কেমন আছেন সবাই ,
আশা করি অনেক ভাল।
২ দিন ধরে পোষ্টটি একটু একটু করে লিখছি।
যাই হোক । আজকের
মুল আলোচনায় যাওয়া যাক ।
ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন ।
আমারা তো সবাই কম বেশী ল্যাপটপ ব্যবহার করি।
কিন্তু শুধু ল্যাপটপ ব্যাবহার করলেই চলবে না। ব্যাবহার এর সাথে সাথে নিয়মিতভাবে এর যত্নও নিতে হবে। আপনার
কোনো কিছু কেনার আগে তা ভালো করে যাচাইবাছাই করে নেয়া উচিত, প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো সহায়তা নিন। কেননা, সব কিছুরই ভালো
ও মন্দ দুটি দিক থাকে। ভালো ও মন্দ দিক বিবেচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হবে। ল্যাপটপের সুবিধাগুলোর পাশাপাশি বেশ কিছু সমস্যাও
রয়েছে। যদি মনে করেন, সেসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন, তবেই কিনুন ল্যাপটপ, তা না হলে ডেস্কটপই আপনার জন্য ভালো হবে।
প্রথমে ল্যাপটপের সুবিধাগুলোর দিকে নজর দেয়া যাক :
০১. পোর্টেবিলিটি বা বহনযোগ্যতা :
ল্যাপটপগুলো ডেস্কটপ পিসির মতো শুধু ডেস্কের ওপরেই থাকে না, তা সাথে নিয়ে বাইরে যাওয়া যায় এবং যেকোনো স্থানে বসে সহজেই কাজ করা যায়।
০২. ছোট আকার :
আকারে বেশ ছোট ও হালকা বলে তা বহন করতে কষ্ট হয় না। ভ্রমণের সময় বাস, ট্রেন, কার বা প্লেনে বসে অনায়াসে হাতের কাজ সেরে নেয়া যায়।
০৩. বিদ্যুৎসাশ্রয়ী :
ডেস্কটপ পিসির মতো ৩০০-৪০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করার বদলে তা মডেলভেদে ডেস্কটপের তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
০৪. ব্যাটারির শক্তি :
লোডশেডিংয়ের সময় ডেস্কটপ চালাতে হলে ইউপিএস ব্যবহার করতে হয় এবং তার ব্যাকআপ দেয়ার ক্ষমতা সাধারণত ১৫-৩০ মিনিট হয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধাটির একটি হচ্ছে বিদ্যুৎ না থাকলেও ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত ব্যাটারির সাহায্যে তা অনেকক্ষণ চালানো যায়।
০৫. একের ভেতর অনেক :
ল্যাপটপের মধ্যে সব কিছু : মনিটর, কীবোর্ড, টাচপ্যাড, ডিস্কড্রাইভ, ওয়েবক্যাম, একসাথে রয়েছে যা আসলেই চমৎকার একটি সুবিধা।
ল্যাপটপের অসুবিধা
০১. স্থায়িত্ব :
ডেস্কটপ এক স্থানে থাকে এবং তেমন একটা নড়াচড়া করা হয় না। তাই তার কোনো অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ল্যাপটপ
বহনযোগ্য, তাই তা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। ল্যাপটপের লিড (মনিটর অংশ), অপটিক্যাল ড্রাইভ, কীবোর্ড ইত্যাদি বেশ
নমনীয়। তাই তা যত্নের সাথে ব্যবহার না করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, ল্যাপটপে সব যন্ত্রাংশ মিলে
একটি যন্ত্র। যেমন- ডেস্কটপের ক্ষেত্রে কীবোর্ড নষ্ট হলে সহজেই তা বদল করা যায়, কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। ল্যাপটপের খুচরা
যন্ত্রাংশ পাওয়া যেমন কষ্টকর, তেমন তার দামও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
০২. কার্যক্ষমতা :
সাধারণ মানের ল্যাপটপগুলোর ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে ডেস্কটপ পিসিগুলোর চেয়ে কম হয়ে থাকে। তবে ডেস্কটপের সমান ক্ষমতার
ল্যাপটপের দাম আকাশছোঁয়া। দামের দিক থেকে তুলনা করলে ল্যাপটপের ক্ষমতা একই দামের ডেস্কটপ পিসির তুলনায় বেশ কম।
০৩. ধারণক্ষমতা :
ল্যাপটপের আকার ছোট তাই স্বাভাবিকভাবে তাতে কোনো যন্ত্রাংশ লাগানোর জন্য জায়গার পরিমাণ সীমিত। ডেস্কটপের ক্যাসিংয়ে আলাদা
হার্ডডিস্ক, অপটিক্যাল ড্রাইভ, গ্রাফিক্স কার্ড, কুলিং সিস্টেম ইত্যাদি লাগানোর জন্য বেশ ফাঁকা জায়গা বা সুবিধা থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের
ক্ষেত্রে তা খুব কমই দেখা যায়। বড় আকারের ল্যাপটপে এরকম কিছু সুবিধা থাকে, তবে মাঝারি ও ছোট আকারের ল্যাপটপে এ ধরনের সুবিধা
দেখা যায় না।
০৪. ব্যাটারি লাইফ :
ল্যাপটপের ব্যাটারিগুলোর ব্যাকআপ দেয়ার ক্ষমতা সীমিত। যত ছোট আকারের ল্যাপটপ বা যত কম ক্ষমতার ল্যাপটপ হবে, তা তত কম
বিদ্যুৎ খরচ করবে এবং বেশি ক্ষমতা বা বড় আকারের ল্যাপটপে তার উল্টোটা ঘটবে। তাই কম ক্ষমতার ল্যাপটপে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি
সময় ও বেশি ক্ষমতার ল্যাপটপে কম সময় পাওয়া যাবে। বর্তমানে লোডশেডিংয়ের যে অবস্থা তাতে ব্যাটারি ব্যাকআপ পর্যাপ্ত নয়। তবে এ
সমস্যা দূর করার জন্য ল্যাপটপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো তাদের ল্যাপটপে পাওয়ার সেভিং টেকনোলজি ব্যবহার করছে।
০৫. কম্প্যাবিলিটি :
মডেল ও নির্মাতা কোম্পানিভেদে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশগুলোর মাঝে বেশ তারতম্য দেখা যায়, যেগুলোর একটি আরেকটিকে সাপোর্ট করে না।
তাই কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেই কোম্পানির একই মডেলের যন্ত্রাংশ জোগাড় করতে হয় যা বেশ সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাধ্য কাজ।
উদাহরণস্বরূপ, এক ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের অ্যাডাপ্টারের কানেক্টর অন্য ব্র্যান্ডের চেয়ে ভিন্নতর, তাই তা অদলবদল করে ব্যবহার করা যাবে না।
০৬. চড়া দাম :
ল্যাপটপের দাম তুলনামূলকভাবে ডেস্কটপের চেয়ে বেশি। যে দাম দিয়ে একটি ল্যাপটপ কেনা যায়, সে দামে আরো ভালো কনফিগারেশনের
ডেস্কটপ পিসি পাওয়া যায়। তবে পোর্টেবিলিটি, ফ্লেক্সিবিলিটি ও ব্যাটারি পাওয়ারের জন্য দামের ব্যাপারটি তেমন একটা বিবেচনা না করলেও চলে।
০৭. আপগ্রেড :
ডেস্কটপের যন্ত্রাংশ যখন-তখন আপগ্রেড করা যায়, কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা ভীষণ ঝামেলার ব্যাপার। প্রসেসর, মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে,
গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি আপগ্রেড করা সম্ভব নয়। কিছু ল্যাপটপে র্যাম, হার্ডডিস্ক ও অপটিক্যাল ড্রাইভ আপগ্রেড করার সুবিধা রয়েছে।
০৮. ডিভাইস কানেক্টর :
ইউএসবি, ফায়ারওয়্যার, সাটা, এইচডিএমআই, ভিজিএ, ডিভিআই ইত্যাদি পোর্টের সংখ্যা ল্যাপটপে বেশ কম। ভিডিও আউটপুটের জন্য
দু’য়েকটির বেশি পোর্ট সাধারণত থাকে না।
০৯. নিরাপত্তা :
ল্যাপটপের আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে ল্যাপটপ চুরি হয়ে যাওয়া। ল্যাপটপ আকারে ছোট, তাই সহজেই তা চুরি যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
নিজের ঘরে বা অফিসে ল্যাপটপের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, কিন্তু সব স্থানে তা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
ল্যাপটপ বেশ যত্নের সাথে ব্যবহার করতে হয়। ধুলোবালি, পানি, তাপ, চাপ, চুম্বক ইত্যাদির সংস্পর্শ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়।
এছাড়া ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি শেষ হবার পর তা সার্ভিসিং করানোর জন্য গুনতে হবে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। সাবধানতা ও যত্নের সাথে
ব্যবহার করলে ল্যাপটপের কিছু সমস্যা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই।
ল্যাপটপে চার্জ ধরে রাখার ৬টি কৌশল!
ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করার কিছু সহজ সমাধান রয়েছে। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের উচিত এ বিষয়গুলোকে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করে
নেয়া। তা হলে আর অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। সহজ ৬টি টিপস্ :
১. ডিসপ্লে: মোবাইলের মতো ল্যাপটপ স্ক্রিনও বেশি পাওয়ার ব্যবহার করে। সে কারণে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা চোখের জন্য সহনীয়
মাত্রায় যতোটা কমিয়ে ব্যবহার করা যায়, ততোটাই ভালো। যদি আপনার কিবোর্ডে ব্যাকলাইট থাকে, তবে সেটিও সেটিংস থেকে বন্ধ করে
দিন। এতে ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত হবে।
২. এক্সটার্নাল ডিভাইস: ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে যে কোন ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইস চালু থাকলে, তা আপনার ল্যাপটপ থেকে অনবরত
পাওয়ার টানতে থাকবে। এক্সটার্নাল ডিভাইসটির কাজ শেষ হয়ে গেলে, সেটি ইউএসবি পোর্ট থেকে খুলে ফেলার অভ্যাসই শ্রেয়।
৩. ওভারহিটিং বা অতিরিক্ত গরম হওয়া: ল্যাপটপ বেশি গরম হলে, ভেতরের ফ্যানগুলো আরও দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। আর তা
স্বাভাবিকভাবেই বেশি ব্যাটারি খরচ করে। সে কারণে একটি ল্যাপটপ কুলার কিনে নিন। এতে আপনার ল্যাপটপটি অতিরিক্ত গরম হবে না।
৪. হাইবারনেশনে রাখুন: ল্যাপটপ স্ট্যান্ডবাই মোডে না রেখে হাইবারনেশনে রাখুন। এতে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে যাবে ও ব্যাটারির
চার্জ অনেক বেশি সময় থাকবে। হাইবারনেশনে ল্যাপটপ বন্ধ হলেও, আপনি শেষ যেভাবে কাজগুলো সংরক্ষণ করছিলেন বা যে
উইন্ডোগুলো খুলেছিলেন, ল্যাপটপটি চালু করলে ঠিক সে অবস্থাতেই সেগুলো পাবেন।
৫. উইন্ডোজের পাওয়ার প্ল্যান: ল্যাপটপে উইন্ডোজের সঙ্গে বিল্ট-ইন পাওয়ার প্ল্যান সেটিংসও পাচ্ছেন। তাই চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন
অপশন; যেমন- ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়ানো বা কমানো, কখন ডিসপ্লে ডিম বা অনুজ্জ্বল করতে এবং বন্ধ করতে চান, হার্ড-ড্রাইভসমূহ ও
ইউএসবি পাওয়ার বন্ধ করতে চান, সেগুলো সংযোজিত রয়েছে।
৬. ব্যাটারি কেস: এ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যাটারির সম্পূর্ণ স্ট্যাটাস দেখায়। শুধু তাই নয়। কতোটুকু ব্রাইটনেসে ব্যাটারি কতোক্ষণ চলবে সে সম্পর্কে
সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সেখানে। ব্যাটারির বর্তমান কন্ডিশন কেমন, তাও জানতে পারবেন। সিপিইউ ও হার্ড-ড্রাইভ অতিরিক্ত গরম হয়ে
গেলেও, সেটা প্রদর্শন করে ব্যাটারি কেস অ্যাপ্লিকেশন।
ল্যাপটপ কেনার আগে/ ল্যাপটপ কেনার গাইডলাইন /ল্যাপটপ রিভিউ
একটি ল্যাপটপ কিনতে পারেন যেকোনো অনলাইন শপ থেকে বা যে কোন অনুমদিত দোকান থেকে। মাঝে মাঝে ল্যাপটপ এর ছোট অংশ
বা একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হয়ে পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। তখন আমাদের প্রয়োজন পড়ে যে আমরা কত কম সময়ের মধ্যে এটা ঠিক করে
বাকি বেশি সময়ই টা ব্যবসার কাজে লাগাতে পারি। SMBs এর মত বড় কোম্পানী গুলো আমাদের এই অসাধ্য কে সম্ভব করে দেয়। সুতরাং
আমরা সবসময়ই বড় ধরনের কোম্পানী কে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। ল্যাপটপ এর খুঁটিনাটি যেমন ক্যাটাগরি, ডিসপ্লে, সিপিইউ সম্পর্কে নিচে
আলোচনা করা হলঃ
Types:-
একটি নতুন শ্রেণী হল Ultra book। যা আমাদের কে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ থেকে অনেক ছোট আকারের কম্পিউটার উপহার দিয়েছে।
আমাদের যেমন ভ্রমন এর জন্য ছোট ডিসপ্লে প্রয়োজন যেমন ১২, ১৩ বা ১৪ ইঞ্চি। এটা হচ্ছে ইন্টেল কর্তৃক প্রদর্শিত। এছাড়া বর্তমানে Mac-
Book Air হল সবচে পাতলা কম্পিউটার। যদি আপনি দেখতে চান যে আপনার একটি ১৭” কম্পিউটার ডেস্ক এর উপর সর্বদা আপনার কাজ
করে দিচ্ছে এবং নিরাপত্তা ও দিচ্ছে।
আপনি নিশ্চই চান না যে আপনার বিনিয়োগ অতি দ্রæত নষ্ট হয়ে যাক? এক্ষেত্রে একটি ভালো মানের ল্যাপটপ আপনার বিনিয়োগ কে
দীর্ঘায়িত করবে।
Case:-
কেসের আকার এবং আপনি কেমন কাজে ব্যবহার করবেন তার উপর নির্ভর করবে। প্লাস্টিকের তৈরি ল্যাপটপ অনেক হাল্কা এবং
সহজে বহন যোগ্য হয়ে থাকে। এই আলট্রাবুক যা বর্তমানে আমাদের কাজে সবসময় লাগছে তা প্লাস্টিকের তৈরি এবং তাই প্লাস্টিকই
আলট্রাবুককে এত পাতলা বানাতে সাহায্য করেছে। ভেতরের কম্পোনেন্ট গুলো তৈরি করতে অ্যালমুনিয়াম বা মাগ্নানিজম ও ব্যবহার করা হয়ে
থাকে। আবার অনেকে ধাতু ব্যবহার করছে বাইরের আবরন টাকে ঘাতসহ বা ঘাত প্রতিরোধী করার জন্য।
ল্যাপটপ এর যে যন্ত্রগুলো সমন্ধে জানা দরকার
Hard-Drive:-
এটা এমন একটি ডিভাইস যা অতি নমনীয় এবং অল্প আঘাতে নষ্ট হয়ে যায়। এটার মধ্যে অনেক পাতলা পাতলা ডিস্ক আছে যা ঘূর্ণনের মাধ্যমে
আমাদের কে তথ্য প্রদান করে থাকে। বর্তমানে ল্যাপটপ গুলোর হার্ড ড্রাইভ গুলো শক প্রæভ হয়ে থাকে, এতে এমন এক ধরনের সেন্সর
দেওয়া থাকে যা শক প্রæভ। ড্রাইভ গুলোর নিরাপত্তার জন্য এ সেন্সর গুলো ব্যবহার করা হয়। অতঃপর বলা যায় যে এর মধ্যকার কোন পার্টস
নড়াচড়া করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ কম্প্যাক্ট। যার জন্য আমরা এত স্বাচ্ছন্দে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারি। এর জন্য যে এসএসডি
ডিভাইস ব্যবহার করা হয় সেটা অনেক ব্যয়বহুল কিন্তু এর ডাটা রিকভারি সার্ভিস খুব ভালো এবং সেই সাথে এটা ৫০০ ও ৭৫০ জিবি ড্রাইভ
অনেক ছোট আকারে তৈরি করতে পারে। যার দরুন এই ড্রাইভ গুলো হয়ে থাকে ছোট এবং সহজে বহন যোগ্য।
Keyboard and Touch Pad:-
বর্তমানে ল্যাপটপ গুলোর কীবোর্ড গুলো তৈরি হয় ভেন্টিকুলার হিসাবে। যার মধ্য দিয়ে গরম বাতাস বের হতে পারে। কিন্তু যদি কোন তরল
পদার্থ এর মধ্যে পরে যায় তবে প্রথমে ল্যাপটপের ব্যাটারি খুলে ফেলতে হবে এবং তারপর যত দ্রæত সম্ভব এটা কে শুকনো করতে হবে এবং
তারপর যত দ্রæত সম্ভব সার্ভিসিং এর ব্যবস্থা করতে হবে তা না হলে কীবোর্ড এবং টাচ প্যাড নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের কাজে এই
দুটি অপরিহার্য তাই কোনমতেই অবহেলা করা যাবে না। যত দ্রæত সম্ভব সার্ভিস করতে হবে।
Operating System:-
যদিও প্রলুব্ধকর যে ছোট ব্যবসার জন্য সস্তা কোন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করে যে কোন কাজ করা যেতে পারে, কিন্তু যে কোন
ভুল সংস্করণ আমাদের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। কারন এই সফটওয়্যার গুলোতে কোন থার্ডপার্টি ব্যাকআপ দিতে পারে না। বড়
ব্যবসার জন্য এটা অনেক ক্ষতির কারন। তাই আমাদের কে অবশ্যই ভালো লাইসেন্সকৃত উইন্ডোজ ব্যবহার করতে হবে। যাতে কোন বিপদ না
হয় বা ব্যবসার জন্য কোন ক্ষতি না হয়।
Security:
প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রথমে দেখতে হবে, কারন এটি হল আসল। যদি আপনার ল্যাপটপে ব্যবসা সংক্রান্ত কোন ডাটা থাকে আর
আপনার ল্যাপটপে যদি কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে কি হতে পারে?
TPM:-
TPM হল Trusted Platform Module যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কে অনেক সুন্দর ভাবে পরিচালিত করছে। এখানে পাসওয়ার্ড, লক আপনার
ডাটাকে নিরাপদে রাখছে এবং আই লক হল আপনার ল্যাপটপের হার্ডওয়্যারে এর সাথে সংযুক্ত। যার ফলে আপনার ডাটা এখানে থাকে
অনেক নিরাপদ আগের চেয়ে।
Bit Locker:-
এটা এমন এক ধরনের ব্যবস্থা যা আপনার ডাটা কে উইন্ডোজ ড্রাইভ এর সাথে সংযুক্ত রাখে, যা শুধু মাত্র উইন্ডোজ ৭ এর
একটি অংশ। এই অংশটা টিপিএম এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে।
Self-Encrypting Drive (SED):-
এই ড্রাইভ তাদের নিজস্ব হার্ডওয়্যার এনক্রিপশন বা সম্পাদনের জন্য একটি পাসওয়ার্ড , অথবা একটি
উপাদানের উপর নির্ভর করে।
Finger Print Scanner:-
হাতের ছাপ হল সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য পাসওয়ার্ড, কারন আপনার হাতের ছাপের সাথে আর কোনটাই মেলা সম্ভব না এবং এটা এই স্ক্যানার
এর জন্য ও খুব সোজা আপনার হাতের ছাপ নির্বাচন করা।
Smart Card:-
স্মার্ট কার্ড হল সেই কার্ড যা আমরা অফিস এর জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু এখানে এটা ব্যবহার করা হবে আপনার ল্যাপটপের
নিরাপত্তার জন্য। এটা আপনার ল্যাপটপ লক করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তা এবং এক্ষেত্রে সবসময় আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যেন
কার্ডটি আপনার সাথে থাকে যখন আপনি ল্যাপটপ থেকে দূরে অবস্থান করবেন। বর্তমানে ব্যবসার জন্য ব্যবহার করা ল্যাপটপে বিভিন্ন ধরনের
নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
Graphics, Port and Connectivity:-
GPU:-
আমাদের সাধারণত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্রাফিক্সকার্ড এর প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে ইন্টেল তাদের আধুনিক চিপে গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত
করেছে। আমাদেরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে ইন্টেল ও এএমডি এর এই নতুন পন্থা। এর ফলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে,
আমরা আগে ১০৮০পি এর ভিডিও ভালো ভাবে দেখতে পেতাম না, কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তির ফলে আমরা খুব স্মুথ ভাবে এটা দেখতে পাচ্ছি।
Video Output:-
যদি আপনি কোন প্রেজেন্টেশন কোথাও প্রেজেন্ট করতে চান তাহলে আপনার ল্যাপটপের সাথে একটা গ্রাফিক্স কার্ড আর একটা প্রদর্শন পর্দা
বা ডিসপ্লে প্রয়োজন হবে। ভিজিএ এবং এইচডিএমএ আপনাকে বেস্ট পিকচার আপনার আধুনিক ডিসপ্লে পর্দায় প্রদর্শন করবে। ডিসপ্লে পোর্ট
লং টাইম এইচডি ভিডিও দেখার জন্য ভিজিএ পোর্ট কাজ করে থাকে। বর্তমানে প্রচলিত ইন্টেল এর ওয়্যারলেস ডিসপ্লে আমাদেরকে আরও
সহজ করে দিয়েছে। এটা আরও আধুনিক ও ব্যবহার উপযোগী। এটা ব্যবহার আমাদেরকে অনেক সময় নষ্ট থেকে বাঁচিয়ে দেই। এই
ওয়্যারলেস ডিসপ্লে এর একটা অসুবিধা হল আপনার ল্যাপটপ থেকে এটা একটু পরে কাজ করে, অর্থাৎ আপনার ডিসপ্লেতে এখন যা দেখা
যাচ্ছে, পর্দায় তা হতে কিছু খুদ্র সময় পরে দেখা যাবে।
Data Port:-
বর্তমানে সাটা বা ইউএসবি ৩.০ পোর্ট আমাদের কে বড় বড় ফাইল দ্রæত ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে। আমরা আমাদের প্রয়োজনে
ইউএসবি ২.০ ব্যবহার করতে পারি কিন্তু যে কোন অসুবিধার মুখোমুখি না হবার জন্য ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ব্যবহার করা নিরাপদ। অনলইন
ব্যাকআপ এর জন্য ইউএসবি ৩.০ ব্যবহার হয়ে থাকে।
Wi-Fi:-
বর্তমানে এমন কোন ল্যাপটপ নাই যেখানে ৮০১.১১ বি/জি/এন ডবিøউআই-এফআই নাই। বিভিন্ন অফিসে আমরা ৫ গিগাহার্জ
পর্যন্ত Wi-Fi লাইন ব্যবহার করে থাকি। যার ফলে আমরা যেকোনো তথ্য কোন ডাটা পোর্ট ছাড়াই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করতে
পারি। বর্তমানে ৫ গিগাহার্জ ব্যান্ডে ৮০২.১১ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Ethernet:-
১০/১০০ এথেরনেট বর্তমানে সব ল্যাপটপে থেকে থাকে। এর মাধ্যমে আমরা অত্যন্ত ব্যস্ত সময়েও আমরা এইচডি ভিডিও দেখতে পারি। ব্যস্ত
নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও ব্যাক আপ ফাইল ব্যবহার করে এই কাজটি করা হয়ে থাকে।
Bluetooth:-
ব্লুটুথ হল একধরনের ওয়্যারলেস কানেকশন যা আমাদের ল্যাপটপ ও মোবাইল এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এর ফলে ফোন এ ডাটা
কানেকশন এর মাধ্যমেও আপনি ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সাথে হেডসেট ব্যবহার করে মোবাইল ছাড়া ও কথা
বলতে পারবেন শুধুমাত্র এই ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করে।
Broadband:-
যদি আপনি কোন কারনে Wi-Fi এর আওতার বাইরে ও থাকেন আর যদি আপনার ব্রডব্যান্ড কানেকসন থাকে তবে আপনি কখনই ইন্টারনেট
থেকে বিছিন্ন হবেন না। ইউএসবি ডঙ্গেল ব্যবহার করে সবসময়ই যুক্ত থাকতে পারবেন আপনার ব্যবসার সাথে।
PC Cards and Express Slots:-
PC Cards and Express Slots সাধারনত ব্যবহার করা হয় ল্যাপটপ মেরামত করার কাজে। এই যন্ত্রপাতি গুলো সাধারনত ব্যবসার জন্য
তৈরি হয়ে থাকে। যদি আপনার স্মার্ট কার্ড রিডার প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্যই FireWire স্লট যুক্ত আছে কি না
তা দেখে নিতে হবে।
SDHC/MMC:-
এই স্লট গুলো সাধারনত ব্যবহার হয় অতিরিক্ত কোন মেমোরি যুক্ত বা তা থেকে কোন ডাটা (হতে পারে ব্যবসার জন্য তৈরি
কোন ভিডিও) ল্যাপটপে নেবার জন্য। বর্তমানে আমরা যে ক্যামেরা বা মোবাইল ব্যবহার করে থাকি তা হতে ডাটা ট্রান্সফার করার জন্য এটা
অবশ্যই প্রয়োজনীয় একটি স্লট।
Port Adapters:-
আমরা এতÿন যে সব পোর্ট নিয়ে আলোচনা করলাম তার সবগুলোই অতি প্রয়োজনীয় এবং সেই সাথে বলে রাখা উচিত সব পোর্ট গুলো ও
কিন্তু ইউএসবিতে ব্যবহার করা যায়।
Peripherals:-
আমরা ভ্রমন পিয়াশু মানুষ জাতি, কিন্তু তার সাথে সাথে তো কাজটাও সারতে হবে বা মজা করার কোন ব্যবস্থা থাকতে হবে। এজন্য আছে
হেডফোন, পেন ড্রাইভ, আরও অন্যান্য ছোট খাটো ইউএসবি ডিভাইস। আধুনিক সব ল্যাপটপ কম্পিউটারে অবশ্যই এই পোর্ট গুলো বিদ্দমান
থাকে। যা আমাদেরকে সব ধরনের বিনোদন দিতে প্রস্তুত।
Travel Mouse:-
যদি আপনি আপনার সময়কে বেশি মূল্য দিতে চান তাহলে অবশ্যই একটা ইউএসবি মাউস থাকতে হবে। কারন এটা আমাদেরকে অনেক
সময় বাচিয়ে দেয়। তাই মাউস জিনিস তা অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।
Headphone:-
শুধু কাজ করলেই হবে না বিনোদনের ও ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ কারণে আমরা বিভিন্ন কোলাহল পূর্ণ জায়গাতেও হেড ফোন ব্যবহার করে
কাজ করতে পারি। এজন্য এটা সবসময়ই ল্যাপটপের সাথেই রাখতে হবে।
Flash Drive:-
এটা এমন এক ধরনের ডিভাইস যা আমাদের কে বিভিন্ন ডাটা জমা রাখতে ও এর নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আমরা অতি সহজে ডাটা
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্থর করতে পারি।
Optical Drive:-
বর্তমান যুগের ল্যাপটপ গুলতে কিছু অপ্টিকাল ডিভাইস দেওয়া থাকে যা সফটওয়্যার দ্বারা পরিচালিত হয়। যার ফলে
আমরা ডিভিডি বা ব্লুরে প্লেয়ারে মুভি দেখতে পারি। সাধারনত মিডিয়া ফাইল বা ব্রডব্যান্ড এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই অপ্টিকাল
ড্রাইভ গুলো বাবহারের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সফটওয়্যার ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু ইউএসবি অপ্টিকাল ড্রাইভ গুলো কোন সফটওয়্যার
ছাড়া অটোম্যাটিক চলতে পারে।
Parts Availability Platform Stability:-
শুধু ল্যাপটপ থাকলেই হল না বা শুধু বিক্রি করলেই সব শেষ হয়ে গেলো না, ভবিষ্যতে এটা সংরক্ষণ বা মেরামতের জন্য যথেষ্ট পার্টস
এভেইলেবল থাকতে হবে, তাহলেই কেবল মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বা পরিচিতি দুটোই পাওয়া যাবে। আর আমাদেরও এই দিকে লক্ষ রেখে
ব্র্যান্ড এর পণ্য কিনতে হবে। আগে সার্ভিস কেমন দেবে তা দেখেই কেবল মাত্র পণ্য কিনতে হবে, কারণ সময়টা আমাদের কাছে অনেক
মূল্যবান। এখনকার সব পণ্যের সাথে ১,২ বা ৩ বছরের ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। যে পণ্য গুলতে রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি আছে সেগুলো দ্রুত তারা
দিতে পারবে কিনা সেসব বিষয়ে লক্ষ রেখে পণ্য কিনতে হবে। Dell, Lenovo, ThinkPad, HP ব্রান্ড এর ল্যাপটপ গুলোর অনেক নাম
আছে, অর্থাৎ এদের ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক ভালো।
এবং বিবিধ
Warranty:-
প্রতিটা নতুন পণ্যরি কিছু ওয়ারেন্টি থেকে থাকে। যা ১,২,৩ বা ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর মধ্যে কোন সমস্যা হলে বিভিন্ন
কোম্পানী তা বিনা খরছে মেরামত করে দেয়।
Service:-
যে ব্র্যান্ড বা কোম্পানী থেকে ল্যাপটপ কিনি না কেন তাদের আইটি ডিপার্টমেন্ট কেমন তা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তারা 24×7 সার্ভিস
দেবে কি? আমরা তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ন জেনে তারপর তাদের কাছ থেকে কিছু গ্রহন করা উচিত।
————————————————————–
সমাপ্ত
————————————————————–
পরিশেষে এই কামনা করি, ভাল থাকুন আপনি, ভাল রাকুন আপনার প্রিয় ল্যাপটপকে………………
(পোস্টটি আপনার ব্লগে শেয়ার করলে অবশ্যই সূত্র উল্লেখ করে দিবেন)
আজ এই পর্যন্ত ।
টিউন ভাল লাগলে আমার টেক পেজে একটি লাইক দিতে পারেন
ভাল থাকবেন, প্রযুক্তির সাথেই থাকবেন………………
ধন্যবাদ
আমি আইনুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 186 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভাল লাগে প্রযুক্তির সাথে থাকতে,নুতন কিছু জানতে এবং জানাতে। http://www.aimzworld007.Tk
vai apnar tune ta pore onek valo laglo n oneek kichu jante parlam,apnake osongkho dhonnobad amon ekti sundor tune er jonno 🙂 ami ekta laptop kinte chacchilam, but BA z kom,27,000BDT te mota muti valo moddhe ekta laptop kinbo vab c, but ai dam a ki valo laptop pawa jabe? (core i3) naki 2nd-hand kinbo bujte par c na…… plz ektu advice diye soho jogita korben……………. 🙂