আজকের বিশ্বায়নের যুগে ইন্টারনেট একটি অপরিহার্য মাধ্যম। আজকাল বিশ্বের পঞ্চাশ শতাংশ মানূষই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু বিশ্বের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও, আমরা শুধুমাত্র ইন্টারনেটের ১ শতাংশই ব্যবহার করতে পারি, বাকি ৯৯ শতাংশ ব্যবহার করতে পারি না। আজকের এই আলোচনা ইন্টারনেটের ৯৯ শতাংশ ব্যবহার সম্বন্ধে। এই আলোচনা শুরু করার আগে ইন্টারনেট সম্বন্ধে একটু জানাতে চাই।
ইন্টারনেটের কম্যুনিকেশ মডেলের নাম হোলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব - যেটি সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত
এই রেগুলার ওয়েবের মধ্যে চলে আশাকরি সেগুলি সবই রেগুলার ওয়েবের অধীন। ইন্টারনেটের ৯৯ শতাংশ হচ্ছে ডিপ ওয়েবের অধীন। এই ডিপ ওয়েবের কনটেন্ট গুলো ইনডেক্সিন হয় না স্ট্যান্ডার্ড ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা। এই কন্টেন্টগুলোর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির ডাটাবেস, মেডিকেল রেকর্ডস, সাইন্টিফিক রিপোর্ট, লিগাল ডকুমেন্টস এবং সরকারি তথ্য থাকে, যেগুলো সাধারণ মানুষ খুঁজে পায় না। এগুলো শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিই দেখতে পারে।
এই ডিপ ওয়েবের ছোটো একটি ভাগের নাম হলো ডার্ক ওয়েব - এই ওয়েবে প্রবেশ করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট সফটওয়ারের প্রয়োজন পরে। এই সফটওয়্যারগুলোকে আলাদাভাবে কনফিগার করে এবং অনুমোদন নিয়ে তারপরে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করা যায়।
এখানে সাধারণত ওয়েবসাইট গোপন অবস্থায় রাখা হয়। ডার্ক ওয়েবে একটি বাজার অসাধু ব্যাবসায়ীরা পরিচালনা করে থাকে, এই বাজারটির নাম -"ডার্কনেট " এখানে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ এবং অপরাধ জগতের সাথে জড়িত কার্যকলাপ হয়ে থাকে, যেমন - সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, হ্যাকিং, ধাপাবাজী, গুপ্তহত্যা, হিংস্ত্রতা, বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা এবং লেনদেন হয়ে থাকে। এই ডার্ক ওয়েব থেকে আমাদের সভ্য সমাজকে অবশ্যই দূরত্ব বজিয়ে রাখা উচিত।
আজকে এই অবধি।
আমি অভিজিত চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 30 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 9 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 6 টিউনারকে ফলো করি।
লিখতে চাই ,নিজেকে প্রকাশ করতে চাই।লেখার মাধ্যমে অন্যকে জানাতে চাই।
amake ekta call diyen 01673783735