প্রিয় বন্ধুরা, প্রথমে সালাম নিবেন। অন্যান্য ব্লগারদের মতো অযথা বকবক করে সময় নষ্ট না করে একেবারে ডিরেক্ট চলে যাই আসল টপিক এ..!!
Apple কথাটি শোনে নাই এমন মানুষ নাই বললে ই চলে এখনকার দিনে। আজ আমি একটা টপিক নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি যেইটা আমাদের দেশে এখনো তেমনভাবে প্রচলিত হয়নি এখনো। প্রোডাক্টটির নাম Apple Pencil (এপেল আই পেন্সিল). ২০১৫ এর নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে বাজারে আসে প্রোডাক্ট টি। দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে, পেন্সিলটি শুধু আইপ্যেড-প্রো এর সাথে এ কাজ করে। অন্য কোন Apple ডিভাইস এর সাথে নয়। এটির ডিজাইন টা অনেক প্রিমিয়াম। সাদা গ্লোসি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরী হওয়ায় পেন্সিলটি দেখতে অনেক চমকপ্রদ। পেন্সিলটির সাইজ একটি নরমাল পেন্সিলের মতোই। তাই ধরতে কোনরকম আনকম্ফার্ট ফিল হবে না। পেন্সিল্টির ৩ টি পার্ট আছে। বাক্স খুললে ই সেট করার নিয়ম ছবি সহ দেওয়া আছে।(নিচে ছবি দেখুন)
পেনসিল্টি প্রধানত চার্জ এ চলে। তবে মাত্র ১৫ সেকেন্ড চার্জ দিলেই ৩০ মিনিট অনায়াসে চলবে। ফুল চার্জে প্রায় ১২ ঘন্টা একটানা ব্যবহার করা যাবে। চার্জ দেবার ২ টা পদ্ধতি আছে। ১. চার্জিং এডেপ্টার দিয়ে, ২.আইফোন অথবা আইপ্যেড এর চার্জিং পোর্ট এরর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে। এটি একটি বিপদজনক কারন, একটু অঘটন ঘটলে ই পেনসিল এর চারজিং পোর্ট টি ভেঙ্গে যাবার সম্ভবনা আছে। এটির জন্য প্রোডাক্টিকে বাতিল করার ও সিদ্ধান্ট নেওয়া হয়েছিলো একবার। চার্জিং পোর্টটি ঢাকার জন্য একটি ক্যপ আছে যাতে চুম্বক ব্যবহার করা হয়েছে। (ছবিতে দেখুন)
পেনসিলটি ব্লুটুথ এর সাথে কানেক্ট করে কাজ চালাতে হয়। কানেক্ট করার সময় আইপ্যেড এর চার্জিং পোর্ট এর মধ্যে ঢুকিয়ে পেয়ার করে নিতে হয়। তারপর কাজ সুরু করে। পেনসিলটিতে কোন প্রকারের আলো ব্যবজার করা হয়নি। তবে আপনি যদি এর চার্জ এর পরিমান দেখতে চান, তবে আইপ্যাড এর নোটিফিকেশন প্যেনাল থেকে দেখতে পারবেন।
এপেল আই পেন্সিল টির মধ্যে অনেক উচ্চমানের সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি এতোটাই স্মুতলি কাজ করে যে, আপনার মনে হবে যেন আপনি কাগজের উপর ই কাজ করছেন একটি অরডিনারি পেনসিল দিয়ে। পেনসিলটি সেন্সরটি ডিসটেন্স, পজিশন, ফোর্স এবং টিল্ট মানে আপনি কেমনভাবে ধরে আছেন, এগুলি বুঝতে পারে। আপনি যত আস্তে চাপ দিয়ে আঁকবেন, ততটাই সরু এবং হালকা রেজাল্ট পাবেন আর যত বেশি চাপ দিয়ে কাজ করবেন ততটাই ডিপ এবং বোল্ড রেজাল্ট পাবেন। আবার পেনসিলটি বাকা করে নিলে নরমাল পেনসিলের মত ই আবছা আঁকানোর মত ফিনিসিং পাবেন। ৬০ ফ্রেম/ সেকেন্ড এ চলার কারনে আপনার কখন মনে ই হবেনা যে আপনি ভারচুয়ালি কাজ করছেন।
প্রথমত আপনি নোটস নামের বিল্ড-ইন এপস টাতে পেনসিল ইউজ করে ড্র করতে পারবেন। কিন্তু নোটশ এপস টাতে বেশি ফিচার নেই, একটু ভালোভাবে কাজ করার জন্য আপনাকে এপ স্টোর থেকে পেইড এপস ডাউনলোড করে নিতে হবে। তাছাড়া আপনি আঙুলের বদলে ও পেনসিলের কাজ করতে পারবেন, কিন্তু সোয়াইপ করে নোটিফিকেশন প্যানাল ইয়ে আসা যাবে না। সেক্ষেত্রে আপনার আঙুল ব্যবহার করতে হবে।
সর্বপরি এপেল আই পেন্সিলটি অনেকের কাছে অনেক কার্যকর বলে মনে হয়েছে। অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার ইতোপূর্বে এর ব্যবহার করেছেন এবং তাদের কাছ থেকে আশানুরুপ উত্তর পাওয়া গেছে। এটি ৯৯ ডলার মানে আমাদের দেশে প্রাই ৭৫০০-৭৯০০ টাকা মুল্যে বাজারে এসেছিলো।
আমার কাছে কয়েকটি বিষয় একটু উইয়ার্ড লেগেছে। চার্জিং সিসটেম টা এমন না করে নরমালি চার্জ দেবার মত করলে একটু ভালো হতো। রিস্ক টা একটু কম থাকত। সনি অথবা নেক্সাস এর সাথে দেওয়া পেনসিলের মত এর পেছনে ইরেজার এর সিসটেমটা দিলে একটু সুবিধা হত। আর এটি যাতে সকল Apple ডিভাইস এ চলে, এমনভাবে তৈরী করলে আরেকটু বেশি আগ্রহ হত গ্রাহকগন।
আশা করি ভালো লেগেছে, কোন প্রশ্ন অথবা সাজেশন থাকলে টিউমেন্ট এ জানাতে ভুল করবেন না....!! ভালো থাকবেন
টেকহিলস ও টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে Bn.Techills.Net
আমি সাঈদ পাপ্পু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হ্যালো, আমি সাঈদ পাপ্পূ। আপনাদের মাঝে এসেছি কিছু শিখতে এবং শিখাতে। আমি টেকনোলজি ও টেকনিউজ পড়তে ও লিখতে খুব ভালোবাসি তাই আপনাদের মাঝে এসেছি। আমার নিজেরও ব্লগ আছে http://bn.techills.net
Nice