প্রকৃতপক্ষে অ্যাপল কোন ’ফোন ম্যানুফাকচারিং’ কোম্পানি নয়। যেমনটা নোকিয়া বা মটোরলা। কিন্তু তারপরও গত প্রায় ১ দশকে আমরা দেখেছি যে, বিশ্বের বাঘা বাঘা সব কয়টা ফোন কোম্পানিকে অ্যাপল বিপুল ব্যবধানে টেক্কা দিয়েছে। ইতিমধ্যে আইফোন ৬ এর জন্য প্রায় ৭ কোটি পিসের অরডার দিয়েছে অ্যাপল ইনকোরপোরেটেড। চিন্তা করুন, ৭ কোটি! তাও শুধু প্রি অরডার। সংখ্যাটা অবিশ্বাস্য!! ১৯৭১ সালে সমগ্র বাংলাদেশের জনসংখ্যাই ছিলো ৭ কোটি। এবং পৃথিবীর ইতিহাসে এটা রেকর্ড! পৃথিবীতে আর কোন মোবাইল ফোন কোম্পানী তাদের কোন ফোন বাজারে আসার আগেই এতসংখ্যক ফোনের প্রিঅরডার পায় নি। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইফোন ৬ বাজারে আসার ৩ সপ্তাহেরও কম সময়ের ভেতর এই ৭ কোটি ফোন বিক্রি হয়ে যাবে। ৪র্থ সপ্তাহ থেকে অ্যাপলকে ২য় চালানের জন্য অর্ডার দিতে হবে।
সিডনীতে আমি নিজের চোখে দেখেছি, ২০১০ সালে যেদিন আইফোন ফোর বের হলো সেদিন ভোর ৪ টা থেকে আপেল স্টোরের সামনে লম্বা লাইন। অথচ দোকান খুলবে সকাল ১০টায়। মানুষজন ৬ ঘন্টা আগে থেকে প্রচন্ড শীতের ভেতর দোকানের সামনে এসে দাড়িয়েঁ ছিলো, কখন দোকান খুলবে আর তারা আইফোন কিনতে পারবে। মজার ব্যাপার হলো, লাইনে দাড়ানোঁ সবাই কিন্তু সেদিন আইফোন কিনে বাড়ী ফিরতে পারেনি। কারন, লাইন শেষ হবার আগেই দোকানে আইফোনের স্টক শেষ হয়ে গিয়েছিলো। এর পরের বছর আপেলের বেশীর ভাগ স্টোরেই আইফোন পাওয়া যায়নি কারন ফ্যাক্টরি থেকে যা বের হয়েছে তার সবই প্রিঅডারে চলে গেছে, কেউ রিটেইল কিনতে পারেনি দোকান থেকে। দোকানে গিয়ে যারা কিনতে চেয়েছে, তাদেরকে আরো ৩ মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। ইয়েস! দিস ইস আইফোন।
পৃথিবীর আর কোন ফোন বাজারে আসার আগেই শেষ হয়ে যায় নি। গিয়েছিলো একমাত্র আইফোন। পৃথিবীর আর কোন ফোনের জন্য এইভাবে পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি মানুষ অপেক্ষায় থাকেনি যেমনটা থাকে নতুন মডেলের আইফোনের জন্য।
তা এই আইফোন কেন বিশ্বজুড়ে এত হট কেকের মতো বিক্রি হয়? কি মধু আছে এইটাতে?
১) হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার – দুটোই অ্যাপলের বানানো। প্রসেসর থেকে শুরু করে র্যাম, বডি, ক্যামেরা সবকিছু। তবে গত কয়েক বছর ধরে চায়নায় যে আইফোনগুলো বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো অবশ্য চাইনিজ লোকাল কাচাঁমাল দিয়ে বানানো কিন্তু কোয়ালিটি ভেরিফিকেশন করে আমেরিকার আপেল টিম। আর অপারেটিং সিস্টেম শতভাগ আপেলের ইন হাউস ডেভেলেপমেন্ট। অ্যাপল তাদের প্রডাক্ট বানানোর জন্য কারো ধার ধারে না। শুধু ম্যাকে ইন্টেলের প্রসেসর ইউজ করা হয়। তাও ২০০৬ সাল থেকে মানে এর আগের মেশিনগুলোতে অ্যাপল নিজদের তৈরী প্রসেসরই ব্যবহার করতো।
২) অভূতপূর্ব ডিজাইনঃ এই কথা সবাই জানেন যে, অ্যাপল যে কারনে আজকের অবস্থানে এসেছে তার প্রধান কারন হলো, তার ডিজাইন। অ্যাপেলের হার্ডওয়্যারের ডিজাইন তো বটেই এমনকি আপেলের অপারেটিং সিস্টেমেটরও পরিছন্ন, আধুনিক, বুদ্ধিদীপ্ত, অনবদ্য আর নজরকাড়া নির্মানশৈলী এবং গ্রাফিক্স ইন্টারফেস যে কোন টেকপ্রিয় মানুষকে মুগ্ধ করে ছাড়বে। এ প্রসংগে অ্যাপলের উদ্যোক্তা স্টিভ জবসের একটা বিখ্যাত কোটেশন প্রনিধানযোগ্যঃ "Everybody thinks that the design is actually how it looks, but if you think deeper, you'd realize that the design is actually how it works!"
৩) নিরাপত্তাঃ অ্যাপলের কোন ডিভাইস ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না। হ্যাক করতেও হ্যাকারদের কালঘাম ছুটে যায়। [আইফোন জেলব্রেইকিং এক ধরনের হ্যাকিং। মানে আইফোন যেটা ইউজ করতে বানানো হয়নি বা করা উচিত না বা করাটা অবৈধ, সেটাই জোর করে আইফোন দিয়ে করানোর নামই হচ্ছে জেলব্রেকিং। জেলব্রেকিং এর অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা রয়েছে যেমন ওএস আপডেট দেবার সময় অনেক সময় ঝামেলা করে এবং আইক্লাউডের মতো ট্রাকিং সার্ভিসগুলোর সাহায্য নেয়া যায় না। মানে জেলব্রেকিং করা আইফোন হারিয়ে গেলে সেটা আপনি গুগলম্যাপ থেকে খুজেঁ পাবেন না, পেলেও ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারবেন না। আর সেটা করা না গেলে, আপনার হারানো আইফোন খুজেঁ পাবার সম্ভবনা শূন্য। বিস্তারিত জানতে আইক্লাউড ফিচার লিখে গুগলে সাচ দিন। এই কারনে আমি কখনই জেলব্রেককে পছন্দ করি না। আমার কাছে একটা খুবই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। অসম্ভব বাধ্য না হলে আমার আইফোনটির কোনদিন জেলব্রেক করবো না।]
খুব সম্ভবত নিরাপত্তার কারনেই আইটিউনস ছাড়া কোন আইডিভাইসে ডাটা সিংক করা যায় না এবং ব্লুটুথ দিয়ে ফাইল আদান প্রদান করা যায় না। তবে ইদানিং আইটিউন ছাড়ও DiskAid এর মতো অনেক সফটওয়্যারের সাহায্যে ডাটা সিংক করা যায়। এমনকি আপনার আইফোনের এসএমএসের ব্যাকাপও নিতে পারবেন। [ট্রায়াল ভার্সনে অনেক ফিচার পাবেন না। অপরদিকে আইটিউনস বিনামূল্যেই ফুল ভাসন নামাতে পারবেন।]
প্রসংগত একটা কথা বলি, অনেকে মনে করেন, জেইলব্রেক করা ছাড়া আইফোনের অপারেটিং সিন্টেমের ভেতরে ঢোকা যায় না। যারা এটা মনে করেন তারা ভুল জানেন। iFunbox নাম একটা ছোট্ট থার্ড পার্টি সফটওয়্যার আছে যেটা দিয়ে আপনি জেলব্রেক ছাড়াই আইফোনের সিস্টেম ফাইলে অ্যাকসেস করতে পারবেন এমনকি যে কোন গেইম বা অ্যাপের ব্যাকাপ ম্যানুয়ালি নিয়ে আইফোন ফরম্যাট দিয়ে আবার সেগুলোকে রিস্টোর করতে পারবেন। আমি নিজের হাতে এটা ট্রাই করে দেখেছি।
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমেরগুলোর মধ্যে অ্যাপলের আইওএসকেই সবচেয়ে নিরাপদ বলে রায় দিয়েছেন প্রযুক্তি-বিশ্লেষকেরা।
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করা হয় স্পাইওয়্যারকে। সাম্প্রতিক এক পরীক্ষায় দেখা গেছে— স্পাইওয়্যারের কবলে আইওএস ছাড়া আর কোনো মোবাইল ওএস প্রতিরোধ গড়তে পারে না। সম্প্রতি প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সি নেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যার্থে ফিনস্পাই নামে একটি স্প্যাইওয়্যার দিয়ে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলো নিয়ে গোপন গবেষণা চালানো হয়। দূর থেকে মোবাইল মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারে নজরদারি করার ক্ষেত্রে তা কতখানি নিরাপদ ও ব্যবহারকারীর ফোন কল, কন্ট্যাক্ট বা অন্যান্য তথ্যের কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে সে লক্ষে এই স্পাইওয়্যার দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে গামগ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরীক্ষায় দেখা গেছে, শক্তিশালী স্পাইওয়্যার অ্যাপলের আইওএস অপারেটিং সিস্টেম বাদে সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ফেলতে সক্ষম। অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, সিমবিয়ান কিংবা উইন্ডোজের তুলনায় আইওএস প্ল্যাটফর্ম বেশি নিরাপদ। তবে দেখা গেছে, জেলব্রোকেন মোডে আইওএস স্পাইওয়্যার ঠেকাতে পারে না। (সূত্রঃ http://www.Cnet.com)
আইফোন হারিয়ে যাবার Find My iPhone দিয়ে খুজেঁ বের করুন আপনার ফোন। এমনকি উন্নত বিশ্বে বসবাস করলে এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি আপনার হারানো ফোনটি ফিরেও পেতে পারেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার টিউনটি পড়ুন।
৪) আইডিভাইস সাধারনত নষ্ট হয় নাঃ আপনি বড় জোর ইউজ করে করে সেটাকে স্লো বা স্বল্প কর্মক্ষম করতে পারবেন কিন্তু একেবারে নষ্ট করতে পারবেন না। অ্যাপেলের প্রডাক্ট যতগুলোই নষ্ট হয়েছে, সেগুলো হয়েছে ওএস আপডেট দেবার কারনে বা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের সময় হাডওয়্যার সমস্যার কারনে যেটা অত্যন্ত দুর্লভ কেইস। [যেমনঃ আইওস ৭ এ আপডেট দেবার ফলে কয়েক হাজার আইফোনের ওয়াই ফাই এবং ব্লুটুথ নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সেটার সমাধানও বের করেছি। সে বিষয়ে পরে টিউন দিবো।] অ্যাপলের প্রডাক্ট সহজে নষ্ট হয় না বলেই বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে কয়েকটা দোকান আছে যেখানে কোন ওয়ারেন্টি ছাড়াই অ্যাপলের যে কোন প্রডাক্ট অদল বদল করা যায়। আমি নিজে ২০০৮ সাল থেকে আইপড টাচ এবং ২০০৯ সাল থেকে ৮০ জিবির আইপড ক্লাসিক ব্যবহার করছি। ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন সমস্যা আমার কোন আইপডেই কোন দেখা যায়নি। আমার এক রুম মেট টানা ৭ বছর ম্যাক বুক প্রো ইউজ করেছে, কোনদিনও কোন সমস্যা হয়নি। কোন বড় ধরনের সমস্যা ছাড়া এত দীর্ঘ সময় কার্যক্ষম থাকার রেকর্ড আর কোন কম্পিউটার কোম্পানির নাই। মাইক্রোসফট তো নয়ই।
৫) ইউজারদের জন্য সারপ্রাইজঃ আইফোনের প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমে নিত্য নতুর ধরনের ফিচার থাকে। যেগুলো তাদের মুগ্ধ করে, উপকার করে ও আমোদিত করে। কিন্তু অ্যাপল তার ইউজারদের রীতিমতো অবাক করে দেয়, তাদের ওএসের কিছু হিডেন ফিচার দিয়ে। প্রতিটি ওস ভাসনেই এমন কিছু ফিচার থাকে, যেগুলোর ব্যাপারে অ্যাপল ওএস রিলিজের আগে বা পরে কখনই মুখ খুলে না। অ্যাপল ধরেই নেয়, সেগুলো ব্যবহারকারী নিজেই খুজেঁ নেবে এবং সারপ্রাইজড হবে। এবং আসলেও তারা তাই হয়। বিস্তারিত জানতে iOS 7 hidden features লিখে সার্চ দিতে পারেন। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন দুয়েকটা হিডেন ফিচার তো যে কোন অপারেটিং সিস্টেমেরই থাকতে পারে। কিন্তু না জনাব, আইওএস ৭ এর এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক হিডেন ফিচার খুজেঁ পাওয়া গেছে, যেগুলো অ্যাপল তাদের ক্যাটালগেও উল্লেখ করেনি। ৮ এ ধারনা করা হচ্ছে, হিডেন ফিচারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে। আমি দেখেছি যে, নতুন ওএস রিলিজ হবার পর কে কত আগে হিডেন ফিচারগুলো খুজেঁ বের করে ব্লগে টিউন দিবে তা নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
৬) আন্তরিক বিক্রোয়ত্তর সেবাঃ অ্যাপলের আফটার সেল সার্ভিস এক কথায় অসাধারন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কথাটা বল্লাম। আমার আইপড ক্লাসিকটির ব্যাটারি লিকুইড ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিলো। সবাই জানেন যে, লিকুইড ড্যামেজের জন্য দুনিয়ার কোন ইলেকট্রনিকস কোম্পানি আপনাকে ওয়ারেন্টি দিবে না। এমনকি অ্যাপলের ক্যাটালগেও তাই লেখা আছে। কিন্তু শুধুমাত্র তাদের কাস্টমার সাভিস ভালো হবার কারনে সেদিন তারা আমাকে আমার নষ্ট আইপড ক্লাসিকটা ফেরত নিয়ে একটা ফ্যাকটরি রিফারবিশড ডিভাইস দিয়েছিলো। এরপর আমার এক ইউরোপিয়ান কলিগ তার Powerbook G4 ল্যাপটপটি নিয়ে গিয়েছিলো বুটিং সমস্যার কারনে, ৩ বছর আগে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড এক্সপায়ার হবার পরও অ্যাপলের কাস্টমার সাভিস তার ল্যাপটপটি বিনামূল্যে সারিয়ে দিয়েছিলো। অথচ ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে পৃথিবীর কোন কাষ্টমার সার্ভিস আপনার পণ্যটির দিকে ফিরেও তাকাবে না, সারিয়ে দেয়া তো অনেক পরের কথা।
৭) Help for less mobility person: দৃষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং পক্ষাঘাতগ্রাস্থ মানুষদের জন্য আইফোনের ওএসকে সাধারনত বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়। পৃথিবীর আর কোন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম প্রতিবন্ধীদের জন্য ওতটা বান্ধব নয় যতটা বান্ধব আইফোন ওএস। সম্প্রতী iOS 8 এ ব্রেইল পদ্ধতিতে টাইপ করার ফিচার নিয়ে এসেছে আপেল, যেখানে ভাইব্রেশন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে।
৮) অভূতপূর্ব প্রযুক্তিঃ আইফোন পৃথিবীবাসীকে এমন কিছু প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, যেটা কেউ আগে কখনো দেখেনি বা শুনেনি। আজকের দুনিয়ায় অ্যাপের জয়জয়কার। অ্যাপলের অ্যাপস্টেরের সাথে সাথে এখন গুগলের অ্যাপ স্টোর আছে, এমনকি উইনডোজেরও আছে, কিন্তু অ্যাপকে প্রথম কে পরিচয় করিয়ে দেয় আমাদের সাথে? স্টিভ জবস। এই অসম্ভব দূরদর্শী মানুষটা বুঝতে পেরেছিলো যে, ভবিৎষতের দুনিয়ায় ডেস্কটপ এপ্লিকেশনের কোন বেইল মানুষের কাছে থাকবে না। ভবিৎষত দুনিয়া শাসন করবে মোবাইল ডিভাইস এবং শুধুমাত্র মোবাইল ডিভাইসের জন্য বিশেষায়িত কোন অ্যাপ্লিকেশন তিনি বানাতে চাইলেন। যেগুলো হবে হালকা অথচ শক্তিশালি ও আধুনিক। তিনি আইফোনের সাথে সাথে প্রযুক্তি বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন App ধারনার। এবং বলা বাহুল্য, বর্তমানে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি টেক জায়ান্ট কোম্পানি শুধুমাত্র তারঁ এই ধারনাকে পুজিঁ করে, অ্যাপ বিক্রি করে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাচ্ছে। উল্লেখ্য, ক্লাউড স্টোরেজকে পৃথিবীতে সর্বাধিক সফলভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে অ্যাপল ইনকোরপোরেটেড।
৯) আইফোনের যে সব বিষয়ে উপর সর্বাধিক গুরত্ব দেয়া হয়ঃ i) User Experience ii) Hardware Design & Performance iii) Applications এবং iv) Media Ecosystem। পৃথিবীর আর কোন মোবাাইলে এক সাথে এতগুলো বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া হয় না।
বিখ্যাত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মার্ক বেনিয়াওফ তার ব্লগে সম্প্রতি লিখেছেনঃ Apple has built and nurtured the advantages with which it launched the smartphone era: user experience, hardware design and performance, and its app and media ecosystem. It’s developed into a top-10 global consumer brand, and most important, it has a large set of loyal and affluent customers who pay up for phones and software, keeping its ecosystem on top.
We are early in the smartphone era. As long as Apple can stay significantly better and take care of its customers, it has a long way to run.
১০) পেশাদার ও বহুমাত্রিক কাজঃ আইফোন, আইফোন-অ্যাপ আর কিছু মূলবান হার্ডওয়্যার দিয়ে আপনি দৈনন্দিন তো বটেই, প্রফেশনাল কাজও সুচারুরূপে করতে পারবেন। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফটোগ্রাফার, মিউজিশিয়ান, শিক্ষক, বিজ্ঞানী প্রভৃতি পেশাজীবির লোকেরা তাদের কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফলভাবে আইফোন এবং আইপ্যাড ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে যারা বিস্তারিত জানতে আগ্রহী, তারা অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে যে ভিডিওগুলো আছে, একটু সময় নিয়ে সেগুলো দেখুন। খুব বেশী নেট লাগবে না। আমি বাজী ধরে বলতে পারি, ভিডিওগুলো দেখার পর আইফোনের ইউজেবিলিটি সমন্ধে আপনার ধারনা অনেক বেশী উন্নত হবে। এবং আপনি অবাক হবেন। এমনকি ভিডিওতে যত ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে, ওয়েব সাইটে সেগুলোর লিষ্টও দেয়া হয়েছে যাতে আগ্রহীরা ডাউলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। বেশীরভাগ অ্যাপই ফ্রি।
কিছু প্রাসঙ্গিক লিংকঃ আইফোন হচ্ছে পৃথিবীর সেরা স্মার্টফোন , কেন আমি আমার এন্ড্রয়েড ফোনটিকে ফেলে দিয়েছি , যে দশটি কারনে আইফোন ৫ এন্ড্রয়েডকে টেক্কা দিবে
সবশেষে নাইন গ্যাগের সৌজন্যে স্যামসাং গ্যালাক্সির একটি মজাদার বিজ্ঞাপনঃ 😀
শেষের ট্যাগ লাইনটা পড়ে তো হাসতে হাসতে শেষ! 😛
আমি প্রলয় হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অনলাইনে লেখালেখির শুরুটা ২০০৬ এর নভেম্বর থেকে। নিয়মিত লেখার শুরু আরো ১ বছর পরে। তারপর আর থেমে থাকিনি। একের পর এক লিখে গিয়েছি বাংলাদেশের স্বনামধম্য সব কয়টা বাংলা ব্লগ সাইটে, মিউজিক ফোরামে, ফ্লিকরে, ফেসবুক আর টুইটারে। এখনো লিখে চলেছি, আজীবনই লিখে চলার ইচ্ছে আছে। কারন লেখালেখি করে হয়তো পেট চালাতে...
সবই ঠিক আছে 🙂 কিন্তু আপনিও জানেন বাংলাদেশের মানুষ 30 টাকা দিয়ে মানসম্মত পাউরুটি খাওয়ার চাইতে 5 টাকা দিয়ে অসাস্থ্যকর বনরুটি খেতে কেন পছন্দ করে।