প্রতিদিনই আমাদের পৃথিবী ইন্টারনেটের ওপর আগের চাইতে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এমন অনেক কাজ আছে, যেগুলি করার জন্যে আগে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হতো না। এখন ইন্টারনেট ছাড়া সে সব কাজ করার কথা কল্পনাই করা যায় না।
নতুন কিছু জানা কিংবা কারো সাথে যোগাযোগ করার মতো নানান কাজ করার জন্য আমরা প্রথমে অনলাইনেই চেষ্টা করি। সে কারণেই প্রতি মিনিটে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেসেঞ্জার বা ওয়াটস-অ্যাপে মেসেজিং করছে, গুগল সার্চে কিছু খুঁজছে কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখছে।
প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন আরো বেশি মানুষ জনপ্রিয় ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করছে। সেইসব সাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে প্রতি মুহূর্তেই প্রচুর মানুষ স্ক্রল করছে, টিউন করছে, টুইট করছে, লাইক দিচ্ছে, শেয়ার করছে অথবা ডাউনলোড করছে। আমরা যারা জনপ্রিয় সাইটগুলি ব্যবহার করি, তারাও কোনো না কোনোভাবে সেইসব মানুষদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পৃথিবীজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের একটা সামগ্রিক চিত্র দেখতে পেলে আমরা বুঝতে পারবো, কীভাবে অনলাইনে আমাদের উপস্থিতি আরো অর্থবহ করে তোলা যায়।
প্রতি মিনিটে গড়ে একটা ওয়েবসাইট কত বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে, জরিপ নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেগুলি বছর অনুযায়ী হিসাব করে থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক এই বছরে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইটগুলি প্রতি মিনিটে কত বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। একনজর দেখে বোঝার জন্যে লেখার সাথে ২০২০ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে তৈরি করা একটা গ্রাফের ছবিও থাকছে।
ইউটিউবে প্রতি মিনিটে ৪.৭ মিলিয়ন ভিডিও দেখা হয়। ২০১৯ এর তুলনায় এ বছরে সাইটটিতে প্রতি মিনিটে প্রায় ২ লক্ষ ভিডিও বেশি দেখা হচ্ছে। এ বছর ইন্টারনেট থেকে প্রতি মিনিটে গড়ে ৪০০, ০০০ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হচ্ছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০, ০০০।
গত বছর পর্যন্ত ইন্টারনেটে প্রতি মিনিটে মানুষ গড়ে ৯৯৬, ৯৫৬ ডলার ব্যয় করতো। মিলিয়নের কোটা স্পর্শ করে এই বছরেই প্রথম বারের মতো মিনিটে ১.১ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে অনলাইনে।
প্রতি ৬০ সেকেন্ডে ইন্সটাগ্রামে ৬৯৪, ৪৪৪ বার স্ক্রল করা হচ্ছে আর টুইট করা হচ্ছে ১৯৪, ৪৪৪টি। গত বছরের তুলনায় প্রতি মিনিটে করা টুইটের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি মিনিটে ফেসবুকে ১.৩ মিলিয়ন লগইন করা হয়। গত বছরের তুলনায় লগইনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ।
২০২০ সালে এসে আমরা প্রতি মিনিটে ১৯০ মিলিয়ন ইমেইল পাঠাচ্ছি। ২০১৯ সালের তুলনায় এখন মিনিটে প্রায় ২০ লক্ষ ইমেইল বেশি পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে গত বছরে প্রতি মিনিটে ১৮.১ মিলিয়ন টেক্সট পাঠানোর সংখ্যাটা এখন ১৯ মিলিয়ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগের বছরে প্রতি মিনিটে ৩.৮ মিলিয়ন মানুষ গুগল সার্চ করতো। আর গুগলে এখন মিনিটে ৪.১ মিলিয়ন সার্চ হয়।
ফেসবুক কর্পোরেশনের জনপ্রিয় ২টি মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন মেসেঞ্জার আর ওয়াটসঅ্যাপে মিনিটে ৫৯ মিলিয়ন মেসেজ পাঠানো হয়। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ১৭ মিলিয়নেরও বেশি। আর বর্তমানে প্রতি মিনিটে জনপ্রিয় মিডিয়া সার্ভিস প্রোভাইডার নেটফ্লিক্সে প্রায় ৭৬৪, ০০০ ঘণ্টার কন্টেন্ট দেখা হয়।
এরপর থেকে যখনই এই সাইট বা সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করবেন, তখন একবার অন্যান্য ইউজারদের সংখ্যার কথাও কল্পনা করে দেখবেন। এই মুহূর্তেই আপনার মতো আরো কত লক্ষ মানুষ সেগুলি ব্যবহার করছে।
সুত্র: https://bd-tech-help.blogspot.com/2020/07/blog-post_26.html
আমি ইমরান হোসেন হৃদয়। , https://www.theshopinfo.com/ বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
I am Imran Hossen Hridoy. My Professional Skills Web designing, Software Makeing, Internet, OLD Phones Expert, Smart Phones Expert, Computer Expert , Etc. My website: theshopinfo.com