আশাকরি।
আইফোন তার কিছু নতুন ফোনের নাম ঘোষনা করেছে। এগুলো হল আইফোন ৮, আইফোন ৮ প্লাস এবং আইফোন এক্স। এই ফোন তিনটির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল আইফোন এক্স ই প্রথম আইফোন যেটাতে কি না প্রথম ওএলইডি স্ক্রিন ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে আইফোন ৮, আইফোন ৮ প্লাসেও ব্যবহার করা হয়েছে এলসিডি স্ক্রিন। ওএলইডি টেকনোলজি অ্যাপলে নতুন যুক্ত করা হয়েছে।
কিন্তু যারা স্যামসাং ফোন (অথাবা গুগল পিক্সেল, অথবা নিউ এসেনশিয়াল ফোন) ব্যবহার করেছেন তারা এই ওএলইডি স্ক্রিনের সাথে পরিচিত। এমনকি স্যাম তার প্রথম গ্যালাক্সি ফোন যেটা কি না ৭বছর আগে বের হয়েছে সেটায়ও এই ওএলইডি স্ক্রিন ব্যবহার করেছে।
ওএল ই ডি এর পূর্ণরুপ হচ্ছে, অরগানিক লাইট ইমিটিং ডায়োড। এটা এক প্রকারের ডিস্প্লে টেকনোলজি। এটা এলইডির মতো ব্যাকলাইটিং সিস্টেমের পরিবর্তে এমন এক ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করে যে, প্রতিটি পিক্সেলে আলো উৎপাদন করে পিকচার তৈরি করে। যার ফলে অসীম কনট্রাস্ট রেশিও উৎপাদন করে। এই স্ক্রিনে পিকচার বিহিন অংশকে কালো আর পিকচার সহ অংশে উজ্জ্বল সাদা ধরনের আলো সৃষ্টি হয়। ফলে পিকচার অনেক উজ্জ্বল আর স্পষ্ট দেখায়।
একারণেই এই স্ক্রিনের ছবিগুলোকে বেশি বাস্তব মনে হয়। আপনি যদি গ্যালাক্সি এস৮ এবং আইফোন ৭ পাশা পাশি রাখেন তাহলে দেখবেন আইফোনের ডিসপ্লে সুন্দর তবে স্যামসাং এর ডিসপ্লে অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক ও সুন্দর। আর স্ক্রিনও অনেক পাতলা।
সহজভাবে বলতে গেলে ব্যাকলাইটিং টেকনোলজি, বিস্তৃত কালার এরিয়া এবং এইচডিআর এলসিডি ডিসপ্লে এর বিট ক্যাচ করে। কিন্তু ছবি ততটা পরিপূর্ণ ক্লিয়ার ছিল না। তাই সরাসরি বলা যায় যে, কনট্রাস্টের ব্যাপক পরিবর্তনই ওএলইডি কে সুপারিয়র করেছে।
আসলে সব জিনিসই পরিপূর্ণ নয়। তেমনি এই ওএলইডিও পরিপূর্ণ নয়। কারণ এর ডিস্প্লে কালার পরিবর্তনশীল। এছাড়া এটা খুব ভুলনারেবল। যদি একটা ছবি স্ক্রিনের উপর অধিক সময় রাখা হয় তাহলে সেটা স্ক্রিনে বার্ণ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। যদিও এটা ওএলইডি তে নতুন কোনো সমস্যা না। এলসিডি স্ক্রিনও এমন বার্ণ হয়ে থাকতো। তাই আইফোনে এই সমস্যা টা সমাধান করা হয়েছে। এখন আর আইফোন এক্স এই সমস্যাটি নেই।
ডানপাশের ব্লু লাইনটা বুঝাচ্ছে প্রকৃত পক্ষে স্ক্রিনটি এখনও অন আছে। কিন্তু আইফোনে মুছে দেয়া হয়েছে।
যারা এই ফোনটি কিনতে চায় তাদের জন্য এক কথায় বলা যায় ফোনটি অনেক ভাল হবে। তবে আপনাকে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখনো শিপ হয় নি। তবে অনুমান করা যাচ্ছে, এই ফোনে স্যামসাং এর ওএলইডি স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে।
ওএলইডি স্ক্রিন অনেক বেশি উজ্জ্বল আর সুন্দর ছবি তৈরি করে, ডিস্লেও অনেক উজ্জ্বল আর সবচেয়ে চিত্তার্ষক বিষয় এটিই যে সবকিছুই বাস্তব মনে হবে। ফোনে আঙ্গুল সুইপ করলে মনে হবে আপনি গাছে উঠতেছেন। মানে রিয়েল ফিলিংস হবে। বিশেষ করে যারা গ্লাস বা লেন্স ব্যবহার করেন তারা ওএলইডি আর এলসিডি এই দুটির মধ্যে পার্থক্য খুব ভালভাবে ধরতে পারবেন।
আরেকটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, আপনি আইফোন এক্স এর সকল ছবি যেকোনো এংগেল থেকে পরিষ্কার ভাবে দেখতে পারবেন। এই টেকনোলজি সত্যিই অনেক চমকপ্রদ।
নোটঃ যেহেতু ওএলইডি স্ক্রিন সাধারণভাবেই অনেক দামী. তাই আইফোন এক্স এরও দাম একটু বেশি। আইফোন এক্স এর দাম হচ্ছে, ৯৯৯ইউএস ডলার।
যাইহোক, অনেক কথাই বললাম। আশা করি আপনাদের এই নতুন আইফোন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। যাদের সামর্থ আছে চাইলে এই ফোনটি কিনতে পারেন। তবে আগেই বলেছি নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখনও ফোনটির শিপিং হয় নি।
যদি ভাল লেগে থাকে আমার এই টিউন তাহলে অবশ্যই একটা সুন্দর টিউমেন্ট করবেন। বন্ধুদের জানাতে ফেসবুকে শেয়ার করবেন। আর লাইক দিতে ভুলবেন না কিন্ত। আজকের মত বিদায়। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন, প্রযুক্তিকে ভালবাসুন আর প্রযুক্তির সাথেই থাকুন।
আল্লাহ হাফিজ
আমি মোঃ আশিকুর রহমান সরল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 102 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী।কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি।পৃথিবীকে নতুন কিছু করে দেখাতে চাই। My Website
Thanks.