কিভাবে অনলাইনে উপার্জন করতে হয়?

আসালালামু আলাইকুম আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা জানবো কিভাবে সঠিক উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে উপার্জন করতে হয়। তার জন্য বেশ কিছু টিপস ও আগনাদের সাথে আজ আমি শেয়ার করবো। তো চলুন আমরা আজকের টপিকটা শুরু করি।

অনলাইনে আয় করার জন্য বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে, কিন্তু এদের মাঝে হাজারো স্ক্যাম হয়ে থাকে, আজ আমি যে সকল বিষয়গুলো শেযার করবো তাতে আপনার স্ক্যাম হওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।

ব্লগিং করা

সঠিক এবং সহজ আয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি  পরিমানেআয় করা সম্ভব হয় এই ব্লগিং এর দ্বারা। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি নিজের দক্ষতাকে কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে হবে। আপনার যে বিষয়টার উপর আগ্রহ বেশি ঠিক সেই জিনিসটা নিয়েই আপমার কাজ করা উচিত, এতে করে আপনি ঐ কাজটির উপর কখনো ধৈর্য্য হারা হবেন না।

আর সবচেয়ে বেশি হচ্ছে আপনার নিজের কাজকে কখনো ছোট করে দেখবেন না। আপনি যে টপিকে বেশি পারদর্শী সেই টপিক নিয়েই এগিয়ে গেলে কিছুদিনের ভিতরই সফলতা আসবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

হ্যা এটাও সেই ওয়েবসাইট এরই কাজ এতে আপনার কোন স্ক্যাম হওয়ার ভয় থাকবে না শুধু Amazon, Alibaba ইত্যাদি সব বড় বড় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট থেকে খুব সহজেই একটা একাউন্ট করে নিতে পারবেন। এতে শুধু ফরম পূরণ করতে হবে কোন ওয়েট করার প্রোয়জন হয় না।

তাই খুব বেশি চিন্তা না করেই করতে পারবেন এটা। একাউন্ট খোলা শেষ হলে আপনি তাদের কিছু প্রডাক্ট নিজের ওয়েবসাইটের দারা টিউন করবে- তবে আপনি যদি অতিরিক্ত আয় করতে চান এক্ষেত্রে আপনি একটা বিষয় লক্ষ রাখতে পারেন। যে প্রডাক্টের সাথের লেখা গুলো যদি ইউনিক এবং ৫০০+ হয় তবে পরবর্তীতে এডসেন্সের সাহায্যেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

আর এটা না করতে চাইলে আপনি শুধু এফিলিয়েট মার্কেটিং করতেই পারেন। আপনার প্রডাক্টের  বেচা কেনার ঐখানে এফিলিয়েট লিংকটা দিয়ে দিলে যখন কোন ভিডিটর আপনার সাইটে ঐ টিউন থেকে তার পছন্দ মতো প্রডাক্ট কেনার জন্য Buy- Price দেখতে চাইবে তখন সেই এফিলিয়েট লিংকের দ্বারা ভিজিটরকে মেইন সাইটে নিয়ে যাবে। পরবর্তীতে যদি ভিজিটির কোন পন্য ক্রয় করে ঐটার ১-১০% পেমেন্ট বা এড় বেশি আপনাকে দেওয়া হবে কমিশন হিসাবে। তবে পন্যভেদে টাকার পরিমান কম বেশি হতে পারে। এভাবেই সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।

কেপচার- করে আয়

হ্যা ঠিকই শুনেছেন - কেপচাপূরন করে আয় করা সম্ভব, তবে সেটা খুবই স্বল্প পরিসরে হয়ে থাকে। তবে একটি মাসে আপনার হাতখরচ মোটামুটি চলে জাওয়ার মতো ইনকাম করতেই পারেন।

এক্ষেত্রে আপনারকে সর্বপ্রথম মেগাটাইপরে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। হ্যা এটা গুগলের পন্য হওয়ার টাকা লস হওয়ার ভয় নাই আর এতে কোন প্রকাশর ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না, তাই নিশ্চিন্তে এই কাজটি করতে পারেন। একাউন্ট খোলা শেষ হলে আপনি পরবর্তীতে শুধু ক্যাপচার পূরণ করবেন অর্থাৎ তারা কিছু ইমেজ দেখাবে ঝাপসা আকারে ঐটাতে কি লেখা আচে এটা লিখে সাবমিট করলেই হবে। এখানে CPC মাঝে মাঝে বাড়ে এবং কমে তাই যখন বাড়বে তখন বেশি কাজ করলে তারাতারি ইনকামের সুযোগ আছে। এদের পেমেন্ট সিস্টেম পেটিএম এবং পেপাল এর মাধ্যমে।

ফ্রিল্যাসিং করে আয়

এটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত কম বেশি। এক্ষেত্রে কাজে আগাতে হলে আপনাকে অবশ্যই একজন দক্ষ হতে হবে। আপনি যে কাজটি পারেন যেমনঃ ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন এসবের যেনো একটিতে দক্ষ হলে আপনাকে ঠিক সেইটা নিয়েই কাজ করতে হবে।

এখানে হাজারো ক্যাটাগরি আছে, আবার এমনও হয় অনেকে দক্ষ লোক তারা কাজ পাচ্ছে না। এর প্রধাণ কারন হলো তারা একজন বায়ারের সাথে কিভাবে বিড করতে হয় তা তারা জানে না আবার কেউ বায়ারের সাথে কথপোকথন স্থাপন করলে বায়ারের কথা তারা বুঝতেই পারে না আসলে বায়ার কি চায়, সেটা আপনাকে বুঝতে হবে এবং একটি ধারণা করে নিতে হবে এই কাজটি এভাবে করতে হবে। বায়ার এইটা চাচ্ছে।  আর নতুন হিসাবে ভালো বিড করতে না পারলে কাজ পাবার আসা ছেরে দিতে হবে। কারণ এটি বিশাল বড় একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে লাাখ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করতেছে। যারা অনেক অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ - তো তাহলে তাদের কাজ না দিয়ে আপনাকে কেন দিবে?

বিড গুলো এমন ভাবে করতে হবে যাতে বায়ার বুঝে আপনি তার রিকোয়ারমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে পড়েছেন এবং এই কাজের জন্য আপনিই সেরা।

আজ তাহলে এ পর্যন্তই।  আশাকরি অনলাইনে উপার্জনের একটি নিদিষ্ট ধারনা পেয়ে গেছেন। তাহলে এই সম্পর্কিত কাজ গুলো করে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন এবং ধুমচে আয় করুন।

Level 0

আমি Tanvir Ahmed। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস