.
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যাপ্ত পেশাদার কর্মী নেই বলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। তাই সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উন্নত শিক্ষা এবং শিক্ষা-পরবর্তী শিক্ষানবিশি ব্যবস্থা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিস্ট ব্যক্তিরা।
সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, নিয়োগদাতা সংস্থাগুলোর ৮১ শতাংশ মনে করে, ডিজিটাল নিরাপত্তাকর্মীর চাহিদা বাড়বে কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর সেই চাহিদা পূরণ হবে বলে মনে করে তাদের মাত্র ১৬ শতাংশ। সাইবার নিরাপত্তা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টু-সেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম হোমান বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তাকর্মীদের চাহিদা আকাশচুম্বী। সাইবার হামলা মোকাবিলার খরচ বাড়তেই থাকছে। বিমা প্রিমিয়াম বাড়বে, হামলা-পরবর্তী কাজগুলোর খরচ বাড়বে। ’
চলতি বছরে বেশ কিছু ‘বিধ্বংসী’ সাইবার হামলা দেখা গেছে। এরপর থেকেই পেশাদার সাইবার নিরাপত্তাকর্মীদের চাহিদা বাড়তে থাকে। মার্চে ‘থ্রি’ নামের মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা ভেঙে ২ লাখ গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এপ্রিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘ওঙ্গা’র ২ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফোন নম্বর এবং ই-মেইলের মতো সংবেদনশীল তথ্য চুরি হয়ে যায়। মে মাসে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ‘এনএইচএস আইটি’র তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোয় র্যানসমওয়্যার হামলার পর সবাই বুঝতে শুরু করে সাইবার হামলা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য শুধু একটি ‘সমস্যা’ না।
সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করার মতো দক্ষ পেশাদারদের অভাব জরুরি ভিত্তিতে কাটিয়ে উঠতে হবে বলে উল্লেখ করেন ব্রিটিশ কম্পিউটার সোসাইটির এক্সটারনাল বিষয়াবলি পরিচালক অ্যাডাম থিলথর্প। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তিকর্মীর ঘাটতি দেখা দেবে। শিক্ষা ও শিক্ষানবিশ ব্যবস্থায় সরকার ও ব্যবসায়ের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা আমাদের দরকার। আমাদের উচিত নারী ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের আরও বেশি নিয়োগ দেওয়া এবং বিদ্যমান কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি। ’
ইলিয়াস হোসাইন, সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আমি ইলিয়াস হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
খুবই সাধারন একটি ছেলে আমি। পড়তে ভালবাসি, তাই পড়তে থাকি। এখানে কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই খুব গর্বিত বোধ করছি।