অনলাইন থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোডের পূর্বে যে ৭ টি জিনিস অবশ্যই চেক করা উচিত!

Level 15
কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা

বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড করা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ কাজ হয়ে উঠেছে। তবে, অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফাইল ডাউনলোড করার সময় নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, ভাইরাস এবং অন্যান্য সাইবার ঝুঁকির কারণে আপনার কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত তথ্য হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

তাই, অনলাইনে ফাইল ডাউনলোড করার আগে আমাদের অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চেক করা উচিত। আজকের এই টিউনে আমি অনলাইন থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোডের পূর্বে যে ৭ টি জিনিস আপনার অবশ্যই চেক করা উচিত, সে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। এই নির্দেশনাগুলি মেনে চললে, আপনি নিরাপদে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে ইন্টারনেট থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোড করতে সক্ষম হবেন।

১. যেকোনো ফাইল ডাউনলোডের পূর্বে অফিসিয়াল সোর্স খুঁজুন

যেকোনো ফাইল ডাউনলোডের পূর্বে অফিসিয়াল সোর্স খুঁজুন

অনলাইন থেকে ফাইল ডাউনলোড করার সময় প্রথম এবং প্রধান কাজ হল অফিসিয়াল উৎস খুঁজে বের করা। কোনো ফাইল ডাউনলোড করার পূর্বে সর্বদা সেই সফটওয়্যার বা সার্ভিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করার চেষ্টা করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গুলোতে সাধারণত সর্বোচ্চ সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হয় এবং এখানে আপডেটেড ও ভেরিফাইড ফাইল গুলোই সরবরাহ করা হয়।

অনেক সময় বিভিন্ন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট বা অজানা সোর্স থেকে ফাইল ডাউনলোডের লিঙ্ক পাওয়া যায়, যা বিপজ্জনক হতে পারে। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো থেকে ফাইল ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার সংক্রামিত ফাইল থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই, আপনার উচিত হবে সর্বদা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ফাইল ডাউনলোড করা।

আর যদি আপনার পক্ষে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা সম্ভব না হয়, তবে নির্ভরযোগ্য এবং পরিচিত ওয়েবসাইট গুলোর রিভিউ এবং রেটিং যাচাই করে, সেখান থেকে ফাইলগুলো ডাউনলোড করুন। এছাড়াও, অনলাইনে আপনার মত অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মতামত এবং রিভিউ পড়ে নিতে পারেন, এবং তার সাহায্যে আপনি একটি সঠিক ওয়েবসাইট বেছে নিয়ে সেখান থেকে ফাইলগুলো ডাউনলোড করতে পারেন। এভাবে করে আপনি চাইলে খুব সহজেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং নির্ভরযোগ্য সোর্সগুলো থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোড করে আপনার ডিভাইস এবং আপনার তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।

২. ওয়েবসাইটের SSL সার্টিফিকেট পরীক্ষা করুন

ওয়েবসাইটের SSL সার্টিফিকেট পরীক্ষা করুন

অনলাইন থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করার সময় ওয়েবসাইটের SSL বা Secure Sockets Layer সার্টিফিকেট পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। SSL সার্টিফিকেট ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিশ্চিত করে থাকে এবং সেই সাথে ডেটা এনক্রিপশন ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখে।

কোন একটি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে SSL সার্টিফিকেট আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে ওয়েবসাইটের URL এর দিকে লক্ষ্য করুন। যেখানে একটি নিরাপদ ওয়েবসাইটের URL সাধারণত "https://" দিয়ে শুরু হয়। এখানে "s" এর মানে হলো যে, ওয়েবসাইটটি SSL দ্বারা সুরক্ষিত। এক্ষেত্রে আপনি ব্রাউজারের এড্রেস বার-এ একটি ছোট তালা চিহ্নও দেখতে পাবেন, যা মূলত সাইটটির SSL সার্টিফিকেট নির্দেশ করে থাকে।

SSL সার্টিফিকেট যুক্ত কোন একটি ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করতে গেলে এটি আপনাকে শুধুমাত্র এটি নিশ্চিত করে যে, আপনার ডাউনলোড কৃত ডেটা থার্ড পার্টির কাছে ফাঁস হবে না। অন্যদিকে, SSL সার্টিফিকেট ছাড়া ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোড করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন চুরি বা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই, কোনো ফাইল ডাউনলোডের পূর্বে অবশ্যই ওয়েবসাইটের SSL সার্টিফিকেট যাচাই করে নিন।

৩. ডোমেইনের TLD (Top Levels Domain) পরীক্ষা করুন

ডোমেইনের TLD (Top Levels Domain) পরীক্ষা করুন

অনলাইন থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোড করার সময় অন্যান্য বিষয়ের সাথে সাথে অবশ্যই ওয়েবসাইটের ডোমেইন TLD (Top Levels Domain) পরীক্ষা করা ও গুরুত্বপূর্ণ। TLD হচ্ছে মূলত একটি ডোমেইনের শেষ অংশ, যেমন ".com", ".org", ".net" ইত্যাদি। কোন একটি ওয়েবসাইট কেমন এবং একটি ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্দেশ করার জন্য এ ধরনের টপ লেভেল ডোমেইন গুলো ব্যবহার করা হয়।

যেখানে, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট গুলো সাধারত টপ লেভেল ডোমেইন গুলো ব্যবহার করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ".com" বা ".org" ডোমেইন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য হয়। অন্যদিকে, অস্বাভাবিক বা অচেনা TLD গুলোর মধ্যে যেমন ".xyz", ".club", বা ".top" ইত্যাদি ডোমেইন নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। কারণ, এসব এক্সটেনশনযুক্ত ডোমেইন গুলো সাধারণত স্ক্যাম করার জন্যই কেনা হয় এবং সেগুলো অনেক সময় স্ক্যাম বা ফিশিং সাইট হতে পারে।

এছাড়াও, আপনি অধিক সতর্কতা হিসেবে একটি ডোমেইন টপ লেভেল এক্সটেনশনযুক্ত কিনা তা যাচাই করার পাশাপাশি, ডোমেইনের নামের অন্যান্য অংশ গুলোও লক্ষ্য করুন। কোনো ওয়েবসাইটের নাম যদি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সাথে সামান্য পার্থক্য থাকে, তবে এটি একটি স্ক্যাম সাইট হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, "example.com" এর পরিবর্তে "example.net" বা "example-download.com" এর মতো নাম। অপরাধীরা সাধারণত এ ধরনের কৌশলের মাধ্যমে আপনাকে ক্ষতিকারক ফাইলগুলো ডাউনলোড করাতে পারে।

অতএব, ফাইল ডাউনলোড করার পূর্বে ডোমেইনের TLD এবং সম্পূর্ণ ডোমেইন নাম ভালোভাবে যাচাই করে নিন। এর ফলে আপনি সন্দেহজনক ওয়েবসাইট গুলো থেকে বাঁচতে পারবেন এবং আপনার ডিভাইসের সর্বোচ্চ সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে পারবেন।

৪. ডোমেইনের বয়স চেক করুন

ডোমেইনের বয়স চেক করুন

ইন্টারনেট থেকে যেকোন ফাইল ডাউনলোড করার আগে ওয়েবসাইটের ডোমেইনের বয়স পরীক্ষা করা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হতে পারে। একটি পুরানো ডোমেইন এর ক্ষেত্রে সেটি বিশ্বস্ত এবং নিরাপদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে, নতুন এবং অনির্ভরযোগ্য ডোমেইন থেকে ডাউনলোড করা আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

ডোমেইনের বয়স চেক করার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন টুলস ব্যবহার করতে পারেন। যেমন WHOIS ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি জানতে পারেন যে, ডোমেইনটি কখন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এবং এটি কতদিন ধরে একটিভ রয়েছে।

নতুন ডোমেইন গুলো অনেক সময় ক্ষতিকারক অ্যাক্টিভিটির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। যেখানে স্ক্যামাররা প্রায়ই নতুন ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে এবং সেগুলো ব্যবহার করে ফিশিং সাইট বা ম্যালওয়্যার ছড়ানোর চেষ্টা করে। সুতরাং, যদি কোনো ওয়েবসাইটের ডোমেইনের বয়স খুবই কম হয়, তবে সেই ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করার ব্যাপারে আপনার অবশ্যই সাবধান থাকা উচিত। এছাড়াও আপনি ডোমেইনের বয়স পরীক্ষা করে স্প্যাম স্কোর দেখার মাধ্যমে সেই ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সিকিউরিটি সম্পর্কে একটি ধারণা ও পেতে পারেন।

৫. ওয়েবসাইটের রিভিউ খুঁজে দেখুন

ওয়েবসাইটের রিভিউ খুঁজে দেখুন

অনলাইন থেকে ফাইল ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইটের রিভিউ চেক করে নেওয়া উচিত। ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সেসব ব্যবহারকারীদের এক্সপেরিয়েন্স এবং মতামত জানার মাধ্যমে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন। রিভিউগুলো এনালাইসিস করার মাধ্যমে আপনি সেই ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে এটি নিশ্চিত হতে পারেন যে, সেখান থেকে ডাউনলোড করা ফাইল আপনার জন্য নিরাপদ হবে কিনা।

আপনি ইউটিউব ভিডিও এবং বিভিন্ন ফোরাম ওয়েবসাইট এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে এ ধরনের রিভিউ দেখতে পারেন। যেখানে বিভিন্ন ব্যবহারকারীরা সেই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে তাদের ভিন্ন ভিন্ন মতামত ও এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করে থাকে। আর সেসব Comments গুলো থেকে আপনি কোন ওয়েবসাইট থেকে কিছু ডাউনলোডের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

সেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার সময় আপনি যদি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক রিভিউ লক্ষ্য করেন, তাহলে আপনার জন্য এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলো এড়িয়ে চলাই উচিত হবে। যদি কোনো ওয়েবসাইটের সম্পর্কে বেশি সংখ্যক নেতিবাচক মন্তব্য থাকে, তবে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনার কোন ফাইল ডাউনলোড না করাই ভালো।

৬. অনলাইন স্ক্যানার টুল দিয়ে ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক স্ক্যান করুন

অনলাইন স্ক্যানার টুল দিয়ে ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক স্ক্যান করুন

ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করার আগে আপনার অবশ্যই ডাউনলোড লিঙ্কটি অনলাইন স্ক্যানার টুল দিয়ে স্ক্যান করা একটি গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই স্ক্যানার টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি সেই ডাউনলোড করা লিঙ্কটি এনালাইসিস করতে পারবেন। এসব অনলাইন টুল গুলো ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন যে, সেই লিঙ্কটিতে কোনো ম্যালওয়্যার, ভাইরাস বা ক্ষতিকারক কিছু আছে কিনা।

অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি স্ক্যানার টুল পাওয়া যায়, যেমন: VirusTotal, URLVoid, এবং Sucuri। এসব টুল ব্যবহার করে আপনি সহজেই ডাউনলোডের লিঙ্কটি স্ক্যান করতে পারেন।

আর ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক স্ক্যান করার পদ্ধতি ও খুবই সহজ। এজন্য আপনি শ ডাউনলোড লিঙ্কটি কপি করে স্ক্যানার টুলের সার্চ বক্সে পেস্ট করবেন এবং স্ক্যান বাটনে ক্লিক করবেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি জানতে পারবেন ডাউনলোড লিঙ্কটি নিরাপদ কিনা।

ফাইল ডাউনলোড লিঙ্ক স্ক্যান করার মাধ্যমে আপনি সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে আগাম জানতে পারবেন। এটি আপনাকে ক্ষতিকারক ফাইল ডাউনলোড থেকে রক্ষা করবে এবং আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তাই, কোনো ফাইল ডাউনলোডের আগে অবশ্যই অনলাইন স্ক্যানার টুল দিয়ে ডাউনলোড লিঙ্কটি স্ক্যান করুন।

৭. ফাইল এক্সটেনশনের দিকে নজর রাখুন

ফাইল এক্সটেনশনের দিকে নজর রাখুন

অনলাইন থেকে ফাইল ডাউনলোড করার সময় ফাইলের এক্সটেনশন দিকে অবশ্যই লক্ষ্য করা উচিত। কেননা, অনেক সময় বিভিন্ন থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ফাইল ডাউনলোডের সময় প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে ভিন্ন ফাইল এক্সটেনশন যুক্ত কোন ফাইল আপনাকে ডাউনলোড করাতে পারে, যা আসলে আপনার কোন কাজেই আসবে না। ফাইল এক্সটেনশনটি মূলত ফাইলের ধরন নির্দেশ করে। যেখানে বিভিন্ন এক্সটেনশন বিভিন্ন ফাইল ফরম্যাটের অবস্থা করে থাকে। যেমন ".exe" (এক্সিকিউটেবল ফাইল), ".pdf" (পিডিএফ ডকুমেন্ট), ".jpg" (ইমেজ ফাইল) ইত্যাদি।

এক্সিকিউটেবল ফাইল যেমন (.exe, .bat, .cmd) ডাউনলোড করার সময় আপনাকে অবশ্যই বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এ ধরনের ফাইলের মধ্যে Malicious Code থাকতে পারে, যা আপনার কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ইনস্টল করতে পারে। যদি সম্ভব হয়, তাহলে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে এধরনের ফাইল ডাউনলোড করুন।

অন্যান্য সাধারণ ফাইল এক্সটেনশন গুলোর মধ্যে যেমন ".pdf", ".docx", ".jpg", এবং ".png" সাধারণত নিরাপদ হলেও, এগুলো ডাউনলোড করার সময় ও আপনার অবশ্যই পরীক্ষা করা উচিত। কারণ, কিছু স্ক্যামার এবং সাইবার অপরাধী এমন ফাইল এক্সটেনশনের আড়ালে ক্ষতিকারক কোড লুকিয়ে রাখতে পারে এবং আপনাকে ধোঁকা দিয়ে সেটি ডাউনলোড করাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, "document.pdf.exe" ফাইলটি একটি ক্ষতিকারক ফাইল হতে পারে, যদিও প্রথমে এটি দেখে আপনার একটি পিডিএফ ডকুমেন্টের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু, এর শেষে আসলে “.exe” কোড রয়েছে।

তাই কোন একটি ফাইলের এক্সটেনশন দেখার জন্য আপনি একেবারে শেষের অংশটির দিকে লক্ষ্য করুন। এর মাধ্যমে আপনি ক্ষতিকারক সব ফাইল ডাউনলোড করা থেকে আপনার ডিভাইসকে রক্ষা করতে পারবেন।

শেষ কথা

বর্তমানে ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল ডাউনলোড করা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে, এই ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সচেতন না হলে, এটি আপনার জন্য অনেক বিপদের কারণ হতে পারে। তাই, অনলাইন থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোড করার পূর্বে আপনার অবশ্যই সেটি যাচাই করে নেওয়া জরুরী।

আর এই যাচাই করার অংশ হিসেবে আপনি সর্বদা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফাইল গুলো ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়াও, ওয়েবসাইটের SSL সার্টিফিকেট এবং ডোমেইনের বয়স পরীক্ষা করে আপনি ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করতে পারবেন। আর ডোমেইনের TLD এবং ওয়েবসাইটের রিভিউ দেখে আপনি আরও নিশ্চিত হতে পারেন যে, ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু ডাউনলোড করা নিরাপদ হবে কিনা।

এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইন থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই অনলাইন স্ক্যানার টুল দিয়ে ডাউনলোড লিঙ্ক স্ক্যান করে নিতে পারেন এবং ফাইলের এক্সটেনশন যাচাই করে আপনি ক্ষতিকারক ফাইল ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকতে পারেন।

আপনি যদি এই ৭ টি বিষয় যাচাই করে অনলাইন থেকে যেকোনো ফাইল ডাউনলোড করেন, তাহলে আপনার ডিভাইস এবং পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে। সুতরাং, এখন থেকেই অনলাইনে যে কোন ফাইল ডাউনলোড করার পূর্বে অবশ্যই সতর্ক থাকুন এবং উপরে আলোচনা করা নির্দেশনা গুলো মেনে চলুন। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।

Level 15

আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 61 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।

“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস