ইন্টারনেট এখন আপনার হাতের মুঠোই

————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

এইটা আমার প্রথম টিউন। টিউনটি আগেই লেখা ছিল। কিন্তু প্রথম দিন টিউন করতে পারিনি। তাই আজ করলাম। সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের আমার প্রথম টিউন।

ইন্টারনেট বর্তমানে মৌলিক চাহিদার একটি হয়ে দাঁড়িয়েছ। ইন্টারনেট ছাড়া যেন এখন সময় চলেইনা। কিন্ত যারা বিভিন্ন সিম এর মাধ্যমে ইন্টারনেট চালায় তাঁরা একটা বিষয়ে হয়তো চিন্তিত। কিভাবে ডাটা খরচ কমানো যায়?
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের Data Settings এ গিয়ে Disable Background Data এই অপশনটি নির্বাচনের মাধ্যমে ডাটা খরচ কমাতে পারেন। কিন্তু যারা Windows PC ব্যবহার করেন তাঁরা কী করবেন? আজ সেই নিয়েই এই টিউন।
কম্পিউটারে নেট ব্যবহার করার সময় বিভিন্ন প্রোগ্রাম অটোমেটিক আপডেট হয়ে যায়। তাছাড়া সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে মাইক্রোসফট পুরানো উইন্ডোজ আপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ব্যবহারকারির আজান্তেয় উইন্ডোজ ১০ আপারেটিং সিস্টেম আপডেট করছে (প্রথমআলো)। যাকিনা অফিশিয়ালদের জন্য একটা বড় সমস্যা। যারা উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তাঁরা উইন্ডোজ আপডেট কন্ট্রোল করতে একটু সমস্যায় পরছেন। কেননে পূর্ববর্তী উইন্ডোজ গুলোর মতো উইন্ডোজ ১০-এ অটোমেটিক আপডেট বন্ধ করার সুবিধা তেমন নেই। যার কারনে বিভিন্নভাবে অনেক ডাটা নষ্ট হয়। আশা করি এই সমস্যা সমাধানে আজকের টিউনটি কাজে আসবে। (Please use google translate to read in english)

Surfblocker

সফটওয়ারটি সম্পর্কে ভালভাবে জানতে পারেন হোমপেইজে ভিজিট এর মাধ্যমে। হোমপেইজে ভিজিট করতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন।

Surfblocker
হোমপেজে ভিজিট করুন

যারা হোমপেজে যাননি তাঁরা এখান থেকে সফটওয়ারটি সম্পর্কে কিছু জেনে নিতে পারেন।
অপারেটিং সিস্টেমঃ Windows: XP/Vista/7/8/8.1/10
ফিচারঃ

Surfblocker

০১। Block everything(Exceptions)(ডাটা সাশ্রয় পদ্বতি)(How to stop automatic update on windows 10?)
এই অপশনটি নির্বাচনের মাধ্যমে আপনি আপনার নির্বাচিত সার্ভিসগুলো শুধু ব্যবহার করতে পারবেন। অপশনটি নির্বাচন করে Exceptions এ ক্লিক করলে নিচের মতো একটি উইন্ডো আসবে। সেখানে Allowed Programs –এ আপনি যে সফটওয়্যারকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দিতে চান আপনার ডেস্কটপ থেকে সেই সফটওয়্যারটির আইকনে ক্লিক করে রাখুন এবং উক্ত উইন্ডোতে ড্রপ করুন। এভাবে আপনি বাকি অপশন গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এখানে শুধুমাত্র Allowed Programs গুলোতেই ডাটা খরচ হবে। তাছাড়া উইন্ডোজ আপডেটও হবে না। যার কারনে অযথা ডাটা নষ্ট হবে না(প্রমাণিত)।  Auto Detect অপশনটি নিজেই দেখে নিতে পারে আপনার প্রয়োজনীয় সার্ভিস কোনটি হবে।
(How to stop automatic update on windows 10?) Please use this method to stop windows update.

০২। Block selected website and service only
এই অপশনটি নির্বাচনের পর নিচের মতো একটি উইন্ডো আসবে।

যেখানে আপনি যেসব ওয়েবসাইট বা সার্ভিস চালাতে চাননা সেগুলো Add করতে পারবেন। আপনার এড করা সার্ভিস গুলো ছাড়া বাকি সব সার্ভিস আপনি ইন্টারনেটে চালাতে পারবেন।

০৩। Block harmful content at all time: এই অপশনটি নির্বাচন করলে ইন্টারনেটে সকল ধরনের খারাপ এবং গেইমিং অথবা ড্রাগ এর মতো ওয়েবসাইট ব্লক হয়ে যাবে।
০৪। আপনি যদি ইন্টারনেট এক্সেস সম্পূর্ণ ফ্রী করতে চান তাহলে সবগুলো অপশন আনচেক করলেই হবে।

০৫। Temporary unblock :  এই অপশনটির মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইন্টারনেট আনব্লক করতে পারবেন।

০৬। Daily limit: এই অপশনটির মাধ্যমে কোন দিন কে কী পরিমাণ ডাটা ব্যবহার হবে তা সেট করতে পারেন।

০৭। Schedule: এই অপশনটির মাধ্যমে কোন দিন কোন সময় ইন্টারনেট ব্লক হবে তা সেট করতে পারবেন।

০৮। Addiction Stopper:  এই অপশনটি ব্যবহার করে কোন ঝামেলা ছাড়াই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য surfblocker বন্ধ করতে পারবেন।

০৯। Event Log: এই অপশনটির মাধ্যমে দেখতে পারেন surfblocker এ কী কী পরিবর্তন হয়েছে।

১০। এটি বিশ্বস্ত একটি সফটওয়্যার। তাই আপনার ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
সফটওয়্যারটির ফিচার অনেক। যা ব্যবহার করলেই জানতে পারবেন। সফটওয়্যারটির সামান্য ভূমিকা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি তা সংরক্ষন করতে পারেন। Surfblocker. এর দুইটি ভার্সন আছে। ফ্রী এবং প্রো। এদের মাঝে পার্থক্য হল প্রো ভার্সনে পাসওয়ার্ড ছাড়া প্রবেশ করা যাবেনা। কিন্তু ফ্রী ভার্সনে আপনি পাসওয়ার্ড ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন। ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। এছাড়া এতে কোনো পার্থক্য নেই। তাই কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনি সফটওয়ারটির ফ্রী ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। যদি সফটওয়ারটি ভালো লাগে তাহলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

Download: SurfblockerDownload Surfblocker

যেভাবে ব্যবহার করবেন
ডাউনলোড করা ফাইলটি ইন্সটল করুন। তারপর আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলা হবে। আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামতো একটি পাসওয়ার্ড দিতে পারেন। প্রতিবার সফটওয়্যারটি ওপেনের সময় সেটি দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। অতবা Bypass দিলে পাসওয়ার্ড লাগবেনা। তবে পাসওয়ার্ডটি ভালোভাবে সংরক্ষন করুন। নাহয় তা আনইন্সটল করতে পারবেননা।

এখানে Evaluate অপশনটি ক্লিক করুন। তাহলে সফটওয়ারটি ওপেন হবে।

কোন প্রকার ভুল হলে অথবা না বুঝতে পারলে জানাবেন। টিউনটি ভালো লাগলে আপনার মতামত জানাতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

YouTube থেকে সরাসরি ভিডিও ডাউনলোড করুন!

Level 1

আমি রাকিবুল হাসান। Learner, Coding, Art, Bloging বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস