ব্যক্তিগত গুরুত্বপুর্ণ ফাইল, ছবি, ডকুমেন্ট, ডাটা সংরক্ষনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন স্টোরেজ। এটি ক্লাউড স্টোরেজ নামে পরিচিত। মেমোরি কিংবা হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত ডাটা ভুলবশত যে কোন মুহুর্তে ডিলেট কিংবা ফরমেট হয়ে যেতে পারে অথবা হার্ডড্রাইভ ক্রাশ করতে পারে। ক্লাউড স্টোরেজে ফাইলগুলো আপলোড করা থাকলে তা আবার ডাউনলোড করে ফিরে পাওয়া যায়। এর আরেকটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, যেকোন সময় সাথে প্রয়োজনীয় ফাইলটি না থাকলেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল অথবা সাইবার ক্যাফে থেকে সেটি ব্যবহার করা যায়। যেমন ধরুন, আপনি কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলেন। সঙ্গে ছবি আর রিজুম নিতে ভুলে গেছেন। ক্লাউড স্টোরেজে এগুলো জমা থাকলে মুহুর্তেই তা ডাউনলোড দিয়ে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
অনলাইন স্টোরেজ সেবা দিচ্ছে বেশকিছু ওয়েবসাইট। এদের মাঝে ওয়ানড্রাইভ, গুগলড্রাইভ ও ড্রাপবক্স বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
মাইক্রোসফটে একাউন্ট খুললেই ওয়ানড্রাইভে ১৫ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ ফ্রি পাওয়া যেত। আগামী ১৩ জুলাই থেকে এই স্টোরেজ লিমিট কমিয়ে ৫ জিবি করছে ওয়ানড্রাইভ। এই সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ডাটা সরিয়ে না নিলে ফাইলগুলো রিড-ওনলি হয়ে যাবে। নতুন কোন ডাটা আপলোড করা যাবে না এবং ১ বছর পর সব ডাটা ডিলেট করে দেয়া হবে। বিপুল জনপ্রিয় সাইটের হঠাৎ এই স্টোরেজ সংকোচনে খানিকটা অসুবিধায় পড়েছেন এর ব্যবহারকারীরা।
নির্ভরযোগ্য ও অধিক ফিচারসমৃদ্ধ ক্লাউড সাইট গুগলড্রাইভ, ফোরশেয়ারড দিচ্ছে ১৫ জিবি স্টোরেজ আর ড্রপবক্স দিচ্ছে মাত্র ২ জিবি। এত অল্প স্টোরেজে যাদের সংকুলান হচ্ছে না, তাদের জন্য হাজির হলাম বিশেষ কিছু সাইটের খোঁজ নিয়ে।
এই সাইটগুলো স্টোরেজ সুবিধা দিচ্ছে ১০০ জিবি পর্যন্ত। অপেক্ষাকৃত নতুন বিধায় ক্লায়েন্ট আকৃষ্ট করার বিশেষ কৌশল এই লোভনীয় সুবিধা। আসুন, সাইটগুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
১। Shared দিচ্ছে ১০০ জিবি সম্পুর্ণ ফ্রি স্টোরেজ। রেজিস্ট্রেশন করলেই পাওয়া যাবে এই স্টোরেজ। রেজিট্রেশন করা যাবে ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে। পাবলিক ফাইল আপলোড করলে তা আপনার প্রোফাইল টাইমলাইন টিউন হিসেবে শেয়ার হবে। একইসাথে অন্যদের টাইমলাইন টিউনগুলোও দেখতে পাবেন। গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রতি ৯০ দিনে অন্তত ১ বার আপনার একাউন্টে এক্সেস করতে হবে। অন্যথায় সব ডাটা ডিলেট হবে যাবে।
২। surdoc এর সিকিউরিটি শেয়ারড থেকে উন্নত। এর ফিচারও বেশি। এটি দিচ্ছে ১০০ জিবি ফ্রি স্টোরেজ। রেজিস্ট্রেশন করা যাবে গুগুল, ফেসবুক এবং ইয়াহু একাউন্ট থেকে। এর এন্ড্রয়েড ও আইফোন এপ্লিকেশন আছে অর্থাৎ মোবাইলেও ব্যবহার করতে পারবেন। এতে ৯০ দিন অন্তর অন্তর এক্সেস করার ঝামেলা নেই।
৩। mega দিচ্ছে ৫০ জিবি স্টোরেজ। অনেক ফিচার সমৃদ্ধ এই সাইট সবচেয়ে নিরাপদ সাইটগুলোর মধ্যে একটি। এর এন্ড্রয়েড, ব্লাকবেরি ও আইফোন এপ্লিকেশনের পাশাপাশি ক্রোম ও ফায়ারফক্স এক্সটেনশন আছে।
৪। Adrive দিচ্ছে ৫০ স্টোরেজ। বাড়তি সুবিধা হিসেবে আছে FTP এক্সেস এবং অনলাইন ডকুমেন্ট এডিটিং। এর এন্ড্রয়েড ও আইফোন ভার্সনও আছে।
৫। Firedrive সাধারণ কিন্তু আকর্ষণীয় একটি সাইট। সাইন আপের সাথে সাথে পাওয়া যাবে ৫০ জিবি স্টোরেজ। সাথে আছে বেশকিছু মজার অপশন। বাড়তি স্টোরেজ কিনতে প্রতি মাসে খরচ হবে ২.৯৯ ডলার।
৬। Yunpan360 হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় সাইট। এটি ৩৬ টিবি সম্পুর্ণ ফ্রি স্টোরেজ সুবিধা দিচ্ছে। জ্বি, আপনি ঠিকই পড়ছেন; ৩৬ টিবি, অর্থাৎ ৩৬৮৬৪ জিবি ফ্রি স্টোরেজ। আপনার সারা জীবনের সকল ডাটা জমা রাখলেও স্পেসের অভাব হবে না। তবে এই সাইট ব্যবহারের বিশেষ বাঁধা হচ্ছে, এর ভাষা চাইনিজ। তাই আপনাকে ব্যবহার করতে একটু বেগ পেতে হবে। নিচের লেখাটি পড়ে সে সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে পারবেন। How to get 36 TB free cloud storage
আফটারঅল, স্টোরেজ যেখানে অসীম, সেখানে ভাষা তো কোন বাঁধা ই-না।
আমি কাউসার উল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
khub sundor tune.. thanks a lot..