হেলেনিস্টিক যুগে মিসরের টলেমীয় সাম্রাজ্যে ফিরে যাওয়া দিয়েই তথ্যচিত্রের শুরু। তৎকালীন বিশ্বজ্ঞানের সব রথী-মহারথী আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিতে একসঙ্গে। বিতর্কসভার বিষয়বস্তু ছিল সৌরসময়। সূর্য একথা জানতে পেরেই একটু দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। পৃথিবীও তাই। চলে যায় কয়েক শতাব্দী। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে সবে পরিচিত হয়েছে মানুষ। কল্পিত টাইম মেশিনের টিক টিক শব্দ যখন আধুনিকতার ডিজিটে, সভ্যতা তখন স্ক্রিনে ভেসে থাকা ওয়েব ব্রাউজিং। আলেকজান্দ্রিয়ার আগুনে পোড়া হাহাকার করতে নারাজ চলতি বিশ্ব। প্রতি সেকেন্ডে প্রতিটি দেশ থেকে অন্তত একজন তার সংগ্রহে থাকা দুর্লভ ও জ্ঞানলব্ধ বই আপলোড করছে। ছড়িয়ে পড়ছে সেগুলো গোটা বিশ্বে। ইন্টারনেট হয়ে উঠছে ঘরে বসেই ক্লাসরুম চ্যাটিং, ই-কনফারেন্স আর দলবদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র। গুগল একাউন্ট হোল্ডারদের জন্য এক্ষেত্রে সুখবরই বটে। ইমেইলের ফ্রন্ট পেজ থেকে গুগল লাইব্রেরি মাউসের কয়েকটি ক্লিক মাত্র। একাউন্টধারী যে কেউ এ লাইব্রেরির সদস্য। মিলিয়ন মিলিয়ন বই অপেক্ষা করছে সেখানে। অ্যাড্রেস বারে গিয়েও টাইপ করা যায় http://books.google.com/ ইউজার নেইম আর পাসওয়ার্ড দিয়ে নেমে পড়তে হবে জ্ঞান সমুদ্রের তলদেশে। কী নেই সেখানে। ফিকশন, নন-ফিকশন আর সামপ্রতিক সময়ের নানা দিক নিয়ে সাজানো হয়েছে বিশ্ববিখ্যাত সব বইয়ের পসরা। সার্চ বারে গিয়ে প্রয়োজনীয় বইয়ের নাম লিখলে সেকেন্ডেই তার প্রচ্ছদপট ভেসে উঠবে ল্যাপটপ স্ক্রিনে। বইটি রাখার জন্য গুগল তার গ্রাহকদের একটি আলাদা লাইব্রেরি রুমের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। বইয়ের নিচে Add to my library ক্লিক করলেই বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকেই যখন খুশি তা ব্যবহার করা যাবে বিনামূল্যে। তবে গুগলের কপিরাইট অনুযায়ী তা ডাউনলোড করা যাবে না। ভাবছেন ডাউনলোড করবেন কিছু বই, শেয়ার করবেন সেগুলো বন্ধুদের সঙ্গে। http://www.scribd.com/people/documents/ এবং http://www.esnips.com/ এক্ষেত্রে হতে পারে সাইট আইকন। যে কোনও বিষয়ের ওপর যে কোনও ধরনের বই মিলবে এখানে। যত ইচ্ছা ডাউনলোড করা এখন শুধু সময়ের অভিক্ষেপ। সুবিধা হচ্ছে গুগল লাইব্রেরির পেইজ কন্টেন্ট ডিসপ্লে হতে যতটুকু সময় প্রয়োজন, সাইট থেকে ডাউনলোড করা ফাইল তার ১০ গুণ সাশ্রয়ী করে দিচ্ছে। শুধু পিডিএফ ফরমেটে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের ওপর বই ডাউনলোড করার জন্য রয়েছে http://www.ebookspdf.com/ কালেকশনে থাকা লাখ লাখ বইয়ের ভিড়ে হয়ত পাওয়া যাবে দুর্লভ কিছু ফাইল। ক্লিক করতে হবে সার্ফারকেই। আর ডাউনলোড করলেই চলবে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মতো ১০ মিনিট ডাউনলোড বনাম ১০০০ মিনিট তার অধ্যয়ন নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বে আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েবলিংক http://www.docstoc.com/। সহজ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এ সাইটেও সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যথারীতি সার্চ বারে টাইপ করে এখানেও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া যাবে পিডিএফ ফরমেটে। বিনামূল্যে ডাউনলোড তো থাকছেই, গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপলোড করা ফাইল শেয়ারিং ইউজারকে অনলাইন আয়ে সাহায্য করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। পুরো একসেস নিয়ে এ সাইট তার সদস্যদের ইমেইলের মাধ্যমে একটি নির্দেশনাও দিয়ে দেয়। বিশ্বজুড়ে অনলাইন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত। বই পড়ার পাশাপাশি নিজেকে আপডেট রাখার গুরুত্বও সমানভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যারিয়ারভিত্তিক চলমান বিষয়াদির ওপর তথ্য-উপাত্ত ও ডকুমেন্ট জানতে ব্যবহার করা যেতে পারে http://www.wtec.org/search.htm লিংকটি। ওয়েব ওয়ার্ল্ডের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাবলিক এবং অফিসিয়াল ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ সাইট। ফাইল ডাউনলোডের কিছু অপশনও রয়েছে এখানে। অফিসে অবসর কিংবা ক্লাস শেষে ল্যাবের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা। ভালো লাগছে না কিছুতেই। তনুমনে শ্লথ হয়ে যাওয়া আলস্যকে নিউরনীয় বেগ দিতে রয়েছে িি.িসঁৎপযড়হধ.পড়স। কয়েক মিনিটে রেজিস্ট্রেশন পর্ব শেষ করেই ইউজার ঘুমিয়ে পড়তে পারেন বাংলা মায়ের সাহিত্য কোলে। ওপার ও এপার থেকে পছন্দের সব লেখক তাদের কবিতা, গল্প ও উপন্যাস নিয়ে ডাকছেন আপনাকে। সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে। এমনকি যার কণ্ঠে বহুদিন কোনও সুরেলা তরঙ্গে গান শোনা হচ্ছে না, তাকেও পেয়ে যাচ্ছেন কয়েকটি ক্লিকেই।
আমি আত্মভোলা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
লেখাটা যেন কোথায় পড়েছিলাম। ঠিক মনে পড়ছে না।
————————————————–
Movie, Music, Ebooks, Software all is here.