প্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটির সদস্যরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালই আছেন। বরাবরের মতোই আজকেও নিয়ে এসেছি অসম্ভব সুন্দর একটি টিউন। আশাকরি ভালো লাগবে। চলুন একনজরে দেখে নিই আজকের টিউনটি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে আধুনিক ডিভাইসের অভাব নেই। আর অধিকাংশ ডিভাইসের সাথেই যেন ইন্টারনেট সংযুক্ত। ইন্টারনেট ছাড়া ডিভাইস গুলো যেন প্রাণহীন কোন ডিভাইস। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি অর্থাৎ, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের কনটেন্ট এ স্ট্রিম করছি। ইন্টারনেট বিষয়টা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এটিকে এখন অনেকেই Netflix এবং Youtube এর Synonym মনে করে থাকে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার কি সত্যিই জানেন যে, ইন্টারনেট স্ট্রিমিং কী বা এটি আসলেই কিভাবে কাজ করে? না জেনে থাকলেও অসুবিধা নেই। কারণ আজকের টিউনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর দেয়া। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক আজকের আলোচনা।
আমরা অনেক সময় আমাদের কম্পিউটারে কোন ভিডিও দেখতে পছন্দ করি বা কোন গান শুনতে পছন্দ করি। কিন্তু এই ভিডিও বা গানটি দেখার জন্য প্রথমে আমাদেরকে ভিডিওটি বা গানটি ডাউন-লোড করে নিতে হয়। এছাড়া এখানে আর কোন উপায় নেই। তবে, ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে কোন সামাজিক মাধ্যম থেকে সরাসরি আমরা ভিডিওটি বা গানটি দেখতে পারি। তো ভিডিও দেখার জন্য বা গান শোনার জন্য আমরা সাধারণত Netflix বা Spotify এর ভিতরে প্রবেশ করি কিংবা ইউটিউব ব্যবহার করি।
কিন্তু আমরা যদি অফলাইন অবস্থায় অর্থাৎ, যখন ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না তখনও ভিডিওটি বা গানটি শুনতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ভিডিওটি বা গানটি ডাউন-লোড করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে আমরা ডাউন-লোড অপশনে ক্লিক করি। ফলে ভিডিওটি স্থায়ীভাবে রমে ডাউন-লোড হয়। কিন্তু আপনি যদি Netflix বা Spotify এ গিয়ে প্রশ্ন করেন যে, আমরা কীভাবে তাৎক্ষণিক ভাবে যেকোনো ভিডিও বা গান ডাউন-লোড করতে পারব?
ওয়েল, তাহলে আপনার সামনে একটি ভিডিও উপস্থিত হবে। আর এ ভিডিও দেখার বিষয়টিই মূলত ইন্টারনেট স্ট্রিমিং। অর্থাৎ, এই সার্চ করা থেকে ভিডিও দেখার শেষ পর্যন্ত পুরো বিষয়টাই মূলত স্ট্রিমিং এর মূল বিষয়। এখানে সার্চ করার পর আপনি ভিডিওটা দেখতে থাকবেন অর্থাৎ, স্ট্রিমিং করতে থাকবেন। এ সময় ভিডিওটি বিট বাই বিট আকারে আপেক্ষিক ভাবে বা তাৎক্ষণিক ভাবে কম্পিউটারে ডাউন-লোড হবে। অর্থাৎ, ভিডিওটি তাৎক্ষনিক ভাবে পুরোটা কম্পিউটারে ডাউন-লোড হবে না বরং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে অস্থায়ী ভাবে কম্পিউটারের র্যামে সংরক্ষিত হবে।
"স্ট্রিমিং" শব্দের মাঝেই যেন এর অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। ইনফরমেশনের কন্টিনিউয়াস এবং ধীর গতির স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে ইনফরমেশন বা ডাটা গুলো ডাউন-লোড হয় বা সংরক্ষিত হয় বা কম্পিউটারে ইনফরমেশন গুলো পৌছায়। অর্থাৎ, আপনি কোন একটা সিনেমা ডাউন-লোড করলেন এবং এ বিষয়টাকে আপনি বাজার থেকে এক বোতল পানি কেনার সাথে তুলনা করতে পারেন। আর সিনেমা স্ট্রিমিং করা হল খালি বোতলে কলের মাধ্যমে পানি ভরানোর মতো একটা বিষয়। অর্থাৎ, দুটো বিষয়কে এভাবে ভাবলে বিষয়টি বুঝতে একটু সহজ হবে।
একটি মুভি স্ট্রিম করার বিষয়টিকে আপনি একটি VHS টেপ দেখার সাথে তুলনা করতে পারেন। যখন আপনি কোন VHS টেপ প্লে করেন, তখন ভিডিও এবং অডিওর প্রত্যেকটা সেকেন্ড পিস বাই পিস আকারে স্ক্যান হয়। অর্থাৎ VHS টেপ বাজানোর সময় এ বিষয়টা ঘটে থাকে এবং এর মানে হল যেকোনো ধরনের বাধা হঠাৎ করে আপনার মুভি দেখার অভিজ্ঞতাকে নষ্ট করে দিতে পারে।
আমরা যখন মুভি দেখি বা কোন গান শুনি, তখন আমাদের কম্পিউটার রিয়েল-টাইমে বা একই সময়ে একটি মিডিয়া ফাইলের ছোট-বড় অংশ গুলো ডাউন-লোড করে এবং সাথে সাথে এগুলোকে ডিকোড করে। এবং তারপর এগুলোকে প্লে করে থাকে। আপনার কাছে যদি খুব দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তাহলে আপনার ফাইলটি বা গানটি দেখা বা শোনা শেষ হবার আগেই পুরোটা ডাইন-লোড হয়ে যেতে পারে।
আর এজন্যই কিন্তু আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকবো যে, ইলেক্ট্রিসিটি বা কারেন্ট চলে যাওয়ার পরেও অর্থাৎ, Wi-Fi কানেকশন বন্ধ হওয়ার পরেও ভিডিওটি বা গানটি কিছুক্ষণ চলছে বা স্ট্রিম হচ্ছে। এখানে আপনি যে ফাইল গুলো স্ট্রিম করছেন সেগুলো আপনার কম্পিউটারের স্থায়ী স্টোরেজে যায় না অর্থাৎ, এগুলো অস্থায়ী স্টোরেজ এর উপর দিয়ে যায়। ফলে এগুলো নিজে নিজেই মুছে যায়। তবে কিছু কিছু সার্ভিসের ক্ষেত্রে, (যেমন- Spotify) ভবিষ্যতে পুনরায় প্লে করলে যাতে করে দ্রুত প্লে হয়, তাই আপনার ডিভাইসের স্থায়ী স্টোরেজে কিছু ছোট ক্যাশ ফাইল জমা রাখে।
ইন্টারনেটে ভিডিও এবং অডিও স্ট্রিমিং করা নতুন কোন বিষয় নয়। আমরা এই স্ট্রিমিং শব্দটাকে নতুন হিসেবে ফিল করি কারণ আমরা হয়তো স্ট্রিমিং শব্দটার সাথে কম পরিচিত। তবে এটা নিতান্তই সুবিধাজনক একটা বিষয়। কোন ভিডিও দেখার সময় বা কোন ওয়েবসাইট থেকে একটি গান বাজানোর সময় যদি এটি ধীরে ধীরে একটু একটু করে স্ট্রিম হয়, তাহলে এটা খুব বিরক্তি সৃষ্টি করে। কোন কোন ক্ষেত্রে মিডিয়া ফাইলটি বাফার হওয়ার কারণে আমাদেরকে ভিডিওটির পরবর্তী অংশ দেখার জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। যা সবচেয়ে বেশি বিরক্তি সৃষ্টি করে। এ সমস্যা অতিরিক্ত হলে বিরক্তির মাত্রা আর বেড়ে যায়। তবে ইন্টারনেট সংযোগ অনেক ভালো হলে বা ফাইলটির কোয়ালিটি অনেক ভালো হলে এ ধরনের সমস্যা মোটেও হয় না।
কিন্তু স্ট্রিমিং এর বিষয়টা অনেক পুরনো হলেও স্ট্রিমিং যেভাবে কাজ করে, এ বিষয়টা পূর্বের মতোই রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আপনি যে ভিডিওটি দেখছেন বা যে গানটি শুনছেন তার ফাইল গুলো একটু একটু করে ধীরে ধীরে অস্থায়ী ভাবে ডাউন-লোড হয়। তবে ভিডিও বা ফাইল স্ট্রিমিং এর বিষয়টার উন্নতি ঘটানো যেতে পারে, যদি ফাইলের অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটানো যায়। দিনে দিনে ফাইলের অবকাঠামোর অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে। তবে, ফাইলের অবকাঠামোর পরিবর্তন সাধনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে YouTube এবং Netflix এর মতো ওয়েবসাইটের ওনাররা। তারা ব্যাপক পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় করছে মিডিয়া ফাইল গুলোর অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধনের জন্য।
এমন একটা সময় ছিল যখন YouTube এবং Netflix তাদের কনটেন্ট হোস্ট করার জন্য শুধুমাত্র একটি বা দুটি সার্ভার ব্যবহার করত। আর এ বিষয়টা পরবর্তীতে অনেক অসুবিধা সৃষ্টি করায় এ পদ্ধতিটি বাতিল হয়ে যায়। যেসব ইউজাররা সার্ভার থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছিল, তারা স্ট্রিমিং এর সময় ব্যাপক ল্যাগের দেখা পেতো এবং হাই-ট্রাফিক দিনগুলোতে অর্থাৎ যে দিন গুলোতে ইউজার বেশি সেই দিন গুলোতে স্ট্রিমিং অনেকটাই ধীর হয়ে পরত। পরবর্তীকালে কোম্পানি গুলো CDN (Content Delivery Network) সার্ভার তৈরি করে এ সমস্যার সমাধান করে। এক্ষেত্রে কনটেন্ট গুলোকে নিকটবর্তী সার্ভারে স্টোর করে ডেলিভার করা হতো। এখানে CDN হল ঘন এবং বিশ্বব্যাপী ছড়ানো সার্ভার যেখানে একই কনটেন্ট জমা রয়েছে। এটা মূলত ল্যাগ দূর করে এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সার্ভার গুলোকে ওভার-লোড হওয়া থেকে মুক্তি দেয়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখবেন যে, একটি শক্তিশালী CDN সার্ভার থাকলেও এটি কাজে আসবে না, যদি আপনার সমস্ত ইউজারের ইন্টারনেট কানেকশন দুর্বল হয় অর্থাৎ, ইন্টারনেট কানেকশন কাজের না হয়। অল্প কিছু পপদ্ধতিতে, এই সমস্যাটি সময়ের সাথে সাথে অটোমেটিক ঠিক হয়ে যায়। ISPs সর্বদাই দ্রুত ইন্টারনেট কানেকশন এর জন্য প্রতিযোগিতা করছে এবং বিশ্বব্যাপী Google ফাইবার ছড়াচ্ছে, যাতে করে তারা সারা বিশ্বে দ্রুত গতির 5G ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করতে পারে।
তবে, কিছু কিছু স্ট্রিমিং সার্ভিস এবং ISPs বুঝতে পেরেছে যে, ফাস্ট ইন্টারনেট কানেকশন এবং ঘন CDN সার্ভার থাকার পরেও উচ্চ বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ট্রাফিক, ল্যাগের কারণ হতে পারে। যেমন - Netflix এর মতো সার্ভিস গুলো বিশ্বের মোট সারফেস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের ১৫% এর বেশি ব্যবহার করে। যখন অনেক সংখ্যক লোক Stranger Thing গুলোতে নতুন সিজনে স্ট্রিম করে, সেই সময় পুরো ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে।
এ সমস্যার সমাধানের জন্য, স্ট্রিমিং সার্ভিস গুলো ISPs গুলো থেকে Open Connect Appliances (OCAs) প্রোভাইড করে। এই OCAs গুলো মূলত হার্ড ড্রাইভ যা জনপ্রিয় মুভি, গান এবং স্ট্রিমঅ্যাবল কনটেন্ট এ পূর্ণ এবং এসব আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিককে একটি Netflix বা Hulu সার্ভারে রিডাইরেক্ট করে। ফলে আপনার ISP এর কার্যক্রম হ্রাস পায়। এটি আপনার ইন্টারনেট স্ট্রিমিংকে দ্রুততর করে এবং পুরো ইন্টারনেট এর গতিকে Netflix এর অধীনে ছেড়ে দেয়। ফলে ইন্টারনেটের গতি ধীর হওয়া থেকে বিরত থাকে।
ফেসবুক লাইভ বা Twitch এর মতো প্লাটফর্মে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে, আপনি আপনার ডিভাইসের স্ক্রিনে যা দেখতে পান তা রিয়েল-টাইমে ঘটে বা প্রায় একই সময়ে ঘটে। অর্থাৎ, এখানে খুব কম সময়েরই ডিলে থাকে। সুতরাং, আপনি নিজেই বিষয়টা একবার চিন্তা করুন যে, বিষয়টা আসলে কেমন হবে? এখানে, একজন লাইভ স্ট্রিমার এর ডিভাইসে ফাইল খুব দ্রুত আপলোড হতে হবে এবং খুব দ্রুত ইউজারদের ডিভাইসেও ডাউন-লোড হতে হবে।
যেহেতু একজন লাইভ স্ট্রিমার ভিডিওটা রেকর্ড করছে এবং ঐ ভিডিওটির প্রতিটি মিলি সেকেন্ডে ও এর সাথে থাকা প্রতিটি অডিও এর মিলি সেকেন্ড প্রথমে ছোট ছোট ফাইলে বিভক্ত হচ্ছে এবং তারপর এই ফাইল গুলো একটা এনকোডার দিয়ে কমপ্রেস এবং সংগঠিত হচ্ছে এবং তারপর ইন্টারনেট এ আপলোড হচ্ছে। এবং এরপরে ইউজারের ডিভাইসে বিট বাই বিট আকারে ডাউন-লোড হচ্ছে। ফলে ভিডিওটি প্রায় একই সময়ে ইউজারের স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে। যেহেতু ফাইল গুলো যথাক্রমে এনকোড, আপলোড, ডিকোড এবং ডাউন-লোড হয় তাই এই অ্যাকটিভিটিস গুলোর মধ্যে খুব বেশি ল্যাগ থাকা উচিত নয়। অর্থাৎ, উৎস থেকে গন্তব্যের মধ্যে যত অ্যাকটিভিটিস আছে এসবের মাঝে কোন ল্যাগ থাকা যাবে না এবং অ্যাকটিভিটিস গুলো দ্রুত সম্পন্ন হতে হবে।
Twitch এবং Youtube এই ওয়েবসাইট গুলোর মতো জনপ্রিয় লাইভ স্ট্রিমিং সার্ভিস গুলো ল্যাগ কামানোর জন্য এবং ভিডিও স্ট্রিমিং এর কোয়ালিটি উন্নত করার জন্য সার্ভার গুলোর একটা বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। কিন্তু প্রায় সব লাইভ স্ট্রিম করা ভিডিও গুলো একজন লাইভ স্ট্রিমারের ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে, কেন লাইভ স্ট্রিমাররা OCAs ব্যবহার করে না? কারণ Google ফাইবার এর মতো ফাস্ট ইন্টারনেট কানেকশনের বিকাশ ঘটার ফলে লাইভ স্ট্রিমিং আর ভালোভাবে উপস্থাপন সম্ভব হচ্ছে। আর 5G ইন্টারনেট সার্ভিস বাস্তবায়নের ফলে লাইভ স্ট্রিমিং এর গুণমান আর উন্নত হয়েছে।
মানুষের মস্তিষ্ক ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করে। আমরা সকলেই কম-বেশি ভিডিও গেম খেলে থাকি। আমাদের ব্রাউজারে ভিডিও গেম খেলার আইডিয়াটা নতুন কোন বিষয় নয়। ইন্টারনেটের খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ ছোট ছোট গেম গুলোর জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। পৃথিবীব্যাপী এমন অনেক লোক পাওয়া যাবে, যারা কী না শুধুমাত্র Farmville এবং Candy Cruah গেমের জন্য ফেসবুক এ যায়। তবে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আর কিছু কোম্পানি রয়েছে, যারা তাদের রিসোর্সে ভারি কনসোল গেম গুলোর জন্য স্ট্রিমিং সার্ভিস দিচ্ছে এবং ব্রাউজারে গেমিং বিষয়টাকে আর একধাপ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করার জন্য বলছি, আমি Twitch এ লাইভ স্ট্রিমিং ফার্ম সিমুলেটর সম্পর্কে কথা বলছি না বরং আমি একটি ডেডিকেটেড কনসোল বা ১০০০$ এর কম্পিউটার ছাড়াই দূরে অবস্থান করে কোন গেম খেলার কথা বলছি। গেম স্ট্রিমিং এর সময়, আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরের কোন সার্ভার প্রায় সব নাম্বার Crunching হ্যান্ডেল করে যা Power resource hungry game গুলোর জন্য প্রয়োজন পরে। Google এর Project Stream এবং Nividia এর GEFORCE NOW এর সার্ভিস গুলো প্রতিশ্রুতি দেয় যে, আপনার ১০০ ডলারের সবচেয়ে দুর্বল ল্যাপটপও সবচেয়ে বড় গেম গুলো সুন্দর ভাবে স্ট্রিম করতে সক্ষম হবে। আর এ বিষয়টা আমাদের অনেক অর্থ সাশ্রয় করতে পারে এবং এটি ভিডিও গেম গুলোর জন্য হার্ডওয়্যারের যে লিমিটেশনটা থাকে তা দূর করবে বলে আশা করা যায়।
এখানে, কোন একটা কম্পিউটারে একটা ভিডিও গেম স্ট্রিম করার বিষয়টা, একটা মুভি বা গান স্ট্রিম করার বিষয়টির চেয়ে অনেকটাই বেশি কঠিন। এক্ষেত্রে, আপনি শুধুমাত্র ক্রমাগতভাবে একটি স্ট্যাটিক ফাইল ডাউন-লোড করছেন না বরং আপনি রিয়েল-টাইমে একটি ফাইল ম্যানিপুলেট এবং সেইসাথে ইন্টার-অ্যাক্ট করছেন। গেমিং এর ক্ষেত্রে যদি কন্ট্রোলার ইনপুট এবং স্ক্রিন অ্যাকটিভিটিস এর মধ্যে কোন ল্যাগ থাকে, তখন গেমটি খেলতে পারা যায় না অর্থাৎ, গেমটি বিরক্তিকর হয়। আপনি চাইলে Skype এবং Facetime এর মত সার্ভিসগুলোকে গেম স্ট্রিমিংয়ের প্রাক কারসর হিসেবে দেখতে পারেন, কারণ তাদের গেম স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে ফাস্ট ও দ্বি-মুখী কানেকশন থাকে। তবে গেম স্ট্রিমিং এর জন্য প্রয়োজন আরও স্মুথ এবং ল্যাগ বিহীন সার্ভার।
রিসোর্স-হেভি গেম স্ট্রিমিং সার্ভিস গুলো এখনও সহজলভ্য বা অতি নির্ভর যোগ্য নয়, ফলে এই কোম্পানি গুলো তাদের ব্যবসার সিকরেট গুলো প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নয়। কিন্তু, আমরা জানি যে এই কোম্পানিগুলো মূলত Netflix এর পথ অনুসরণ করছে। Nividia এর মতো কোম্পানি গুলো অতি শক্তিশালী CDN সার্ভার তৈরি করছে যা অধিক শক্তির গ্রাফিক্স কার্ডে পূর্ণ এবং Google উচ্চ গতির গুগল ফাইবারের হোম ইন্টারনেট সার্ভিসগুলোর সাথে Open Connect Appliance কে যুক্ত করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এবং এটি করলে গেম গুলো স্ট্রিমিং এর ব্যাপারে পরি পূর্ণতা পাবে। তো যাই হোক, এ কথা দ্বার্থ কন্ঠে বলা যে, গেম স্ট্রিমিং হল স্ট্রিমিং মিডিয়া গল্পের পরবর্তী স্টেপ।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আজকের টিউন। আশাকরি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে তাহলে একটা জোসস দিয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানাবেন। এবং টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন এক টিউনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিজের খেয়াল রাখুন। আল্লাহ-হাফেজ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।