ব্যক্তিগত ব্লগ বা কোম্পানির ওয়েবসাইট যাই তৈরি করেন না কেন ডোমেইন হোষ্টিং আপনাকে ব্যবহার করতেই হবে। ওয়েবসাইট ডিজাইনের সর্বপ্রথম সিদ্ধানত্মই হচ্ছে ডোমেইন হোষ্টিং। যারা একেবারে নতুন তাদের জন্য বলছি, ডোমেইন হচ্ছে ওয়েবসাইটের নাম বা এড্রেস আর হোষ্টিং হচ্ছে জায়গা। এটি আমরা ফ্রি কিংবা টাকার বিনিময়ে উভয়ই পেতে পারি। বহুল ব্যবহৃত ফ্রি ডোমেইন-হোষ্টিং প্যাকেজগুলো সাধারনত সাবডোমেইন হয়ে থাকে। যেমন:http://www.sports.blogspot.com। এখানে মূল ডোমেইন হচ্ছে ব্লগস্পট আর স্পোর্টস হচ্ছে এর একটি সাব ডোমেইন। ফ্রি একটি সাবডোমেইন দেয়ার কারনে কতৃপক্ষের একটু বাড়তি নজরদারি থাকতেই পারে। সবমিলিয়ে আপনি যদি আপনার পছন্দমত নামে একটি ডোমেইন সংগ্রহ করতে চান অবশ্যই আপনাকে যেকোন মাধ্যমে সেটি ক্রয় করতে হবে। একটি ক্রয়কৃত ডোমেইন এর উদাহরন হচ্ছে http://www.xplorerweb.com। এটি আমাদের কোম্পানির নামের সাথে সামঞ্জস্য করে কেনা হয়েছে। এখানে ক্রয় বলতে সারাজীবন নয়, শুধুমাত্র ১ বছরের জন্য। এক কথায় বলেতে পারেন ভাড়া সিষ্টেম। পরবর্তী বছর ডোমেইনটি আপনার করে রাখতে চাইলে অবশ্যই মেয়াদ থাকাকালীন রিনিউ করতে হবে।
এবার জেনে নিন নিজস্ব বা টাকার বিনিময়ে ডোমেইন হোষ্টিং সংগ্রহের পূর্বে অবশ্যই অনুসরনীয় দশটি সাবধানতা।
১. ডোমেইন হচ্ছে আপনার সাইটের পরিচয় অতএব সবদিক ভেবে চিনেত্ম সুন্দর একটি নাম সিলেক্ট করুন। এসইও নির্ভর কিছু করতে চাইলে কিওয়ার্ডকে গুরুত্ব দিয়ে নাম বাছাই করুন।
২. আপনি যে নামটি বাছাই করেছেন সেটি ফাঁকা আছে কিনা এখান থেকে দেখে নিন। কেননা একটি ডোমেইন নেইম সমগ্র বিশ্বে একজনই নিতে পারবে।
৩. আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে ডোমেইনটি কিনবেন তাদের সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন। কেননা ডোমেইন কিনে প্রতারিত হয়েছেন এমন ঘটনা এখন আর বিরল নয়।
৪. ডোমেইন এর দাম একটা চিন্তার বিষয়। খুব কম হলেও যেমন সন্দেহপূর্ন তেমনি অনেক চড়া দামে সাধারন ডোমেইন কেনাটাও এক ধরনের বোকামি। বর্তমানে ডোমেইনের চলমান মূল্য হচ্ছে ১০-১১ ডলার বা বাংলাদেশী ৮০০-৯০০ টাকা।
৫. ডোমেইন কেনার সময় রেজিষ্ট্রেশন যেন আপনার নাম, ঠিকানা দিয়ে হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
৬. যাদের কাছ থেকে ডোমেইন হোষ্টিং নিলেন তাদের থেকে একটি ক্যাশমেমো সরাসরি কিংবা মেইলে নিয়ে নিন। মেইলে নিলে মেইলটি অবশ্যই সেইভ রাখুন।
৭. ডোমেইন হোষ্টিং কিনলে আপনাকে হয়তো শুধুমাত্র হোষ্টিং এর সিপ্যানেল দেয়া হবে অথচ আমরা পাব ডোমেইন এবং হোষ্টিং এর জন্য আলাদা আলাদা দুটি সিপ্যানেল।
৮. ডোমেইন সিপ্যানেল ছাড়া ডোমেইন ক্রয় করা এক ধরনের বোকামি। ধরুন, আপনি যার কাছ থেকে ডোমেইন কিনলেন কিছুদিন পরে সে ব্যবসা বন্ধ করে দিল বা তার সাথে আপনার কোন কিছু নিয়ে দ্বন্দ হল এখন আপনি কিভাবে আপনার সাইটটি সেইভ করবেন। ডোমেইন সিপ্যানেল ছাড়া কেউই আপনাকে সাহায্য পাবেন না।
৯. ভেরিফিকেশন সিষ্টেম থাকলে অবশ্যই ডোমেইন কেনার ১৫ দিনের মধ্যে মেইলের মাধ্যমে ভেরিফাই করে নিন। এরপর যদি সম্ভব হয় ডোমেইন এর প্রাইভেসি প্রোটেকশন এনাবল করে রাখুন।
১০. সবশেষে ডোমেইন ও হোষ্টিং এর সিপ্যানেলে লগইন করে দেখুন আপনাকে যা যা দেওয়ার কথা ছিল সব ঠিকমত পেয়েছেন কিনা।
ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকলে অথবা ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করতে চাইলে আমাকে ফেসবুকে নক করতে পারেন। থাঙ্কস
আমি মাহমুদুল হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 44 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আচ্ছা ভাই ব্লগার থেকে তৈরি করা ব্লগ যদি কেনা ডোমেইনে ট্রান্সফার করা হয় তালে সেই ব্লগের সিকিউরিটির দ্বায়িত্ব কী গুগল ব্লগ মালিক এর হাতে ছেড়ে দেয় নাকী পূর্বের মত ব্লগারের কাছেই থাকে।
ভাই লোকাল হোস্ট বিষয়ে কিছু বলুন এই কথাটার মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝি না। যেমন, ওয়ার্ড প্রেস থেকে ব্লগ তৈরি করতে বেশিরবাভাগ লোকই বলে লোকাল হোস্টে ব্লগ তৈরি করুন।