প্রয়োজনের সময় ফ্রি WiFi পেতে চাই সবাই। কিন্তু করণীয় কী? তা দেখে নিন এই টিউন থেকে।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আধুনিক এই যুগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন খুব কম লোকই আছে।

বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। আর বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির যে মাধ্যম টার প্রতি আমরা সবথেকে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি সেটা হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ছাড়া একটা দিন কল্পনা করাটাই কঠিন আমাদের জন্য। ইন্টারনেটের সাথে আমাদের জীবন অনেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে রাস্তা ঘাটে, চলতে ফিরতে সবসময়ই আমরা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা করি।

আচ্ছা, হঠাত মনে করুন কোথাও গিয়ে আপনার মোবাইলের ডাটা শেষ হয়ে গেছে বা কিন্তু আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা খুব জরুরি। হতে পারে বিদেশে গিয়েছেন, সেখানে গিয়ে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েছে। এমতাবস্থায় কি করবেন? সহজ হিসাব, ফ্রি ওয়াইফাই জোন খোজার চেষ্টা করবেন। কিন্তু শহরের যে কোথাও বা বিদেশের কোথাও ফ্রি ওয়াইফাই জোন খুজে বের করাটা সবসময় সহজ নাও হতে পারে। তবে কিছু টেকনিক অ্যাপ্লাই করলে সহজেই আপনি খুজে পেতে পারেন ফ্রি ওয়াইফাই জোন। তো চলুন দেখি দেশে বা বিদেশে হঠাত প্রয়োজনের সময় কিভাবে ফ্রি ওয়াইফাই জোন খুজে পাওয়া সম্ভব।

খ্যাতনামা শোরুমগুলোর খোঁজ করা

বর্তমান সময়ে দেশে এবং বিদেশে খ্যাতনামা কোম্পানির শোরুম বিশেষ করে প্রযুক্তিপন্যের সাথে সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শোরুম বা রেস্টুরেন্ট গুলো ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমনঃ দেশের মধ্যে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, আবাসিক হোটেল, প্রযুক্তিপন্যের শোরুম এ ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। দেশের বাইরে প্রযুক্তিপন্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল, খ্যাতনামা রেস্টুরেন্ট McDonald’s ও এ ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে। আর এই সুবিধা থাকা সবগুলো যায়গাতেই বাইরে লেখা থাকে ফ্রি ওয়াইফাই জোন সুবিধার কথা। তাই হঠাত ফ্রি ওয়াইফাই জোনের প্রয়োজন পড়লে আশে পাশে খুজতে পারেন এরকম শোরুম, রেস্টুরেন্ট বা শপিং মলগুলো।

পাবলিক সেবাকেন্দ্রে

বিদেশে অনেক পাবলিক সেবাকেন্দ্রে ফ্রি ওয়াইফাই জোন সুবিধা বিদ্যমান। যেমনঃ রেল স্টেশন, বাস স্টপেজ, লাইব্রেরি, পার্ক সহ প্রভৃতি যায়গাগুলো। আমাদের দেশে সুবিধাটি এখনো অতটা প্রচলিত না হলেও ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই এ ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাই দেশের বাইরে কোথাও হঠাত ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়লে আশে পাশের পাবলিক সেবাকেন্দ্রগুলোতে মোবাইল বা ট্যাবের ওয়াইফাই অন করে চেক করে দেখতে পারেন।

মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে

বর্তমান সময়ে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের পরিধি সীমাহীন। সুখের খবর হলো ফ্রি ওয়াইফাই জোন খুজে বের করার বা আশে পাশের ওয়াইফাই জোনগুলোর সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুবিধা দেওয়া বেশকিছু অ্যাপস মার্কেট প্লেসে বর্তমান আছে। প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অ্যাপসগুলো বেশ কাজে দিতে পারে। অ্যাপসগুলোর মধ্যে Instabridge একটি যেটা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় মার্কেটপ্লেসেই বিদ্যমান এবং অফলাইনে কাজ করতে সক্ষম। Instabridge হলো একটি ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড শেয়ারিং কমিউনিটি অ্যাপ যেটা তার ৩ লক্ষ হটস্পটের ডাটাবেজের মাধ্যমে আশেপাশের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে দেয়। WeFi Pro (অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ফ্রি) অ্যাপসটির ডাটাবেজে আছে ২০০ মিলিয়ন হটস্পটের তথ্য ফলে অ্যাপসটি আরো ভালো ফল দিতে সক্ষম এরকম ক্ষেত্রে।

আশে পাশের মানুষের সহায়তা নিয়ে

ফ্রি ওয়াইফাই জোন খুজে পাওয়ার সবথেকে সহজ পদ্ধতিটি হলো আশে পাশের মানুষের সহায়তা নেওয়া। আপনি যদি কোথাও গিয়ে এরকম পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে আশে পাশের মানুষকে ডেকে জিজ্ঞাসা করুন, অনেকেই এগিয়ে আসবে তথ্য দিতে। অথবা কোন রেস্টুরেন্টে বা অফিসে গিয়ে নিজের প্রয়োজনের কথাটি তুলে ধরতে পারলে সেখান থেকেও পেতে পারেন ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ।

ফাতলু টিউন হলেও কিছু মনে করবেন না

সবাইকে ধন্যযোগ

 

Level 0

আমি এস বাবু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস