এই আর্টিকেলে আমরা যেসব বিষয়ে আলোচনা করব-
প্রযুক্তিনির্ভর এই বিশ্বে মানুষের কেনাকাটার জন্য এখন আর বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। বাসা বা অফিসে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ই কমার্স সাইট থেকে কেনাকাটা করতে পারেন। অনলাইনে অর্ডারকৃত পণ্য ক্রেতার হাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয় ইকমার্স প্রতিষ্ঠান। ই কমার্স সাইটগুলো তাদের পণ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যে অ্যাফিলিয়েট সুবিধা দিয়ে থাকে। আর মার্কেটাররা এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা মার্কেটিং করে আয় করে। এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সহজে বলা যায়, আপনি অনলাইনে কোনো পণ্য বিক্রি করতে চাইলে সে প্রতিষ্ঠান আপনাকে তাদের পণ্যের একটা লিংক দিবে। আপনার দেয়া লিংকের মাধ্যমে কোন গ্রাহক যদি তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে এবং পণ্য ক্রয় করে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেবে। এই কমিশনের মাধ্যমে অর্থ আয় করার মাধ্যকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
ইউটিউব থেকে কি করে টাকা উপার্জন করবেন? সফল ইউটিউবার হতে চাইলে…।
এক কথায় বলতে গেলে আপনি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করবেন, আর আপনার মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল হলে সে কোম্পানি আপনাকে একটা সেলস কমিশন দিবে এটাকে মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। সুতরাং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিপেন্ড করে আপনার মার্কেটিং এর মাধ্যমে কি পরিমান সেল হলো তার উপর।
ভালো মানের ইনকামঃ
প্রথম দিকে ইনকাম কম হবে ধরে নিলাম আপনি তিন মাসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে কাজ শুরু করলেন আপনার আয় হতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার, ছয় মাস পরে আয় ১০০০ ডলারের উপরে হবে। তবে বলে রাখা ভালো এই আয় নির্ভর করবে সম্পূর্ন আপনার কাজের উপর, আপনার কাজ ও পরিশ্রম যত ভালো হবে আপনার আয়ও তত ভালো হবে উপরের আয়ের সংখ্যাটা ধারণা দেয়ার জন্য বলা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জলঃ
মানুষ যত বেশি অনলাইন ব্যবহারে অভ্যস্ত হচ্ছে, অনলাইন বিজনেস তত বাড়ছে। আর তার সাথে সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজের পরিধিও বেড়েই চলেছে। এমনকি বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই, এখন অনেক বাংলাদেশি সাইট আছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অফার করে।
ওয়েবসাইট থেকে আয় এর ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিনই বাড়ছে। একজন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সহজ বিধায় অনেকেই এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর বিষয়ে আগ্রহী। কীভাবে সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা যায় তার উপায়গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো :-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য প্রথমেই আপনাকে এই মার্কেটে প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল-
দুই ধরনের বিজনেস মডেল আছে। প্রথমটি হলো রিসোর্স সাইট এবং দ্বিতীয়টি রিভিউ সাইট। যে পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে আপনি কাজ করবেন সেটার সাথে আপনি কতটা পরিচিত তার ওপর নির্ভর করেই আপনাকে মডেল নির্বাচন করতে হবে।
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার নিজস্ব একটা প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন (নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ) যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ করা পণ্য বা সার্ভিসের লিংক টিউন এবং অ্যাডভারটাইজ করতে পারবেন। আপনার যদি ইতোমধ্যেই একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে থাকে তাহলে সেই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে একজন অ্যফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অতিরিক্ত আয় শুরু করতে পারেন। আর যদি না থাকে তাহলে তৈরি করতে হবে।
বেশির ভাগ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররাই একটা নির্দিষ্ট জায়গা বা বিশেষ সীমানা নির্বাচন করে নেয়। যেখানে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞপন দিয়ে আয় করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য জায়গা নির্বাচনের পরেই আপনাকে আপনার পছন্দের পণ্য বা সার্ভিস নির্বাচন করে নিতে হবে।
অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনি আরো অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত হবেন। নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে এটি ভূমিকা রাখে। অ্যাফিলিয়েটদের সাথে নিম্নোক্ত যে কোন এক ভাবে যোগাযোগ করতে পারেন :-
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এ ব্যার্থ হওয়ার কিছু কারন।
যখন আপনি একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাবেন এবং নিরাপদ অ্যাফিলিয়েটদের সাথে কাজ করবেন তখন আপনাকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ট্রাফিক ড্রাইভ করানোর প্রয়োজন পড়বে। অনেকগুলো পদ্ধতির মাঝে সহজ ও সফল একটি হচ্ছে, একটা ব্লগ টিউন বা ওয়েব আর্টিকেল লিখে সাবসক্রাইবারদেরকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ইনভাইট করা। এছাড়াও আছে :-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধীরে ধীরে আপনার বিজনেস ডেভলপ করতে হবে। আপনার অ্যাফিলিয়েট বিজনেসকে ভালভাবে ডেভেলপ করার জন্য যা যা করতে পারেন-
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অভিজ্ঞতা এবং পরিচিতি অর্জনের দ্রুত এবং সহজ একটা পদ্ধতি হচ্ছে যে কোন অনলাইন কমিউনিটি বা ফোরামে যোগদান করা। এই অনলাইন রিসোর্সগুলোতে ফ্রি জয়েন করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে যথেষ্ট কাজ করতে হয় এবং তা ধৈর্যের সাথে। মার্কেটারকে অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে অবশ্যই একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর জন্য অন্যদের কেবল নিজের ওয়েবসাইট ভিজিট করানোই যথেষ্ট নয়। আয় তখনি হবে যখন কেউ আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবে। এর জন্য চারটা পদ্ধতি রয়েছে :-
নিশ সাইট থেকে আয় করবেন যেভাবেঃ
নিশ সাইটের জন্য যা দরকারঃ
১। কি-ওয়ার্ড রিসার্চ
২। একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করা ও হোস্টিং সেট আপ
৩। ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল
৪। মানসম্মত কনটেন্ট
৫। ভাল মানের ব্যাকলিংক তৈরি করা
৬। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
৭। দরকারি পেজ সেটআপ
৮। কাঙ্খিত কনভার্সন রেট
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান? তাহলে, আল্টিমেট গাইডলাইন গুলো পড়ুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য আপনাকে আপনার টার্গেট সেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কী কী আশা করেন তা ঠিক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কী কী করতে পারেন তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে এসে অনেকেই খুব দ্রুত ধনী হবার আশা করে। কিন্তু এখানে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রথম দিকে। কিছু মার্কেটার আছে যারা দৈনিক ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে এবং সেটা সপ্তাহের সাত দিনই।
→ মনে রাখবেন, এই ক্ষেত্রটা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক এবং অনেক মার্কেটিং কোম্পানি নিজস্ব মার্কেটার দিয়েই নিজেদের কোম্পানি পরিচালনা করে।
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নিজস্ব আলাদা অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকে। এটা কাস্টমারের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না এবং এতে নির্ধারিত পণ্যের মূল্যও পরিবর্তন হয় না। কেউ যখন ওই লিংক ক্লিক করে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে কোন পণ্য ক্রয় করে তখন অ্যাফিলিয়েট সেই ক্রয়ের কমিশন পাবে। অ্যাফিলিয়েট হিসেবে আপনি কতটা আয় করবেন তা ওই পণ্যের দাম এবং কমিশন পার্সেন্টেজের ওপর নির্ভর করবে।
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অবশ্যই আপনার একটা টার্গেট ডেমোগ্রাফি থাকবে। আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপণ এমন ভাবে দিতে হবে যেন টার্গেট ডেমোগ্রাফি সংখ্যক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে।
আমাদের অ্যাফিলিয়েট হওয়ার জন্য কোন টাকা লাগবে না; সম্পূর্ণ ফ্রি-তে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে। এছাড়া এখানে কোন ন্যুনতম সেলস এর লিমিট নেই, যতটুক সেল করবেন ততটুকুর উপরই কমিশন পাবেন।
এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর। আপনার উপার্জন নির্ভর করছে আপনার সুপারিশকৃত সেলস এর উপর।
এটাও সম্পূর্ণ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। যদি কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে দিনে কমপক্ষে ১-২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে দেখতে পারেন। কেমন ফলাফল আসছে তার উপর ভিত্তি করা কম বা বেশি সময় দিতে পারেন।
5. Clickbank
6. Rakuten Marketing Affiliates
8. StudioPress Affiliate Website
9. CJ Affiliate Publisher’s Program
10. Bluehost Affiliate Program
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কি ভাবে শিখতে পারি।
প্রথমেই বলা হয়েছে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে আপনাকে হতে হবে পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল। এখানে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হলে সময়ের প্রয়োজন। যথাযথ পরিশ্রম এবং কৌশল অনুযায়ী কাজ করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা অত্যন্ত সহজ।
আমি চয়ন মোল্লা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 28 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 16 টিউনারকে ফলো করি।