল বা খুলে ফেলুন।
৭. কাজ শেষে অবশ্যই সীল্প মোড বা শাট-ডাউন করুন।
শুধুমাত্র এসি পাওয়ার থেকে চলবে-
এ/সি পাওয়ার সংযুক্ত করার পুর্বে ও এসি সম্পর্কে আরো জানতে কম্পিউটার বক্সের সাথে দেয়া সেটয়াপ ম্যানুয়াল দেখুন। কম্পিউটার যখন অনুমোদিত এডাপ্টারের সাহায্য এসি পাওয়ারে সংযুক্ত থাকবে তখন ব্যাটারী শক্তির ব্যবহার করবে না।
সতর্কতা! নিরাপত্তার স্বার্থে শুধুমাত্র HPএর নিজস্ব এসি এডাপ্টার বা HP অনুমোদিত এডাপ্টার ব্যবহার করুন।
নিচের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এসি লাইনে সংযুক্ত করুন-
সতর্কতা! যখন আপনি আকাশপথে ভ্রমন করবেন তখন ব্যাটারী চার্জ করবেন না।
১. যখন চার্জের প্রয়োজন হবে।
২. যখন সিস্টেম সফটয়ার পরিবর্তন বা সেটয়াপ করবেন।
৩. যখন ডিস্ক বার্ন করবেন(কিছু ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
৪. যখন হার্ডডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করবেন।
৫. যখন ব্যাকয়াপ বা রিকভারি প্রসেস চালাবেন।
এ/সি লাইন সংযুক্ত করলে যা হবেঃ
১. ব্যাটারী চার্জ শুরু হবে।
২. পর্দার উজ্জলতা বেড়ে যাবে।
৩. পাওয়ার এর আইকন উজ্জ্বল হবে।
এ/সি লাইন সংযুক্ত না করলে যা হবেঃ
১. কম্পিউটার নিজে থেকেই ব্যাটারী থেকে পাওয়ার নেয়া শুরু করবে।
২. পর্দার উজ্জলতা কমে যাবে যাতে শক্তি কম খরচ হয়।
৩. পাওয়ার এর আইকন মলিন রঙ হবে।
(শেষ)
ভাবছেন কি করবেন এবার?
উপরের কথা গুলো যদি বুঝে থাকেন। তাহলে কেন আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি ফুল চার্জ করে চার্জের লাইন খুলে ফেলবেন? অথবা মোবাইলের মত ব্যাটারি চার্জ করে ব্যাটারী থেকেই ল্যাপটপ চালাবেন? বর্তমানে ল্যাপটপের পাওয়ার হিসেবে স্মার্ট ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়। এর সেল গুলো পুর্ন হয়ে গেলে চার্জ নেয়া নিজে থেকেই বন্ধ করে দেয় ও যখন লো হয়ে যায় তখন নিজে থেকেই পাওয়ার সাপ্লাই দেয়া বন্ধ করে দেয়। আশাকরি এইবার বুঝতে পেরেছেন।
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারীর চার্জিং/ডিসচার্জিং।
যুক্ত সেল গুলোর কার্যক্ষমতা সক্রিয় রাখতে কখনই শর্ট সার্কিট করা বা অতিরিক্ত ভোল্টেজে চার্জ করা উচিত নয়, এতে সেল গুলো দুর্বল হয়ে যায়। আপনি ব্যবহার না করলেও এর চার্জিং ১% হিসেবে কমতে থাকবে, এই জন্য অনেকদিন একাধারে ব্যাটারি ফেলে রাখা উচিত না, চার্জিং ও ডিসচার্জিং প্রক্রিয়া চালু রাখা উচিত। আর ফেলে রাখা ব্যাটারী ব্যবহার করতে চাইলে চার্জ দিয়ে ব্যবহার করা উচিত। ব্যাটারী ফুল চার্জ করে ব্যবহার শুরু করলে ডিসচার্জিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। যখন ৩০/৪০% এর কাছাকাছি ডিসচার্জ হবে তখনই ৮০/৯০% চার্জ করে পুনরায় ব্যবহার করা। একেবারে ডিসচার্জ করা কখোনই উচিত না। ব্যবহারের সময় পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা ৪০°সে. রাখা উচিত। প্রতি ৪০ সাইকেল বা ৩/৪ মাসে একবার হলেও পুরোপুরিভাবে ডিসচার্জ করা ভালো। পুর্ন ব্যবহারের একটি Li-ion ব্যাটারির আয়ুষ্কাল ৮০০/১৩০০ সাইকেল বা ২/৩ বছর হয়।
কিভাবে একটি ব্যাটারী দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়?
এর জন্য বিশেষ কিছু নেই, সঠিক তাপমাত্রায় নিয়মিত ও যত্নের সাথে ব্যবহার একটি ব্যাটারি কে দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবহার নিশ্চিত করে। অযথা চাপ দেয়া,আঘাত করা বা আছাড় দেয়া থেকে বিরত থাকুন, এক্সপ্লোইড হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কন্ট্রোল প্যানেল বা সেটিংস থেকে পাওয়ার সেটিং ব্যালান্সড করে নিবেন। যখন শুধু ব্যাটারি থেকে ল্যাপি চালাবেন তখন স্ক্রীন ব্রাইটনেস কম ও ব্যাকগ্রাউন্ড এপলিকেশন যথাসম্ভব বন্ধ রাখুন। ভালো কোন ইউটিলিটি সফটওয়ার ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ডের অপ্রয়োজনীয় এপ্লিকেশন বন্ধ করে পাওয়ার কনজাপশন কম করুন। এক্সটারনাল ডিভাইস যেমন- পেনড্রাইভ, পেরিফেরালস ডিভাইস কম ব্যহার করুন। যখন এডাপ্টার দিয়ে চালাবেন তখন ইচ্ছামত ব্রাইটনেস ও এপলিকেশন চালাতে পারেন। পিসির এপিয়ারেন্স হাই, শক্তিশালী সফটয়ার দিয়ে কাজ করলে বা গেইম খেললে পাওয়ার বেশি লাগে। পাওয়ার যত বেশি খরচ হবে ল্যাপটপ তত গরম হবে। যথা সম্ভব নিচে ফাকা রাখুন বা অতিরিক্ত হিসেবে কুলিং প্যাড লাগিয়ে নিতে পারেন।
সতর্কতা !
আপনার ল্যাপি যদি অতি পুরনো হয় বা লিথিয়াম আয়ন/পলিমার ব্যাটারী সংযুক্ত না থাকে তবে ব্যাটারী সহ চার্জার লাগিয়ে একটানা চালাবেন না। কারন এই লেখাটি শুধু মাত্র এডভান্স টেকনোলোজীর লিথিয়াম-আয়ন/পলিমার সংযুক্ত ল্যাপির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিছু কিছু ওল্ড মডেলের ল্যাপি ব্যাটারী লাগানো না থাকলে অন হবেই না।
সাজেষ্টঃ-ল্যাপটপের মডেল অনুযায়ী এর প্রোভাইডারের ওয়েব সাইট থেকে এর গাইড লাইন দেখে নিতে পারেন।
তথ্য সুত্রঃ
অ্যাপেল ম্যাকবুক নিয়ে ব্যাটারী সম্পর্কিত একটা প্রশ্ন দেখেছিলাম tomshardware.com এখানে একজন প্রশ্ন করেছে "MacBook Pro Run Slow without battery" টিউমেন্ট গুলো একটু কষ্ট করে পড়ে দেখুন কে কি বলছে।
মোবাইলের ক্ষেত্রে কি করবেন?
মোবাইলেও তো লিথিয়াম-আয়ন/পলিমার ব্যাটারী!
হ্যাঁ মোবাইলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কিন্তু- মোবাইলের চার্জার ও মাদারবোর্ড শুধুমাত্র ব্যাটারি চার্জিং ও ব্যাটারী দিয়ে চালানোর জন্য তৈরি হয়েছে। তাই- একই সাথে চার্জিং ও মোবাইল ব্যবহার বিপজ্জনক। কারন চার্জে লাগানো অবস্থায় মোবাইলের ব্যাটারী চার্জিং ও ডিসচার্জিং দুটোই একসাথে চলতে থাকে এতে গরম হয়ে বিষ্ফোরন হতে পারে।
পরিশেষে কিছু কথা
সম্পুর্ন লেখাটি আমি উপরেল্লেখিত ওয়েব সাইটগুলোর বিভিন্ন আর্টিকেল থেকে বের করেছি। লেখায় কোন ভুল বা টিউমেন্ট থাকলে ধরিয়ে দিবেন। এখন টেকনোলোজী অনেক উন্নত আগের সেই মান্ধাত্বার আমলের ধারনা ঝেড়ে ফেলুন। সঠিক তথ্য জানতে চেষ্টা করুন ও অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।
সবাই ভালো থাকুন, আল্লাহ হাফিজ !
By -My Home
আমি জনি আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 301 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যেসব ওয়েব সাইট থেকে এই টিউনের তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি সেগুলো ইংরেজীতেই লেখা ছিলো। আমি এতো কষ্ট করে বাংলা ট্রান্সলেট করলাম। আপনি আবার কেন এটাকে ইংরেজীতে করতে চাচ্ছেন? বুঝলাম নাহহ 🙁