সুপ্রিয় টেকটিউনস এর বন্ধুগণ।
‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’
- কেমন আছেন সবাই,আসা করি ভাল…সবাই ভাল থাকুন এই কামনা করে আজকের টিউন। আপনি যদি একজন টেকটিউন্স এর নিয়মিত ভিজিটর হয়ে -কম্পিউটার/সফটওয়ার্ প্রোগ্রামার, গ্রাফিক ডিজাইনার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর অথবা ওয়েব ডেভেলপার শিখে থাকেন, তাহলে ইন্টারনেট কর্মসংস্থান সাম্রাজ্যের অনেকটাই আপনার।আপনি কি জানেন, কোনরকম দৈহিক পরিশ্রম বা পুঁজি ছাড়াই শুধুমাত্র আপনার মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসেই মোটামুটি সম্মানজনক একটা আয় করতে পারেন?এই আয় হতে পারে আপনার প্রধান আয়ের চেয়ে অনেকগুন বেশি।এই লেখাটি যেহেতু সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য লেখা, আমাদের বিষয়বস্তুটি কিছুটা ভিন্ন।
- টেকটিউন্স ওয়েবে যেয়ে খুঁজলেই আপনি পেয়ে যাবেন এই অফুরন্ত সম্ভবনা। কিভাবে? একজন দক্ষ কম্পিউটার ব্যবহারকারী হিসেবে সেকথা আপনাকে বলা বাহুল্য।
একজন দক্ষ কম্পিউটার ব্যবহারকারী
- কেউ হয়তো নিতান্তই মানসিক পরিতৃপ্তির জন্যই লিখে থাকি।লেখালেখির কাজ আমরা অনেকেই করে থাকি। কেউ হয়তো কাগজে বা ম্যাগাজিনে এই লেখালেখির মাধ্যমে কিছুটা উপার্জনও করি। কিন্তু আপনি জানেন কি, ইন্টারনেটে লেখকদের জন্য রয়েছে এক অমিত সম্ভবনা। শুধুমাত্র কয়েকশ শব্দের বিনিময়ে আপনি প্রতিদিন আয় করতে পারেন বেশ কিছু ডলার। ইন্টারনেটে মেধাভিত্তিক কাজের মাধ্যমে ঘরে বসে যারা আয় করতে উৎসাহী, তাদের অনেকই জানেন না কোথায় শুরু করতে হবে।
- যারা লেখক হিসেবে এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চান, তাদের অবস্থাও একই রকম। আমি এই শুরু করা সম্পর্কেই কিছু কথা বলব। তার আগে, আসুন জেনে নেই কি ধরনের কাজ আপনার জন্য এই সম্ভাবনাময় জগতে অপেক্ষা করছে।
ফ্রীল্যান্সইং কেরিয়ার
অনলাইনে লেখকদের পেশা ২টি টাইপের: পেশাদার লেখক, ফ্রীল্যান্স লেখক।
পেশাদার ।
- আপনি যদি পেশাদার লেখক হন, তাহলে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে আপনি সদস্য হয়ে লিখতে পারেন। এখানে আপনাকে নির্দিষ্ট চুক্তির অধীনে কাজ করতে হবে আর আপনাকে কিছু বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখতে হবে, যেমনঃ
- • চুক্তির বিভিন্ন শর্তসমূহ।
• পেশাদার লেখকদের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন।
• বিভিন্ন প্রচলিত লেখনীর ধরন যেমন MLA অথবা APA স্টাইল।
• ভাষার উপর যথেষ্ট দখল।
তবে পেশাদার লেখকদের সম্মানীর পরিমাণটাও বহুলাংশে বেশি।পেশাদার লেখার কাজটা একটু জটিল এবং এর বাধ্যবাধকতাও অনেক।
ফ্রীল্যান্স ।
অপরদিকে আপনি যদি নিতান্তই একজন সাধারণ বা ফ্রীল্যান্স লেখক হয়ে থাকেন, ইন্টারনেটে আপনার জন্য আছে বিস্তর কাজ। আসুন জেনে নেই, কোথায় এবং কিভাবে আপনি এই বিশাল জগতে পা বাড়াবেন।
মাসিক ভিত্তিতে আপনার জন্য হাজার কিংবা লাখ ডলারের কাজ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
নিম্নলিখিত:
- Blog posting (ব্লগ এ লেখা)
- Forum posting (ফোরাম এ লেখা)
- Review writing (কোন পণ্যের গুণগত বিশ্লেষণ লেখা)
- Essay/paper/research writing
- Article writing
- Creative writing (গদ্য, কবিতা, সিনেমা বা বিজ্ঞাপনের কাহিনী ইত্যাদি)।
- Technical writing (টেকনিক্যাল ম্যানুয়াল, how-to articles ইত্যাদি)
- Website content writing (ওয়েবসাইটের বিভিন্ন শাখার লেখা)
- Copywriting (কোন পণ্যের বাজারজাতকরণের জন্য promotional content লেখা)
- News/press release writing
- SEO অথবা Search Engine Optimization Writing (কোন বিষয়কে এমনভাবে লেখা যেন তা search engine সহজে খুঁজে পায়)।
- Rewriting (পুনঃলিখন)।
ফ্রীল্যান্স আর্টিকেল সাইট
- এখানে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়ভিত্তিক লেখা জমা দিয়ে পারিশ্রমিক পেতে পারেন। এই পারিশ্রমিক হতে পারে সরাসরি কিংবা কোন affiliate program এর আওতাভূক্ত। যেমন, আপনি যদি ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেন এবং ওয়েবসাইটে আপলোড করেন তাহলে হয়তো একই ওয়েব পেইজে Google AdSense এর মত কিছু সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন (contextual ad) ভেসে উঠবে।ইত্যাদি এমন কিছু সাইট।
ফ্রীল্যান্স লেখকদের জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যা মূলতঃ article directories হিসেবে পরিচিত:
- এই বিজ্ঞাপনের আয়ের কিছু লভ্যাংশ আপনি পেয়ে যাবেন। তবে জেনে রাখা ভাল, এ ধরনের ফ্রীল্যান্স লেখার মাধ্যমে আয়ের পরিমাণ সাধারণতঃ কম হয়ে থাকে।আপনার লেখা পড়তে পড়তে কোন পাঠক যখন ঐ বিজ্ঞাপনগুলো click করবে তখন sponsor ওয়েবসাইট এবং সেখানে বিজ্ঞাপনদাতা উভয়েই একটি নির্দিষ্ট অংকের অর্থ আয় করবে।
- ব্যাপারটা একটু স্পষ্ট করে বলি।ফ্রীল্যান্স লেখকদের জন্য আমার মতে সবচেয়ে লাভজনক হল online writing bid বা লেখালেখির নিলাম। তবে এই নিলামের শর্ত প্রচলিত নিলামের মত কঠিন নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ নয়।
- আপনি একজন ফ্রীল্যান্স লেখক (রচনা/লেখা বিক্রেতা) এই নিলামের একটি ওয়েবসাইটে গিয়েছেন এবং registered user (সাধারণতঃ ফ্রী) হয়েছেন। এখানে আপনি পাবেন বিভিন্ন গ্রাহক বা ক্রেতার দেয়া লেখালেখি সম্পর্কিত অনেক প্রজেক্ট। যেকোন একটি প্রজেক্ট ক্লিক করলে আপনি সাধারণতঃ নিচের বর্ণনাগুলো পাবেনঃ
- * নমুনা লেখা বা sample writing জমা দেবার নির্দেশ।
- * অন্য কোন নির্দেশনা।
- * প্রজেক্টের ধরণ (article, copywrite, review, rewrite ইত্যাদি)
- * বিভিন্ন শর্তাবলী যেমনঃ
- * রচনার শব্দসীমা (৫০০-৬০০ শব্দ)
- * রচনার সময়সীমা (১ দিন/ ১১ ঘন্টা/ ৩ সপ্তাহ)
- * বিড লিমিট অর্থাৎ গ্রাহকের বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন ও সর্বউচ্চ নিলামের ডাক (যেমনঃ $35-60, $85 maximum ইত্যাদি)।
- * বিড লিমিটের বাইরে নির্ধারিত কোন rate (যেমনঃ $1 per 250 words, $0.005 per word ইত্যাদি)
- * রচনার কাঠামো (প্যারাগ্রাফ, শিরোনাম, ফাইলের ধরন যেমন টেক্সট, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, জিপ ইত্যাদি)।
- * নির্দিষ্ট কোন শব্দের নির্দিষ্ট সংখ্যক পুনরাবৃত্তি keyword density (যেমনঃ digital camera শব্দগুচ্ছটির ৫০০ শব্দে অন্ততঃ ৩ বার ব্যবহার, Nikon শব্দটির ৩০০ শব্দে অন্ততঃ ৫ বার ব্যবহার ইত্যাদি)।
- * Plagiarism (সাধারণ অর্থে - অন্যের লিখা নকল করা) সম্পর্কিত সতর্কীকরণ। এর প্রতিকারের জন্য আপনার গ্রাহক সাধারণতঃ কিছু শক্তিশালী সফটওয়ার্ (যেমন copyscape) ব্যবহার করবেন।
- * লেখার ধরন (যেমনঃ conversational, third person, first person, informal, funny, US/UK English ইত্যাদি)।
- ধরা যাক আপনি digital camera এর উপর একটি আর্টিকেল পছন্দ করেছেন। প্রজেক্টের শর্তাবলী যদি আপনার পছন্দ হয় তাহলে আপনি এখন বিড করবেন।এই লেখাটি আপনি ১ দিনের মধ্যে লিখতে পারবেন। তাহলে বিড অপশনে গিয়ে আপনি ৫ ডলারে ১ দিনের মধ্যে আর্টিকেলটির জন্য বিড করুন। গ্রাহক যদি আপনার লেখার নমুনা এবং বিড পছন্দ করে তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন কাজটি। একদিনের মধ্যে লিখে ফেলুন চমৎকার একটি লেখা আর তা জমা দিয়ে আয় করে নিন 6ডলার।
পেমেন্ট দুইভাবে
• আপনার লেখার জন্য পেমেন্ট দুইভাবে পেতে পারেনঃ
- *ফ্রীল্যান্স নিলাম সাইটগুলোতে লেখা থেকে অর্জিত সম্মানীর একটি অংশ কমিশন হিসেবে ওয়েবসাইট গ্রহণ করে।
- * সম্মানী সম্পর্কিত কোন মতবিরোধ হলে ওয়েবসাইটের conflict resolution বা arbitration এর মাধ্যমে আপনি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পেতে পারেন। তবে ওয়েবসাইটের সিস্টেমের বাইরে টাকাপয়সা আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে আপনি কোন সাহায্য পাবেন না বরং এক্ষেত্রে সম্মানী না পাবার সম্পূর্ণ ঝুঁকি আপনার।
- ওয়েবসাইটের পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। গ্রাহক আপনার পাওনা ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্টে জমা করবে, যা আপনি বিভিন্ন প্রচলিত money transfer অপশনের মাধ্যমে (যেমন PayPal, Moneybookers, Wire Transfer, Cheque) আপনার ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করতে পারবেন।
- ওয়েবসাইটের সিস্টেমের বাইরে যেয়ে সরাসরি PayPal, Moneybookers ইত্যাদির মাধ্যমে।
- * আপনি যদি এসমস্ত ওয়েবসাইটের সাধারণ সদস্য হন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আপনি মাসে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বিড করতে পারবেন। আনলিমিটেড বিড এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে সদস্য হতে হবে।
- *বিড জেতার জন্য আপনাকে একটি যৌক্তিক বিড করতে হবে। ৫০০ শব্দ সম্বলিত ২০০ টি লেখা আপনি যেমন একদিনে দিতে পারবেন না, তেমনি, ১০০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লেখার জন্য ১০ দিন সময় নেয়াটাও অযৌক্তিক।
- * আপনার জমাকৃত নমুনা লেখাটি আপনার বিড জেতার মূল শক্তি হিসেবে কাজ করবে। তাই নমুনা হিসেবে একটি ভাল লিখা পাঠান।
(বিদ্র:আপনি যদি এক জন্য প্রফোশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তবে টেকটিউন্স ওয়েবে বা যে কোন বিষয় পড়াশুনু শেষ করে আসা উচিত । কারন এক সংগে দুই নৌকায় পা দিলে ফলাফল কি হবে আপনি জানেন । আপনাকে এওকজন প্রফোশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে অবশ্যই ইংলিশ (টেকটিউন্স ওয়েবে বাংলায় সুবিধা দেওয়া আছে) এ ভাল হতে হবে । এরপর পিএইচপি , এইচটিএমএল , গ্রাফিক ডিজাইন , ওয়েব ডিজাইন , এসইও , ওয়ার্ডপ্রেস ,মাইএসকিউএল ,ফটোশপ , সিএসএস , ফ্লাশ , জাভা , স্ক্রিপ্ট , আর্টিকেল লেখা , ডেটা এন্ট্রি , ইন্টারনেট মার্কেটিং , লোগো ডিজাইন , জুমলা , কপিরাইটিং , এজাক্স , ফেসবুক এপ্লিকেশন এই কাজ গুলু ভাল ভাবে রপ্ত করতে হবে । এক কথা এক জন্য প্রফোশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে টেকটিউন্স এর নিয়মিত ভিজিটর হয়ে,যা লাগে তা আপনাকে জানতে হবে এবং সম্পূর্ন প্রস্তুতি নিয়ে আপনাকে এই লাইন এ নামতে হবে ।)
অনলাইন বিড -সাইটসমূহ
এবার হয়ে যান একজন নিয়মিত অনলাইন লেখক আর আয় করতে থাকুন কিছু টাকা।
এই প্রত্যাশা রেখে ।
“আল্লাহ হাফেজ”।
vai ai doronerlakha agao hoice. apni aktu vag kore liksan.anyway thx for writing.