এই দুই ধরনের প্যাকেজের পাশাপাশি ‘স্মার্ট প্যাকেজ’ নামের কিছু সংযোগও আছে। থ্রিজির মাধ্যমে ভিডিও কল করা, এমএমএস ব্যবহার ইত্যাদির সময় ও সংখ্যার মাধ্যমে এই প্যাকেজগুলোর মূল্য নির্ধারণ হয়ে থাকে।
এটার সাথেও আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। তবে এটার গতি থ্রিজি থেকে অনেকাংশে কম। যা সর্বোচ্চ হতে পারে ১২৮ কেবিপিএস থেকে ২৫৬ কেবিপিএস পর্যন্ত। বর্তমানে আমাদের দেশে সম্পুর্ন্রুপে থ্রিজি চালু না হওয়ায় বা সবার থ্রিজি মোবাইল না থাকায় টুজি সেবাও চালু আছে।
উচ্চগতির তারহীন ইন্টারনেটের একটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি হলো ওয়াইম্যাক্স। দেশে মোট দুটি অনুমোদিত ওয়াইম্যাক্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। থ্রিজি প্যাকেজগুলোর চেয়ে কম দামে এই সংযোগ পাওয়া যায়। প্রিপেইড এবং টিউনপেইড ধরনের কিছু প্যাকেজ রয়েছে, যেখানে ইন্টারনেটের গতি ও ডেটা ভলিউমের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে সব প্যাকেজের ন্যূনতম ব্রডব্যান্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য আলাদাভাবে মডেম ব্যবহার করতে হয়। তবে ওয়াইম্যাক্স মডেমের সঙ্গে রাউটার যুক্ত করে একাধিক ব্যবহারকারী ইন্টারনেট সংযোগটি ব্যবহার করতে পারেন একই সময়ে। আবার কিছু কিছু মডেমের সঙ্গে রাউটার যুক্ত করাই থাকে। তবে একটি বিষয় জেনে রাখতে হবে যে মুঠোফোন থেকে সরাসরি ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। ঢাকার বাইরে এই ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ কয়েকটি শহরে রয়েছে।
ব্রডব্যান্ড বলতে সাধারণত তারের মাধ্যমে সংযুক্ত উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়। দেশের প্রায় সব জেলা, উপজেলায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধরনের প্যাকেজগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ইন্টারনেটের গতির ওপর এবং ডেটা ভলিউম উন্মুক্ত থাকে। তবে উচ্চগতির প্যাকেজগুলোতে কখনো কখনো সর্বোচ্চ ডেটা ভলিউম ব্যবহারের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে। একটি মাত্র তারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে সংযোগ দেওয়া হলেও রাউটার যুক্ত করে একই সঙ্গে অনেক ব্যবহারকারী একটি সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন।
বাংলাদেশ টেলিকম কোম্পানি লিমিটেড—বিটিসিএলের টেলিফোন সংযোগ-লাইনের ওপর ভিত্তি করেও একটি ইন্টারনেট ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চগতির এই নির্ভরযোগ্য সংযোগটি বেশ কয়েকটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে।
বাসা বা অফিসে ব্যবহার করার জন্য তারহীন ওয়াইম্যাক্স বা সাধারণ ব্রডব্যান্ড সংযোগ ব্যবহার করা যেতে পারে। মূল সংযোগের সঙ্গে রাউটার যুক্ত করে একাধিক ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে এবং সহজে নিজেদের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদান করতে পারবেন। তবে সম্ভাব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যার ওপর নির্ভর করে ইন্টারনেটের গতি নির্বাচন করা উচিত। মুঠোফোন অপারেটর, ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট, বিটিসিএল এডিএসএলের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট প্যাকেজের মূল্য ও সেবার পরিধি বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে। আর ব্রডব্যান্ড সংযোগগুলো সাধারণত এলাকা বা অঞ্চলভিত্তিক হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে ইন্টারনেট সংযোগগুলো কেনা যাবে।
ইন্টারনেট একটি বিশাল জগৎ, পৃথিবীর যে প্রান্তেই অবস্থান করা হোক না কেন ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতে পারস্পরিক দূরত্বটি আর বুঝতে পারা যায় না। সামাজিক যোগাযোগের জন্য ফেসবুক বা অন্যান্য বেশ কিছু সেবা রয়েছে। তবে ইন্টারনেটের ব্যাপ্তি এবং ব্যবহার কেবল এই তিন-চারটি ওয়েবসাইটই নয়। ইন্টারনেটে নানা কাজের বহু ওয়েবসাইট ও সেবা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সঠিক ব্যবহার সাফল্য লাভের একটি মাধ্যম হতে পারে।
আমি আল মাসুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 68 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।