একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? এই বিষয়ে আজকে আমি কথা বলবো।

আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার মনে অবশ্যই এই প্রশ্নটি আসবে,  ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে খরচ কত?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে

যদি আপনি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।

যদি আপনার ব্যবসা বা অন্য যেকোন প্রয়োজনে একটি ওয়েবসাইট খুলতে চাচ্ছেন, কিন্তু জানেন না যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে ঠিক কি কি দরকার হয়?

এই বিষয়ে আমি সবকিছু সঠিক ভাবে উল্লেখ করবো।

আমার সম্পূর্ণ পোষ্টটি ভালোভাবে দেখতে থাকুন।

ওয়েবসাইট কাকে বলে?

ওয়েবসাইট কি এই বিষয়ে হয়তো আপনি জেনে থাকবেন।

ওয়েবসাইট হচ্ছে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পেজ।

এখানে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

ওয়েবসাইট একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠানের হতে পারে।

ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটকে ব্লগ বলা হয়। এখানে সাধারণত বিভিন্ন আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

ওয়েবসাইট কত প্রকার?

ওয়েবসাইট অনেক ধরনের রয়েছে।

যেমন হতে পারে,

  • Blog
  • Portfolio
  • Newspaper Website
  • Magagine
  • Social Media
  • Community Forum

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাধারণত নিচের উপকরণ গুলো প্রোয়োজন হবে।

  • ডোমেইন (Domain)
  • হোস্টিং (Web Hosting)
  • Wap Builder বা Content Management System (CMS)
  • Best and SEO Optimized Theme
  • Plugin

ওয়েবসাইট তৈরির জন্য সাধারণভাবে আপনার এই উপকরণ গুলো প্রয়োজন হবে।

এখন আমি এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

১. ডোমেইন (Domain)

ডোমেইন হল একটি ওয়েবসাইটের নাম যার শেষে ডট কম (.com) বা ডট নেট (.net) ইত্যাদি এক্সটেনশন (Extension) যুক্ত থাকে।

এক্সটেনশনসহ একটি ডোমেইনকে ওই ওয়েবসাইটের ওয়েব Address বা URL ও বলা হয়।

যেমন,  এই ওয়েবসাইট টি হলো techtunes.io

এখানে.io হলো Domain Extension. আর.io সহ পুরো নামটি হলো সাইটের সাইটের Address বা URL.

এই নামটি Browser এর এড্রেস বারে টাইপ করলে টেকটিউনস ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

তাহলে, আশাকরি ডোমেইন কি? বুঝতে পেরেছেন।

মনে রাখবেন,  এই ডোমেইন টাকা দিয়ে কিনতে হয়।

ডোমেইন কোথা থেকে কিনবেন?

আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন আপনি যেকোন ভাল ডোমেইন রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে কিনতে পারেন।

যেমন, নেমচিপ (Namecheap), গোড্যাডি (GoDaddy).

তাছাড়া, আপনি বাংলাদেশ এর ভালো ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি থেকেও ডোমেইন কিনে নিতে পারেন।

যেমন,  Codeforhost.com, Exonhost.com, Xeonbd.com, PutulHost, Ofaex.com

এই কোম্পানিগুলো থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনলে আপনি বাংলাদেশ এর পেমেন্ট গেটওয়ে যেমন, বিকাশ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা পে করতে পারবেন।

তবে এই বিষয়ে আপনার জানা প্রয়োজন যে,

যদি কেউ একটি ডোমেইন কিনে বা রেজিস্ট্রেশন করে ফেলে তাহলে আপনি আর তা কিনতে পারবেন না যতক্ষণ না সেটির মেয়াদ শেষ হয়ে আর রেজিস্ট্রেশন না করা হয়।

২. ওয়েব হোস্টিং (Web Hosting)

ডোমেইন এর পর একটি ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি জিনিস হল হোস্টিং।

ডোমেইন শুধু আপনার ওয়েবসাইট এর ঠিকানা প্রদান করে থাকে।

কিন্তু, আপনার এটা জানা প্রয়োজন, ওয়েবসাইট এর সকল ফাইল এর জন্য যে জায়গা বা মেমরি প্রয়োজন হয়, সেই জায়গা টার জন্য হোস্টিং প্যাকেজ এর প্রয়োজন হয়।

একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি,

মনে করেন, আপনার মোবাইলে কোন গান অথবা ছবি কিংবা মুভি রাখার জন্য অবশ্যই মেমোরি কার্ড প্রয়োজন হয়।

এরকম, ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় হলো হোস্টিং।

আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জিনিস যেমন, ছবি, ভিডিও, কনটেন্ট ইত্যাদি হোস্টিং এর উপর থাকবে অথবা হোস্টিং এর জায়গা দখল করবে।

হোস্টিং কোথা থেকে কিনবেন?

আমি সাধারণত হোস্টিং কেনার জন্য বাংলাদেশের হোস্টিং কোম্পানি গুলোকে প্রাধান্য দিব।

দেশীয় কোম্পানি থেকে আপনি একটি ভালো হোস্টিং প্যাকেজ কিনে নিতে পারেন।

৩. Content Management System বা CMS

আপনি যদি ব্লগ অথবা এই জাতীয় ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস সেরা।

ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস (WordPress) দিয়ে আপনি যেকোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন সম্পূর্ণ প্রোফেশনাল ডিজাইনের।

ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের টিউন টি দেখুন।

৪.থিম (Theme or Template)

ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা ব্লগার নিয়ে কাজ করলে আপনার ওয়েবসাইট তৈরির পরেই একটি থিম এর প্রয়োজন হবে।

থিম ওয়েবসাইটের ডিজাইন প্রদর্শন করে।

এমনিতেই, WordPress এর অনেক ফ্রি থিম রয়েছে। আপনি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি চাইলে পেইড থিম ও ব্যবহার করতে পারেন।

তবে, প্রথমে আমি পরামর্শ দিবো ফ্রি থিম ব্যবহার করার।

এক্ষেত্রে মনে রাখতে অবশ্যই হবে, যেন থিমটি SEO Optimized হয়।

তাহলে Search Ranking এর ক্ষেত্রে বিষয়টি ভালো হবে।

৫. Plugin (প্লাগিন)

Plugin সাধারণত ওয়েবসাইটে নতুন ফাংশন যুক্ত করে।

উদাহরণস্বরূপ,  Yoast SEO প্লাগিন আপনার সাইটের একটি সাইটম্যাপ তৈরি করে

করে এবং Seo এর ক্ষত্রে এটি ভালো কাজ করে।

ওয়ার্ডপ্রেসের ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ প্লাগিন

৫ টি গুরুত্বপূর্ণ প্লাগিন হলো

  • Yoast SEO
  • Classic Editor
  • Akismet Anti Spam
  • Autoptimize
  • Wp Subscribe
  • Add to any Share Button
  • Wp Forms

জেনেনিন কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়?

আমার শেষ কথা,

আশাকরি সবকিছু সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ওয়েবসাইট কাকে বলে, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে কোন জানার থাকলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন।

আর সময় হলে আমার পার্সোনাল ব্লগ TrickValley.com এ ভিজিট করবেন, আমি এখানে অনলাইন এবং ইন্টারনেট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন টিপস শেয়ার করে থাকি। ধন্যবাদ।

Level 2

আমি মিঃ অক্সিডেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Harder than the hardest | Softer than the softest


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস