ইন্টারনেটের মালিক কে?

  1. আসসালামু আলাইকুম! ফেসবুকে আপনার একটি টিউন সারা দুনিয়ায় থাকা আপনার সকল বন্ধুরা মুহূর্তে দেখতে সক্ষম হয়। কিভাবে? ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আমাজন থেকে পণ্য কিনছেন তাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ফেসবুকের মালিক মার্ক জাকারবার্গ আমাজনের মালিক জ্যাক মা। কিন্তু সব কিছুর নাটের গুরু সেই ইন্টারনেটের মালিক কে? সেটা কি সিম কোম্পানি গুলো নাকি ওয়াইফাই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান? অবাক করা উত্তর হল না আপনি নিজেই এর মালিক। বিশ্বাস হলো না তো আসলে আপনি আমি সকলেই ইন্টারনেটের এক একটা অংশের মালিক
    আপনার বাড়িতে যদি দুটি কম্পিউটার থাকে তবে সে দুটিকে অপটিকাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করলে মুহূর্তেই বড় বড় ফাইল আপনি আপনার এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ট্রান্সফার করতে পারবেন। তাহলে তৈরি হয়ে গেল আপনার বাসার ইন্টারনেট। এভাবে যদি এলাকার সব কম্পিউটার জুড়ে দেন তাহলে তৈরি হয়ে গেল এলাকার ইন্টারনেট। এমনিভাবে পুরো দেশ বা পুরো পৃথিবীর কম্পিউটারগুলোকে জুড়ে দেওয়ার নামই হলো ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক বা সংক্ষেপে ইন্টারনেট। বাংলায় একে আমরা বলতে পারি আন্তঃসম্পর্কের নেটওয়ার্ক।
    এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে বাড়ির ইন্টার্নেট না হয় অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করলাম কিন্তু বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার গুলো কিভাবে যুক্ত থাকে? এটা কি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে? উত্তর হল না 100 ভাগের মধ্যে 99 ভাগ ইন্টারনেট চলে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। চুলের মত আকৃতির শতশত অপটিক্যাল ফাইবার গুলো একসাথে সাবমেরিন কেবলের মধ্য দিয়ে চলে যায় পৃথিবীর এক দেশ থেকে আরেক দেশে। সমুদ্রের নিচে এরকম শত শত সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আমাদের এই বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট তৈরি হয়েছে।

তো বুঝলাম ইন্টারনেটের মালিক আমরা সবাই তবে কেন আমরা ইন্টারনেট চালাতে টাকা দেই? এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। বন্ধুরা সমুদ্রের নিচে এমন হাজারো তার গুলোকে বলা হয় ইন্টারনেটের মেরুদন্ড। আর এগুলো বিছানো এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে তো অনেক খরচ তাই না। ইন্টারনেটকে আমাদের ঘরে পৌঁছানোর জন্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যারা আমাদের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছান তাদেরকে বলা হয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি বা সংক্ষেপে আইএসপি। এই কোম্পানিগুলো তিন ভাগে বিভক্ত।
১. টি আর ওয়ান কোম্পানি যেমন ভেরিজন, লেভেল 3, স্পৃন্ট ইত্যাদি
২. টিয়ার টু কম্পানি যেমন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী বি এস সি আই।
3 টি আর থ্রি কম্পানি বাংলাদেশের সিম কোম্পানি গুলো এই ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত।
বিশ্বব্যাপী সম্পর্ক রক্ষার জন্য যারা সমুদ্রের নিচে সাবমেরিন ক্যাবল বিছানো ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন তারা টি আর ওয়ান কোম্পানি। TR 2 এবং TR 3 কোম্পানিগুলো এদের কাছ থেকে ভাড়ার বিনিময়ে সংযোগ নিয়ে দেশের মধ্যে অবস্থিত সকল স্থানে পৌঁছে দেয়। টিয়ার টু কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ভাড়া নেয় আমাদের স্থানীয় ওয়াইফাই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গুলো। আর সিম কোম্পানি গুলো টি আর ওয়ান কোম্পানি থেকে ভাড়া নিয়ে তাদের টাওয়ারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়।
একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার হয়। , ধরুন আপনি ফেসবুকে ঢুকলেন। সিম কোম্পানি গুলো আপনার এ তথ্য কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় থাকা টি আর ওয়ান কোম্পানির লাইনে পৌঁছে দেয়। আর টি আর ওয়ান কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে থাকা ফেসবুকের সার্ভারে সেটা পৌঁছে দেয়। পুনরায় বিপরীত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফেসবুকের সার্ভার থেকে আপনার মোবাইলে ফেসবুকের ওয়েব পেইজ ওপেন হয়। তো বন্ধুরা প্রক্রিয়াটা সত্যিই জটিল। আর এগুলো সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ করে কিছু প্রটোকল। যা আবার নিয়ন্ত্রণ করে কিছু প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে একটি হলো দা ইন্টারনেট সোসাইটি। তো বন্ধুরা এই বিশাল মহা আয়োজন এর খরচ তো অনেক তাই না। তাই আমরা ইন্টারনেটের একাংশের মালিক হওয়া সত্ত্বেও টাকা দিয়ে ইন্টারনেট চালাই। এ বিষয়ক ভিডিও আমার চ্যানেলে.

Level 0

আমি মোঃ আল মামুন শাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস