আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্।কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন সবাই।
কথাই আছে "যেমন গুড়, তেমন মিষ্টি" অর্থাৎ সুবিধা যত বেশী হবে, খরচও তেমন হারেই বাড়বে।সারাদেশেই বর্তমানে থ্রিজি নেট বিদ্যমান। আপনিও নিশ্চয়ই থ্রিজি ইউজ করছেন?তাহলে
আপনার স্মার্টফোনটিতেও নিশ্চয়ই ইন্টারনেট
খরচ বেশি হয়। অন্তত প্রাচীন হয়ে
যাওয়া জাভা ফোনের তুলনায় তো
কয়েকগুণ বেশি। প্রায় কম্পিউটারের
সমানই বটে! স্মার্টফোন
ব্যবহারকারীরা প্রায় সকলেই থ্রিজি
নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকেন। এতে
নেটের গতি যেমন বেশি হয় তেমনি
খরচও বাড়ে। অনেকের পক্ষেই এই
বিশাল পরিমাণ নেট বিল দেওয়া সম্ভব
হয়ে উঠে না। তাই তো স্মার্টফোনে ইন্টারনেট খরচ
কমানোর টিপস নিয়ে আজকের টিউন।
Data Restrictions : অনেকেই হয়তো জানেন
না যে আপনি যখন স্মার্টফোনটি
ব্যবহার করছেন না কিন্তু ডেটা অন
করে রেখেছেন তখনও আপনার ডেটা
খরচ হচ্ছে! হ্যাঁ ঠিক তাই। আপানার
অ্যানড্রয়েড ফোনটির বেশির ভাগ
Apps ই সার্ভিস সচল রাখার জন্য
ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার করে।
যেমন Whatsapp, Viber, play-store, google apps, messenger
ইত্যাদি। এই অ্যাপসগুলি আপনি অন্য
কাজ করার সময়ও অকারণে ডেটা
কাটতে থাকে। এর থেকে বাঁচতে
আপনার সেটিংস অপশনে গিয়ে
Data →> তারপর Restrict Background Data অপশনে টিক
দিয়ে দিন। আপনার নোটিফিকেশন
বারে একটি বিস্ময়সূচক (!) চিহ্ন দেখাবে।
অর্থাৎ অ্যাপগুলি আর অাপনার অজান্তে
ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা চুরি করতে
পারবে না।
শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অ্যাপস চালু রাখা :
আপনি যেহেতু স্মার্টফোন ইউজ করেন
সেহেতু নিশ্চয়ই ইন্টারনেটভিত্তিক
কোনো একটি বা একাধিক Instant Messaging Apps ব্যবহার করে
থাকেন। এর মাঝে এমন একটি দরকারি অ্যাপও
থাকতে পারে যেটিকে সব সময় চালু
রাখা দরকার। যদি ব্যাকগ্রাউন্ড
ডেটা বন্ধ করে রাখেন তবে সবগুলি
অ্যাপ একত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে বন্ধ হয়ে
থাকবে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে
Settings →> Data Uses এ অপশনে গিয়ে
দেখতে পাবেন সবগুলি অ্যাপ
দেখাচ্ছে। কোন অ্যাপ কি পরিমাণ
ডেটা খরচ করছে সেটাও আপনি
দেখতে পারবেন। এখন একটু সময় নিয়ে
অ্যাপসগুলোতে ক্লিক করে ভেতরে
প্রবেশ করুন এবং যে অ্যাপগুলি আপনার
চালু রাখা দরকার সেগুলি বাদ দিয়ে
বাদবাকি অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলো Restricted করে
দিন।
Data Saving Apps ব্যবহার করা : কিছু
কিছু অ্যাপস আছে যেগুলি অনেক Low Data খরচ করে আপনাকে
ব্রাউজিংয়ের সুযোগ দেয়। যেমন
Opera mini, Opera now, UC browser –এ Data Saving Mode অপশন আছে। এই অপশন ব্যবহার করে আপনি ৮০
শতাংশ পর্যন্ত ব্রাউজিং খরচ
বাঁচাতে পারেন। ইনস্ট্যান্ট
মেসেজিং এর ক্ষেত্রে সঠিক অ্যাপ অর্থাৎ ভালো মানের অ্যাপ
নির্বাচন করুন। যেমন ভয়েস কলিং-এর
ক্ষেত্রে Whatsapp এ খুবই কম ডেটা খরচ হয়। তাই দেখেশুনে সঠিক
সিদ্ধান্ত নিন।
সিকিউরিটি অ্যাপ ব্যবহার : বিভিন্ন
সিকিউরিটি অ্যাপস ব্যবহার করেও
আপনি ডেটা খরচ কমাতে পারেন। এই
অ্যাপগুলির দ্বারা আপনি জানতে
পারবেন কোন অ্যাপগুলি আপনার
ডেটা চুরি করছে। সেটিংসের
মাধ্যমে আপনার অনুমতি ছাড়া
সেগুলি ডেটা ব্যবহার করতে
পারবে না। প্লে-স্টোরে CM Security, 360 Security
ইত্যাদি অ্যাপস আছে। এই
অ্যাপগুলোর দ্বারা Data Protection
ছাড়াও ভাইরাস, হ্যাকিং থেকে
সুরক্ষিত থাকবেন।
Data Settings : আপনার ফোনে
ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু
সেটিংস রয়েছে যেগুলিকে ব্যবহার
করা জরুরি। যেমন আপনার
স্মার্টফোনটিকে ওয়াই-ফাই হটস্পট
হিসেবে ব্যবহার করা যায়।ওয়াই-ফাই
ভিত্তিক কিছু অ্যাপস যেমন Share It
ব্যবহারের সময় আপনার অজান্তেই
স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকসময় Hots-pot চালু
হয়ে যায়। এর ফলে আপনার অজান্তে
অন্য কেউ আপনার ডেটা ব্যবহারের
সুযোগ পাবে। এমনকি ওয়াইফাই
নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনার
স্মার্টফোনটি হ্যাক হতে পারে। সে
ক্ষেত্রে সবকিছু চেক করুন। হটস্পটে
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এবং অবশ্যই
প্রয়োজন না থাকলে ব্যবহার শেষে
আপনার ডেটা কানেকশন বন্ধ রাখুন।
আজ এপর্যন্তই। "ভালো থাকুন সবাই, ভালো রাখুন চারপাশের সবাইকে"।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্।
আমি আদিল মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 31 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হুম সারা দিনে মাত্র ২-৩ এমবির মত বেশি খরচ হয়।
কিন্তু আমি Always Connected or online.